Ajker Patrika

মেয়র-কাউন্সিলরদের ‘খেদমতে’ রাজশাহী থেকে ঢাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহর

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৩, ২২: ২১
মেয়র-কাউন্সিলরদের ‘খেদমতে’ রাজশাহী থেকে ঢাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহর

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে দাওয়াত থাকলেও যাননি চারজন এমপি। তবে মেয়র ও কাউন্সিলরদের ‘খেদমতে’ সিটি করপোরেশনের অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকায় গিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, বহরের একটি অংশের যাবতীয় খরচ সিটি করপোরেশন বহন করছে।

আজ সোমবার দুপুরে রাসিকের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে। শপথ নিয়েই মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে কাউন্সিলরসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা যান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে। কিন্তু লিটনের সঙ্গে এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন না। এমনকি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও লিটনের শপথ অনুষ্ঠানে যাননি রাজশাহীর চার এমপি। আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও হাজির হননি রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

শপথ অনুষ্ঠানে শুধু রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ডা. মনসুর রহমান ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা গিয়েছিলেন। রাজশাহীর অন্য চার এমপি যাননি। শপথ গ্রহণের পর কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে ৩২ নম্বরে যান লিটন। এ সময় সেখানে বিএনপির (বহিষ্কৃত) কাউন্সিলররাও সঙ্গে ছিলেন। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড়ে মেয়র লিটনের পাশে দাঁড়াতে পারছিলেন না তাঁর সহধর্মিণী শাহিন আক্তার রেনী।

দাওয়াত থাকলেও না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে জবাবে রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী এলাকায় প্রোগ্রাম থাকায় যেতে পারেননি।

তবে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা ফোন ধরেননি। তাই এ বিষয়ে তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলের ফ্লাইটে সস্ত্রীক ঢাকায় যান মেয়র লিটন। আর ৩০ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী আসনের ১০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই বাস রিজার্ভ করে শপথ নিতে ঢাকায় যান।

 ৪০ জনের শপথ অনুষ্ঠানে মহড়ার জন্য আরও অন্তত সাড়ে তিন শ নেতা-কর্মী বহরে যুক্ত হন। তাঁদের অনেকেই সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী। ছুটি ছাড়াই তাঁরা মেয়র লিটনকে ‘চেহারা দেখাতে’ অফিস ফেলে ঢাকা ছোটেন। কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাত যাপন করেন ঢাকার ভিক্টোরিয়া আবাসিক হোটেলে। 

এই বহরে থাকা সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার ঘোষ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার রোকনুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার তবিবুর রহমান শেখ, রেলওয়ে বিভাগীয় হাসপাতালের (পশ্চিমাঞ্চল) ফার্মাসিস্ট আনোয়ার হোসেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ক্লেইম ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সহকারী ইকবাল হোসেন, অফিস সহায়ক সত্যব্রত ইসলাম, উচ্চমান সহকারী শাহজাহান আলী, হেডমেট জহুরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান নেসকোর কর্মচারী আব্দুস সোহেল এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত বিএমডিএ কর্মচারী জীবন হোসেন। 

এদিকে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, শপথ অনুষ্ঠানে সহযোগিতার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশনের ‘প্রয়োজনীয় সংখ্যক’ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢাকায় যেতে বলা হয়। এই সুযোগ লুফে নিয়েছেন সিটি করপোরেশনের ‘দলবাজ’ অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই তালিকায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে কম্পিউটার অপারেটর পর্যন্ত আছেন।

এর মধ্যে ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন, সচিব মশিউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ই সাঈদ, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমদ আল মঈন, হিসাবরক্ষক অমৃতা রানীসহ বেশ কয়েকজন। 

সিটি করপোরেশনের সাতটি বিভাগের প্রধানেরাও গেছেন এই বহরে। তবে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অসুস্থ থাকায় তাঁর বদলে মেডিকেল টিমে গেছেন একজন হিসাবরক্ষক। শপথ অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বেশির ভাগই গেছেন ‘শোডাউনে’। 

এ ছাড়া রাজশাহী থেকে ছুটেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। ঢাকায় নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে এই বিশাল বহর যায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার স্টার কাবাব রেস্টুরেন্ট থেকে ৩৫০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরের খাবারের স্পনসর করেন একজন ব্যক্তি। তবে টুঙ্গিপাড়া থেকে ফেরার পথে কুষ্টিয়ায় জাহাঙ্গীর হোটেলে এই বহরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয় সিটি করপোরেশনের খরচে। 

এই বহরে কী দায়িত্ব পালন করছেন তা জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ই সাঈদ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। যোগাযোগ করা হলে বহরে থাকা সিটি করপোরেশনের সচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘করপোরেশনের কতজন গেছেন মনে নেই। তাঁরা কী কাজে ঢাকা ও টুঙ্গিপাড়ায় গেছেন তা-ও জানা নেই।’ 

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাবেক জেলা সমন্বয়ক সুব্রত কুমার পাল বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে পদোন্নতি ও দলীয় পদ-পদবি পেতে দলবাজরা মেয়র লিটনের “গুড লিস্টে” থাকতে এই শোডাউনে গিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘নবনির্বাচিতদের শপথ অনুষ্ঠানে যাতায়াতসহ থাকা-খাওয়ার খরচ হবে তাঁদের ব্যক্তিগত। কিন্তু নগর ভবনের কর্মকর্তারা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। এটি কোন আইনের বলে তাঁরা করেছেন জনগণ তা জানতে চায়। কারণ, জনগণের ট্যাক্সের টাকার তাঁরা অপচয় করেছেন।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এসেছেন। যাতায়াতের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা, থাকা-খাওয়া, মেডিকেল টিম, লজিস্টিক সাপোর্টসহ নানা ধরনের কাজের জন্য তাঁরা এসেছেন। মেয়র-কাউন্সিলরদের যাতায়াত, আবাসিক হোটেলে থাকা-খাওয়ার ব্যয় বহন করছে সিটি করপোরেশনই। এই বাবদ মোট কত টাকা খরচ হলো, তা রাজশাহী ফেরার পর বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, ভাইরাল সেই তরুণী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রাজশাহীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কাঁকনহাট পুলিশ ফাঁড়ির যৌথ দল এ অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার শেখ মিফতা ফাইজা (১৯) নাটোর সদর থানার দিঘাপাতিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম মোশারফ হোসেন চপল শেখ।

এর আগে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাইজার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিও দেখা যায়, রাজশাহী নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন। এরপর নিজের মোবাইল ফোন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেখিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।

এ বিষয়ে আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, ফাইজা ওই ভিডিওটি ফেসবুকে রিল হিসেবে পোস্ট করেছিলেন। পরে তা দ্রুত ভাইরাল হয়। তানভির আহমেদ সুইট নামের এক ব্যক্তি ২৫ অক্টোবর বিষয়টি আরএমপির ডিবিকে অবহিত করেন।

ডিবি পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করলেও কৌশলে ফাইজা পালিয়ে যান। পরবর্তীকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাইজা স্বীকার করেছেন, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তাঁর ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফাইজা রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন।

এ ছাড়া তিনি ছাত্রলীগের পক্ষে বিভিন্ন পোস্ট, ছবি ও ভিডিও শেয়ার করাসহ টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিক অনলাইন গ্রুপ তৈরি করে সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।

এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে নগরীর রাজপাড়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা

নড়াইল প্রতিনিধি 
মাসুদ রানা শেখ। ছবি: সংগৃহীত
মাসুদ রানা শেখ। ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহত মাসুদ শেখ কালিয়া উপজেলার শুক্তগ্রামের সবোর শেখের ছেলে। তিনি কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ছিলেন।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, গতকাল রাত ৮টার দিকে উপজেলার শুক্তগ্রামে মোবাইল ফোন বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সুজন খানের সঙ্গে মাসুদ রানার বিরোধ হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসাও হয়। ওই রাতে শুক্তগ্রাম দত্তের মোড় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুজন খান ও তাঁর লোকজন মাসুদ রানাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত মাসুদ রানার ছোট ভাই ওমর সানি শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘সুজন খান মাদক কারবারে জড়িত ছিলেন। আমার ভাই মাসুদ রানা তাঁকে মাদক কারবার থেকে বিরত থাকার জন্য বললে তিনি আমার ভাইয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটান।’

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুজন খান ও তাঁর পক্ষের লোকজন পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কালিয়া থানার ওসি বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদক বেচাকেনায় বাধা দেওয়ার বিষয় আছে কি না, সে বিষয়ে জানা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় কারাবন্দী আ.লীগ নেতার মৃত্যু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু। ছবি: সংগৃহীত
আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জে কারাগারে আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু জেলার এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট এনায়েতপুর থানার ১৫ পুলিশ হত্যা মামলার আসামি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কারাধ্যক্ষ এস এম কামরুল হুদা বলেন, ‘চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল এনায়েতপুর থানায় পুলিশ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আরও চারটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কামরুল হুদা জানান, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন বাচ্চু। মঙ্গলবার সকালে কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত বাচ্চুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়ে ভেবে মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গতকাল সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। মামলার বাদীর এক স্বজনের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ওই নারীর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ভেবে তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকমল হোসেন (৩৮)। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১৮ অক্টোবর ভোররাতে উপজেলার একটি গ্রামের ওই গৃহবধূ ঘর থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে তাঁকে দূরের একটি ধানখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন আকমল। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে স্বামী ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ওই যুবক পালিয়ে যান।

গৃহবধূর ছোট ভাই বলেন, ‘আমার বোনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন আকমল। ঘটনার দিন ভোররাতে ভাগনির ওড়না গায়ে দিয়ে আমার বোন টয়লেটে যান। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ওড়না দেখে আকমল আমার ভাগনিকে মনে করে বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর থেকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় পরিবারটি থানায় যেতে পারেনি। পরে বোনকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ মামলা নেয়।’

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মনসুর আহাম্মদ আরও বলেন, লোকজন বলছে, মেয়েকে ভেবে তার মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে মামলার অভিযোগে এমন কিছু বাদী উল্লেখ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত