Ajker Patrika

পরীক্ষায় ‘পাস’, তবুও চালু হচ্ছে না নৌ–রুট

  • ৫৯ বছর পর এই নৌ-রুট চালুর উদ্যোগ নেওয়ার পর পাঁচটি নৌযানে পণ্য আনা-নেওয়াও হয়
  • নৌ শুল্ক স্টেশনের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে এসে দুটি সমস্যার কথা জানিয়েছেন এনবিআর সদস্য
  • এনবিআরের অর্থনৈতিক কোড সৃষ্টি না হওয়ার কারণে এই নৌ-রুট পুরোপুরি চালু হচ্ছে না
 রিমন রহমান, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে পর্যন্ত রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ও ভারতের মুর্শিদাবাদের ময়া পর্যন্ত পদ্মা নদীতে চালু ছিল একটি নৌ-রুট। ৫৯ বছর পর নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় আবার এই নৌ-রুট চালুর উদ্যোগ নেয় বিগত সরকার। পরীক্ষামূলক পাঁচটি নৌযানে পণ্য আনা-নেওয়াও করা হয়। সেই পরীক্ষায় ‘পাস’ করলেও এরপর আর কোনো কিছুরই অগ্রগতি হয়নি।

এতে হতাশ রাজশাহী অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। শুধু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অর্থনৈতিক কোড সৃষ্টি না হওয়ার কারণে এ নৌ-রুট পুরোপুরি চালু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ সমস্যার সমাধানে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে সম্প্রতি বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য কাজী মোস্তাফিজুর রহমান নৌ শুল্ক স্টেশনের সম্ভাব্যতা যাচাই করে গেছেন। তিনি এসে দুটি সমস্যার কথা জানিয়েছেন।

রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, এনবিআর সদস্য নিজেও এই নৌ-রুট পুরোপুরি চালু করতে আগ্রহী। কিন্তু তিনি দুটি সমস্যার কথা বলেছেন। এর একটি হলো এখানে অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ যে একটা ঘর বানিয়েছে, সেটা আসলে পোর্টের কাজে ব্যবহার হওয়ার মতো ঘর নয়। এটার উন্নয়ন দরকার, সীমানাপ্রাচীর দরকার। আর এখানে নিরাপত্তার সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের সদস্য।

নৌপথে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ নদীর পাড় থেকে ভারতের ময়ার দূরত্ব ২০ কিলোমিটারের কম। এ পথে ভারত থেকে পণ্য আনা-নেওয়া করলে খরচ অনেক কমবে। এখন এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর ব্যবহার করে থাকেন। নৌপথে এলে স্থলবন্দরের চেয়ে ৭৫ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনাও অনেক কমে যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘গত ১২ ফেব্রুয়ারি এই নৌপথের উদ্বোধনের পর এনবিআর পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচটি লাইটার জাহাজ পরিচালনার অনুমতি দেয়। তখন ভারত থেকে চারটি নৌযানে পাথর আমদানি করা হয়। আর বাংলাদেশ থেকে প্রথম দিনই একটি নৌযানে যায় গার্মেন্টস পণ্য। গত জুন পর্যন্ত এসব কার্যক্রম চলে। এতে এনবিআর ৮ লাখ ১৪ হাজার ৮০৩ টাকা রাজস্ব পায়। এনবিআর বলেছে, পরীক্ষামূলক অপারেশনে নৌ-রুট পাস করেছে; কিন্তু এত দিন পরও পুরোপুরি নৌ-রুটটি চালু করার অনুমতি না পেয়ে তাঁরা কিছুটা হতাশ।

এনবিআরের সদস্য কাজী মোস্তাফিজুর রহমান সুলতানগঞ্জ ঘাট পরিদর্শনে এলে তাঁর সঙ্গে মাসুদুর রহমান রিংকু ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আব্দুল আওয়াল এবং সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একজন সদস্যও। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা দিতে তাঁরা এই শুল্ক স্টেশনে সব সময় এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য রাখতে চান। এই জনবল তাঁদের আছে। তবে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে শুধু একটা অনুমোদন নিতে হবে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা এনবিআর সদস্যকে বলেছেন, ভারতের মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘি থানার ধুলিয়ান ময়াঘাট এবং গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত নদীপথে পণ্য পরিবহনে খরচ কমবে। তাঁরা ভারত থেকে পণ্য এনে সুলতানগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে ডিউটি পরিশোধের পর ওই নৌযানেই পণ্য নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবেন। এতে সড়কপথের ওপর চাপ কমবে, খরচও কমবে। এনবিআর বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের পণ্য ভারতে পাঠানোর অনুমোদন দিলেও ভারত শুধু কয়লা ও পাথর আমদানির সুযোগ দিয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা এ সীমাবদ্ধতা উঠিয়ে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন এনবিআর সদস্যের কাছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘সুলতানগঞ্জে ডিউটি পরিশোধের পর আমরা ওই লাইটার জাহাজেই নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত পণ্য নিয়ে যেতে পারব। এতে কোনো সমস্যাও হবে না। কারণ, বিআইডব্লিউটিএর তালিকাভুক্ত কোনো লাইটার জাহাজ ছাড়া অন্য নৌযানে পণ্য আনা-নেওয়া করা যাবে না। এটি চালু হলে দুই দেশের পাশাপাশি লাভবান হবেন ব্যবসায়ীরাও।’

জানতে চাইলে এনবিআর সদস্য কাজী মোস্তাফিজুর বলেন, ‘সুলতানগঞ্জ নৌ শুল্ক স্টেশন চালুর আগে অবকাঠামো নির্মাণ এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এখানে কিছু কাজ করার আছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয়ে এটি করতে হবে। আমিও চাই সংকটগুলো দ্রুত কাটিয়ে এ নৌ-রুটটি চালু হোক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার

বাগেরহাট প্রতিনিধি
স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন। এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুটুলসহ রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রের পুকুরটি শহরের জন্য নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। পুকুরের পূর্ব পাশে পুরোনো শিল্পকলা, পশ্চিমে পুরোনো জেলখানা জামে মসজিদ, দক্ষিণে স্বাধীনতা উদ্যান এবং উত্তরে শহীদ মিনার। তিন পাশে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে।

ছয় বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। অথচ একসময় জেলখানা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা এবং আশপাশের হোটেলগুলোয় এই পুকুরের স্বচ্ছ পানি ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘদিন পর হলেও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা শুকুর আলী বলেন, ‘পুকুরটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন। এই পুকুর থেকেই আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যা থাকলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।’

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি বলেন, ‘সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন। ধারণা করছি, বিকেল নাগাদ পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার সম্পন্ন হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে শহরের সকল জলাশয়ের পানি যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’ সেই সঙ্গে হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশ পরিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে এক বাসায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৪

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সোনারগাঁওয়ের পাটাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, আলাউদ্দিন (৩৫), তাঁর দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)।

দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, তাঁর মা, ভাই ও ভাইয়ের দুই মেয়ে ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকে। ভোরে তাঁর ভাই আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যায়। এ সময় তাদের রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁর ভাই রুমে ঢুকতেই আগুনে ঝলসে যায়। এ সময় ঘরে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়। পরে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।

সালমা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সকালে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় গ্যাসের চুলার আগুন থেকে ৪ জন দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। এদের মধ্যে আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, শিফার ১২ শতাংশ, শিমলার ৩০ শতাংশ ও জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। চারজনকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাগুরায় পেট্রলবোমা হামলায় দুই সরকারি অফিসে অগ্নিকাণ্ড

মাগুরা প্রতিনিধি 
মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা আক্তার বলেন, রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা অফিসের পেছনের জানালা ভেঙে ভেতরে পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে নিচতলায় থাকা কম্পিউটার, আসবাবসহ জমি-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও নথিপত্র পুড়ে যায়।

অন্যদিকে শহরের ইসলামপুর পাড়ার সাবরেজিস্ট্রার অফিসেও একইভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাবরেজিস্ট্রার শুভ্রা রানী দাস বলেন, পেট্রলবোমায় রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে দলিল লেখকদের ঘর এবং নিচতলা পুড়ে গেছে। এতে জমি-সংক্রান্ত দলিল, প্রয়োজনীয় নথি ও দলিল লেখকদের কাগজপত্র ছাই হয়ে গেছে।

মাগুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার মো. আলিম মোল্লা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পরপর দুটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎টঙ্গীতে ছিনতাকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

‎নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করতেন।

‎‎থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছেন।

‎‎স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিদ্দিকুর রহমান ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরি করতেন। শনিবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। সিদ্দিকুর বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ওপর বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

‎ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ‎‎টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত