Ajker Patrika

রাবিতে ছাত্রলীগ ২ নেতার কক্ষে পাওয়া পিস্তল ও ফেনসিডিল গায়েব, হয়নি মামলাও 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৪, ১১: ২৬
রাবিতে ছাত্রলীগ ২ নেতার কক্ষে পাওয়া পিস্তল ও ফেনসিডিল গায়েব, হয়নি মামলাও 

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অভিযান পরিচালনাকালে ছাত্রলীগের দুই নেতার কক্ষ থেকে পিস্তল ও ফেনসিডিল পান। উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলো পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিতে অপেক্ষা করেন শিক্ষার্থী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। কিন্তু কেউ সেগুলো উদ্ধার করেনি। পরবর্তীতে এগুলো কে নিয়ে গেছে তা কেউ বলতে পারছে না। পুলিশ এগুলো পায়নি বলে দাবি করায় এ নিয়ে কোনো মামলা হয়নি। 

গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিবের কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এর আগেই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছাত্রলীগের এ দুই নেতাসহ অন্যরা ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান। 

শিক্ষার্থীরা সেদিন বঙ্গবন্ধু হলে থাকা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বেশ কিছু মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন। এরপর ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুর চালান। এ সময় সভাপতির কক্ষে দুটি বিদেশি পিস্তল, রামদা ও বিদেশি মদের বোতল দেখা গেছে। আর সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে ফেনসিডিলের ২০ থেকে ২৫টি বোতল দেখা যায়। এর ছবি এবং ভিডিও সেদিন ছড়িয়ে পড়ে। 

সেদিন আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, পিস্তল ও ফেনসিডিলের বোতল থাকার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়। তারা এগুলো পুলিশ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু প্রায় দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কেউ যায়নি। পরে সেখানে উপস্থিত হন গোয়েন্দারা। তাঁদের এই অস্ত্র ও ফেনসিডিলের বোতল দেখে রাখতে বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওই হল থেকে বেরিয়ে যান। পরে অস্ত্র ও ফেনসিডিলের বোতলগুলো কে নিয়ে গেছে তা এখনো জানতে পারেনি কেউ। 

সেদিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার পরেও কিছু সময় অস্ত্র ও ফেনসিডিলের বোতল দেখে রেখেছিলেন নগর পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্য সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শুধু আমি না, দুটি পিস্তল এবং কিছু ফেনসিডিলের বোতল সবাই দেখেছে। আমরা অনেক সময় অপেক্ষা করেছিলাম যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা পুলিশ এলে এগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও কেউ আসেননি। আমরাও ওখানে নিরাপদ ছিলাম না। তাই আর অপেক্ষা না করে ফেনসিডিলের বোতল ও পিস্তল যেভাবে ছিল ওইভাবে রেখেই চলে এসেছিলাম।’ 

ওই পিস্তল দুটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার না করার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে থাকা রাবির একাধিক শিক্ষার্থী। তাঁরা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির কক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার পরেও নিরাপত্তাবাহিনী তা উদ্ধার না করা উদ্বেগজনক। কারণ তাঁরা এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন বলে অনেকেই তাদের ওপর রুষ্ট। এ অবস্থায় ওই আগ্নেয়াস্ত্র পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দমনে ব্যবহার করা হবে না, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি বঙ্গবন্ধু হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শায়খুল ইসলাম মামুন জিহাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক সোমবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ওই হলে অভিযান চালাই। কিন্তু তখন সেখানে কোনো পিস্তল পাওয়া যায়নি। কিছু দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে, তা আমরা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছি।’ 

শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে দুই ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ থেকে পাওয়া পিস্তল। ছবি: আজকের পত্রিকানগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোবারক পারভেজ বলেন, ‘আমরা কোনো পিস্তল কিংবা ফেনসিডিলের বোতল পাইনি। এগুলো পেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি মামলা হতো।’ ওই পিস্তল ও ফেনসিডিলের বোতল কে নিয়ে গেল তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আদৌ কোনো পিস্তল কিংবা ফেনসিডিলের বোতল কোথাও ছিল কি না সেটাও আমরা জানি না।’ 

ওসি জানান, সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে হামলার ঘটনায় এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় ২৭টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এ মামলায় কোনো ফেনসিডিলের বোতল বা পিস্তলের কথা কোথাও উল্লেখ নেই। 

কক্ষে অস্ত্র থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, এগুলো তার নয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রথম দফায় হামলার সময় এই পিস্তল দুটি তাঁর কক্ষে রেখে আসেন। দ্বিতীয় দফায় হামলার সময় সেগুলো সাংবাদিকদের ডেকে দেখান। কক্ষে ফেনসিডিলের বোতল থাকার বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল গালিব এখনো মুখ খোলেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুর সাফারি পার্কে উগান্ডার জাতীয় পাখির ছানার জন্ম

প্রতিনিধি, শ্রীপুর
সাফারি পার্কে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির ছানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাফারি পার্কে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির ছানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো উগান্ডার জাতীয় পাখি গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেনের ছানার জন্ম হলো। গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্কের ক্রাউন ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে ছানাটির জন্ম হয়েছে।

জানা গেছে, পার্কে এক জোড়া গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন আছে। এর আগে এরা ডিম দিলেও ছানা হয়নি। এবারই প্রথম ডিম ফুটে ছানার জন্ম হলো। কিছু দিন আগে ছানাটির জন্ম হয়। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ঝোপের আড়ালে এটিকে রেখে যত্ন নিচ্ছে। চলতি সপ্তাতে স্ত্রী ও পুরুষ পাখি আর ছানাটির একত্রে বিচরণ বেড়েছে। এখনো স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানাকে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে। ছানাকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখছে এই পাখির জুটি।

পার্ক সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একটি ডিম পাড়ে। এরপর আরও দুটি ডিম পাড়ে। এরপর পার্ক কর্তৃপক্ষ এদের বিষয়ে আলাদা নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ায়। পার্কে ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে এক কোণে স্ত্রী পাখি ডিমে তা দিতে থাকে। স্ত্রী পাখি খাবার খেতে গেলে পুরুষ পাখিও ডিমে তা দেয়। পালা করেই স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ডিমে তা দিতে থাকে। তবে তিনটি ডিমের মধ্যে একটি ছানার জন্ম হয়।

পার্কের ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে দায়িত্ব পালনকারী কর্মী সোহাগ হাসান জানান, সারা দিন অ্যাভিয়ারির ঘন জঙ্গলের ভেতরেই স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানা নিয়ে লুকিয়ে থাকে। তবে দুপুরের দিকে পাখি দুটি বাচ্চা নিয়ে অল্প সময়ের জন্য আশপাশে বিচরণ করে। এ সময় স্ত্রী ও পুরুষ পাখির মাঝখানে হাঁটতে দেখা যায় ছানাটিকে।

সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি আফ্রিকার দেশ উগান্ডার জাতীয় পাখি। এটি সাফারি পার্কে ২০১৩ সালের দিকে আনা হয়েছিল। এরপর বেশ কয়েকবার ডিম পাড়লেও বাচ্চা টিকেনি। তিনি দাবি করেন, এবারই প্রথম দেশে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির ছানা হলো। উন্মক্ত পরিবেশে এই পাখি ২০ বছর বাঁচলেও আবদ্ধ পরিবেশে ২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচার রেকর্ড আছে। তিন বছর বয়সে এরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। এরপর তারা সঙ্গী বাছাই করে। গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একবার জুটি বাঁধলে সারাজীবন একসঙ্গে থাকে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মো. তারেক রহমান বলেন, ‘সাফারি পার্কে প্রথমবার গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একটি বাচ্চা ফুটিয়েছে। আশা করি, বাচ্চাটি সারভাইভ করবে। এই পাখির জুটি আরও সুখবর দেবে বলে আমি আশাবাদী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল সাত্তার মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার এ রায় দেন। রায়ের সময় দুই আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন মিরাজ মৃধা (পলাতক), সাঈদ মৃধা, মনিরুল শেখ, আশরাফুল শেখ, আশরাফ শেখ, আছাদ শেখ, দিলু মৃধা, তোফাজ্জেল ওরফে তোফা, মাহাতাব শেখ, ঠান্ডা মৃধা (পলাতক)।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ জুন পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জাগিরমালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল সাত্তার মৃধাকে পারিবারিক কলহের জেরে ঈদের দিন সকালে গলা কেটে হত্যা করেন তাঁর ভাই-ভাতিজারা। পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার স্থলে শেখ হাসিনার নাম বলা সেই বিএনপি নেতাকে শোকজ

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়া। ছবি: সংগৃহীত
মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়া। ছবি: সংগৃহীত

৭ই নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামের স্থলে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা’ বলে ফেলা তিতাস উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারী মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার ও সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাকে এ নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশে মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, গত ৭ নভেম্বর তিতাস উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় আপনি বক্তৃতার মাঝে ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার’ স্থলে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা’ বলেছেন। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আপনার এ বক্তব্যে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এবং দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দাখিল করবেন। ব্যর্থতায় আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশের ক্ষতি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না: চট্টগ্রামে নৌ উপদেষ্টা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আজ চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বন্দর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বেশির ভাগ বন্দর বেসরকারি অপারেটররা পরিচালনা করে, আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? তাই আমরাও এগিয়ে যেতে চাই।’

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘আমি এখানে আছি, মরব এখানেই। দেশের ক্ষতি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ পায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চর কনটেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা ৫৬ হাজার টিইইউএস থেকে ১০ হাজার বেড়ে ৬৬ হাজারে উন্নীত হবে। যারা বিজনেস করে তাদের জন্য লালদিয়ার চর টার্মিনাল বড় সুযোগ। ১০ হাজার কনটেইনার রাখার ক্যাপাসিটি বাড়বে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৪ একর জমিতে নির্মিত লালদিয়ার চর টার্মিনালে রয়েছে ১ হাজার ৫০০ ট্রাক রাখার ব্যবস্থা। এ ছাড়া ৮ একর জায়গায় হেভি লিফট কার্গো জেটির ব্যাকআপ ও ১০ একর জায়গায় এপিএম টার্মিনাল এলাকা তৈরি করা হয়েছে।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বে-টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল, তালতলা কনটেইনার ইয়ার্ড (ইস্ট কলোনিসংলগ্ন) উদ্বোধন করেন এবং এক্সওয়াই শেড ও কাস্টমস অকশন শেড পরিদর্শন করেন।

বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ ও পোর্ট চার্জেসসংক্রান্ত সভায় তাঁর অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবে। ১৯৮৪ সালে ট্যারিফ নির্ধারিত হয়েছিল–এখন সময় এসেছে তা হালনাগাদ করার। ব্যবসায়ীরা আয় করছে ১ হাজার টাকা, বন্দর পাচ্ছে ৫০০ টাকা। আমরা জনবল দিয়ে বন্দর চালাচ্ছি, তাই ট্যারিফ সংস্কার প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত