রিমন রহমান, রাজশাহী

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে নিতেন, কিন্তু কানাইকে সমাহিত করতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে অন্য তিনজনের মৃত্যুর শোক তাঁরা সইতে পারছেন না।
তাই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী, খেতুর, ডুমুরিয়া, পালপাড়া, কাঁঠালবাড়িয়া ও ফরাদপুর গ্রামে এবার দুর্গাপূজার উৎসব আসেনি। এসব গ্রামের হিন্দু-মুসলমান সবাই শোকাহত। এবার মহাষষ্ঠীর দিনেই প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছে, কিন্তু কারও মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। ঢুলিরা বসে আছেন, ঢাকে কাঠি পড়ছে না। ভাড়া করা বক্সও পড়ে আছে। গানবাজনাও হচ্ছে না।
অথচ প্রেমতলী এলাকায় প্রতিবছর বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন হয়। প্রেমতলী খেতুরেই শ্রী শ্রী নরোত্তম দাস ঠাকুরের খেতুরীধাম। এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থভূমি। প্রতিবছর দুর্গাপূজার পরই খেতুরীধামে নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন কয়েক লাখ মানুষ।
প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরের কাছেই বাড়ি প্রমিলা সাহার। গত শুক্রবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। পরদিন শনিবার মারা যান গ্রামের কানাই কর্মকার। সেদিন সকালে তাঁর মরদেহ সমাহিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাড়ির পাশের পদ্মা নদীর মাঝচরে। প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠা চরটিতেই এলাকার হিন্দুদের সমাধি দেওয়া হয়। কানাই কর্মকারের মরদেহ সমাধিস্থ করতে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে যায়।
কিছুক্ষণ পরই জিতেন মণ্ডল নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ভেসে ওঠে দীলিপ দাস ও হরেন সাহার মরদেহ। সবার বাড়ি কাছাকাছি দূরত্বে। তাঁদের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোক। এবার কারও ঘরেই আসেনি শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ।
আজ সোমবার সকালে প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, সুন্দর করে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে সেলফি জোন। মন্দিরে আসার রাস্তাটিও সাজানো। কিন্তু মন্দিরে তেমন কেউ নেই। শুধু পুরোহিত ও নাপিত দুজন সহযোগী নিয়ে সপ্তমীর ঘট স্থাপন করছেন। ১৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে ছয় দিনের জন্য নওগাঁর মান্দা থেকে এসেছেন ঢুলি শ্যামল চন্দ্র পাল ও দীপক চন্দ্র পাল। তাঁরা ঢাক নিয়ে বসে আছেন। ঢাকে কাঠি পড়ছে না। শুধু পূজার সময় ঢাক বাজানো হবে বলে তাঁরা জানালেন।
মন্দিরের নিরাপত্তায় ছিলেন কয়েকজন আনসার সদস্য। ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, একটা খুব কষ্টের কথা। এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পর আসলে কোনো উৎসব হচ্ছে না। পূজা করতে হবে, তাই করা। মর্মান্তিক ঘটনায় কারও মনে কোনো আনন্দ নেই। মন্দির কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অর্ক কুমার পাল বলেন, এই যে বক্স পড়ে আছে, বন্ধই থাকবে। ঢাক বাজবে শুধু পূজার সময়। এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গানবাজনা কিছুই হবে না। ১৯৮৭ সাল থেকে এখানে পূজা হয়। এ রকম করুণ পূজা আর আগে হয়নি।
মন্দির কমিটির সভাপতি মোহন কুমার পাল জানান, আশপাশের গ্রামগুলো থেকে শতাধিক হিন্দু পরিবার এখানে পূজা করে। এবার পুরো সমাজে শোকের ছায়া। তাই মহাষষ্ঠীর দিনে জনাদশেক নারী-পুরুষ এসেছিলেন। আগের বছরগুলোতে কমপক্ষে শতাধিক নারী-পুরুষ এসেছেন। এবার সপ্তমীর সকালে তো শুধু পুরোহিত আর নাপিত ঘাট স্থাপন করলেন। বাইরে থেকে একজনও আসেননি। প্যান্ডেলে বসার কেউ নেই। তিনি জানান, এলাকায় অনেক হিন্দু পরিবার থাকলেও মরদেহ দাফনের জন্য তাদের কোনো জায়গা নেই। নদীর মাঝে জেগে ওঠা একটা চরকেই তারা প্রায় ২০ বছর ধরে শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করেন। ওই শ্মশানের সভাপতি হিসেবে তিনিই দায়িত্বে আছেন। শ্মশানটা নদীর মাঝে না হলে এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না বলে তিনি মনে করেন।
মন্দিরের সামনেই বাড়ির বৈঠকঘরে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন রাজকুমারী পাল। তিনি বললেন, ‘এবার উৎসব জমেনি। বিক্রিও নেই। একই এলাকায় পাঁচ-পাঁচটা লাশ দাফনের পর কি আর আনন্দ থাকে? এবার শুধু পূজা করতে হবে বলে করা। আর কিছুই না। শ্মশানটা নদীর এপারে থাকলে গ্রামজুড়ে এ রকম শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ জানালেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তিনি গ্রামে নৌকাডুবিতে নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়েছিলেন। কিছু সহায়তা দিয়ে এসেছেন। আরও ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আর শ্মশানটা গ্রামের ভেতরে করার ব্যাপারে তিনি ভাবছেন। এ জন্য গ্রামবাসীকে একটা আবেদন জমা দিতে বলেছেন। ইউএনও বলেন, ‘খেতুরীধামেরই অনেক জমি আছে। তারা চাইলে একটা শ্মশান করতে পারে। গ্রামবাসী আমার কাছে লিখিত আবেদনটা দিলে আমি ধামের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। কীভাবে গ্রামের ভেতরেই একটা শ্মশান করা যায়, সেটা আমি দেখব।’

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে নিতেন, কিন্তু কানাইকে সমাহিত করতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে অন্য তিনজনের মৃত্যুর শোক তাঁরা সইতে পারছেন না।
তাই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী, খেতুর, ডুমুরিয়া, পালপাড়া, কাঁঠালবাড়িয়া ও ফরাদপুর গ্রামে এবার দুর্গাপূজার উৎসব আসেনি। এসব গ্রামের হিন্দু-মুসলমান সবাই শোকাহত। এবার মহাষষ্ঠীর দিনেই প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছে, কিন্তু কারও মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। ঢুলিরা বসে আছেন, ঢাকে কাঠি পড়ছে না। ভাড়া করা বক্সও পড়ে আছে। গানবাজনাও হচ্ছে না।
অথচ প্রেমতলী এলাকায় প্রতিবছর বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন হয়। প্রেমতলী খেতুরেই শ্রী শ্রী নরোত্তম দাস ঠাকুরের খেতুরীধাম। এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থভূমি। প্রতিবছর দুর্গাপূজার পরই খেতুরীধামে নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন কয়েক লাখ মানুষ।
প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরের কাছেই বাড়ি প্রমিলা সাহার। গত শুক্রবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। পরদিন শনিবার মারা যান গ্রামের কানাই কর্মকার। সেদিন সকালে তাঁর মরদেহ সমাহিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাড়ির পাশের পদ্মা নদীর মাঝচরে। প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠা চরটিতেই এলাকার হিন্দুদের সমাধি দেওয়া হয়। কানাই কর্মকারের মরদেহ সমাধিস্থ করতে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে যায়।
কিছুক্ষণ পরই জিতেন মণ্ডল নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ভেসে ওঠে দীলিপ দাস ও হরেন সাহার মরদেহ। সবার বাড়ি কাছাকাছি দূরত্বে। তাঁদের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোক। এবার কারও ঘরেই আসেনি শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ।
আজ সোমবার সকালে প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, সুন্দর করে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে সেলফি জোন। মন্দিরে আসার রাস্তাটিও সাজানো। কিন্তু মন্দিরে তেমন কেউ নেই। শুধু পুরোহিত ও নাপিত দুজন সহযোগী নিয়ে সপ্তমীর ঘট স্থাপন করছেন। ১৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে ছয় দিনের জন্য নওগাঁর মান্দা থেকে এসেছেন ঢুলি শ্যামল চন্দ্র পাল ও দীপক চন্দ্র পাল। তাঁরা ঢাক নিয়ে বসে আছেন। ঢাকে কাঠি পড়ছে না। শুধু পূজার সময় ঢাক বাজানো হবে বলে তাঁরা জানালেন।
মন্দিরের নিরাপত্তায় ছিলেন কয়েকজন আনসার সদস্য। ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, একটা খুব কষ্টের কথা। এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পর আসলে কোনো উৎসব হচ্ছে না। পূজা করতে হবে, তাই করা। মর্মান্তিক ঘটনায় কারও মনে কোনো আনন্দ নেই। মন্দির কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অর্ক কুমার পাল বলেন, এই যে বক্স পড়ে আছে, বন্ধই থাকবে। ঢাক বাজবে শুধু পূজার সময়। এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গানবাজনা কিছুই হবে না। ১৯৮৭ সাল থেকে এখানে পূজা হয়। এ রকম করুণ পূজা আর আগে হয়নি।
মন্দির কমিটির সভাপতি মোহন কুমার পাল জানান, আশপাশের গ্রামগুলো থেকে শতাধিক হিন্দু পরিবার এখানে পূজা করে। এবার পুরো সমাজে শোকের ছায়া। তাই মহাষষ্ঠীর দিনে জনাদশেক নারী-পুরুষ এসেছিলেন। আগের বছরগুলোতে কমপক্ষে শতাধিক নারী-পুরুষ এসেছেন। এবার সপ্তমীর সকালে তো শুধু পুরোহিত আর নাপিত ঘাট স্থাপন করলেন। বাইরে থেকে একজনও আসেননি। প্যান্ডেলে বসার কেউ নেই। তিনি জানান, এলাকায় অনেক হিন্দু পরিবার থাকলেও মরদেহ দাফনের জন্য তাদের কোনো জায়গা নেই। নদীর মাঝে জেগে ওঠা একটা চরকেই তারা প্রায় ২০ বছর ধরে শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করেন। ওই শ্মশানের সভাপতি হিসেবে তিনিই দায়িত্বে আছেন। শ্মশানটা নদীর মাঝে না হলে এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না বলে তিনি মনে করেন।
মন্দিরের সামনেই বাড়ির বৈঠকঘরে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন রাজকুমারী পাল। তিনি বললেন, ‘এবার উৎসব জমেনি। বিক্রিও নেই। একই এলাকায় পাঁচ-পাঁচটা লাশ দাফনের পর কি আর আনন্দ থাকে? এবার শুধু পূজা করতে হবে বলে করা। আর কিছুই না। শ্মশানটা নদীর এপারে থাকলে গ্রামজুড়ে এ রকম শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ জানালেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তিনি গ্রামে নৌকাডুবিতে নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়েছিলেন। কিছু সহায়তা দিয়ে এসেছেন। আরও ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আর শ্মশানটা গ্রামের ভেতরে করার ব্যাপারে তিনি ভাবছেন। এ জন্য গ্রামবাসীকে একটা আবেদন জমা দিতে বলেছেন। ইউএনও বলেন, ‘খেতুরীধামেরই অনেক জমি আছে। তারা চাইলে একটা শ্মশান করতে পারে। গ্রামবাসী আমার কাছে লিখিত আবেদনটা দিলে আমি ধামের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। কীভাবে গ্রামের ভেতরেই একটা শ্মশান করা যায়, সেটা আমি দেখব।’
রিমন রহমান, রাজশাহী

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে নিতেন, কিন্তু কানাইকে সমাহিত করতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে অন্য তিনজনের মৃত্যুর শোক তাঁরা সইতে পারছেন না।
তাই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী, খেতুর, ডুমুরিয়া, পালপাড়া, কাঁঠালবাড়িয়া ও ফরাদপুর গ্রামে এবার দুর্গাপূজার উৎসব আসেনি। এসব গ্রামের হিন্দু-মুসলমান সবাই শোকাহত। এবার মহাষষ্ঠীর দিনেই প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছে, কিন্তু কারও মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। ঢুলিরা বসে আছেন, ঢাকে কাঠি পড়ছে না। ভাড়া করা বক্সও পড়ে আছে। গানবাজনাও হচ্ছে না।
অথচ প্রেমতলী এলাকায় প্রতিবছর বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন হয়। প্রেমতলী খেতুরেই শ্রী শ্রী নরোত্তম দাস ঠাকুরের খেতুরীধাম। এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থভূমি। প্রতিবছর দুর্গাপূজার পরই খেতুরীধামে নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন কয়েক লাখ মানুষ।
প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরের কাছেই বাড়ি প্রমিলা সাহার। গত শুক্রবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। পরদিন শনিবার মারা যান গ্রামের কানাই কর্মকার। সেদিন সকালে তাঁর মরদেহ সমাহিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাড়ির পাশের পদ্মা নদীর মাঝচরে। প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠা চরটিতেই এলাকার হিন্দুদের সমাধি দেওয়া হয়। কানাই কর্মকারের মরদেহ সমাধিস্থ করতে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে যায়।
কিছুক্ষণ পরই জিতেন মণ্ডল নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ভেসে ওঠে দীলিপ দাস ও হরেন সাহার মরদেহ। সবার বাড়ি কাছাকাছি দূরত্বে। তাঁদের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোক। এবার কারও ঘরেই আসেনি শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ।
আজ সোমবার সকালে প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, সুন্দর করে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে সেলফি জোন। মন্দিরে আসার রাস্তাটিও সাজানো। কিন্তু মন্দিরে তেমন কেউ নেই। শুধু পুরোহিত ও নাপিত দুজন সহযোগী নিয়ে সপ্তমীর ঘট স্থাপন করছেন। ১৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে ছয় দিনের জন্য নওগাঁর মান্দা থেকে এসেছেন ঢুলি শ্যামল চন্দ্র পাল ও দীপক চন্দ্র পাল। তাঁরা ঢাক নিয়ে বসে আছেন। ঢাকে কাঠি পড়ছে না। শুধু পূজার সময় ঢাক বাজানো হবে বলে তাঁরা জানালেন।
মন্দিরের নিরাপত্তায় ছিলেন কয়েকজন আনসার সদস্য। ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, একটা খুব কষ্টের কথা। এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পর আসলে কোনো উৎসব হচ্ছে না। পূজা করতে হবে, তাই করা। মর্মান্তিক ঘটনায় কারও মনে কোনো আনন্দ নেই। মন্দির কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অর্ক কুমার পাল বলেন, এই যে বক্স পড়ে আছে, বন্ধই থাকবে। ঢাক বাজবে শুধু পূজার সময়। এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গানবাজনা কিছুই হবে না। ১৯৮৭ সাল থেকে এখানে পূজা হয়। এ রকম করুণ পূজা আর আগে হয়নি।
মন্দির কমিটির সভাপতি মোহন কুমার পাল জানান, আশপাশের গ্রামগুলো থেকে শতাধিক হিন্দু পরিবার এখানে পূজা করে। এবার পুরো সমাজে শোকের ছায়া। তাই মহাষষ্ঠীর দিনে জনাদশেক নারী-পুরুষ এসেছিলেন। আগের বছরগুলোতে কমপক্ষে শতাধিক নারী-পুরুষ এসেছেন। এবার সপ্তমীর সকালে তো শুধু পুরোহিত আর নাপিত ঘাট স্থাপন করলেন। বাইরে থেকে একজনও আসেননি। প্যান্ডেলে বসার কেউ নেই। তিনি জানান, এলাকায় অনেক হিন্দু পরিবার থাকলেও মরদেহ দাফনের জন্য তাদের কোনো জায়গা নেই। নদীর মাঝে জেগে ওঠা একটা চরকেই তারা প্রায় ২০ বছর ধরে শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করেন। ওই শ্মশানের সভাপতি হিসেবে তিনিই দায়িত্বে আছেন। শ্মশানটা নদীর মাঝে না হলে এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না বলে তিনি মনে করেন।
মন্দিরের সামনেই বাড়ির বৈঠকঘরে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন রাজকুমারী পাল। তিনি বললেন, ‘এবার উৎসব জমেনি। বিক্রিও নেই। একই এলাকায় পাঁচ-পাঁচটা লাশ দাফনের পর কি আর আনন্দ থাকে? এবার শুধু পূজা করতে হবে বলে করা। আর কিছুই না। শ্মশানটা নদীর এপারে থাকলে গ্রামজুড়ে এ রকম শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ জানালেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তিনি গ্রামে নৌকাডুবিতে নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়েছিলেন। কিছু সহায়তা দিয়ে এসেছেন। আরও ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আর শ্মশানটা গ্রামের ভেতরে করার ব্যাপারে তিনি ভাবছেন। এ জন্য গ্রামবাসীকে একটা আবেদন জমা দিতে বলেছেন। ইউএনও বলেন, ‘খেতুরীধামেরই অনেক জমি আছে। তারা চাইলে একটা শ্মশান করতে পারে। গ্রামবাসী আমার কাছে লিখিত আবেদনটা দিলে আমি ধামের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। কীভাবে গ্রামের ভেতরেই একটা শ্মশান করা যায়, সেটা আমি দেখব।’

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে নিতেন, কিন্তু কানাইকে সমাহিত করতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে অন্য তিনজনের মৃত্যুর শোক তাঁরা সইতে পারছেন না।
তাই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী, খেতুর, ডুমুরিয়া, পালপাড়া, কাঁঠালবাড়িয়া ও ফরাদপুর গ্রামে এবার দুর্গাপূজার উৎসব আসেনি। এসব গ্রামের হিন্দু-মুসলমান সবাই শোকাহত। এবার মহাষষ্ঠীর দিনেই প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছে, কিন্তু কারও মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। ঢুলিরা বসে আছেন, ঢাকে কাঠি পড়ছে না। ভাড়া করা বক্সও পড়ে আছে। গানবাজনাও হচ্ছে না।
অথচ প্রেমতলী এলাকায় প্রতিবছর বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন হয়। প্রেমতলী খেতুরেই শ্রী শ্রী নরোত্তম দাস ঠাকুরের খেতুরীধাম। এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থভূমি। প্রতিবছর দুর্গাপূজার পরই খেতুরীধামে নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন কয়েক লাখ মানুষ।
প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরের কাছেই বাড়ি প্রমিলা সাহার। গত শুক্রবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। পরদিন শনিবার মারা যান গ্রামের কানাই কর্মকার। সেদিন সকালে তাঁর মরদেহ সমাহিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাড়ির পাশের পদ্মা নদীর মাঝচরে। প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠা চরটিতেই এলাকার হিন্দুদের সমাধি দেওয়া হয়। কানাই কর্মকারের মরদেহ সমাধিস্থ করতে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে যায়।
কিছুক্ষণ পরই জিতেন মণ্ডল নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ভেসে ওঠে দীলিপ দাস ও হরেন সাহার মরদেহ। সবার বাড়ি কাছাকাছি দূরত্বে। তাঁদের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোক। এবার কারও ঘরেই আসেনি শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ।
আজ সোমবার সকালে প্রেমতলী দুর্গামাতা ও কালীমাতা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, সুন্দর করে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে সেলফি জোন। মন্দিরে আসার রাস্তাটিও সাজানো। কিন্তু মন্দিরে তেমন কেউ নেই। শুধু পুরোহিত ও নাপিত দুজন সহযোগী নিয়ে সপ্তমীর ঘট স্থাপন করছেন। ১৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে ছয় দিনের জন্য নওগাঁর মান্দা থেকে এসেছেন ঢুলি শ্যামল চন্দ্র পাল ও দীপক চন্দ্র পাল। তাঁরা ঢাক নিয়ে বসে আছেন। ঢাকে কাঠি পড়ছে না। শুধু পূজার সময় ঢাক বাজানো হবে বলে তাঁরা জানালেন।
মন্দিরের নিরাপত্তায় ছিলেন কয়েকজন আনসার সদস্য। ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, একটা খুব কষ্টের কথা। এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পর আসলে কোনো উৎসব হচ্ছে না। পূজা করতে হবে, তাই করা। মর্মান্তিক ঘটনায় কারও মনে কোনো আনন্দ নেই। মন্দির কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অর্ক কুমার পাল বলেন, এই যে বক্স পড়ে আছে, বন্ধই থাকবে। ঢাক বাজবে শুধু পূজার সময়। এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গানবাজনা কিছুই হবে না। ১৯৮৭ সাল থেকে এখানে পূজা হয়। এ রকম করুণ পূজা আর আগে হয়নি।
মন্দির কমিটির সভাপতি মোহন কুমার পাল জানান, আশপাশের গ্রামগুলো থেকে শতাধিক হিন্দু পরিবার এখানে পূজা করে। এবার পুরো সমাজে শোকের ছায়া। তাই মহাষষ্ঠীর দিনে জনাদশেক নারী-পুরুষ এসেছিলেন। আগের বছরগুলোতে কমপক্ষে শতাধিক নারী-পুরুষ এসেছেন। এবার সপ্তমীর সকালে তো শুধু পুরোহিত আর নাপিত ঘাট স্থাপন করলেন। বাইরে থেকে একজনও আসেননি। প্যান্ডেলে বসার কেউ নেই। তিনি জানান, এলাকায় অনেক হিন্দু পরিবার থাকলেও মরদেহ দাফনের জন্য তাদের কোনো জায়গা নেই। নদীর মাঝে জেগে ওঠা একটা চরকেই তারা প্রায় ২০ বছর ধরে শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করেন। ওই শ্মশানের সভাপতি হিসেবে তিনিই দায়িত্বে আছেন। শ্মশানটা নদীর মাঝে না হলে এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না বলে তিনি মনে করেন।
মন্দিরের সামনেই বাড়ির বৈঠকঘরে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন রাজকুমারী পাল। তিনি বললেন, ‘এবার উৎসব জমেনি। বিক্রিও নেই। একই এলাকায় পাঁচ-পাঁচটা লাশ দাফনের পর কি আর আনন্দ থাকে? এবার শুধু পূজা করতে হবে বলে করা। আর কিছুই না। শ্মশানটা নদীর এপারে থাকলে গ্রামজুড়ে এ রকম শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ জানালেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তিনি গ্রামে নৌকাডুবিতে নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়েছিলেন। কিছু সহায়তা দিয়ে এসেছেন। আরও ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আর শ্মশানটা গ্রামের ভেতরে করার ব্যাপারে তিনি ভাবছেন। এ জন্য গ্রামবাসীকে একটা আবেদন জমা দিতে বলেছেন। ইউএনও বলেন, ‘খেতুরীধামেরই অনেক জমি আছে। তারা চাইলে একটা শ্মশান করতে পারে। গ্রামবাসী আমার কাছে লিখিত আবেদনটা দিলে আমি ধামের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। কীভাবে গ্রামের ভেতরেই একটা শ্মশান করা যায়, সেটা আমি দেখব।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র সক্রিয় রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সাম্প্রতিক সময়ে হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনা ঘটছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
১৬ মিনিট আগে
বিধান রঞ্জন বলেন, শিক্ষক হওয়ার আগেই পেশাগত কোর্স চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্সের মাধ্যমে যাঁরা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান, তাঁরা আগে থেকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। এতে কমিটেড শিক্ষক তৈরি হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষায়...
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা বিএনপির অফিস থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে...
৩৫ মিনিট আগে
শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে কয়লার আগুন পোহাতেন বিধবা কামরুন নাহার (৭৫)। আর সেই আগুনেই একা ঘরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান তিনি। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ঢালীকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৪০ মিনিট আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র সক্রিয় রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সাম্প্রতিক সময়ে হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনা ঘটছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় পটুয়াখালী শহরের শেরেবাংলা সড়কে নিজ বাসভবনের সামনে ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, গত মাসের ৫ তারিখ চট্টগ্রামে বিএনপির এক প্রার্থীর ওপর হামলা এবং সম্প্রতি ঢাকায় সংঘটিত হামলার ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়। এসব ঘটনার পেছনে দেশি ও বিদেশি সংঘবদ্ধ চক্রান্তকারীরা জড়িত রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, এ ধরনের জঘন্য ঘটনা চলতে দেওয়া হবে না। এর প্রতিবাদ জানাতে এবং জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারা দেশের জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র সক্রিয় রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সাম্প্রতিক সময়ে হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনা ঘটছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় পটুয়াখালী শহরের শেরেবাংলা সড়কে নিজ বাসভবনের সামনে ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, গত মাসের ৫ তারিখ চট্টগ্রামে বিএনপির এক প্রার্থীর ওপর হামলা এবং সম্প্রতি ঢাকায় সংঘটিত হামলার ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়। এসব ঘটনার পেছনে দেশি ও বিদেশি সংঘবদ্ধ চক্রান্তকারীরা জড়িত রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, এ ধরনের জঘন্য ঘটনা চলতে দেওয়া হবে না। এর প্রতিবাদ জানাতে এবং জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারা দেশের জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করছে।

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে...
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিধান রঞ্জন বলেন, শিক্ষক হওয়ার আগেই পেশাগত কোর্স চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্সের মাধ্যমে যাঁরা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান, তাঁরা আগে থেকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। এতে কমিটেড শিক্ষক তৈরি হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষায়...
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা বিএনপির অফিস থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে...
৩৫ মিনিট আগে
শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে কয়লার আগুন পোহাতেন বিধবা কামরুন নাহার (৭৫)। আর সেই আগুনেই একা ঘরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান তিনি। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ঢালীকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৪০ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে সব বই মন্ত্রণালয়ের হাতে এসেছে। আজ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইনস্ট্রাক্টর ও নেপের সহকারী বিশেষজ্ঞদের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, শিক্ষক হওয়ার আগেই পেশাগত কোর্স চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্সের মাধ্যমে যাঁরা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান, তাঁরা আগে থেকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। এতে কমিটেড শিক্ষক তৈরি হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষায় সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ফল আসবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেক দেশে প্রাথমিক শিক্ষক হতে হলে আগাম যোগ্যতা, বিশেষ প্রশিক্ষণ—এমনকি লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। চিকিৎসকদের মতো শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও লাইসেন্স ব্যবস্থার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের, তবে তা দূরবর্তী সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ও ১১তম গ্রেড প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি বেতন কমিশনের আওতাধীন। সরকারের অবস্থান কমিশনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করা যায়, এটি বাস্তবায়ন হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালে আন্দোলন যুক্তিযুক্ত ছিল না। তবে শিক্ষকদের দাবিকে অযৌক্তিক বলা হয়নি। আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের মন খারাপ হলেও পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ায় তা পুষিয়ে যাবে।
নেপ সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং নেপের পরিচালনায় ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রোগ্রাম চালু হবে। পাইলটিং ভিত্তিতে দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) এ কার্যক্রম শুরু হবে। পিটিআইগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, জয়দেবপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া। ১০ মাস মেয়াদি এ কোর্সটি অনাবাসিক ও বৈকালিক হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেপের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ফারাহ শাম্মী।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে সব বই মন্ত্রণালয়ের হাতে এসেছে। আজ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইনস্ট্রাক্টর ও নেপের সহকারী বিশেষজ্ঞদের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, শিক্ষক হওয়ার আগেই পেশাগত কোর্স চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্সের মাধ্যমে যাঁরা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান, তাঁরা আগে থেকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। এতে কমিটেড শিক্ষক তৈরি হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষায় সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ফল আসবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেক দেশে প্রাথমিক শিক্ষক হতে হলে আগাম যোগ্যতা, বিশেষ প্রশিক্ষণ—এমনকি লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। চিকিৎসকদের মতো শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও লাইসেন্স ব্যবস্থার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের, তবে তা দূরবর্তী সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ও ১১তম গ্রেড প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি বেতন কমিশনের আওতাধীন। সরকারের অবস্থান কমিশনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করা যায়, এটি বাস্তবায়ন হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালে আন্দোলন যুক্তিযুক্ত ছিল না। তবে শিক্ষকদের দাবিকে অযৌক্তিক বলা হয়নি। আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের মন খারাপ হলেও পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ায় তা পুষিয়ে যাবে।
নেপ সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং নেপের পরিচালনায় ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রোগ্রাম চালু হবে। পাইলটিং ভিত্তিতে দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) এ কার্যক্রম শুরু হবে। পিটিআইগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, জয়দেবপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া। ১০ মাস মেয়াদি এ কোর্সটি অনাবাসিক ও বৈকালিক হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেপের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ফারাহ শাম্মী।

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে...
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র সক্রিয় রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সাম্প্রতিক সময়ে হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনা ঘটছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা বিএনপির অফিস থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে...
৩৫ মিনিট আগে
শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে কয়লার আগুন পোহাতেন বিধবা কামরুন নাহার (৭৫)। আর সেই আগুনেই একা ঘরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান তিনি। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ঢালীকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৪০ মিনিট আগেগাইবান্ধা প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা বিএনপির অফিস থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মইনুল হাসান সাদিক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বাবু, জেলা যুবদলের সভাপতি রাগীব হাসান চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জীম।
বক্তারা বলেন, নিবার্চনকে বানচাল করতে হাদির ওপর গুলি করা হয়েছে। হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা বিএনপির অফিস থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মইনুল হাসান সাদিক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বাবু, জেলা যুবদলের সভাপতি রাগীব হাসান চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জীম।
বক্তারা বলেন, নিবার্চনকে বানচাল করতে হাদির ওপর গুলি করা হয়েছে। হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে...
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র সক্রিয় রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সাম্প্রতিক সময়ে হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনা ঘটছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
১৬ মিনিট আগে
বিধান রঞ্জন বলেন, শিক্ষক হওয়ার আগেই পেশাগত কোর্স চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্সের মাধ্যমে যাঁরা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান, তাঁরা আগে থেকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। এতে কমিটেড শিক্ষক তৈরি হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষায়...
১৯ মিনিট আগে
শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে কয়লার আগুন পোহাতেন বিধবা কামরুন নাহার (৭৫)। আর সেই আগুনেই একা ঘরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান তিনি। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ঢালীকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৪০ মিনিট আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে কয়লার আগুন পোহাতেন বিধবা কামরুন নাহার (৭৫)। আর সেই আগুনেই একা ঘরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান তিনি। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ঢালীকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া কামরুন নাহার ওই গ্রামের মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী।
আজ সকালে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামরুন নাহারের স্বামী মোসলেম সরদার অনেক আগেই মারা গেছেন। তাঁর একমাত্র কন্যাসন্তান বিবাহিত ও অন্যত্র বসবাস করেন। ফলে তিনি একাই স্বামীর বসতভিটায় একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে বসবাস করতেন এবং আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের দানে নিজেই রান্না করে খেতেন।
শীত নিবারণের জন্য কামরুন নাহার প্রায় সময় বিছানার পাশে মাটির তৈরি একটি পাত্রে জ্বালানো কয়লা রাখতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পাত্র থেকে আগুন বিছানায় পড়ে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে বিছানার ওপরে পুড়ে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে এর আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিছানার ওপর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদ ঢালী বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর শুনে আমরা ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে পুরো ঘর পুড়ে যায়।’
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহত ব্যক্তির মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে কয়লার আগুন পোহাতেন বিধবা কামরুন নাহার (৭৫)। আর সেই আগুনেই একা ঘরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান তিনি। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ঢালীকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া কামরুন নাহার ওই গ্রামের মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী।
আজ সকালে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামরুন নাহারের স্বামী মোসলেম সরদার অনেক আগেই মারা গেছেন। তাঁর একমাত্র কন্যাসন্তান বিবাহিত ও অন্যত্র বসবাস করেন। ফলে তিনি একাই স্বামীর বসতভিটায় একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে বসবাস করতেন এবং আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের দানে নিজেই রান্না করে খেতেন।
শীত নিবারণের জন্য কামরুন নাহার প্রায় সময় বিছানার পাশে মাটির তৈরি একটি পাত্রে জ্বালানো কয়লা রাখতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পাত্র থেকে আগুন বিছানায় পড়ে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে বিছানার ওপরে পুড়ে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে এর আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিছানার ওপর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদ ঢালী বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর শুনে আমরা ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে পুরো ঘর পুড়ে যায়।’
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহত ব্যক্তির মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

দেবী দুর্গা মণ্ডপে উঠেছেন। তাঁকে তুষ্ট করতে অর্চনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলোর হিন্দুপাড়াগুলোতে এবার কারও মুখে হাসি নেই। শারদীয় উৎসবের আনন্দ এবার কাউকেই ছুঁয়ে যেতে পারেনি। জ্বরে মারা যাওয়া প্রমিলা সাহা কিংবা বার্ধক্যে মারা যাওয়া কানাই কর্মকারের মৃত্যুর শোক হয়তো গ্রামের মানুষ সহ্য করে...
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র সক্রিয় রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সাম্প্রতিক সময়ে হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনা ঘটছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
১৬ মিনিট আগে
বিধান রঞ্জন বলেন, শিক্ষক হওয়ার আগেই পেশাগত কোর্স চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্সের মাধ্যমে যাঁরা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান, তাঁরা আগে থেকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। এতে কমিটেড শিক্ষক তৈরি হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষায়...
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা বিএনপির অফিস থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে...
৩৫ মিনিট আগে