নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নাকে অক্সিজেনের নল লাগানো এক ব্যক্তি রিকশা চালাচ্ছেন। তাঁর রিকশার পেছনে বসে আছেন যাত্রী। সম্প্রতি এ ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে। ঋণের টাকা পরিশোধ ও চিকিৎসার খরচ জোগাতে অসুস্থ অবস্থায় রিকশা চালাতে বের হন মাইনুজ্জামান সেন্টু। এভাবে দুই দিন রিকশা চালানোর পর অসুস্থতার কারণে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।
সপ্তাহে ১ হাজার ৩৫০ টাকার কিস্তি দিতে হয় সেন্টুর। ওষুধ আর অক্সিজেনের জন্য তাঁর প্রতিদিন ৬০০ টাকা খরচ হয়। তাই কাজ না করে বাড়িতে বসে থাকার সুযোগ নেই। গত শুক্রবার রিকশার সামনে অক্সিজেনের সিলিন্ডার তুলে নল লাগিয়ে নিয়েছিলেন মুখে। অসুস্থ শরীর নিয়ে শুরু করেন রিকশা চালানো।
ছবিটি ভাইরাল হলে রাজশাহীর এই রিকশাচালকের পাশে দাঁড়ান অনেকেই। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টুকে দেখে এসেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।
জেলা প্রশাসক সেন্টুর চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন। এ ছাড়া অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন।
রিকশাচালক সেন্টুর বাড়ি রাজশাহী নগরীর কলাবাগান এলাকায়। সেন্টুর দুই মেয়ে আর এক ছেলে। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেও বিয়ে করে আলাদা থাকেন। এখন স্ত্রীকে নিয়ে সংসার সেন্টুর। কলাবাগান এলাকায় দুই হাজার টাকার ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন। সমস্যা রয়েছে হৃদ্যন্ত্রের। গত রোববার তাঁকে রামেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এখন তিনি সেখানেই।
সেন্টুর স্ত্রী চম্পা বেগম জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে রিকশা কিনেছিলেন সেন্টু। দুই বছর পর রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। এরপর আবার ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আরেকটি রিকশা কেনেন সেন্টু। এরই মধ্যে শরীরে বাসা বাঁধে হার্নিয়া। এর অপারেশনের জন্য আবার ঋণ করতে হয় ৫০ হাজার টাকা। এখন সব মিলিয়ে সপ্তাহে ১ হাজার ৩৫০ টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয় তাকে।
চম্পা বেগম বলেন, ফুসফুসের সমস্যার কারণে দেড় মাসের মধ্যে তিনবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এখন অক্সিজেন ছাড়া চলতেই পারেন না। গত পাঁচ মাস ধরে ওষুধ-অক্সিজেনেই খরচ রোজ ৬০০ টাকা। কিস্তি ও চিকিৎসার খরচ মেটানোর জন্য বসে থাকার সুযোগ নেই। তাই অক্সিজেন সিলিন্ডার রিকশায় তুলে মুখে নল লাগিয়েই রিকশা চালাতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুই দিন পর শরীর বেশি খারাপ হয়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বাড়িতে গিয়েও সব সময় অক্সিজেন লাগবে বলে চিকিৎসক একটা ‘অক্সিজেন কনসেনট্রেটর’ মেশিন কিনে নিতে বলেন।
এই মেশিনটির দাম অন্তত ৫০ হাজার টাকা। সেন্টুর অক্সিজেন নল লাগিয়ে রিকশা চালানোর ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে মেশিনটি কেনার জন্য ইতিমধ্যে একজন ৫৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যেই আজ রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ তাঁকে দেখতে যান। তিনিও এই মেশিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে এখনো নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত রিকশাচালক সেন্টু। তিনি বলেন, ‘আমি কথা বলতে পারি না। একটু কথা বললে হাঁপিয়ে উঠি। চিকিৎসক বলেছেন ফুসফুসেও বড় সমস্যা। ভারী কাজ করা যাবে না। একটা সহজ কাজ দরকার, যেটা বসে থেকেও করতে পারব। তাহলে আমার সংসারটা চলবে। তা না হলে ভবিষ্যতে কী হবে সেটা আমি জানি না।’
রামেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক হাসান তারিক বলেন, সেন্টুর সিওপিডি ও যক্ষ্মা আছে। তাই তাঁর ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়েছে। হার্টেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। হার্টে যে পরিমাণ অক্সিজেন যাওয়া দরকার তা যাচ্ছে না। তাই সেন্টু স্বাভাবিকভাবে অক্সিজেন নিতে পারছেন না। ‘কনসেনট্রেটর’ মেশিনটি কিনে নিলে তিনি স্বাভাবিকভাবে বাতাস গ্রহণ করতে পারবেন। তখন আর তাঁর অক্সিজেনের খরচ লাগবে না।
জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ বলেন, ‘সেন্টুর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিনটি আগে প্রয়োজন। তাই এই মেশিনটি তাঁকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। হাসপাতাল থেকে যাওয়ার পর সেন্টুকে অফিসে ডাকা হয়েছে। তাঁর সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে।’
নাকে অক্সিজেনের নল লাগানো এক ব্যক্তি রিকশা চালাচ্ছেন। তাঁর রিকশার পেছনে বসে আছেন যাত্রী। সম্প্রতি এ ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে। ঋণের টাকা পরিশোধ ও চিকিৎসার খরচ জোগাতে অসুস্থ অবস্থায় রিকশা চালাতে বের হন মাইনুজ্জামান সেন্টু। এভাবে দুই দিন রিকশা চালানোর পর অসুস্থতার কারণে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।
সপ্তাহে ১ হাজার ৩৫০ টাকার কিস্তি দিতে হয় সেন্টুর। ওষুধ আর অক্সিজেনের জন্য তাঁর প্রতিদিন ৬০০ টাকা খরচ হয়। তাই কাজ না করে বাড়িতে বসে থাকার সুযোগ নেই। গত শুক্রবার রিকশার সামনে অক্সিজেনের সিলিন্ডার তুলে নল লাগিয়ে নিয়েছিলেন মুখে। অসুস্থ শরীর নিয়ে শুরু করেন রিকশা চালানো।
ছবিটি ভাইরাল হলে রাজশাহীর এই রিকশাচালকের পাশে দাঁড়ান অনেকেই। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টুকে দেখে এসেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।
জেলা প্রশাসক সেন্টুর চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন। এ ছাড়া অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন।
রিকশাচালক সেন্টুর বাড়ি রাজশাহী নগরীর কলাবাগান এলাকায়। সেন্টুর দুই মেয়ে আর এক ছেলে। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেও বিয়ে করে আলাদা থাকেন। এখন স্ত্রীকে নিয়ে সংসার সেন্টুর। কলাবাগান এলাকায় দুই হাজার টাকার ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন। সমস্যা রয়েছে হৃদ্যন্ত্রের। গত রোববার তাঁকে রামেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এখন তিনি সেখানেই।
সেন্টুর স্ত্রী চম্পা বেগম জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে রিকশা কিনেছিলেন সেন্টু। দুই বছর পর রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। এরপর আবার ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আরেকটি রিকশা কেনেন সেন্টু। এরই মধ্যে শরীরে বাসা বাঁধে হার্নিয়া। এর অপারেশনের জন্য আবার ঋণ করতে হয় ৫০ হাজার টাকা। এখন সব মিলিয়ে সপ্তাহে ১ হাজার ৩৫০ টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয় তাকে।
চম্পা বেগম বলেন, ফুসফুসের সমস্যার কারণে দেড় মাসের মধ্যে তিনবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এখন অক্সিজেন ছাড়া চলতেই পারেন না। গত পাঁচ মাস ধরে ওষুধ-অক্সিজেনেই খরচ রোজ ৬০০ টাকা। কিস্তি ও চিকিৎসার খরচ মেটানোর জন্য বসে থাকার সুযোগ নেই। তাই অক্সিজেন সিলিন্ডার রিকশায় তুলে মুখে নল লাগিয়েই রিকশা চালাতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুই দিন পর শরীর বেশি খারাপ হয়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বাড়িতে গিয়েও সব সময় অক্সিজেন লাগবে বলে চিকিৎসক একটা ‘অক্সিজেন কনসেনট্রেটর’ মেশিন কিনে নিতে বলেন।
এই মেশিনটির দাম অন্তত ৫০ হাজার টাকা। সেন্টুর অক্সিজেন নল লাগিয়ে রিকশা চালানোর ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে মেশিনটি কেনার জন্য ইতিমধ্যে একজন ৫৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যেই আজ রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ তাঁকে দেখতে যান। তিনিও এই মেশিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে এখনো নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত রিকশাচালক সেন্টু। তিনি বলেন, ‘আমি কথা বলতে পারি না। একটু কথা বললে হাঁপিয়ে উঠি। চিকিৎসক বলেছেন ফুসফুসেও বড় সমস্যা। ভারী কাজ করা যাবে না। একটা সহজ কাজ দরকার, যেটা বসে থেকেও করতে পারব। তাহলে আমার সংসারটা চলবে। তা না হলে ভবিষ্যতে কী হবে সেটা আমি জানি না।’
রামেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক হাসান তারিক বলেন, সেন্টুর সিওপিডি ও যক্ষ্মা আছে। তাই তাঁর ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়েছে। হার্টেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। হার্টে যে পরিমাণ অক্সিজেন যাওয়া দরকার তা যাচ্ছে না। তাই সেন্টু স্বাভাবিকভাবে অক্সিজেন নিতে পারছেন না। ‘কনসেনট্রেটর’ মেশিনটি কিনে নিলে তিনি স্বাভাবিকভাবে বাতাস গ্রহণ করতে পারবেন। তখন আর তাঁর অক্সিজেনের খরচ লাগবে না।
জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ বলেন, ‘সেন্টুর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিনটি আগে প্রয়োজন। তাই এই মেশিনটি তাঁকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। হাসপাতাল থেকে যাওয়ার পর সেন্টুকে অফিসে ডাকা হয়েছে। তাঁর সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে।’
প্রতিষ্ঠার পরের বছর থেকে (২০২২ সাল) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তা নিজস্ব ক্যাম্পাসে নয়, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ১০ তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। কথা ছিল নির্দিষ্ট সময় পর নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাবে, কিন্তু তা হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চল তেকানীতে সাড়ে তিন কিলোমিটার মাটির বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মার্চে। স্থানীয়দের দাবির পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়ের মৌখিক নির্দেশে এ কাজ শুরু হয়।
৪ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পরামর্শ দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি। কিন্তু গত দুই বছরেও সেখানে কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে ইউনিয়নের ইজারকান্দি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন এবং হক মিয়ার বাড়িতে এ হামলা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে