রাবি প্রতিনিধি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য বিনা উসকানিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর মাধ্যমে উপাচার্যের পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগই একমাত্র সমাধান। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সমর্থন ও হামলার প্রতিবাদে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গত কয়েক বছরের আন্দোলনগুলো দেখলে লক্ষ করব, শিক্ষার্থীরা প্রথমে সমঝোতার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হলে তারা আন্দোলনে নামে। আমরা দেখেছি, ২০০৭ সালে একটি ছাত্র আন্দোলন সরকারের পতন ঘটিয়েছে, যেটার সঙ্গে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির একটা সাদৃশ্য লক্ষ করছি। এ আন্দোলন সেরকম কিছু হবে না এমন নিশ্চয়তা নেই। শাবিপ্রবির উপাচার্য বিনা উসকানিতে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগই একমাত্র সমাধান।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা প্রবণতা দেখা যায়, যেকোনো আন্দোলন হলে তার মধ্যে আমরা ষড়যন্ত্র খোঁজার চেষ্টা করছি। কিন্তু একবারও গত ১৪০ ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীরা অনশন করছে, সেদিকে খেয়াল করছি না। আমরা ভাবছি না যে আমাদের ৩০ জন শিক্ষার্থী সেখানে মৃত্যুপথযাত্রী। হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেখানে উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বলছে, সেটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকলে শিক্ষকের কোনো মূল্য থাকবে না।’
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি খুব বড় কোনো ঘটনা ছিল না। প্রশাসন চাইলেই এটার খুব সুন্দর একটা সমাধান করতে পারত। কিন্তু তারা তা না করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ফলে সেটা আজ উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এখন বিষয়টি নিয়ে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা কথা বলছেন। সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলররা একটা সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তাঁরা শাবিপ্রবির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাইছেন না; বরং বলছেন, ফরিদ সাহেব পদত্যাগ করলে তাঁরাও পদত্যাগ করবেন। এর মানে, এখন খুব উঁচু দরের খেলা চলছে। শাবিপ্রবির সমাধানের ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতে দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে।
কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক আলী রেজা অপু।
কর্মসূচিতে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সঞ্চালনায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের রিদম শাহরিয়ার, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর রনজু হাসান প্রমুখ।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য বিনা উসকানিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর মাধ্যমে উপাচার্যের পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগই একমাত্র সমাধান। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সমর্থন ও হামলার প্রতিবাদে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গত কয়েক বছরের আন্দোলনগুলো দেখলে লক্ষ করব, শিক্ষার্থীরা প্রথমে সমঝোতার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হলে তারা আন্দোলনে নামে। আমরা দেখেছি, ২০০৭ সালে একটি ছাত্র আন্দোলন সরকারের পতন ঘটিয়েছে, যেটার সঙ্গে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির একটা সাদৃশ্য লক্ষ করছি। এ আন্দোলন সেরকম কিছু হবে না এমন নিশ্চয়তা নেই। শাবিপ্রবির উপাচার্য বিনা উসকানিতে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগই একমাত্র সমাধান।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা প্রবণতা দেখা যায়, যেকোনো আন্দোলন হলে তার মধ্যে আমরা ষড়যন্ত্র খোঁজার চেষ্টা করছি। কিন্তু একবারও গত ১৪০ ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীরা অনশন করছে, সেদিকে খেয়াল করছি না। আমরা ভাবছি না যে আমাদের ৩০ জন শিক্ষার্থী সেখানে মৃত্যুপথযাত্রী। হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেখানে উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বলছে, সেটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকলে শিক্ষকের কোনো মূল্য থাকবে না।’
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি খুব বড় কোনো ঘটনা ছিল না। প্রশাসন চাইলেই এটার খুব সুন্দর একটা সমাধান করতে পারত। কিন্তু তারা তা না করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ফলে সেটা আজ উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এখন বিষয়টি নিয়ে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা কথা বলছেন। সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলররা একটা সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তাঁরা শাবিপ্রবির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাইছেন না; বরং বলছেন, ফরিদ সাহেব পদত্যাগ করলে তাঁরাও পদত্যাগ করবেন। এর মানে, এখন খুব উঁচু দরের খেলা চলছে। শাবিপ্রবির সমাধানের ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতে দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে।
কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক আলী রেজা অপু।
কর্মসূচিতে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সঞ্চালনায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের রিদম শাহরিয়ার, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর রনজু হাসান প্রমুখ।
গাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
৪১ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের নলকূপ স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তারা সরাসরি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের অনুগত স্থানীয় ঠিকাদারের প্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, নৈশপ্রহরীর স্বামী, নলকূপ বিক্রেতাসহ এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে...
১ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর সদর ও চিরিরবন্দর উপজেলার কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধার লক্ষ্যে দুটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০০১ সালে চিরিরবন্দর উপজেলার কাঁকড়া নদীতে সাঁইতাড়া এলাকায় একটি এবং অন্যটি ২০১৩ সালে আত্রাই নদে মোহনপুর এলাকায় নির্মাণ করে। সম্প্রতি মোহনপুর রাবার...
১ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যার কারণে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না সরকার। এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে বস্তায় ভরে ধান খাদ্যগুদামে নিয়ে যাওয়া, ধান শুকিয়ে আর্দ্রতা ১৪ শতাংশে নামিয়ে আনা, চিটার জন্য প্রতিমণে এক-দুই কেজি বেশি ধান নেওয়ার মতো নানা শর্ত এবং ব্যাংকে দৌড়াদৌড়ি করা। চলতি বছর আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার.
২ ঘণ্টা আগে