Ajker Patrika

রাবির পোষ্য কোটা: এবার কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে শিক্ষার্থী

রাবি প্রতিনিধি 
রাবিতে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাবিতে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে বসেছেন আশাদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। পোষ্য কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

আজ শুক্রবার বিকেলে প্রশাসন ভবন-১-এর সামনে অনশন শুরু করেন আশাদুল। এ রিপোর্ট লেখা (রাত সাড়ে ৯টা) পর্যন্ত তাঁকে অনশনে বসে থাকতে দেখা যায়।

অনশনকারী মো. আশাদুল ইসলাম সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হল সংসদ নির্বাচনে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি (স্বতন্ত্র) পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জানতে চাইলে আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘যেই কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে এত রক্ত দিতে হয়েছে, সেই কোটা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারে না। পোষ্য কোটা সমূলে উৎপাটন করতে হবে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমি অনশন চালিয়ে যাব। ১৭ বছরের স্বৈরশাসন শিক্ষার্থীরা দূর করতে পারলে পোষ্য কোটা সিন্ডিকেটও ভাঙতে পারব।’ ভর্তি পরীক্ষায় বৈষম্যের কারণে যোগ্য শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ৬৮.৫ নম্বর পেয়ে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হয়েছি। অথচ একই বছর ৪০ নম্বর পেয়ে অনেকেই পোষ্য কোটায় আইন বা ইংরেজির মতো বিভাগে ভর্তি হয়েছে। ফলে ৬০-৭০ নম্বর পাওয়া গ্রামের শিক্ষার্থীরা ভালো বিভাগে সুযোগ পায় না, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তির সুযোগ হারায়। আমি চাই, এই বৈষম্যের অবসান হোক।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। তার খোঁজখবরও রাখছি।’

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভর্তি কমিটির সভায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের শর্তসাপেক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় (পোষ্য কোটা) ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শর্তগুলোর মধ্যে কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঔরসজাত বা গর্ভজাত সন্তান কোটার সুবিধা পাবে, ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের জন্য বিজ্ঞাপিত যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ করতে হবে, মেধার ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্ধারিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত হিসেবে এ প্রক্রিয়ায় ভর্তির বিষয়টি বিবেচিত হবে, প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনা করে মেধাতালিকা করা হবে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্ধারিত শর্তাবলিসহ অবশ্যই ন্যূনতম পাস নম্বর থাকতে হবে, কোনো বিভাগে দুজনের অধিক ভর্তির সুযোগ থাকবে না, কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানকে তাঁর কর্মরত বিভাগে ভর্তি করানো যাবে না, ‘অটো মাইগ্রেশন’ ছাড়া শিক্ষার্থীর বিভাগ পরিবর্তনের অন্য কোনো সুযোগ থাকবে না, ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়ম প্রমাণিত হলে ছাত্রত্ব বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সুবিধার আওতায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী কোনোভাবেই আবাসিক হলে সিটের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত