নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নিমাই বিলের কৃষিজমিতে জোরজবরদস্তি করে পুকুর খনন শুরু হয়েছে। এই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলন, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম, সবুজ সংহতি ও রাজশাহী মহানগর। এদিন বেলা ১১টায় নগরের গণকপাড়ার একটি ক্যাফেতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলনের বাগমারা উপজেলার আহ্বায়ক প্রভাষক আমজাদ হোসেন। এ সময় নদী ও পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী, আইনজীবী হোসেন আলী পিয়ারা, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, ভুক্তভোগী ঈশিতা ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিমাই বিলের কৃষিজমিতে জোরজবরদস্তি করে অবৈধ পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। কৃষিজমি রক্ষার বিষয়টি নিয়ে চার-পাঁচ মাস ধরে প্রশাসনের দৃষ্টিতে আনার জন্য মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এর পরও প্রতিকার না পেয়ে গত ১৯ মার্চ আদালতে একটি মামলা হয়। বাগমারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামলাটির তদন্ত করছেন। এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হলে গত ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট করা হয়। উচ্চ আদালত বাগমারা উপজেলায় পুকুর খননে স্থগিতাদেশসহ জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও এসি ল্যান্ডকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশনা দিয়েছেন। এরই মধ্যে পুকুর খনন নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে কিছুদিনের জন্য কাজ বন্ধ হয়। কিন্তু এখন আবার পুকুর খনন শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আসামিরা আইন, উচ্চ আদালতের রিট পিটিশনসহ সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় নিমাই বিলের প্রায় ৬০ বিঘা কৃষিজমিতে ঈদের ছুটিতে আবারও জোরেশোরে খনন শুরু করেছে। কতিপয় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও ভূমিদস্যুরা এ কাজে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাত ১১টার পর থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ৭টি খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খননকাজ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পুকুরখেকোরা। বাগমারা থানা, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, বরং নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে তারা। অবৈধ খননের কারণে কৃষকদের আবাদ নষ্ট হয়েছে এবং জমি আবাদের অনুপযোগী হওয়ায় কৃষকেরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে। এগুলো হলো অবিলম্বে কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধে দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, পুকুর খননে সহায়তাকারী পুলিশ কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ড, ইউএনওকে অপসারণসহ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা; জোর করে পুকুর খনন করতে গিয়ে কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা এবং সমগ্র ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় কৃষিজমিতে পুকুর খননের যে মহোৎসব চলছে, তা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ করা।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘নিমাই বিলে পুকুর খনন বন্ধ করতে ঈদের আগে আমি অন্তত সাতবার গিয়েছি। এসি ল্যান্ড তিন-চারবার গেছেন। তখন পুকুর খনন বন্ধ হয়েছিল। তারপর ঈদের ছুটিতে দুই দিন কাজ চলেছে। আমি খবর পেয়ে পরে গিয়ে আর পাইনি। এখন রাতে যদি রাতে পুকুর কাটে, তাহলে তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে।’
কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নিমাই বিলের কৃষিজমিতে জোরজবরদস্তি করে পুকুর খনন শুরু হয়েছে। এই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলন, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম, সবুজ সংহতি ও রাজশাহী মহানগর। এদিন বেলা ১১টায় নগরের গণকপাড়ার একটি ক্যাফেতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলনের বাগমারা উপজেলার আহ্বায়ক প্রভাষক আমজাদ হোসেন। এ সময় নদী ও পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী, আইনজীবী হোসেন আলী পিয়ারা, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, ভুক্তভোগী ঈশিতা ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিমাই বিলের কৃষিজমিতে জোরজবরদস্তি করে অবৈধ পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। কৃষিজমি রক্ষার বিষয়টি নিয়ে চার-পাঁচ মাস ধরে প্রশাসনের দৃষ্টিতে আনার জন্য মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এর পরও প্রতিকার না পেয়ে গত ১৯ মার্চ আদালতে একটি মামলা হয়। বাগমারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামলাটির তদন্ত করছেন। এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হলে গত ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট করা হয়। উচ্চ আদালত বাগমারা উপজেলায় পুকুর খননে স্থগিতাদেশসহ জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও এসি ল্যান্ডকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশনা দিয়েছেন। এরই মধ্যে পুকুর খনন নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে কিছুদিনের জন্য কাজ বন্ধ হয়। কিন্তু এখন আবার পুকুর খনন শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আসামিরা আইন, উচ্চ আদালতের রিট পিটিশনসহ সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় নিমাই বিলের প্রায় ৬০ বিঘা কৃষিজমিতে ঈদের ছুটিতে আবারও জোরেশোরে খনন শুরু করেছে। কতিপয় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও ভূমিদস্যুরা এ কাজে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাত ১১টার পর থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ৭টি খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খননকাজ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পুকুরখেকোরা। বাগমারা থানা, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, বরং নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে তারা। অবৈধ খননের কারণে কৃষকদের আবাদ নষ্ট হয়েছে এবং জমি আবাদের অনুপযোগী হওয়ায় কৃষকেরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে। এগুলো হলো অবিলম্বে কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধে দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, পুকুর খননে সহায়তাকারী পুলিশ কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ড, ইউএনওকে অপসারণসহ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা; জোর করে পুকুর খনন করতে গিয়ে কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা এবং সমগ্র ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় কৃষিজমিতে পুকুর খননের যে মহোৎসব চলছে, তা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ করা।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘নিমাই বিলে পুকুর খনন বন্ধ করতে ঈদের আগে আমি অন্তত সাতবার গিয়েছি। এসি ল্যান্ড তিন-চারবার গেছেন। তখন পুকুর খনন বন্ধ হয়েছিল। তারপর ঈদের ছুটিতে দুই দিন কাজ চলেছে। আমি খবর পেয়ে পরে গিয়ে আর পাইনি। এখন রাতে যদি রাতে পুকুর কাটে, তাহলে তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে।’
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি গঠনের মাত্র দুই দিন পরই নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে তা স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার (২১ জুন) রাতে জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী (দপ্তর) তান্না ইসলাম প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
৬ মিনিট আগেশরীয়তপুরের ডিসির বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য টিটু জানান, ডিসি আশরাফ উদ্দিন একাই সরকারি বাসভবনে থাকতেন। তাঁর পরিবার ঢাকায় থাকে। ডিসি অফিসের স্টাফরা তাঁর খাবার রান্না করে দিয়ে যেতেন। ডিসি আশরাফ উদ্দিন না থাকায় গত দুই দিন ডিসি অফিসের কোনো স্টাফ বা অন্য কেউ সরকারি এই বাসভবনে প্রবেশ...
২০ মিনিট আগেজন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাসচাপায় মাসহ পরিবারের তিন সদস্য হারিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকেরা নবজাতটিকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
৩২ মিনিট আগেমিনা ও তাঁর চক্র দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডজুড়ে প্রকাশ্যে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিল। এখান থেকেই মাদক ছড়িয়ে পড়ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
৩৮ মিনিট আগে