Ajker Patrika

বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব: প্রধান শিক্ষকের চেয়ার গাছে, কক্ষে তালা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৮ মে ২০২৫, ১৯: ০৭
প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে তাঁর চেয়ার গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে তাঁর চেয়ার গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সভাপতির পদ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগধানী উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তিন দিন ধরে তালা ঝুলছে। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসছেন, কিন্তু নিজের কক্ষে ঢুকতে পারছেন না। গত মঙ্গলবার কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক মঞ্জু মনোয়ারাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন নওহাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান। গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে তিনি আত্মগোপনে। পরে চলতি বছরের ৩ মার্চ কমিটির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন অর-রশিদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি নওহাটা পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, পৌর বিএনপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নাজিম উদ্দিন মোল্লা নজির কমিটির সভাপতি হতে চাইতেন। তিনি পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. মোকবুল হোসেনের ঘনিষ্ঠ। নাজিম উদ্দিন মোল্লা বিদ্যালয়ের নতুন এই কমিটি মেনে নেননি। তিনি তাঁর লোকজন নিয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে কক্ষ থেকে বের করে তালা দেন।

নাম না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষকেরা জানান, গত মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির সভা ছিল। সভা চলাকালে কিছু ব্যক্তি তাঁর কক্ষে ঢুকে গালিগালাজ করেন, ভাঙচুর চালান এবং প্রধান শিক্ষককে মারধর করে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন।

মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনার পর দুপুরে পবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মঞ্জু মনোয়ারা। অভিযোগে নওহাটা পৌরসভার বাঘাটা গ্রামের বাসিন্দা ও পৌর যুবদলের সদস্য মো. আতাউর (৩৫); বাগসারা উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক ও পৌর যুবদলের সদস্য মো. মকসেদ আলী (৩৫); সাবেক কাউন্সিলর নাজিম উদ্দিন মোল্লা (৫০) এবং বাগধানী গ্রামের মো. জমসেদের (৪০) নাম উল্লেখ করা হয়েছে যে তাঁরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ছাড়া অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কক্ষে ঢুকে অকথ্য ভাষায় প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজ করেন এবং নিষেধ করলে কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। পরে প্রধান শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বাইরে বের করে দেন। এরপর কক্ষের দরজায় তালা লাগিয়ে তাঁরা চলে যান। সেই সঙ্গে প্রধান শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকিও দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধান শিক্ষকের কক্ষের দুটি দরজায় এখনো চারটি তালা ঝুলছে। বিদ্যালয়ের সামনে একটি গাছে ঝুলছে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার। শিক্ষকেরা জানান, সামনের ডোবায় চেয়ারটি ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তুলে কে বা কারা চেয়ারটি গাছে ঝুলিয়ে রেখে গেছে। এখন তাঁরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মঞ্জু মনোয়ারা বলেন, ‘যাঁরা আমাকে রুম থেকে বের করেছেন, তাঁরাই চেয়ার ভেঙে ফেলে গিয়েছিল। অফিসে লাগানো তালা চারটির চাবিও তাঁদের কাছে। এটা বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মামুন-অর-রশিদ বলেন, ‘সেদিন কমিটির প্রথম সভা ছিল। আমরা যাওয়ার আগেই সাবেক কাউন্সিলর নজিরের নেতৃত্বে কিছু লোক প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তারা প্রধান শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ম্যাডামের মোবাইল ও চেয়ার ভেঙে দেয়। ম্যাডামের ঘরে তালা মারে বাগসারা উচ্চবিদ্যালয়ের পিয়ন মকসেদ। ওই স্কুল চলাকালে কীভাবে সে এই স্কুলে আসতে পারে? আমরা এটা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। প্রশাসনকে অবহিত করেছি। এখনো সুরাহা হয়নি।’

অভিযুক্ত সাবেক কাউন্সিলর নাজিম উদ্দিন মোল্লা নজির বলেন, ‘স্কুল বাগধানী, আর সভাপতি বানিয়েছে দুয়ারির, সেটা অন্য এলাকা। এটা কেউ মেনে নেবে? আমরা তালা মেরেছি এটা মিথ্যা কথা। বললেই তো হলো না। শিক্ষক-ছাত্ররা শিক্ষকের বিরুদ্ধে হরতাল করছিল। আমরা সেটা দেখেছি। আমরা মারতে যাব কেন? মারার কোনো দরকার আছে? কেউ প্রধান শিক্ষককে শিখিয়ে দিয়েছে। তিনি শেখানো কথা বলছেন। আমরা জানি না।’

এ বিষয়ে পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাকে কেন্দ্র করে সেখানে উত্তেজনা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত আমান আজিজ জানান, ‘ঘটনার ব্যাপারে আমরা অবগত আছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তালা খুলে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পীরগঞ্জে আরও ৯ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ শনাক্ত

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি  
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: সংগৃহীত
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় আরও ৯ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন রামনাথপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের আশুরা বেগম (৬৫), রবিউল ইসলাম (৫৫), শাহিন মিয়া (২৩), শরীফ মিয়া (২২), খাসা মিয়া (৫২), চেরাগপুরের রওহাবুল মিয়া (৩২), দ্বারিয়াপুরের শিল্পী (২৮), মামুন (১৬) ও খোরশেদ ইসলাম (২৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চেরাগপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে সাদেক আলী ৪ অক্টোবর অসুস্থ গরু জবাই করে ১৮টি পরিবারের মধ্যে মাংস বিতরণ করেন। পরে ১১ অক্টোবর দ্বারিয়াপুর গ্রামের টুটুল মিয়াও অসুস্থ গরু জবাই করে গ্রামবাসীর মধ্যে মাংস ভাগ করে দেন। ধারণা করা হচ্ছে, এসব গরুর মাংস খেয়ে বা কাটাকাটির সময় সংস্পর্শে এসে তাঁরা অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।

আক্রান্ত শিল্পী, মামুন ও খোরশেদ জানান, গরু জবাইয়ের পরপরই কয়েকজনের শরীরে ঘা দেখা দেয়। তাঁরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

রংপুর জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার পর্যন্ত রংপুরের পীরগাছায় ৩৮, কাউনিয়ায় ১৮, মিঠাপুকুরে ১২, গঙ্গাচড়ায় ৭, পীরগঞ্জে একজনসহ জেলায় ৭৮ জন সন্দেহজনক অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পীরগঞ্জের নতুন ৯ জন আক্রান্তের তথ্য এখনো ওই হিসাবে যুক্ত হয়নি।

জেলা সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১১। তবে সন্দেহজনক রোগীর সংখ্যা আরও বেশি। তিনি বলেন, ‘অ্যানথ্রাক্স রোগীর শরীরে কাঁচা ঘা না থাকলে নমুনা সংগ্রহ করা যায় না, তাই অনেক ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।’ এদিকে গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গে দুজনের মৃত্যু হয়। পরে গাইবান্ধায়ও একাধিক আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সর্বশেষ ৪ অক্টোবর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের রোজিনা বেগম (৪৫) অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাড়াশে কীটনাশকের দোকান থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালপত্র চুরি

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সার ও কীটনাশকের দোকানে চুরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সার ও কীটনাশকের দোকানে চুরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় রাতের আঁধারে সার ও কীটনাশকের দোকানে চুরি হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালপত্র খোয়া গেছে মালিকের।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার কাস্তা বাজারে মেসার্স জিসা এন্টারপ্রাইজে এই ঘটনা ঘটে।

দোকানের মালিক জাহাঙ্গীর আলম দাবি করে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। সকালে এসে দেখি দোকানের পেছনের টিন কাটা। দোকান থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার কীটনাশক ও অন্য মালপত্র চুরি হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘চুরির বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি। এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এযাবৎ কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করে আবারও আলোচনায় পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বিতর্কিত ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা।

জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ভাই ও চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি আগে থেকেই সমালোচিত। অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় রেহাই পেতে তাঁর ভাই ও চাচা ৫০ হাজার টাকা দিলেও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। তাঁরা এখনো ভুগছেন সেই ঘর পোড়ানোর মামলায়। বিতর্কিত মন্তব্য করে এখন তিনি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন।

সোহাগ মৃধার চাচা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ওয়ারিশ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে সোহাগ তার ভাইকে হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে আমি ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েও রেহাই দেয়নি।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন তিনি বিএনপি পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।

জানতে চাইলে বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘সোহাগ মৃধা কেমন মানুষ, তা সবাই জানে। সে আমার বাবাকেও একসময় হয়রানি করেছে।’

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ফকরুল আলম বলেন, ‘শুনেছি সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ করতেন। এখন কীভাবে বিএনপি করলেন জানি না। কেউ নিজেকে বিএনপি বললেই সে বিএনপি হয়ে যায় না। তিনি আমাদের দলের কেউ নন।’

এসব নিয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না—যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লাউয়াছড়া বন থেকে টহল দলের সদস্যের লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বরত মো. সিরাজ মিয়া (৭০) নামের এক বন টহল দলের (সিপিজি) সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সিরাজ মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার বাসিন্দা।

পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, সিরাজ মিয়া মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাউয়াছড়া বনের জানকিছড়া এলাকায় বন পাহারায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। আজ সকালে খবর পাওয়া যায়, লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ প্রধান সড়কের পাশে সিপিজি ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় তাঁর মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের সদস্যরা।

জানতে চাইলে লাউয়াছড়া বনের বনবিট কর্মকর্তা মারজুক হোসেন বলেন, ‘নিহত সিরাজ মিয়ার ডিউটি শেষ হয়েছিল ভোর ৫টার দিকে। সকাল ৬টার দিকে খবর পাই, তাঁর মরদেহ সড়কের পাশে পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে কোনো গাড়ির ধাক্কায় তিনি মারা গেছেন। মরদেহের পাশে গ্লাস ভাঙা টুকরো পাওয়া গেছে।’

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত