নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর একটি আবাসিক হোটেলে চাঁদা না পেয়ে ডাকাতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হোটেলটিতে টাকাপয়সা তেমন না থাকলেও কিছু জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ। আর এ ঘটনার সঙ্গে কয়েকজন সাবেক ছাত্রদল নেতা-কর্মী জড়িত বলে দাবি করা হচ্ছে।
নগরের প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার গণকপাড়া এলাকার হোটেল গ্র্যান্ড আবাসিকে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মুখোশ পরা ৮-১০ জন সশস্ত্র যুবক ওই হোটেলে হানা দেয়। তারা হোটেলের দোতলায় চারজন কর্মচারীকে জিম্মি করে নিচতলায় লুটতরাজ চালায় বলে হোটেল মালিকপক্ষের অভিযোগ। তবে পুলিশ বলছে, এটা ডাকাতি নয়; চাঁদাবাজি হতে পারে।
হোটেলটির মালিকের নাম আবুল বাসার সুজন। তিনি নগরের বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের নেতা। এ ছাড়া তিনি রাজশাহীর তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী তিনি। গত ৫ আগস্টের পর মামলার আসামি হয়ে সুজন আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে হোটেলটি দেখাশোনা করেন তাঁর ভাতিজা রোকন সরকার।
রোকন দাবি করেছেন, রাজশাহী কলেজ ও রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের দুই নেতার নেতৃত্বে ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংগঠনের নামে তাঁরা হোটেলে এসে ৫-১০ হাজার টাকা করে কয়েকবার চাঁদা নিয়ে গেছেন। কয়দিন আগে জুয়েল নামের একজন ফোন দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার রাতে এসে প্রথমে তারা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এত টাকা দিতে পারব না বললে তারা দোতলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে নিচতলার হোটেলে ডাকাতি শুরু করে।’
হোটেলের ব্যবস্থাপক তৌকির আহমেদ রনি বলেন, ঘটনার সময় তাঁরা হোটেলে চারজন ছিলেন। ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা এসে বলেন, তাঁদের সঙ্গে হোটেলের মালিকপক্ষের বসার কথা ছিল। কিন্তু বসেনি। তাঁদের এখন দুই লাখ টাকা দিতে হবে। হোটেলে টাকা নেই জানালে তাঁরা সিসি ক্যামেরা ও ইন্টারনেটের কেব্ল ছিঁড়ে ফেলে চারজনকে দোতলায় নিয়ে আটকে রাখে। এরপর নিচতলায় হোটেলের জিনিসপত্র তছনছ করে।
তৌকির আহমেদ রনি আরও বলেন, হোটেলে নগদ টাকা ছিল না। তাই তারা ছোট কিছু জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। ওই সময় একজনের ফোন থেকে কৌশলে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। দ্রুত ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ করেন তাঁরা। এর এক ঘণ্টা পর বোয়ালিয়া থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। অথচ বোয়ালিয়া থানা থেকে হোটেলে আসতে পাঁচ মিনিটও লাগার কথা নয়। পুলিশ আসতে দেরি করার কারণে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা নির্বিঘ্নেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
হোটেলমালিকের ভাতিজা রোকন সরকার বলেন, ‘পাঁচ-ছয়জন হোটেলে এসেছিল। আমরা দুজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের একজন রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফামিম ও রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদল নেতা নাফি।’
এ ঘটনায় ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত কি না জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি বলেন, ‘ওরা এখন কেউ ছাত্রদল নয়। ওরা সাবেক। ঘটনাটা কী ঘটেছে আমরাও জানার চেষ্টা করছি।’
মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ কোনো অপকর্ম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ডাকাতি দাবি করলেও এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা করেননি হোটেলমালিকের ভাতিজা রোকন সরকার। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘হোটেলের মালিক তো নেই। আমি মামলা করে ঝামেলায় পড়তে চাই না। মালিক এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরের বোয়ালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাজেমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে আজ দুপুর পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেননি। টাকাপয়সা কিছু খোয়া গেছে কি না আমরা এখনো জানি না। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
রাজশাহীর একটি আবাসিক হোটেলে চাঁদা না পেয়ে ডাকাতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হোটেলটিতে টাকাপয়সা তেমন না থাকলেও কিছু জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ। আর এ ঘটনার সঙ্গে কয়েকজন সাবেক ছাত্রদল নেতা-কর্মী জড়িত বলে দাবি করা হচ্ছে।
নগরের প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার গণকপাড়া এলাকার হোটেল গ্র্যান্ড আবাসিকে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মুখোশ পরা ৮-১০ জন সশস্ত্র যুবক ওই হোটেলে হানা দেয়। তারা হোটেলের দোতলায় চারজন কর্মচারীকে জিম্মি করে নিচতলায় লুটতরাজ চালায় বলে হোটেল মালিকপক্ষের অভিযোগ। তবে পুলিশ বলছে, এটা ডাকাতি নয়; চাঁদাবাজি হতে পারে।
হোটেলটির মালিকের নাম আবুল বাসার সুজন। তিনি নগরের বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের নেতা। এ ছাড়া তিনি রাজশাহীর তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী তিনি। গত ৫ আগস্টের পর মামলার আসামি হয়ে সুজন আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে হোটেলটি দেখাশোনা করেন তাঁর ভাতিজা রোকন সরকার।
রোকন দাবি করেছেন, রাজশাহী কলেজ ও রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের দুই নেতার নেতৃত্বে ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংগঠনের নামে তাঁরা হোটেলে এসে ৫-১০ হাজার টাকা করে কয়েকবার চাঁদা নিয়ে গেছেন। কয়দিন আগে জুয়েল নামের একজন ফোন দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার রাতে এসে প্রথমে তারা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এত টাকা দিতে পারব না বললে তারা দোতলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে নিচতলার হোটেলে ডাকাতি শুরু করে।’
হোটেলের ব্যবস্থাপক তৌকির আহমেদ রনি বলেন, ঘটনার সময় তাঁরা হোটেলে চারজন ছিলেন। ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা এসে বলেন, তাঁদের সঙ্গে হোটেলের মালিকপক্ষের বসার কথা ছিল। কিন্তু বসেনি। তাঁদের এখন দুই লাখ টাকা দিতে হবে। হোটেলে টাকা নেই জানালে তাঁরা সিসি ক্যামেরা ও ইন্টারনেটের কেব্ল ছিঁড়ে ফেলে চারজনকে দোতলায় নিয়ে আটকে রাখে। এরপর নিচতলায় হোটেলের জিনিসপত্র তছনছ করে।
তৌকির আহমেদ রনি আরও বলেন, হোটেলে নগদ টাকা ছিল না। তাই তারা ছোট কিছু জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। ওই সময় একজনের ফোন থেকে কৌশলে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। দ্রুত ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ করেন তাঁরা। এর এক ঘণ্টা পর বোয়ালিয়া থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। অথচ বোয়ালিয়া থানা থেকে হোটেলে আসতে পাঁচ মিনিটও লাগার কথা নয়। পুলিশ আসতে দেরি করার কারণে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা নির্বিঘ্নেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
হোটেলমালিকের ভাতিজা রোকন সরকার বলেন, ‘পাঁচ-ছয়জন হোটেলে এসেছিল। আমরা দুজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের একজন রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফামিম ও রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদল নেতা নাফি।’
এ ঘটনায় ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত কি না জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি বলেন, ‘ওরা এখন কেউ ছাত্রদল নয়। ওরা সাবেক। ঘটনাটা কী ঘটেছে আমরাও জানার চেষ্টা করছি।’
মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ কোনো অপকর্ম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ডাকাতি দাবি করলেও এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা করেননি হোটেলমালিকের ভাতিজা রোকন সরকার। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘হোটেলের মালিক তো নেই। আমি মামলা করে ঝামেলায় পড়তে চাই না। মালিক এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরের বোয়ালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাজেমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে আজ দুপুর পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেননি। টাকাপয়সা কিছু খোয়া গেছে কি না আমরা এখনো জানি না। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মিষ্টির দোকানে এক ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার জাফলংয়ের মামার বাজার মন্দিরসংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর নাম রাজীব সরকার (৩০)। তিনি নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার জয়কৃষ্ণ সরকারের ছেলে।
২৩ মিনিট আগেরাজধানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মানববন্ধন থেকে তাঁরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
২৫ মিনিট আগেসুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে দাবি না মানা পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমি ভবনের ফটকে তালা দিয়ে রক্তাক্ত প্রতীকী অ্যাপ্রোন ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
৩৩ মিনিট আগেদিনাজপুরের বীরগঞ্জে এক যুবক তাঁর স্ত্রীকে খোলা তালাক দিয়ে ১০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় এক বছরের স্বামী–স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ থেকে মুক্তি পাওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল করেছেন বলে দাবি আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সোহাগ ইসলামের।
৩৫ মিনিট আগে