Ajker Patrika

রাবিতে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দিল ছাত্রলীগ নেতা

রাবি প্রতিনিধি
রাবিতে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দিল ছাত্রলীগ নেতা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা এ কে ফজলুল হক হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে সিট ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জিনিসপত্রসহ তাঁকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আকিব জাভেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ এবং শের-ই বাংলা হলের ১২৯ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রাতুল। তিনি শের-ই বাংলা হল ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু অনুসারী বলে জানা গেছে। 

ভুক্তভোগী ও হল সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারির প্রথম দিকে আবাসিকতার জন্য আবেদন নেয় হল প্রশাসন। তারপর মৌখিক পরীক্ষা হয় ফেব্রুয়ারিতে। মার্চের প্রথমে হল প্রাধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে ১২৯ নম্বর কক্ষে ওঠেন আকিব। ওই বেডে ২০১৫-১৬ সেশনের আশিক মাহমুদ নামে একজন শিক্ষার্থী ছিলেন। আকিব তাঁর সঙ্গে বিছানা ভাগাভাগি করে থাকতে শুরু করেন। গত ৮ এপ্রিল আশিক চলে গেলে আকিব ওই সিটে ওঠেন। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আকিব বলছে, ‘ডাবলিং করে থাকার সময়ও ছাত্রলীগ নেতা রাতুল এসে আমাকে হুমকি দিয়েছিল। সর্বশেষ গতকাল রাতে এসে আমাকে সিট নেমে যেতে বলে এবং সকাল নয়টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়।’ 

আকিব অভিযোগ করে বলেন, সকাল নয়টার দিকে রাতুলের নেতৃত্বে সাত-আটজন এসে তাঁর জিনিসপত্র রুম থেকে বের করে দেয়। সেখানে কমল নামে একজন অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে তুলে দিয়েছেন। 

অভিযোগের বিষয়ে শের-ই বাংলা হল ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রাতুল বলছে, ‘১২৯ নম্বর কক্ষে আমার এক বন্ধু থাকত। তাঁর সাথে কথা ছিল, সে চলে যাওয়ার সময় আমাকে সিট টা দিয়ে যাবে। আমার এক ছোট ভাই সেখানে তাঁর জিনিসপত্র রেখে আসছিল। কিন্তু ওই বন্ধু আমাকে না জানিয়ে চলে গেছে। পরে গতকাল রাতে গিয়ে দেখি আকিব নামে এক ছেলে ওই সিটে থাকছে।’ 

রাতুল আরও বলেন, ‘প্রাধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে কথা বলে আকিবের জন্য অন্য একটা কক্ষে সিটের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু ওই ছেলে এখন ওই কক্ষে যেতে যাচ্ছে না।’

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আকিব বলছে, ‘প্রাধ্যক্ষ স্যার আমাকে ডেকেছিলেন। তিনি আমাকে একটা পরিত্যক্ত কক্ষে সিট দিতে চেয়েছেন। কিন্তু আমি এই সিটেই থাকতে চাই। কারণ গত কয়েক দিনে আমি সিটের মেরামত করেছি। নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি।’ 

আবাসিক শিক্ষার্থীর জিনিসপত্র রুম থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে হল সভাপতি রাতুল বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী আমার ছোট ভাইয়ের বেড ফেলে দিয়েছিল। তাই ওর বেড সরিয়ে ওই ছোট ভাইয়ে বেড বিছানো হয়েছে।’ 

এদিকে বিছানাপত্র ফেলে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আকিব বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনো বিছানাপত্র ছিল না। আমি বিগত এক মাস ধরে এখানে থাকছি।’ 

সার্বিক বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ মো. হবিবুর রহমান বলেন, ওই কক্ষে সিনিয়র যে শিক্ষার্থী ছিলেন, তিনি নিয়ম অনুযায়ী হল ছাড়ার সময় হল প্রশাসনকে জানায়নি। আকিবও ওই বেডে ওঠার সময় জানাননি। তবে আকিব ওই কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁকে অন্য একটি কক্ষে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। 

তবে জিনিসপত্র বের করে দেওয়ায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘এই ঘটনা কীভাবে ঘটল আমরা হল প্রশাসন বসে বিষয়টি খোঁজ নেব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল পুনর্বিন্যাস আনছে ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলে

জাপায় নতুন মোড়: আনিসুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বহিষ্কৃতদের পুনর্বহাল

গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে কক্সবাজার ভ্রমণ: ৫ নেতাকে শোকজ করল এনসিপি

‘বাবার অসুস্থতায় পরামর্শ নিতে’ চিকিৎসকের বাসায় নারী, দুজনকে পুলিশে দিল স্থানীয়রা

১৪৬ যাত্রী নিয়ে ব্যাংককের পথে এক ঘণ্টা উড়ে মিয়ানমার থেকে ফিরে এল বিমানের সেই ফ্লাইট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত