নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী–৪ (বাগমারা) আসনের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে পুনঃতফসিলের আবেদন জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নিজেই ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এই আবেদন জমা দেন।
এনামুল হক এই আসনের বর্তমান এমপি। ২০০৮ সাল থেকে পরপর তিনটি নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রতীক ছিল কাঁচি।
এখানে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার নির্বাচন করেন আবুল কালাম আজাদ। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এনামুল হককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী, আবুল কালাম আজাদ ১ লাখ ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট। এই আসনে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে এত ভোটার কেন্দ্রে ছিল না বলে দাবি এনামুলের।
সিইসির কাছে দেওয়া আবেদনে এনামুল হক বলেছেন, আবুল কালাম আজাদ নৌকার প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে যেসব সহিংস কার্যক্রম সংঘটিত করেছেন, তা নির্বাচন কমিশনকে আগেই জানানো হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশন বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা করে। দুটি মামলা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আবুল কালাম আজাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর অনেকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, সেই সব মামলায় বেশ কয়েকজন ক্যাডার গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে। এতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে প্রভাব পড়ে এবং সাধারণ জনগণ আতঙ্কিত হয়। নির্বাচনকালীন প্রার্থীসহ তাঁর ক্যাডার বাহিনী কাঁচির এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র ঢুকতে না দেওয়া, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, কর্মী-সমর্থকদের মারধরসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায়।
অভিযোগে এনামুল আরও বলেন, ‘আমি উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শনকালে দেখতে পেয়েছি, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল না। ভোট গ্রহণের শুরু থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে ১৫-২০ ভাগ ভোট সংগ্রহ হয়, অথচ বিকেল ৩-৪টার মধ্যে নৌকার প্রার্থীর লোকজন জোরপূর্বক ভোটের ফলাফল তাদের অনুকূলে নেয়।’
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল দেওয়া হয়েছে। সেটি হিসাব করলেও সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে দাবি এনামুলের।
এ ছাড়া ভোট-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন এলাকায় তাঁর নেতা-কর্মীর বাড়িতে নৌকার প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই আসনে নৌকার প্রার্থীর ফল বাতিল করে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করার অনুরোধ জানিয়েছেন এনামুল হক।
আরও পড়ুন:
রাজশাহী–৪ (বাগমারা) আসনের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে পুনঃতফসিলের আবেদন জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নিজেই ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এই আবেদন জমা দেন।
এনামুল হক এই আসনের বর্তমান এমপি। ২০০৮ সাল থেকে পরপর তিনটি নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রতীক ছিল কাঁচি।
এখানে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার নির্বাচন করেন আবুল কালাম আজাদ। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এনামুল হককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী, আবুল কালাম আজাদ ১ লাখ ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট। এই আসনে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে এত ভোটার কেন্দ্রে ছিল না বলে দাবি এনামুলের।
সিইসির কাছে দেওয়া আবেদনে এনামুল হক বলেছেন, আবুল কালাম আজাদ নৌকার প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে যেসব সহিংস কার্যক্রম সংঘটিত করেছেন, তা নির্বাচন কমিশনকে আগেই জানানো হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশন বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা করে। দুটি মামলা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আবুল কালাম আজাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর অনেকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, সেই সব মামলায় বেশ কয়েকজন ক্যাডার গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে। এতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে প্রভাব পড়ে এবং সাধারণ জনগণ আতঙ্কিত হয়। নির্বাচনকালীন প্রার্থীসহ তাঁর ক্যাডার বাহিনী কাঁচির এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র ঢুকতে না দেওয়া, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, কর্মী-সমর্থকদের মারধরসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায়।
অভিযোগে এনামুল আরও বলেন, ‘আমি উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শনকালে দেখতে পেয়েছি, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল না। ভোট গ্রহণের শুরু থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে ১৫-২০ ভাগ ভোট সংগ্রহ হয়, অথচ বিকেল ৩-৪টার মধ্যে নৌকার প্রার্থীর লোকজন জোরপূর্বক ভোটের ফলাফল তাদের অনুকূলে নেয়।’
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল দেওয়া হয়েছে। সেটি হিসাব করলেও সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে দাবি এনামুলের।
এ ছাড়া ভোট-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন এলাকায় তাঁর নেতা-কর্মীর বাড়িতে নৌকার প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই আসনে নৌকার প্রার্থীর ফল বাতিল করে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করার অনুরোধ জানিয়েছেন এনামুল হক।
আরও পড়ুন:
রাকসু নির্বাচনের চারটি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি ও এজিএস প্রার্থীরা। আর জিএস পদে এগিয়ে আছেন আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।
২৯ মিনিট আগেচট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলার পুরো ভবনটিই জ্বলছে। ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আগুনের তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাছে যেতে পারছেন না। দূর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
৩১ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মেয়েদের বেগম রোকেয়া হলেও ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবিরের চেয়ে তিন গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
৪১ মিনিট আগেতিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদীপারে মশাল প্রজ্বালন করেছে হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারীতে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।
১ ঘণ্টা আগে