Ajker Patrika

ইবিতে শ্রেণি কক্ষের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইবি প্রতিনিধি
ইবিতে শ্রেণি কক্ষের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শ্রেণি কক্ষের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে তাঁরা মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের চারতলায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠার পর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও বিভাগটি মাত্র একটি শ্রেণি কক্ষ বরাদ্দ পায়। শ্রেণি কক্ষের সংকটে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে পারছেন না তাঁরা। তবে আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগ বলছে, ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও সংকটের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে নিন্দা জানানো হয়েছে এবং বিভাগের এর জন্য জবাব চাওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভাগে পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এতে শিক্ষার্থী রয়েছেন চার শর বেশি। বিপুলসংখ্যক এই শিক্ষার্থীর জন্য শ্রেণি কক্ষ বরাদ্দ রয়েছে মাত্র একটি। এর মধ্যে মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের চারতলার সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণত দুটি বিভাগের জন্য একটি ফ্লোর বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগকে চারতলার একটি অংশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগকে এখনো কোনো শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ দেয়নি প্রশাসন। 
তাই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।

আন্দোলনরত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেদয়োন ইমরান বলেন, ‘বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পাঁচ বছর আগে। দীর্ঘ দিন ধরে একটি শ্রেণি কক্ষ দিয়েই চলছে পুরো বিভাগের সব শিক্ষার্থীর ক্লাস ও পরীক্ষা। পর্যাপ্ত 
শ্রেণি কক্ষ না থাকার কারণে আমরা ঠিকমতো ক্লাস-পরীক্ষা দিতে পারছি না। আমাদের দাবি পর্যাপ্ত শ্রেণি কক্ষের পাশাপাশি আমাদের বিভাগকে চারতলায় সম্পূর্ণ স্থানান্তর করা হোক।’

এ নিয়ে আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শাহিদা আখতার আশা বলেন, ‘আমরা সংকটেও শ্রেণি কক্ষ ধার করে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। কিন্তু শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুন্দরভাবে বিষয়টির সমাধান দেবে।’

এ নিয়ে জানতে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে কল করা হয়। কিন্তু ফোন না ধরায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।   

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত