Ajker Patrika

এবার মেয়র হতে চান শাটারিং মিস্ত্রি শামা

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬: ০৩
এবার মেয়র হতে চান শাটারিং মিস্ত্রি শামা

রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৮ এপ্রিল। এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন আবু শামা নামের এক শাটারিং মিস্ত্রি। আবু শামা ও তাঁর ভাই শরীয়ত আলী সৈকতের বিরুদ্ধে জমি দখল, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বোমাবাজিসহ নানা অভিযোগ আছে। 

এ নিয়ে গত বছরের ৩ অক্টোবর আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘দুই ভাইয়ে তটস্থ কাটাখালীর সবাই’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। আবু শামা কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর তাঁর ভাই শরীয়ত সহসভাপতি। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে আবু শামা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তবে তা হয়নি। তাঁকে লড়তে হচ্ছে নারকেলগাছ প্রতীক নিয়ে। 

আবু শামা মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ায় উদ্বিগ্ন কাটাখালীর অনেকেই। আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহী পাটকলের সামনের একটি চায়ের দোকানে এ নিয়েই আলাপ করছিলেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। বরকত আলী নামের এক ব্যক্তি বললেন, ‘শামা পড়াশোনা জানেন না। দলের প্রভাব খাঁটিয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হয়েছেন। এখন মেয়র হতে চান।’ 

পুলিশ জানিয়েছে, আবু শামার বিরুদ্ধে কাটাখালী ও মতিহার থানায় চারটি মামলা রয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মামলাগুলো হয়েছে। সবশেষ ২০২০ সালে কাটাখালী থানার মামলাটি হয়েছিল বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে। শামার ভাই শরীয়তের বিরুদ্ধেও কাটাখালী থানায় তিনটি ও মতিহার থানায় একটি মামলা আছে। তাঁর বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক আইনের মামলা চলমান। 

দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আনারকে কুপিয়ে হত্যারও অভিযোগ আছে। এ নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। ২০১৯ সালে নজরুল ইসলাম নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে গুলি করেন শরীয়ত। এ ঘটনারও মামলা আছে। 

স্থানীয়রা বলছে, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন ২০২২ সালের ২১ মার্চ শাটারিং মিস্ত্রি আবু শামাকে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি করেন। আর পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ভাই শরীয়তকে সহসভাপতি করেন শামা। শরীয়ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। দলে পদ পেয়ে দুই ভাই কাটাখালী এলাকায় রামরাজত্ব শুরু করেন। নিরীহ মানুষের জমি দখল, ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আটকে রেখে চাঁদা আদায়, মাছের আড়ত থেকে টাকা তোলাসহ নানা অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। প্রভাব খাঁটিয়ে পৌরসভার বালুমহালও নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন শরীয়ত। 

সর্বশেষ গত বছরের ৩ নভেম্বর আবু শামা অটোরিকশা থেকে নামিয়ে তাইজুল ইসলাম নামের এক কলেজছাত্রকে তাঁর কার্যালয়ে আটকে রাখেন। এরপর তাইজুলের বাবাকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তাইজুলের বাবা আবদুল হালিম ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তাঁকেও আটকে রাখা হয়। মারধর করা হয় বাবা-ছেলেকে। এ নিয়ে পরদিন আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘এবার আবু শামার শিকার বাবা-ছেলে’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে সেদিন বাবা-ছেলে মুক্তি পেলেও ভয়ে তাঁরা মামলা করতে পারেননি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আয়েন উদ্দিনের জায়গায় দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছেন আসাদুজ্জামান আসাদ। নির্বাচনের পর আবু শামা এমপি আসাদের কাছে ভিড়ে গেছেন, তবে সুবিধা করতে পারেননি। বর্তমান এমপি তাঁর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সায় দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় মেয়র হয়ে নিজের প্রভাব ধরে রাখতে মরিয়া আবু শামা। প্রচার চলাকালে তিনি নানা রকম আপত্তিকর কথাবার্তা বলছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন। 

মেয়র হতে আওয়ামী লীগের এই নেতা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গেও আপস করে বসেছিলেন। এই নির্বাচনে মোট আটজন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময় শেষেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৮ এপ্রিল প্রার্থিতা পান রাবেয়া সুলতানা মিতু। তাই আওয়ামী লীগ নেতা আবু শামা, জামায়াত নেতা আমীর আবদুল হাই, সাবেক শিবির নেতা মিজানুর রহমান, বিএনপির কর্মী জিয়াউর রহমানসহ অন্য সাত প্রার্থী সেদিনই রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যান। 

তাঁরা দাবি করেন, মিতুকে প্রার্থিতা দেওয়া যাবে না। তাঁরা সাত প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। একজনকে যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করে দেওয়া হয়। 

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, এটি সম্ভব নয়। এ সময় আবু সামা রিটার্নিং কর্মকর্তা আজাদুল হেলালের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিকের সামনেই এ ঘটনা ঘটান তিনি। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা চান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। পরে অবশ্য এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

বিষয়টি জানতে চাইলে আবু শামা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো মিথ্যা। তিনি কোনো চাঁদাবাজি, জমি দখলের সঙ্গেও জড়িত নন। 

অন্যদিকে শামার ভাই শরীয়ত আলী বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট চাকরি করি। পাশাপাশি বালুঘাটে শেয়ার নিয়েছি। ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাসাবাড়ির কাজ করি। এটাই আমাদের আয়ের উৎস। চাঁদাবাজি ও জমি দখলের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজছাত্র নিহত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
কলেজছাত্রের মৃত্যুতে রেললাইনে লোকজন জড়ো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কলেজছাত্রের মৃত্যুতে রেললাইনে লোকজন জড়ো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে সাকিল আহম্মেদ ফয়সাল (১৯) নামের এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে চরপাথালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সাকিল উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রবাসী কামাল শেখের ছেলে। এ বছর গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন তিনি।

মৃতের ভাই রাসেদ জানান, প্রতিদিন সকালে নামাজের পর সাকিল হাঁটাহাঁটি করে। আজ রেললাইন ধরে হাঁটার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় সে।

বোড়াশী রেলস্ট্রেশন ম্যানেজার রত্না বৈদ্য জানান, সদর উপজেলার গোবরা থেকে রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ছাত্র নিহত হয়।

রেল পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

থানায় জব্দ মোটরসাইকেল বাইরে বিক্রির চেষ্টা: পুলিশের দাবি চুরি

নীলফামারী প্রতিনিধি
পুলিশের জব্দ করা মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের জব্দ করা মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় জব্দ একটি মোটরসাইকেল বাইরে বিক্রির চেষ্টার ঘটনায় মামলার পর উঠেছে নানা প্রশ্ন। পুলিশ বলছে, মোটরসাইকেলটি থানার মালখানা থেকে চুরি হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ—দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় থানার সম্পত্তি রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মণ নিজে বাদী হয়ে গত বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, মোটরসাইকেলটি এক সপ্তাহ আগে থানায় ‘বড়খানার রাতে’ চুরি হয়। তবে মামলার বিবরণে মোটরসাইকেল উদ্ধারের বিষয়টি স্পষ্ট করে লেখা হয়নি। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

জানা গেছে, গত ২৯ মে রাতে সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজপাড়ায় ফারুক হোসেন ও তাঁর স্ত্রী মুক্তা বানুর বাড়িতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য, নগদ অর্থ, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে। পরে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়। ঘটনার পাঁচ মাস পর গত বুধবার রাতে ওই জব্দ মোটরসাইকেলটি থানার বাইরে বিক্রির চেষ্টা করে একটি চক্র।

মাদক মামলায় আটক মুক্তা বানুর ভাই আতিক হাসান বলেন, ‘বুধবার রাতে একজন জানায়, থানার প্রায় চার কিলোমিটার দূরে মতির মোড়ে আমাদের মোটরসাইকেল বিক্রির চেষ্টা চলছে। আমি গিয়ে কাগজপত্র মিলিয়ে দেখি, সেটি আমার বোনজামাইয়ের। কৌশলে নিজেই কেনার কথা বলে চক্রের সদস্য শাহিন হোসেনকে (২৬) বাড়িতে ডেকে আনি। বিষয়টি টের পেয়ে সে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়।’

সৈয়দপুরের স্থানীয় বাসিন্দা এহতেশামুল হক সানি বলেন, যে মোটরসাইকেল থানার মালখানায় থাকার কথা, সেটি বাইরে বিক্রির সময় ধরা পড়েছে—এটা প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক। যদি সত্যিই চুরি হয়, তাহলে থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে কি না, সে প্রশ্নও রয়েছে।

জানতে চাইলে এসআই হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘১৫ অক্টোবর রাতে থানায় বড়খানার আয়োজন করা হয়েছিল। সে সময় ডেকোরেটর ও বাইরের লোকজনের যাতায়াত ছিল। পরদিন সকালে দেখি, রেজিস্ট্রারে থাকা ১৩৫ সিসির রেজিস্ট্রেশনবিহীন নেভি ব্লু রঙের মোটরসাইকেলটি নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে জিডি করেছি।’

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চুরির সাত দিন পর মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। ডেকোরেটরের কয়েকজন লোক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করছি। সেদিন থানার সিসি ক্যামেরা ত্রুটির কারণে বন্ধ ছিল। চোরদের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে, তবে তারা আত্মগোপনে থাকায় গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোরের দুঃখ ঘোচাতে ভবদহের ৫ নদ-নদী খনন প্রকল্পের কাজ শুরু

­যশোর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় আজ শুক্রবার দুপুরে ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে নদ-নদী পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় আজ শুক্রবার দুপুরে ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে নদ-নদী পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের দুঃখ হিসেবে পরিচিত ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচটি নদ-নদীর ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে অভয়নগর উপজেলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এই অঞ্চলের জন্য আরও একটি প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকার ভবদহ অঞ্চলের মানুষের জলাবদ্ধতার দুঃখ দূর করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সংকটটি অনেক গভীর। তাই কয়েকটি সমন্বিত প্রকল্পের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছি। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নদ-নদীর ৮১ কিলোমিটার খননের মাধ্যমে এই অঞ্চলের পানি সরিয়ে ফেলা হবে। এতে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের বিষয়টিও ভাবনায় রয়েছে। সবাই মিলেই সেই দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।’

পানি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণের দাবিকে গুরুত্ব দিয়েই নদী খননের কাজে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। খুব দ্রুত ভবদহ এলাকার আরও একটি প্রকল্প অনুমোদনের চেষ্টা চলছে।’

নদ-নদী পুনঃখনন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও তদারকির আশ্বাস দেন প্রকল্পে নিযুক্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামুন উর রশিদ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার বিশ্বাস, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।

ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

যশোর জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অভয়নগর উপজেলা, মনিরামপুর, কেশবপুর, ডুমুরিয়া ও খুলনার ফুলতলার কিছু অংশ নিয়ে ভবদহের অবস্থান। চার দশক ধরে এখানকার ৩৩০ কিলোমিটার এলাকার তিন লাখ মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছেন। এসব এলাকার বাসিন্দারা জলাবদ্ধতার কারণে ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না। বসবাসেও ভোগান্তিতে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাংবাদিক পরিচয়ে ঘরে ঢুকে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে খুলশীতে সাংবাদিক পরিচয়ে একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে ডাকাতি করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরের কোতোয়ালি, বায়েজিদ ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আব্দুল মতিন রাসেল (৩৫), আশরাফুল ইসলাম সাহেদ (২৯), মো. মমিন (২৮), শারমিন আক্তার রিমা (৩০), নুর মোহাম্মদ সাব্বির রকি (২২), রুবেল হোসেন (৩১) ও মো. ফয়সাল।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর-দক্ষিণ) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ১০ অক্টোবর দুপুর সোয়া ১২টায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ১০ থেকে ১২ জন খুলশী আবাসিকে একটি চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর ওই বাসায় থাকা তিনজন নারীকে ধারালো ছোরা দিয়ে জিম্মি করে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ডাকাতি করে। তাঁরা বাসার সোনার গয়না, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ও ভবনের নিচে পার্কিংয়ে রাখা একটি প্রাইভেট কারও নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন খুলশী থানায় একটি মামলা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাটির ছায়া তদন্তে নেমে অভিযান চালিয়ে প্রথমে সাহেদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পতেঙ্গা এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে লুট করা প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত