Ajker Patrika

জর্দায় বিষ মিশিয়ে শাশুড়িকে হত্যা চেষ্টা, নিহত ননদ

প্রতিনিধি, বগুড়া
জর্দায় বিষ মিশিয়ে শাশুড়িকে হত্যা চেষ্টা, নিহত ননদ

শাশুড়িকে হত্যা করলেই সংসারে শান্তি আসবে। এমন পরিকল্পনা নিয়ে জর্দার সঙ্গে বিষ মিশিয়ে কৌশলে সেবন করানো হয় শাশুড়িকে। এ ঘটনায় শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে (শাশুড়ি) দেখতে আসা ননদ সাথী আক্তার একই জর্দা সেবনে মারা যান। এমন ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ধোড়া গ্রামে।

গ্রেপ্তারের পর আদালতে জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেন গৃহবধূ পপি আক্তার (২২)। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় হয় বলে জানায় পুলিশ।

এর আগে পপির স্বামী আল-আমিন বাদী হয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গাবতলী থানায়। গত বুধবার (১৪ জুলাই) রাত ১০টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাথী আক্তার মারা যান।

গ্রেপ্তারের পর পপি আক্তার জানান, চার বছর আগে আল আমিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। শাশুড়ির হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করার পথ খুঁজতে থাকেন তিনি। তাঁর দাবি গত সোমবার (১২ জুলাই) রাতে স্বপ্নে জানতে পারেন পান খাওয়ার জর্দার সঙ্গে বিষ জাতীয় কিছু মিশিয়ে শাশুড়িকে খাওয়াতে হবে। শাশুড়ি মারা গেলে স্বামীর সংসারে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন পপি আক্তার।

সেই অনুযায়ী পরদিন ১৩ জুলাই সকালে ঘরে থাকা উকুন মারা বিষ শাশুড়ির পান খাওয়া জর্দার সঙ্গে মিশিয়ে রাখেন। শাশুড়ি রাশেদা বেগম (৫০) পান খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের মাধ্যমে তাঁকে চিকিৎসা করানো হয়। এ দিকে মা অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে পরদিন বুধবার (১৪ জুলাই) পার্শ্ববর্তী গ্রামে বিয়ে হওয়া মেয়ে সাথী বেগম মাকে দেখতে আসেন। সাথী বেগমও একই জর্দা দিয়ে পান খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে গাবতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল বলেন, পপি আক্তারকে গ্রেপ্তারের পর জর্দার সঙ্গে বিষ মেশানোর কথা স্বাকার করেন। আজ (শুক্রবার) আদালতে পাঠালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোমিন হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দীতেও ঘটনা স্বীকার করেন। পরে আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত