Ajker Patrika

জামিন পেলেন যুবলীগ নেতা, আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ২১: ১২
ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি চালানো যুবলীগ নেতার জামিনের প্রতিবাদ ও পুনরায় গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজশাহীর আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি চালানো যুবলীগ নেতার জামিনের প্রতিবাদ ও পুনরায় গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজশাহীর আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি চালানো যুবলীগ নেতা বাপ্পি চৌধুরী রনি (৩৬) জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন। তাঁর মুক্তির খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা রনিকে পুনরায় গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ দাবিতে তাঁরা আজ মঙ্গলবার রাজশাহীর আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছেন।

বাপ্পি চৌধুরী রনি নগরের পুলিশ লাইন ভেড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। গত বছরের ৫ আগস্ট নগরের আলুপট্টি এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে তাঁকে প্রকাশ্যে গুলি চালাতে দেখা যায়। সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান দুই আন্দোলনকারী।

এরপর গত বছরের ১২ নভেম্বর ঢাকা থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরদিন তাঁকে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে দুটি হত্যাসহ তিনটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। সেই থেকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।

রনির ব্যাপারে তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন ২ আগস্ট রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে একটি চিঠি দিয়েছেন। এতে তিনি বাপ্পি চৌধুরী রনির স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদের হিসাব জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর অনুরোধ করেন। চিঠিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটাবিরোধী আন্দোলন দমনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে রনির বিরুদ্ধে এ সংস্থায় তদন্ত অব্যাহত আছে। মামলার সুষ্ঠু ও যথাযথ তদন্তের স্বার্থে এবং জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে রনির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা এই চিঠিতে স্বাক্ষর করার দুদিন পর ৪ আগস্ট দুটি হত্যা মামলাসহ মোট তিনটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান রনি। পরে ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় রাজশাহীতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন জুলাইযোদ্ধারা।

আজ মঙ্গলবার জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের রাজশাহী জেলা শাখার পক্ষ থেকে রাজশাহীর আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়। সেখানে বক্তব্য দেন সংগঠনের জেলার আহ্বায়ক রাকিব হোসেন, সদস্যসচিব তামিম মো. তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর মাহাতাব প্রমুখ। তাঁরা বলেন, ‘দাগি আসামির জামিন হলে সেদিকে খোঁজ রাখার কথা গোয়েন্দা সংস্থার। কিন্তু রনির ক্ষেত্রে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন কর্মকর্তা এবং কারা কর্তৃপক্ষ—সবাই বিষয়টি গোপন করে তাঁকে মুক্তি দিয়েছে।’

বক্তারা বলেন, তাঁরা দেশের জন্য আন্দোলনে গিয়েছিলেন। সেই আন্দোলনে এই অস্ত্রধারী রনি গুলি চালিয়েছিলেন। এখন তিনি মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা এখন উৎকণ্ঠায় আছেন। প্রশাসন তাঁদের ঝুঁকিতে ফেলেছে। তাঁদের ওপর যদি আবার আক্রমণ হয় তার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে রনিকে ফের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর দাবি জানান।

জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) গাজিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, যুবলীগ নেতা রনির বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ মোট চারটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা ছিল ২০০৯ সালের। রনি জামিনে বেরিয়ে যাওয়ার খবর তাঁরা পেয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান বলেন, ‘আদালত থেকে জামিনের কাগজপত্র এলে আমরা কাউকে আটকে রাখার ক্ষমতা রাখি না। জামিন পেয়ে সে চলে গেছে।’ নগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ‘রনি কীভাবে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশের কারও অবহেলা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপদ সড়কসহ ৫ দফা দাবিতে ফার্মগেটে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নিরাপদ সড়কের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিরাপদ সড়কের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নিরাপদ সড়কের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন সরকারি বিজ্ঞান কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। দুদিন আগে ফার্মগেট এলাকায় ট্রাকচাপায় সিফাত নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কর্মসূচি। সড়ক অবরোধের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ফার্মগেট মোড়ে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি।’

সিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় ডিসি ইবনে মিজান জানান, ‘ট্রাকচাপায় ফার্মগেটের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

এ সময় শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো—

১. সিফাত হত্যার বিচার এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়ায় প্রশাসনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

২. ফুটপাত দখলমুক্তকরণ: ফুটপাত থেকে সব অবৈধ দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা, অননুমোদিত বাজার ও ভবঘুরে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ।

৩. পার্কিং আইন কার্যকর: নো-পার্কিং জোন কঠোরভাবে ঘোষণা ও বাস্তবায়ন।

৪. যানবাহন নিয়ন্ত্রণ: দুর্ঘটনা ও যানজট এড়াতে রেলক্রসিং থেকে গির্জা পর্যন্ত সড়কে অটোরিকশা, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে।

৫. সড়ক নিরাপত্তা অবকাঠামো উন্নয়ন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে তিনটি স্পিড ব্রেকার, পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট, লেন ডিভাইডার এবং ট্রাফিক আইল্যান্ড স্থাপন।

পুলিশের সঙ্গে আলোচনা সত্ত্বেও দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে দাদিকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে নাতি আটক

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সন্দেশ বেওয়া (৮৫) নামের এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর নাতি সজিব আলীর (২২) বিরুদ্ধে। উল্লাপাড়া উপজেলার চকবরু ভেংড়ী গ্রামে বুধবার গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত সন্দেশ বেওয়া ওই গ্রামের মৃত নওশের আলীর স্ত্রী এবং আটক সজিব আলী তাঁর (বৃদ্ধার) সন্তান আহমদ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুধবার গভীর রাতে সন্দেশ বেওয়ার ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘরে গিয়ে সন্দেশ বেওয়ার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতেই সলঙ্গা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত নাতি সজিব আলীকে আটক করে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আটক যুবক সজিব আলী মাদকাসক্ত এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।

সলঙ্গা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এএসআই হাসিম আরও জানান, আটক সজিব আলীকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সার্কেল কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ২ ধরনের পদে ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৬ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী প্রার্থীরা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ঠিকানায় ডাকযোগের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠাতে পারবেন।

পদের নাম: ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর কাম-দপ্তরি।

পদ সংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা। ফটোকপি মেশিন চালানোর বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন: ৮,৮০০–২১,৩১০ টাকা।

পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান।

পদ সংখ্যা: ১ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হতে সনদপ্রাপ্ত হতে হবে।

বেতন: ৮,৮০০–২১,৩১০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্রের খামের উপর পদের নাম উল্লেখ করে ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, মানিকগঞ্জ’ বরাবরে ডাকযোগে পৌঁছাতে হবে। সরাসরি ও নির্ধারিত তারিখের পরে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

আবেদনের শেষ সময়: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ

গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি
আজ দুপুরে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় কয়েক হাজার শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় কয়েক হাজার শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ‘এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।

কারখানার শ্রমিক মনিরা খাতুন বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতন দেওয়ার তারিখ ছিল ১০ অক্টোবর। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজন দিই-দিচ্ছি করে দিন পার করছে। আজ বেতন পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু আজও বেতন পরিশোধ করার কোনো সম্ভবনা নেই। পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।’

আরেক শ্রমিক আরিফুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের পরিবার আছে, স্ত্রী-সন্তান আছে। বাড়িভাড়া ও মুদিদোকানের বকেয়ার জন্য চরম চাপে আছি। পাওনাদারেরা রীতিমতো চাপ দিচ্ছে টাকা পরিশোধ করতে, নয়তো বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। পেটের দায়েই আমরা রাস্তায় এসেছি। লাঠিপেটা হলেও আমরা টাকা চাই।’

এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, ‘এক মাসের বেতন বকেয়া। আজ পরিশোধের তারিখ ছিল; কিন্তু আজও সম্ভব হচ্ছে না। বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকেরা কাজ ফেলে মহাসড়কে চলে গেছে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কয়েকটি তারিখ দিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পরিশোধের জন্য আজ সর্বশেষ তারিখ ছিল। কিন্তু আজও বেতন পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। এ জন্য সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকেরা কিছুতেই সড়ক ছাড়ছেন না। এ সময় টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত