Ajker Patrika

ছাত্রীদের মোবাইলে রাবি শিক্ষকের ‘অশোভনীয় বার্তা’ 

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪, ২০: ৩৭
ছাত্রীদের মোবাইলে রাবি শিক্ষকের ‘অশোভনীয় বার্তা’ 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য করা ও মোবাইলের মেসেঞ্জারে ‘অশোভনীয় বার্তা’ পাঠিয়ে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন থেকে এ অভিযোগ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষককে সব বর্ষের পাঠদান থেকে অব্যাহতি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ছাড়া আগামী দুই দিনের মধ্যে দাবি আদায় না হলে বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘হিজাব আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা’, ‘ব্যক্তি স্বাধীনতায় কোনো হস্তক্ষেপ চলবে না’, ‘বাবার মতো শিক্ষকের এ কেমন আচরণ’, ‘ক্লাসে পর্দার অধিকার হরণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘শিক্ষক যদি এমন হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?’ , ‘নিকাব নিয়ে হয়রানি মানছি না মানব না’, ‘নিকাব নিয়ে আর নয় কোনো কটূক্তি’, ‘হিজাব, নিকাব, পর্দা আমার অহংকার-গর্ব’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, ক্লাসে গরম লাগার কারণে তিনি ছোট একটি কাগজ দিয়ে নিজেকে বাতাস করছিলেন। এ সময় ওই শিক্ষক তাঁকে দাঁড় করিয়ে বলেন, ‘এটা কী করছ? এটা তো খুবই দৃষ্টিকটু। এ রকম প্যাকেটের মতো পোশাক পরে আসলে তো গরম লাগবেই। তোমার গরম তোমার কাছেই রাখো।’

তিনি আরও বলেন, আরেক দিন তাঁর এক বান্ধবী ক্লাসে উচ্চ স্বরে উপস্থিতি দিলেও তিনি (শিক্ষক) না শোনার অজুহাত দিয়ে জোরপূর্বক নিকাব খোলান। এ ছাড়া আরেক বান্ধবীর নিকাব নিয়ে কটূক্তি করেছেন। ওই শিক্ষক শুধু নিকাব নিয়ে নয়, সঙ্গে পুরো ইসলামের সংস্কৃতি নিয়ে কটূক্তি করেছেন। তিনি ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

রাবিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধন।একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, ‘ওই শিক্ষক ইসলামিক স্টাডিজের মতো বিভাগের শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও আমাদের বোনকে হিজাব খোলার মতো নিকৃষ্টমূলক কথা বলেন। তিনি ক্লাসে এসে ছাত্রীদের বলেন, তোমরা কেন হিজাব পরে আস? তোমরা কি স্মার্ট হতে শিখনি।’ ছাত্রীদের হেনস্তা করায় ওই শিক্ষককে বিভাগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।

বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বান্ধবী, বড় বোন ও ছোট বোনদের পর্দার অধিকার নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে আজকে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, আমাদের বোনদের হিজাব পরার ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। এই হিজাব নিয়ে কটূক্তি করে ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করা চলবে না।’

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই শিক্ষকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহা. আশরাফ উজ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল একাডেমিক কমিটির সভায় (মিটিং) আলোচনা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত