নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে রেগে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। সাংবাদিকদের এমন তোপের মুখে পরে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে এই ঘটনা ঘটে।
আজ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল শপথ নেওয়ার পর প্রথম তাঁর কার্যালয়ে যান। তিনি ওমর ফারুককে চ্যালেঞ্জ করেই এ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হন। এমপি ফারুক সমর্থিত প্রার্থী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পরাজিত হন।
সকালে সাংবাদিকেরা খবর পান, বেলাল উদ্দিন সোহেলের প্রথম কর্মদিবসেই উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা হবে। সভায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীও থাকবেন। সেখানে বেলালকে অফিসে বসতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতে পারে। এমন খবরের ভিত্তিতে সাংবাদিকেরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান নেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম কর্মদিবস বলে তাঁর কয়েক শ নেতা-কর্মী সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহায়তায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বেলালের কর্মী-সমর্থকদের বের করে দিচ্ছেন। ইউএনও নিজেই হ্যান্ডমাইকে বারবার নেতা-কর্মীদের চলে যেতে বলছিলেন।
কিছুক্ষণ পর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কয়েকজন চেয়ারম্যান ও ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে আসেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এসেই তিনি ‘এদিকে আসো, এদিকে আসো। সাংবাদিক সাহেবরা এদিকে আসো’ বলে সাংবাদিকদের ডাকেন।
ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ সমন্বয় মিটিং। এই মিটিংয়ে এই লোকগুলো কারা? এই অবৈধ সমাবেশটা কিসের? আমি ইউএনও সাহেবের কাছে প্রশ্ন করলাম। তাঁকে আমি দুইবার রিং করেছি যে, এই সমাবেশ হটাও। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই সমাবেশ করা হয়েছে এবং এতে ইউএনও সাহেব ইনভলব কিনা আই ডোন্ট নো। বাট তাঁকে আমি দুইবার রিকোয়েস্ট করেছি এইগুলোকে হটানোর জন্য।’
সাধারণ জনগণ একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে প্রথম দিন আসতে পারে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘না। আজকে এখানে মিটিং আছে। জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আসতে পারে না। মিটিংয়ের দিনে পারে না।’ এ সময় কালের কণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম প্রশ্ন করেন, ‘আপনার সঙ্গেও অনেক লোক আছে, তাঁরা কেন এসেছেন?’
এ প্রশ্ন শুনেই রেগে যান এমপি ফারুক। তিনি বলেন, ‘এরা চেয়ারম্যান। শোনো, তোমার প্রবলেম হলো, তুমি অলওয়েজ বায়াস্ট হয়ে পয়সা খেয়ে প্রশ্ন করো। দিস ইজ ভেরি ব্যাড।’
সাংবাদিকেরা এ সময় বলতে থাকেন, ‘আপনি এটা খারাপ বললেন। আপনার কথাটা ঠিক নয়। এমন কথা বলার জন্য আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।’ এ সময় ফারুক চৌধুরী প্রতিবাদ করতে থাকা দৈনিক ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিনের নাম ধরে বলেন, ‘আমি তোমাকে এ কথা বলি নাই। যে আমাকে প্রশ্ন করেছে, আমি তাকে বলেছি।’ তখন সাংবাদিকেরা বলতে থাকেন, ‘উনি আমাদের সভাপতি। আপনি একজন সাংবাদিককে এ কথা বলতে পারেন না। আপনাকে স্যরি বলে যেতে হবে। আপনি এভাবে কথা বলতে পারেন না।’
সাংবাদিকদের তোপের মুখে দ্রুত সেখান থেকে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরে চলে যান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী যাকে-তাকে যখন-তখন অপমানজনক কথা বলেন। তিনি কিছুদিন আগেই নিজের এলাকার এক কলেজ অধ্যক্ষকে পিটিয়েছেন। তাঁকে অত্যন্ত যৌক্তিক একটা প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে যে কথা তিনি বলেছেন, তা সাংবাদিকদের জন্য অপমানজনক।’
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রকি। তিনি বলেন, ‘এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী পুরো সাংবাদিক সমাজকে অপমান করে কথা বলেছেন। তিনি যদি সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা না চান, তাহলে তাঁর সমস্ত ইতিবাচক সংবাদ বয়কট করা হবে। সাংবাদিক ইউনিয়নও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’
উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, ঘটনার সময় তিনি ভেতরে ছিলেন। বাইরে কী হয়েছে তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, ‘নতুন একজন জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব নিতে গেলে তাঁর সঙ্গে অনুসারীরা প্রথম দিন গিয়ে থাকেন। এ জন্যই মানুষ ভালোবেসে আমার সঙ্গে এসেছিল। কেউ এমপিকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসেননি। এ রকম কেউ চিন্তাও করে না।’
এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তাঁকে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশ’ করার সঙ্গে ইউএনওর সম্পৃক্ততা থাকার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন। সে বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো কথা বলতে চাননি ইউএনও আতিকুল ইসলাম।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ বলেন, ‘এমপি সাহেব কী বলেছেন তা শুনিনি। তাই এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তবে ইউএনও আতিকুল ইসলাম ভালো কাজ করছেন। স্থানীয় রাজনীতির দলাদলির সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর একজন সংসদ সদস্যকে যে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশনা আছে, তা গোদাগাড়ীর ইউএনও দিচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও দিয়ে যাবেন।’

সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে রেগে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। সাংবাদিকদের এমন তোপের মুখে পরে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে এই ঘটনা ঘটে।
আজ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল শপথ নেওয়ার পর প্রথম তাঁর কার্যালয়ে যান। তিনি ওমর ফারুককে চ্যালেঞ্জ করেই এ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হন। এমপি ফারুক সমর্থিত প্রার্থী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পরাজিত হন।
সকালে সাংবাদিকেরা খবর পান, বেলাল উদ্দিন সোহেলের প্রথম কর্মদিবসেই উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা হবে। সভায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীও থাকবেন। সেখানে বেলালকে অফিসে বসতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতে পারে। এমন খবরের ভিত্তিতে সাংবাদিকেরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান নেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম কর্মদিবস বলে তাঁর কয়েক শ নেতা-কর্মী সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহায়তায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বেলালের কর্মী-সমর্থকদের বের করে দিচ্ছেন। ইউএনও নিজেই হ্যান্ডমাইকে বারবার নেতা-কর্মীদের চলে যেতে বলছিলেন।
কিছুক্ষণ পর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কয়েকজন চেয়ারম্যান ও ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে আসেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এসেই তিনি ‘এদিকে আসো, এদিকে আসো। সাংবাদিক সাহেবরা এদিকে আসো’ বলে সাংবাদিকদের ডাকেন।
ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ সমন্বয় মিটিং। এই মিটিংয়ে এই লোকগুলো কারা? এই অবৈধ সমাবেশটা কিসের? আমি ইউএনও সাহেবের কাছে প্রশ্ন করলাম। তাঁকে আমি দুইবার রিং করেছি যে, এই সমাবেশ হটাও। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই সমাবেশ করা হয়েছে এবং এতে ইউএনও সাহেব ইনভলব কিনা আই ডোন্ট নো। বাট তাঁকে আমি দুইবার রিকোয়েস্ট করেছি এইগুলোকে হটানোর জন্য।’
সাধারণ জনগণ একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে প্রথম দিন আসতে পারে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘না। আজকে এখানে মিটিং আছে। জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আসতে পারে না। মিটিংয়ের দিনে পারে না।’ এ সময় কালের কণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম প্রশ্ন করেন, ‘আপনার সঙ্গেও অনেক লোক আছে, তাঁরা কেন এসেছেন?’
এ প্রশ্ন শুনেই রেগে যান এমপি ফারুক। তিনি বলেন, ‘এরা চেয়ারম্যান। শোনো, তোমার প্রবলেম হলো, তুমি অলওয়েজ বায়াস্ট হয়ে পয়সা খেয়ে প্রশ্ন করো। দিস ইজ ভেরি ব্যাড।’
সাংবাদিকেরা এ সময় বলতে থাকেন, ‘আপনি এটা খারাপ বললেন। আপনার কথাটা ঠিক নয়। এমন কথা বলার জন্য আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।’ এ সময় ফারুক চৌধুরী প্রতিবাদ করতে থাকা দৈনিক ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিনের নাম ধরে বলেন, ‘আমি তোমাকে এ কথা বলি নাই। যে আমাকে প্রশ্ন করেছে, আমি তাকে বলেছি।’ তখন সাংবাদিকেরা বলতে থাকেন, ‘উনি আমাদের সভাপতি। আপনি একজন সাংবাদিককে এ কথা বলতে পারেন না। আপনাকে স্যরি বলে যেতে হবে। আপনি এভাবে কথা বলতে পারেন না।’
সাংবাদিকদের তোপের মুখে দ্রুত সেখান থেকে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরে চলে যান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী যাকে-তাকে যখন-তখন অপমানজনক কথা বলেন। তিনি কিছুদিন আগেই নিজের এলাকার এক কলেজ অধ্যক্ষকে পিটিয়েছেন। তাঁকে অত্যন্ত যৌক্তিক একটা প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে যে কথা তিনি বলেছেন, তা সাংবাদিকদের জন্য অপমানজনক।’
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রকি। তিনি বলেন, ‘এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী পুরো সাংবাদিক সমাজকে অপমান করে কথা বলেছেন। তিনি যদি সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা না চান, তাহলে তাঁর সমস্ত ইতিবাচক সংবাদ বয়কট করা হবে। সাংবাদিক ইউনিয়নও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’
উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, ঘটনার সময় তিনি ভেতরে ছিলেন। বাইরে কী হয়েছে তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, ‘নতুন একজন জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব নিতে গেলে তাঁর সঙ্গে অনুসারীরা প্রথম দিন গিয়ে থাকেন। এ জন্যই মানুষ ভালোবেসে আমার সঙ্গে এসেছিল। কেউ এমপিকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসেননি। এ রকম কেউ চিন্তাও করে না।’
এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তাঁকে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশ’ করার সঙ্গে ইউএনওর সম্পৃক্ততা থাকার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন। সে বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো কথা বলতে চাননি ইউএনও আতিকুল ইসলাম।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ বলেন, ‘এমপি সাহেব কী বলেছেন তা শুনিনি। তাই এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তবে ইউএনও আতিকুল ইসলাম ভালো কাজ করছেন। স্থানীয় রাজনীতির দলাদলির সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর একজন সংসদ সদস্যকে যে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশনা আছে, তা গোদাগাড়ীর ইউএনও দিচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও দিয়ে যাবেন।’

সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
৪৪ মিনিট আগে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
এর আগে শরীরে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জের ধরে রাতেই ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা পাশের সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করেন, গাড়ি পুড়িয়ে দেন। সংঘর্ষে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এই সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার জন্য উভয় বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরকে দোষারোপ করছে। দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনসহ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পোড়া গাড়ির অংশ, ভাঙচুর হওয়া ভবনের জানালা ও আসবাব। উপাচার্যের কার্যালয়েও চালানো হয়েছে হামলা। সেখানে ভাঙা কাচ ও পুড়ে যাওয়া নথিপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
জানতে চাইলে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলাকারীদের আচরণ শিক্ষার্থীসুলভ ছিল না। তারা আমার কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। গাড়িগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আজ থানায় মামলা করব এবং ইউজিসিতে লিখিত অভিযোগ জানাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে পুরো বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে। এই এলাকার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে, সেই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করব।’
অপর দিকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এম আর কবির বলেন, ‘রোববার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে সব দায় ড্যাফোডিলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সংঘর্ষে ড্যাফোডিলের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থীকে আটকের পর জিম্মি করে জোরপূর্বক তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দিতে ওই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সিটি ইউনিভার্সিটির অ্যাকাউন্টস থেকে দেড় কোটি টাকা চুরি ও অস্ত্রসহ হামলার কথা বলানো হয়, যা সত্য নয়। তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।’
ড. এম আর কবির আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাঁরা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
এর আগে শরীরে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জের ধরে রাতেই ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা পাশের সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করেন, গাড়ি পুড়িয়ে দেন। সংঘর্ষে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এই সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার জন্য উভয় বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরকে দোষারোপ করছে। দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনসহ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পোড়া গাড়ির অংশ, ভাঙচুর হওয়া ভবনের জানালা ও আসবাব। উপাচার্যের কার্যালয়েও চালানো হয়েছে হামলা। সেখানে ভাঙা কাচ ও পুড়ে যাওয়া নথিপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
জানতে চাইলে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলাকারীদের আচরণ শিক্ষার্থীসুলভ ছিল না। তারা আমার কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। গাড়িগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আজ থানায় মামলা করব এবং ইউজিসিতে লিখিত অভিযোগ জানাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে পুরো বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে। এই এলাকার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে, সেই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করব।’
অপর দিকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এম আর কবির বলেন, ‘রোববার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে সব দায় ড্যাফোডিলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সংঘর্ষে ড্যাফোডিলের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থীকে আটকের পর জিম্মি করে জোরপূর্বক তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দিতে ওই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সিটি ইউনিভার্সিটির অ্যাকাউন্টস থেকে দেড় কোটি টাকা চুরি ও অস্ত্রসহ হামলার কথা বলানো হয়, যা সত্য নয়। তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।’
ড. এম আর কবির আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাঁরা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে রেগে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। সাংবাদিকদের এমন তোপের মুখে পরে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে এই ঘটনা ঘটে।
৩০ মে ২০২৪
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, গেজেট সংশোধন না হওয়ায় হালদা নদীর উন্নয়নমূলক অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তামাক চাষের কারণে হালদা নদীর তীরবর্তী ভূমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, যা নদীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
উপদেষ্টা বলেন, হালদা নদী উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে একযোগে ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে হালদা নদী রক্ষায় ডিপিপি ও চলমান প্রকল্পের বাইরে থেকেও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুসরাত সুলতানা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জমির উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা বেগম।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মদুনাঘাটের কাছে কর্ণফুলী নদীতে মিশেছে হালদা নদী। এ নদী থেকে বর্ষা মৌসুমে কার্পজাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, গেজেট সংশোধন না হওয়ায় হালদা নদীর উন্নয়নমূলক অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তামাক চাষের কারণে হালদা নদীর তীরবর্তী ভূমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, যা নদীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
উপদেষ্টা বলেন, হালদা নদী উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে একযোগে ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে হালদা নদী রক্ষায় ডিপিপি ও চলমান প্রকল্পের বাইরে থেকেও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুসরাত সুলতানা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জমির উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা বেগম।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মদুনাঘাটের কাছে কর্ণফুলী নদীতে মিশেছে হালদা নদী। এ নদী থেকে বর্ষা মৌসুমে কার্পজাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়।

সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে রেগে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। সাংবাদিকদের এমন তোপের মুখে পরে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে এই ঘটনা ঘটে।
৩০ মে ২০২৪
সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
৪৪ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের মাদক কারবারি আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আরেকবার সংঘাত ও সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র রচনা করছে। প্রথমে আমরা লক্ষ করলাম, নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এখতিয়ারবহির্ভূত উপায়ে ডাকসুর নেতারা নেতৃত্ব দিয়ে বর্বর কায়দায় উদ্বাস্তু, ভবঘুরে ও হকারদের উচ্ছেদের চেষ্টা করলেন। অথচ তাঁরা চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে চাপ দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এসব আশ্রয়হীন মানুষকে অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন। তা না করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আশ্রয় নিয়ে যখন প্রতিবাদের সম্মুখীন হলেন, তখন তাঁদের আক্রমণের শিকার হকার, উদ্বাস্তু, ভবঘুরেসহ প্রতিবাদকারীদের ঢালাওভাবে মাদক কারবারি আখ্যা দিয়ে তাঁরা ভিন্নমত দমনের পুরোনো ভয়াবহ কায়দা অবলম্বন করলেন।
একই দিনে একজন ডাকসু নেতার উপস্থিতিতে দুজন সহকারী প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক শিক্ষার্থীর ফোন চেক করে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেন, তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে নানাবিধ প্রশ্ন করে হেনস্তা করেন। এ ঘটনাস্থলেই একজন রিকশাচালকের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে আহত হওয়া প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যের ছবি ব্যবহার করে বামপন্থীদের নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডায়ও লিপ্ত হয়েছেন কয়েকজন ডাকসু নেতা। কোনো প্রকার তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ডাকসু নেতাদের এ ধরনের বক্তব্য ও ক্রমাগত মিথ্যাচার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নিপীড়নের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের অপচেষ্টামাত্র। এর প্রমাণ বহন করে ডাকসু সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি।
ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব, ব্যালট বিতর্কসহ নানাবিধ অমীমাংসিত অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর ব্যানারের আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদে নিষিদ্ধ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের চিরচেনা সন্ত্রাসী রাজনীতি নতুন মোড়কে হাজির করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায় চলমান এ ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ হুমকি সহ্য করবে না। গণ-অভ্যুত্থানের পর তোফাজ্জল ও সাম্য খুনের বিচার শেষ হওয়ার আগেই যাঁরা আরেকবার ক্যাম্পাসকে রক্তাক্ত করার দিবাস্বপ্নে রত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের মাদক কারবারি আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আরেকবার সংঘাত ও সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র রচনা করছে। প্রথমে আমরা লক্ষ করলাম, নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এখতিয়ারবহির্ভূত উপায়ে ডাকসুর নেতারা নেতৃত্ব দিয়ে বর্বর কায়দায় উদ্বাস্তু, ভবঘুরে ও হকারদের উচ্ছেদের চেষ্টা করলেন। অথচ তাঁরা চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে চাপ দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এসব আশ্রয়হীন মানুষকে অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন। তা না করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আশ্রয় নিয়ে যখন প্রতিবাদের সম্মুখীন হলেন, তখন তাঁদের আক্রমণের শিকার হকার, উদ্বাস্তু, ভবঘুরেসহ প্রতিবাদকারীদের ঢালাওভাবে মাদক কারবারি আখ্যা দিয়ে তাঁরা ভিন্নমত দমনের পুরোনো ভয়াবহ কায়দা অবলম্বন করলেন।
একই দিনে একজন ডাকসু নেতার উপস্থিতিতে দুজন সহকারী প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক শিক্ষার্থীর ফোন চেক করে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেন, তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে নানাবিধ প্রশ্ন করে হেনস্তা করেন। এ ঘটনাস্থলেই একজন রিকশাচালকের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে আহত হওয়া প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যের ছবি ব্যবহার করে বামপন্থীদের নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডায়ও লিপ্ত হয়েছেন কয়েকজন ডাকসু নেতা। কোনো প্রকার তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ডাকসু নেতাদের এ ধরনের বক্তব্য ও ক্রমাগত মিথ্যাচার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নিপীড়নের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের অপচেষ্টামাত্র। এর প্রমাণ বহন করে ডাকসু সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি।
ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব, ব্যালট বিতর্কসহ নানাবিধ অমীমাংসিত অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর ব্যানারের আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদে নিষিদ্ধ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের চিরচেনা সন্ত্রাসী রাজনীতি নতুন মোড়কে হাজির করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায় চলমান এ ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ হুমকি সহ্য করবে না। গণ-অভ্যুত্থানের পর তোফাজ্জল ও সাম্য খুনের বিচার শেষ হওয়ার আগেই যাঁরা আরেকবার ক্যাম্পাসকে রক্তাক্ত করার দিবাস্বপ্নে রত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।

সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে রেগে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। সাংবাদিকদের এমন তোপের মুখে পরে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে এই ঘটনা ঘটে।
৩০ মে ২০২৪
সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
৪৪ মিনিট আগে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
আবির হাসান ডাকসু নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি সিএসই বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আবির হাসান অভিযোগ করেন, সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে বামপন্থী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এই হুমকি দেন।
স্ট্যাটাসে আবির লেখেন, ‘আপনাদের একটা ইন্টারেস্টিং তথ্য দিই। সেদিন যখন প্রক্টর অফিসে আমার ফোন চেক করা হয় এবং আমি সেখানে বসা, তখন বামপন্থীরা হকারদের সঙ্গে মিছিল করছিল (বাইরে)। এমন সময় কোত্থেকে সর্বমিত্র চাকমা রুমে ঢুকে বললেন, ‘‘আপনি শুধু অনুমতি দিন স্যার, হলপাড়া থেকে ১০টা পোলাপান নিয়ে তাদের মেরে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসি।’
আবির আরও লেখেন, ‘আমার তখন জিজ্ঞেস করতে মন চাইছিল, ছোটভাই, তোমার হল যেন কোনটা? নিজের হল থেকে দুইটা পোলাপান নিয়ে আসো তো পারলে, দেখি।’

আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে সর্বমিত্র লেখেন, ‘হল পাড়া থেকে ১০টা পোলাপানের কথা বলি নাই। মিনিমাম ২০০ জনের একটা মিছিল নিয়ে গিয়ে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসব বলেছিলাম। ১০ জন কম হয়ে যায়। আমার ক্যাম্পাসে গাঞ্জাখোর আর গাঞ্জা বিক্রেতারা এসে মিছিল করবে আর আমি আঙুল চুষবো! সরি, ব্রো!’
পরে অবশ্য সর্বমিত্রের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্টটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হতে আজকের পত্রিকা সর্বমিত্র চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ সময় আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো লেখার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি পোস্টটি শেয়ার দিয়েছিলাম, কিন্তু পরে সেটি ‘‘ওনলি মি’’ করে রেখেছি। আমি পোস্টটি আবারও পাবলিক করব।’
তবে তিনি প্রক্টর অফিসে বামপন্থী ও হকারদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার কথা বলিনি। তারা ক্যাম্পাসে মাদকের কারবার করে, প্রক্টরিয়াল টিম তাদের উচ্ছেদ করতে অপারগতা জানাচ্ছিল, তখন আমি ছাত্রদের নিয়ে তাদের প্রতিরোধের কথা বলেছিলাম।’
এদিকে সর্বমিত্রের এই হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। আজ সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না। সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের ‘মাদক কারবারি’ আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।
গত কয়েক দিন ধরে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান ও ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ও সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে এসব উচ্ছেদের প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হকারদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করেন।
ঘটনাটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে ডাকসুর সদস্যদের ‘মোরাল পুলিশিং’ ও প্রশাসনিক ভূমিকা পালনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্যদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে আবির হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন চেক করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগও দাখিল করেন। তিনি লিখিতভাবে জানান, প্রশাসনের এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
আবির হাসান ডাকসু নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি সিএসই বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আবির হাসান অভিযোগ করেন, সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে বামপন্থী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এই হুমকি দেন।
স্ট্যাটাসে আবির লেখেন, ‘আপনাদের একটা ইন্টারেস্টিং তথ্য দিই। সেদিন যখন প্রক্টর অফিসে আমার ফোন চেক করা হয় এবং আমি সেখানে বসা, তখন বামপন্থীরা হকারদের সঙ্গে মিছিল করছিল (বাইরে)। এমন সময় কোত্থেকে সর্বমিত্র চাকমা রুমে ঢুকে বললেন, ‘‘আপনি শুধু অনুমতি দিন স্যার, হলপাড়া থেকে ১০টা পোলাপান নিয়ে তাদের মেরে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসি।’
আবির আরও লেখেন, ‘আমার তখন জিজ্ঞেস করতে মন চাইছিল, ছোটভাই, তোমার হল যেন কোনটা? নিজের হল থেকে দুইটা পোলাপান নিয়ে আসো তো পারলে, দেখি।’

আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে সর্বমিত্র লেখেন, ‘হল পাড়া থেকে ১০টা পোলাপানের কথা বলি নাই। মিনিমাম ২০০ জনের একটা মিছিল নিয়ে গিয়ে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসব বলেছিলাম। ১০ জন কম হয়ে যায়। আমার ক্যাম্পাসে গাঞ্জাখোর আর গাঞ্জা বিক্রেতারা এসে মিছিল করবে আর আমি আঙুল চুষবো! সরি, ব্রো!’
পরে অবশ্য সর্বমিত্রের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্টটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হতে আজকের পত্রিকা সর্বমিত্র চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ সময় আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো লেখার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি পোস্টটি শেয়ার দিয়েছিলাম, কিন্তু পরে সেটি ‘‘ওনলি মি’’ করে রেখেছি। আমি পোস্টটি আবারও পাবলিক করব।’
তবে তিনি প্রক্টর অফিসে বামপন্থী ও হকারদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার কথা বলিনি। তারা ক্যাম্পাসে মাদকের কারবার করে, প্রক্টরিয়াল টিম তাদের উচ্ছেদ করতে অপারগতা জানাচ্ছিল, তখন আমি ছাত্রদের নিয়ে তাদের প্রতিরোধের কথা বলেছিলাম।’
এদিকে সর্বমিত্রের এই হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। আজ সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না। সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের ‘মাদক কারবারি’ আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।
গত কয়েক দিন ধরে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান ও ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ও সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে এসব উচ্ছেদের প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হকারদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করেন।
ঘটনাটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে ডাকসুর সদস্যদের ‘মোরাল পুলিশিং’ ও প্রশাসনিক ভূমিকা পালনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্যদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে আবির হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন চেক করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগও দাখিল করেন। তিনি লিখিতভাবে জানান, প্রশাসনের এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে রেগে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। সাংবাদিকদের এমন তোপের মুখে পরে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে এই ঘটনা ঘটে।
৩০ মে ২০২৪
সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।
৪৪ মিনিট আগে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
১ ঘণ্টা আগে