রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহী ছাড়ার আগে ৬ কর্মচারীর নিয়োগ সম্পন্ন করলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল জলিল। তড়িঘড়ি করে সম্প্রতি ডিসি কার্যালয়ের একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। ডিসি আবদুল জলিলের বদলির আদেশ হওয়ার পর অস্বাভাবিক গতিতে এই প্রক্রিয়া শেষ করে চতুর্থ শ্রেণির ৬ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডিসির কার্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজনেরাই এসব চাকরি পেয়ে গতকাল রোববার যোগদান করেছেন।
ডিসি আবদুল জলিল রাজশাহীতে দুই বছরের বেশি সময় থেকে তাঁর কার্যালয়ে মোট ১২২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর বদলির আদেশের পর শেষ ধাপে যে ৬ জন নিয়োগ পেয়েছেন তারা হলেন অফিস সহায়ক পদে রিপন হোসেন, ফাইম আহম্মেদ, আবদুর রোহান ও আলী আহাম্মেদ; নিরাপত্তা প্রহরী পদে মো. শাহ আলম এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে অজয় কুমার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাকরি পাওয়া রিপন হোসেনের ডাকনাম শামীম। তিনি ডিসি আবদুল জলিলের সহধর্মিণীর গাড়িচালক ছিলেন। ফাইম ডিসির বাংলোর নাজির নূর আহমেদ টিপুর ভাতিজা। আলী আহাম্মেদ ডিসির কার্যালয়ের ভি.পি শাখার অফিস সহকারী মো. মনজুরের ভাতিজা। আর অজয় কুমার ডিসির কার্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী শম্ভু নাথের ছেলে। চাকরি পাওয়া শাহ আলম ও আবদুর রোহানের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এ তিনটি পদের এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছিল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। এরপর গত ১২ মার্চ ডিসি আবদুল জলিলের বদলির আদেশ হয়। তাঁর জায়গায় নাটোরের ডিসি শামীম আহম্মেদকে পদায়ন করা হয়। এই বদলির আদেশ হওয়ার পরে নিয়োগ প্রক্রিয়াটা শেষ করতে তড়িঘড়ি শুরু হয়। আবেদনের সময় শেষ হওয়ার পরে মাত্র ৮দিনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়।
এদিকে বদলির আদেশ হওয়ার পরও ডিসি আবদুল জলিল নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেন রোববার (২ এপ্রিল) পর্যন্ত। এদিনই যোগদান করেন নতুন নিয়োগ পাওয়া ৬ কর্মচারী। পরদিন আজ সোমবার ডিসি আবদুল জলিল অফিস করেননি। কাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) তাঁর রাজশাহী থেকে চলে যাওয়ার কথা আছে।
ডিসির কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ৪ জন অফিস সহায়ক এবং একজন করে নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ৪ জন অফিস সহায়কের পদের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ৬৫১ জন। এছাড়া একজন নিরাপত্তা প্রহরীর জন্য ৪৫ জন ও একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদের জন্য ১৭ জন আবেদন করেন। এদের মধ্যে অফিস সহায়ক পদের ৫২১ জন, নিরাপত্তা প্রহরীর ৩৪ জন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ১৪ জন পরীক্ষায় বসেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পান অফিস সহায়ক পদের মাত্র ২০ জন এবং অন্য দুই পদের প্রতিটিতে ৫ জন করে। মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের পর তিন পদে ৬ জনকে এসএ শাখায় নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিন পদে মোট ৬ জন লোকবল নিয়োগের আবেদনের শেষ তারিখ ছিল গত ১৬ মার্চ। এরপর ১৭ ও ১৮ মার্চ শুক্র ও শনিবার হওয়ার কারণে ছুটি ছিল। পরদিন ১৯ মার্চ অর্থাৎ আবেদনের তারিখ শেষ হওয়ার ঠিক পরের কার্যদিবসেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ডাকযোগে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়। এতে পরীক্ষার তারিখ উল্লেখ করা হয় ২৪ মার্চ। সেদিন লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। ডিসির বিদায় বেলায় তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়। ডিসি আবদুল জলিল যেদিন শেষ অফিস করেন, সেদিনই নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগ দেন। অভিযোগ উঠেছে, এই নিয়োগে মেধার মূল্যায়ন হয়নি। ডিসির বিদায় বেলায় অনিয়ম করে তাঁর কার্যালয়ের কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজনদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও নিয়োগ কমিটির সমন্বয়ক মুহাম্মদ শরিফুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদায়ী জেলা প্রশাসক রাজশাহীর জন্য অনেক কিছু করেছেন। তিনি স্বচ্ছভাবেই সব নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেছেন। শেষধাপে নিয়োগপ্রাপ্তরা কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজন এবং ডিসির সহধর্মিণীর গাড়িচালক, এ নিয়ে জানতে চাইলে শরিফুল হক বলেন, ‘কে কার আত্মীয় সেটা আমি জানি না।’
এই নিয়োগ নিয়ে বিদায়ী ডিসি আবদুল জলিলের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে সম্প্রতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তড়িঘড়ি এবং বদলির আদেশের পরও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনেক আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল। আমার পরে যে ডিসি আসবেন, তাঁকে পেইন দিতে চাই না। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়াটা শেষ করছি।’
রাজশাহী ছাড়ার আগে ৬ কর্মচারীর নিয়োগ সম্পন্ন করলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল জলিল। তড়িঘড়ি করে সম্প্রতি ডিসি কার্যালয়ের একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। ডিসি আবদুল জলিলের বদলির আদেশ হওয়ার পর অস্বাভাবিক গতিতে এই প্রক্রিয়া শেষ করে চতুর্থ শ্রেণির ৬ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডিসির কার্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজনেরাই এসব চাকরি পেয়ে গতকাল রোববার যোগদান করেছেন।
ডিসি আবদুল জলিল রাজশাহীতে দুই বছরের বেশি সময় থেকে তাঁর কার্যালয়ে মোট ১২২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর বদলির আদেশের পর শেষ ধাপে যে ৬ জন নিয়োগ পেয়েছেন তারা হলেন অফিস সহায়ক পদে রিপন হোসেন, ফাইম আহম্মেদ, আবদুর রোহান ও আলী আহাম্মেদ; নিরাপত্তা প্রহরী পদে মো. শাহ আলম এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে অজয় কুমার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাকরি পাওয়া রিপন হোসেনের ডাকনাম শামীম। তিনি ডিসি আবদুল জলিলের সহধর্মিণীর গাড়িচালক ছিলেন। ফাইম ডিসির বাংলোর নাজির নূর আহমেদ টিপুর ভাতিজা। আলী আহাম্মেদ ডিসির কার্যালয়ের ভি.পি শাখার অফিস সহকারী মো. মনজুরের ভাতিজা। আর অজয় কুমার ডিসির কার্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী শম্ভু নাথের ছেলে। চাকরি পাওয়া শাহ আলম ও আবদুর রোহানের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এ তিনটি পদের এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছিল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। এরপর গত ১২ মার্চ ডিসি আবদুল জলিলের বদলির আদেশ হয়। তাঁর জায়গায় নাটোরের ডিসি শামীম আহম্মেদকে পদায়ন করা হয়। এই বদলির আদেশ হওয়ার পরে নিয়োগ প্রক্রিয়াটা শেষ করতে তড়িঘড়ি শুরু হয়। আবেদনের সময় শেষ হওয়ার পরে মাত্র ৮দিনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়।
এদিকে বদলির আদেশ হওয়ার পরও ডিসি আবদুল জলিল নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেন রোববার (২ এপ্রিল) পর্যন্ত। এদিনই যোগদান করেন নতুন নিয়োগ পাওয়া ৬ কর্মচারী। পরদিন আজ সোমবার ডিসি আবদুল জলিল অফিস করেননি। কাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) তাঁর রাজশাহী থেকে চলে যাওয়ার কথা আছে।
ডিসির কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ৪ জন অফিস সহায়ক এবং একজন করে নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ৪ জন অফিস সহায়কের পদের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ৬৫১ জন। এছাড়া একজন নিরাপত্তা প্রহরীর জন্য ৪৫ জন ও একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদের জন্য ১৭ জন আবেদন করেন। এদের মধ্যে অফিস সহায়ক পদের ৫২১ জন, নিরাপত্তা প্রহরীর ৩৪ জন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ১৪ জন পরীক্ষায় বসেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পান অফিস সহায়ক পদের মাত্র ২০ জন এবং অন্য দুই পদের প্রতিটিতে ৫ জন করে। মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের পর তিন পদে ৬ জনকে এসএ শাখায় নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিন পদে মোট ৬ জন লোকবল নিয়োগের আবেদনের শেষ তারিখ ছিল গত ১৬ মার্চ। এরপর ১৭ ও ১৮ মার্চ শুক্র ও শনিবার হওয়ার কারণে ছুটি ছিল। পরদিন ১৯ মার্চ অর্থাৎ আবেদনের তারিখ শেষ হওয়ার ঠিক পরের কার্যদিবসেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ডাকযোগে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়। এতে পরীক্ষার তারিখ উল্লেখ করা হয় ২৪ মার্চ। সেদিন লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। ডিসির বিদায় বেলায় তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়। ডিসি আবদুল জলিল যেদিন শেষ অফিস করেন, সেদিনই নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগ দেন। অভিযোগ উঠেছে, এই নিয়োগে মেধার মূল্যায়ন হয়নি। ডিসির বিদায় বেলায় অনিয়ম করে তাঁর কার্যালয়ের কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজনদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও নিয়োগ কমিটির সমন্বয়ক মুহাম্মদ শরিফুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদায়ী জেলা প্রশাসক রাজশাহীর জন্য অনেক কিছু করেছেন। তিনি স্বচ্ছভাবেই সব নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেছেন। শেষধাপে নিয়োগপ্রাপ্তরা কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজন এবং ডিসির সহধর্মিণীর গাড়িচালক, এ নিয়ে জানতে চাইলে শরিফুল হক বলেন, ‘কে কার আত্মীয় সেটা আমি জানি না।’
এই নিয়োগ নিয়ে বিদায়ী ডিসি আবদুল জলিলের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে সম্প্রতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তড়িঘড়ি এবং বদলির আদেশের পরও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনেক আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল। আমার পরে যে ডিসি আসবেন, তাঁকে পেইন দিতে চাই না। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়াটা শেষ করছি।’
নাছির উদ্দীন বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশে যেখানে ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে, সেখানে মুরাদনগরে দমন-পীড়নের রাজনীতি চলছে। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী জেলে নেই, অথচ বিএনপি ও ছাত্রদলের ১৩ জন নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে বন্দী। এটা প্রমাণ করে, আসিফ মাহমুদ তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী মুরাদনগরকে
২০ মিনিট আগেরংপুরের পীরগাছার ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি থেকে একটি একনলা বন্দুক ও পাঁচটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে ওই জমিদার বাড়ির পরিত্যক্ত কাচারি ঘর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেঅধ্যক্ষ আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল রাজনৈতিক প্রভাবে নিয়োগ। তিনি তার চেয়েও জ্যেষ্ঠ ও যোগ্য শিক্ষকদের ডিঙিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষের পদ লাভ করেন। এ ছাড়া, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা এবং পিকনিকের জন্য নেওয়া টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
১ ঘণ্টা আগেএ সময় ‘বিচার নিয়ে নয়ছয় আর নয়, আর নয়’, ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনিদের ফাঁসি দে’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনিদের ক্ষমা নাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে