Ajker Patrika

পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ফের অবস্থান ধর্মঘট

রাবি সংবাদদাতা
পোষ্য কোটা পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন-১-এর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পোষ্য কোটা পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন-১-এর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহালসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন সুবিধা বাস্তবায়নের দাবিতে আবারও কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত প্রশাসন ভবন-১-এর সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁরা এই কর্মবিরতি পালন করেন।

এ সময় আন্দোলনকারীরা প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি পূরণ না হলে আগামীকাল মঙ্গলবার সব ক্লাস ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জন করে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। তবে পরীক্ষা, বিদ্যুৎ, পানি, পরিবহন ও চিকিৎসাসেবা কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও অ্যাগ্রোনোমি অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আলীম বলেন, ‘দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা কার্যকর থাকলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তা অকার্যকর করা হয়েছে। উপাচার্য আমাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীকালে আর কোনো উদ্যোগ নেননি।’

অফিসার্স সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোক্তার হোসেন বলেন, ‘অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটাসহ বিভিন্ন সুবিধা কার্যকর থাকতে পারলে রাবি কেন এর বাইরে থাকবে। আমাদের দাবি ন্যায়সংগত। প্রশাসনকে হয় সাড়া দিতে হবে, নয়তো অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

মোক্তার হোসেন আরও বলেন, ‘আগামীকাল পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও যদি প্রশাসন পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে নির্বাহী কমিটির সভা ডেকে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে জরুরি সেবা কর্মসূচির বাইরে থাকবে।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।

এর আগে ১৪ আগস্ট একই দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছিলেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে ১৬ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো ভর্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহাল, ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা সমাধান, পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষকদের জন্য ব্যক্তিগত চেম্বার বরাদ্দ ও গবেষণার জন্য অর্থ বৃদ্ধি, সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক পরিবেশ উন্নয়ন এবং দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত