রিমন রহমান, রাজশাহী

এমবিবিএস শেষে ইন্টার্নশিপ করছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। অথচ যে উদ্যোগ ও উদ্যম তিনি দেখিয়েছেন, তা স্বাভাবিকভাবে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। শীর্ষ শ্রেয়ান নামের এ তরুণ চিকিৎসক দাতা সংস্থার সহায়তায় স্ট্রোক ও হৃদ্রোগীদের জন্য সংগ্রহ করেছেন ১৭ কোটি টাকার ওষুধ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিমত, ইন্টার্ন চিকিৎসক হয়েও উদ্যোগের দিক দিয়ে শীর্ষ সবার শীর্ষে। এ হাসপাতালের আর কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক কখনো এটি করে দেখাতে পারেননি। ইন্টার্ন চিকিৎসক শীর্ষ শ্রেয়ানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। বাবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাই তাঁর বেড়ে ওঠা সাভারে। শীর্ষ রামেকে ভর্তি হন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে। জুলাইয়ে এমবিবিএস শেষ করে এখন ইন্টার্নশিপ করছেন।
শীর্ষের কারণে রামেক হাসপাতাল গত সোমবার (২৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা থেকে আড়াই হাজার ভায়াল অ্যাল্টেপ্লেস পেয়েছে। অ্যাল্টেপ্লেস হলো একটি থ্রোমবোলাইটিক ওষুধ, যা সাধারণত স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ফলে রক্তনালিতে জমাট বেঁধে যাওয়া রক্ত মুক্ত করতে ইনজেকশন আকারে ব্যবহার করা হয়। এটি রক্তের মধ্যে জমে থাকা থ্রম্বাস বা ব্লক দূর করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতেও সাহায্য করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আড়াই হাজার ভায়াল অ্যাল্টেপ্লেস বিনা মূল্যে পেয়েছে; যার দাম প্রায় ১৭ কোটি টাকা।
চিকিৎসকেরা জানান, বাংলাদেশে শুধু একটি কোম্পানি এই ওষুধ বাজারজাত করে। ৫০ মিলিগ্রামের ইনজেকশন ও ইনফিউশনের প্রতি ভায়ালের দাম পড়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। রোগীর ওজন ৬০ কেজির বেশি হলে প্রয়োজন পড়ে দুই ভায়াল। স্ট্রোকের রোগীদের রক্ত জমাট বেঁধে গেলে সাড়ে ৪ ঘণ্টা ও হৃদ্রোগীদের সাড়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রয়োগ করতে হয়। দরিদ্র অনেক রোগীরই দামি এই ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই।
কীভাবে পাওয়া গেল: স্ট্রোক প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও তা নিয়ে গবেষণা করে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএসও)। এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় শীর্ষ শ্রেয়ান তাদের একটি গবেষণা দলের সঙ্গে যুক্ত হন। ওই গবেষণা প্রকল্পে গবেষণা সহকারী ছিলেন শীর্ষ। পরে গবেষণাপত্রটি জার্নালে প্রকাশিত হয়। এটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে সেরা গবেষণা নির্বাচিত হয়।
এটি দেখে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ডিরেক্ট রিলিফের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক গর্ডন উইলকক অস্ট্রেলিয়া থেকে গত মার্চে শীর্ষকে ই-মেইল করেন। এতে জানানো হয়, তারা রামেক হাসপাতালকে অ্যাল্টেপ্লেস অনুদান দিতে চান। সেটি নেওয়া, সংরক্ষণ করা ও রোগীদের প্রয়োগের মতো সক্ষমতা এ হাসপাতালের আছে কি না। ইন্টার্ন চিকিৎসক শীর্ষ তখন বিষয়টি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক আজিজুল হক আযাদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরে গর্ডন উইলককের সঙ্গে তাঁরা ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।
অধ্যাপক আজিজুল হক আযাদ আলাপকালে গর্ডন উইলকককে জানান, এই ওষুধ শুধু স্ট্রোকের রোগীদের জন্য দেওয়া হলে তাঁদের নিয়ে লাভ হবে না। কারণ, অধিকাংশ স্ট্রোকের রোগী সাড়ে ৪ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে আসেন। তাঁদের ক্ষেত্রে ওষুধটা ব্যবহার করা যাবে না। হৃদ্রোগীদের ক্ষেত্রে সাড়ে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। যদি স্ট্রোক ও হৃদ্রোগী—উভয়কে ওষুধটি প্রয়োগ করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা সেগুলো নেবেন। কয়েক দিন পর গর্ডন উইলকক এতে রাজি হয়ে ওষুধগুলো সরবরাহ করতে চান। এরপর ডিরেক্ট রিলিফের সঙ্গে রামেক হাসপাতালের চুক্তি হয়। গর্ডন উইলকক প্রথমে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে ই-মেইলে, সেটি রামেক হাসপাতালে পাঠান। সেটি প্রিন্ট করে হাসপাতালের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ। এরপর আবার চুক্তিপত্রটি স্ক্যান করে গর্ডন উইলককের কাছে পাঠানো হয়।
জটিলতা দেখা দেয় বিমানবন্দরের শুল্কছাড় ও ঢাকা থেকে রাজশাহীতে ওষুধ আনা নিয়ে। আজিজুল হক আযাদ অনুরোধ করেন, সবকিছুই যেন করা হয় ডিরেক্ট রিলিফের পক্ষ থেকে। গর্ডন উইলকক তাতে সাড়া দেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই ২০ আগস্ট এই ওষুধ ঢাকায় আসে। এরপর একটি ফ্রোজেন ভ্যানে করে ২৫ আগস্ট ওষুধ আসে রাজশাহী। আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) থেকে বিনা মূল্যে রোগীদের এই ইনজেকশন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
শীর্ষকে নিয়ে গর্বিত সবাই: রোগীদের জন্য শীর্ষ শ্রেয়ানের এমন ভূমিকায় খুশি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফয়সাল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি। এর আগে শিক্ষকেরা অনেক ফান্ড বাইরে থেকে এনেছেন, কিন্তু আমার জানামতে কোনো শিক্ষার্থী পারেনি। এটা শীর্ষ করে দেখিয়েছে। এটা অভাবনীয়। আমি তাকে নিয়ে গর্বিত। আমি আশা করব, এভাবেই যেন ছাত্ররা ভালো কাজে উৎসাহিত হয়। রোগীদের জন্য, মানুষের জন্য অবদান রাখে।’
শীর্ষ শ্রেয়ানের মেন্টর অধ্যাপক আজিজুল হক আযাদ বলেন, ‘শীর্ষ যখন আমাকে বিষয়টা জানাল, তখন থেকে আমিও বিষয়টা নিয়ে খুব উৎসাহী ছিলাম। আমরা রোগীদের জন্য এটা করতে চেয়েছিলাম। এটা যে রোগীরা একেবারে বিনা মূল্যে পাচ্ছেন। অথচ অনেক দামি বলে অনেকেই কিনতে পারেন না। তারপরও এই ওষুধ একেবারেই অরিজিনাল। অনেক ভালো। আমরা সত্যিই শীর্ষকে নিয়ে গর্বিত। এটা অন্যদের উৎসাহিত করবে।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ জানালেন, আজ থেকে এই ওষুধ রোগীদের বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। খবর নিয়ে জেনেছেন, বিকেল পর্যন্ত ৭০টি ভায়াল ব্যবহার হয়েছে। তিনি বলেন, এ কৃতিত্ব শীর্ষর। সে অত্যন্ত মেধাবী।
ওষুধগুলো আনতে পেরে খুশি শীর্ষও। সময়মতো এই ওষুধ রোগীদের প্রয়োগ করতে চান তিনি। তাই স্ট্রোক কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে আসার তাগিদ দিলেন। বললেন, ‘এখন ভালো লাগা কাজ করছে। সবচেয়ে ভালো লাগবে, যদি রোগীরা দ্রুত হাসপাতালে আসেন। কারণ, রোগীদের মাঝে দ্রুত হাসপাতালে আসার প্রবণতা কম। যদি কেউ দেখেন, এক পাশের হাত-পা অবশ হয়ে গেছে, মুখ বেঁকে গেছে, চোখের পাতা পড়ে গেছে কিংবা কথা অস্পষ্ট হয়ে গেছে, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে আসুন।’

এমবিবিএস শেষে ইন্টার্নশিপ করছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। অথচ যে উদ্যোগ ও উদ্যম তিনি দেখিয়েছেন, তা স্বাভাবিকভাবে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। শীর্ষ শ্রেয়ান নামের এ তরুণ চিকিৎসক দাতা সংস্থার সহায়তায় স্ট্রোক ও হৃদ্রোগীদের জন্য সংগ্রহ করেছেন ১৭ কোটি টাকার ওষুধ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিমত, ইন্টার্ন চিকিৎসক হয়েও উদ্যোগের দিক দিয়ে শীর্ষ সবার শীর্ষে। এ হাসপাতালের আর কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক কখনো এটি করে দেখাতে পারেননি। ইন্টার্ন চিকিৎসক শীর্ষ শ্রেয়ানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। বাবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাই তাঁর বেড়ে ওঠা সাভারে। শীর্ষ রামেকে ভর্তি হন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে। জুলাইয়ে এমবিবিএস শেষ করে এখন ইন্টার্নশিপ করছেন।
শীর্ষের কারণে রামেক হাসপাতাল গত সোমবার (২৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা থেকে আড়াই হাজার ভায়াল অ্যাল্টেপ্লেস পেয়েছে। অ্যাল্টেপ্লেস হলো একটি থ্রোমবোলাইটিক ওষুধ, যা সাধারণত স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ফলে রক্তনালিতে জমাট বেঁধে যাওয়া রক্ত মুক্ত করতে ইনজেকশন আকারে ব্যবহার করা হয়। এটি রক্তের মধ্যে জমে থাকা থ্রম্বাস বা ব্লক দূর করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতেও সাহায্য করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আড়াই হাজার ভায়াল অ্যাল্টেপ্লেস বিনা মূল্যে পেয়েছে; যার দাম প্রায় ১৭ কোটি টাকা।
চিকিৎসকেরা জানান, বাংলাদেশে শুধু একটি কোম্পানি এই ওষুধ বাজারজাত করে। ৫০ মিলিগ্রামের ইনজেকশন ও ইনফিউশনের প্রতি ভায়ালের দাম পড়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। রোগীর ওজন ৬০ কেজির বেশি হলে প্রয়োজন পড়ে দুই ভায়াল। স্ট্রোকের রোগীদের রক্ত জমাট বেঁধে গেলে সাড়ে ৪ ঘণ্টা ও হৃদ্রোগীদের সাড়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রয়োগ করতে হয়। দরিদ্র অনেক রোগীরই দামি এই ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই।
কীভাবে পাওয়া গেল: স্ট্রোক প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও তা নিয়ে গবেষণা করে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএসও)। এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় শীর্ষ শ্রেয়ান তাদের একটি গবেষণা দলের সঙ্গে যুক্ত হন। ওই গবেষণা প্রকল্পে গবেষণা সহকারী ছিলেন শীর্ষ। পরে গবেষণাপত্রটি জার্নালে প্রকাশিত হয়। এটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে সেরা গবেষণা নির্বাচিত হয়।
এটি দেখে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ডিরেক্ট রিলিফের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক গর্ডন উইলকক অস্ট্রেলিয়া থেকে গত মার্চে শীর্ষকে ই-মেইল করেন। এতে জানানো হয়, তারা রামেক হাসপাতালকে অ্যাল্টেপ্লেস অনুদান দিতে চান। সেটি নেওয়া, সংরক্ষণ করা ও রোগীদের প্রয়োগের মতো সক্ষমতা এ হাসপাতালের আছে কি না। ইন্টার্ন চিকিৎসক শীর্ষ তখন বিষয়টি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক আজিজুল হক আযাদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরে গর্ডন উইলককের সঙ্গে তাঁরা ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।
অধ্যাপক আজিজুল হক আযাদ আলাপকালে গর্ডন উইলকককে জানান, এই ওষুধ শুধু স্ট্রোকের রোগীদের জন্য দেওয়া হলে তাঁদের নিয়ে লাভ হবে না। কারণ, অধিকাংশ স্ট্রোকের রোগী সাড়ে ৪ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে আসেন। তাঁদের ক্ষেত্রে ওষুধটা ব্যবহার করা যাবে না। হৃদ্রোগীদের ক্ষেত্রে সাড়ে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। যদি স্ট্রোক ও হৃদ্রোগী—উভয়কে ওষুধটি প্রয়োগ করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা সেগুলো নেবেন। কয়েক দিন পর গর্ডন উইলকক এতে রাজি হয়ে ওষুধগুলো সরবরাহ করতে চান। এরপর ডিরেক্ট রিলিফের সঙ্গে রামেক হাসপাতালের চুক্তি হয়। গর্ডন উইলকক প্রথমে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে ই-মেইলে, সেটি রামেক হাসপাতালে পাঠান। সেটি প্রিন্ট করে হাসপাতালের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ। এরপর আবার চুক্তিপত্রটি স্ক্যান করে গর্ডন উইলককের কাছে পাঠানো হয়।
জটিলতা দেখা দেয় বিমানবন্দরের শুল্কছাড় ও ঢাকা থেকে রাজশাহীতে ওষুধ আনা নিয়ে। আজিজুল হক আযাদ অনুরোধ করেন, সবকিছুই যেন করা হয় ডিরেক্ট রিলিফের পক্ষ থেকে। গর্ডন উইলকক তাতে সাড়া দেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই ২০ আগস্ট এই ওষুধ ঢাকায় আসে। এরপর একটি ফ্রোজেন ভ্যানে করে ২৫ আগস্ট ওষুধ আসে রাজশাহী। আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) থেকে বিনা মূল্যে রোগীদের এই ইনজেকশন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
শীর্ষকে নিয়ে গর্বিত সবাই: রোগীদের জন্য শীর্ষ শ্রেয়ানের এমন ভূমিকায় খুশি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফয়সাল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি। এর আগে শিক্ষকেরা অনেক ফান্ড বাইরে থেকে এনেছেন, কিন্তু আমার জানামতে কোনো শিক্ষার্থী পারেনি। এটা শীর্ষ করে দেখিয়েছে। এটা অভাবনীয়। আমি তাকে নিয়ে গর্বিত। আমি আশা করব, এভাবেই যেন ছাত্ররা ভালো কাজে উৎসাহিত হয়। রোগীদের জন্য, মানুষের জন্য অবদান রাখে।’
শীর্ষ শ্রেয়ানের মেন্টর অধ্যাপক আজিজুল হক আযাদ বলেন, ‘শীর্ষ যখন আমাকে বিষয়টা জানাল, তখন থেকে আমিও বিষয়টা নিয়ে খুব উৎসাহী ছিলাম। আমরা রোগীদের জন্য এটা করতে চেয়েছিলাম। এটা যে রোগীরা একেবারে বিনা মূল্যে পাচ্ছেন। অথচ অনেক দামি বলে অনেকেই কিনতে পারেন না। তারপরও এই ওষুধ একেবারেই অরিজিনাল। অনেক ভালো। আমরা সত্যিই শীর্ষকে নিয়ে গর্বিত। এটা অন্যদের উৎসাহিত করবে।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ জানালেন, আজ থেকে এই ওষুধ রোগীদের বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। খবর নিয়ে জেনেছেন, বিকেল পর্যন্ত ৭০টি ভায়াল ব্যবহার হয়েছে। তিনি বলেন, এ কৃতিত্ব শীর্ষর। সে অত্যন্ত মেধাবী।
ওষুধগুলো আনতে পেরে খুশি শীর্ষও। সময়মতো এই ওষুধ রোগীদের প্রয়োগ করতে চান তিনি। তাই স্ট্রোক কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে আসার তাগিদ দিলেন। বললেন, ‘এখন ভালো লাগা কাজ করছে। সবচেয়ে ভালো লাগবে, যদি রোগীরা দ্রুত হাসপাতালে আসেন। কারণ, রোগীদের মাঝে দ্রুত হাসপাতালে আসার প্রবণতা কম। যদি কেউ দেখেন, এক পাশের হাত-পা অবশ হয়ে গেছে, মুখ বেঁকে গেছে, চোখের পাতা পড়ে গেছে কিংবা কথা অস্পষ্ট হয়ে গেছে, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে আসুন।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
১৮ মিনিট আগে
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এমবিবিএস শেষে ইন্টার্নশিপ করছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। অথচ যে উদ্যোগ ও উদ্যম তিনি দেখিয়েছেন, তা স্বাভাবিকভাবে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। শীর্ষ শ্রেয়ান নামের এ তরুণ চিকিৎসক দাতা সংস্থার সহায়তায় স্ট্রোক ও হৃদ্রোগীদের জন্য সংগ্রহ করেছেন ১৭ কোটি টাকার ওষুধ।
২৭ আগস্ট ২০২৫
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তাঁরা হলেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মো. মিলন।
সেনাবাহিনী জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
উত্তরা আর্মি ক্যাম্প থেকে আজ বুধবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনরত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই স্থানে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে একটি স্প্যানিশ পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তাঁরা হলেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মো. মিলন।
সেনাবাহিনী জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
উত্তরা আর্মি ক্যাম্প থেকে আজ বুধবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনরত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই স্থানে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে একটি স্প্যানিশ পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

এমবিবিএস শেষে ইন্টার্নশিপ করছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। অথচ যে উদ্যোগ ও উদ্যম তিনি দেখিয়েছেন, তা স্বাভাবিকভাবে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। শীর্ষ শ্রেয়ান নামের এ তরুণ চিকিৎসক দাতা সংস্থার সহায়তায় স্ট্রোক ও হৃদ্রোগীদের জন্য সংগ্রহ করেছেন ১৭ কোটি টাকার ওষুধ।
২৭ আগস্ট ২০২৫
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
১৮ মিনিট আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ছিল বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ এবং গত বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে সূর্য ওঠার পর কিছুটা উষ্ণতা ফিরে আসে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও দিনের বেলা তেমন শীত অনুভূত হয় না বললে চলে। তবে সন্ধ্যার পর নেমে আসে শীতের তীব্রতা, আর তা চলতে থাকে পরদিন সকালে সূর্য উঁকি না দেওয়া পর্যন্ত।
সদর উপজেলার ভ্যানচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘ভাই, এই শীতটা একদম সওয়া যায় না। ভোরে ভ্যান লইয়া বের হইলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। কুয়াশার মধ্যে রাস্তা দেখা যায় না ঠিকমতো। বেলা বাড়লে তহন একটু আরাম লাগে, কিন্তু সন্ধ্যার লগে লগে আবার জমাট শীত। কাম-কাজ না করলেও চলে না।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ছিল বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ এবং গত বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে সূর্য ওঠার পর কিছুটা উষ্ণতা ফিরে আসে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও দিনের বেলা তেমন শীত অনুভূত হয় না বললে চলে। তবে সন্ধ্যার পর নেমে আসে শীতের তীব্রতা, আর তা চলতে থাকে পরদিন সকালে সূর্য উঁকি না দেওয়া পর্যন্ত।
সদর উপজেলার ভ্যানচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘ভাই, এই শীতটা একদম সওয়া যায় না। ভোরে ভ্যান লইয়া বের হইলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। কুয়াশার মধ্যে রাস্তা দেখা যায় না ঠিকমতো। বেলা বাড়লে তহন একটু আরাম লাগে, কিন্তু সন্ধ্যার লগে লগে আবার জমাট শীত। কাম-কাজ না করলেও চলে না।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এমবিবিএস শেষে ইন্টার্নশিপ করছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। অথচ যে উদ্যোগ ও উদ্যম তিনি দেখিয়েছেন, তা স্বাভাবিকভাবে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। শীর্ষ শ্রেয়ান নামের এ তরুণ চিকিৎসক দাতা সংস্থার সহায়তায় স্ট্রোক ও হৃদ্রোগীদের জন্য সংগ্রহ করেছেন ১৭ কোটি টাকার ওষুধ।
২৭ আগস্ট ২০২৫
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
১৮ মিনিট আগে
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেবান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১৩ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। পাহাড়ি ছড়া বেয়ে নেমে আসা বন্যার পানির তোড়ে ২০১২ সালে গর্জনিয়া উত্তর বড়বিল-দক্ষিণ বাইশারী সংযোগ সেতুটি ভেঙে যায়। এর পর থেকে কাঠ-বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে দুই ইউনিয়নের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্য এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
বাইশারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জমির বলেন, ‘১৩ বছর ধরে একটি ব্রিজ কীভাবে পড়ে থাকে, তা আমাদের জানা ছিল না। মানুষের জীবন নিয়ে যেন কারও কোনো ভাবনাই নেই!’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউসুফ বলেন, ‘ব্রিজটির দুরবস্থা নিয়ে আমরা বারবার বলেছি, লিখেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ব্রিজ না থাকায় আমাদের কৃষিপণ্য বাজারে নিতে সমস্যা হচ্ছে।’
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে নির্মিত সেতুটি ধসে যাওয়ার পর একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ১৩ বছর ধরে তাঁরা চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে, কিন্তু এটি পুনর্নির্মাণে এলজিইডি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
অন্যদিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজ বলেন, ‘গর্জনিয়া থেকে উৎপাদিত শাকসবজি ও তরিতরকারি বাইশারী বাজারে আনতে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। মাঝেমধ্যে ভাঙা ব্রিজের ওপরের সাঁকো ভেঙে গেলে কয়েক দিনের জন্য আমাদের যাতায়াত বন্ধ থাকে।’

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নুরুল কবির বলেন, ‘দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াতের কী দুর্ভোগ তা আমি জানি। শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। দ্রুত এই ব্রিজ পুনর্নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ আহমদ বলেন, ‘অনেকবার বিভিন্ন কর্মকর্তা এসে দেখে গেছেন। সাংবাদিকেরা লেখালেখি করেছেন, কিন্তু ফল হয়নি।’
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম বলেন, ‘ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বান্দরবান জেলা পরিষদে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি।’
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজটি ঠিক কোন উপজেলার আওতাধীন তা নিশ্চিত নই। যে উপজেলার অধীনে পড়বে, তাদেরই কাজটি করতে হবে। যদি নাইক্ষ্যংছড়ির অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে আমরা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দায়িত্বের প্রশ্নে প্রশাসনের গাফিলতি চলছে। ফলে বছরের পর বছর অবহেলায় পড়ে আছে সেতুটি; আর মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই উপজেলা প্রশাসন বসে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এটি পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১৩ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। পাহাড়ি ছড়া বেয়ে নেমে আসা বন্যার পানির তোড়ে ২০১২ সালে গর্জনিয়া উত্তর বড়বিল-দক্ষিণ বাইশারী সংযোগ সেতুটি ভেঙে যায়। এর পর থেকে কাঠ-বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে দুই ইউনিয়নের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্য এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
বাইশারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জমির বলেন, ‘১৩ বছর ধরে একটি ব্রিজ কীভাবে পড়ে থাকে, তা আমাদের জানা ছিল না। মানুষের জীবন নিয়ে যেন কারও কোনো ভাবনাই নেই!’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউসুফ বলেন, ‘ব্রিজটির দুরবস্থা নিয়ে আমরা বারবার বলেছি, লিখেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ব্রিজ না থাকায় আমাদের কৃষিপণ্য বাজারে নিতে সমস্যা হচ্ছে।’
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে নির্মিত সেতুটি ধসে যাওয়ার পর একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ১৩ বছর ধরে তাঁরা চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে, কিন্তু এটি পুনর্নির্মাণে এলজিইডি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
অন্যদিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজ বলেন, ‘গর্জনিয়া থেকে উৎপাদিত শাকসবজি ও তরিতরকারি বাইশারী বাজারে আনতে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। মাঝেমধ্যে ভাঙা ব্রিজের ওপরের সাঁকো ভেঙে গেলে কয়েক দিনের জন্য আমাদের যাতায়াত বন্ধ থাকে।’

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নুরুল কবির বলেন, ‘দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াতের কী দুর্ভোগ তা আমি জানি। শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। দ্রুত এই ব্রিজ পুনর্নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ আহমদ বলেন, ‘অনেকবার বিভিন্ন কর্মকর্তা এসে দেখে গেছেন। সাংবাদিকেরা লেখালেখি করেছেন, কিন্তু ফল হয়নি।’
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম বলেন, ‘ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বান্দরবান জেলা পরিষদে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি।’
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজটি ঠিক কোন উপজেলার আওতাধীন তা নিশ্চিত নই। যে উপজেলার অধীনে পড়বে, তাদেরই কাজটি করতে হবে। যদি নাইক্ষ্যংছড়ির অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে আমরা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দায়িত্বের প্রশ্নে প্রশাসনের গাফিলতি চলছে। ফলে বছরের পর বছর অবহেলায় পড়ে আছে সেতুটি; আর মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই উপজেলা প্রশাসন বসে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এটি পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন।

এমবিবিএস শেষে ইন্টার্নশিপ করছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। অথচ যে উদ্যোগ ও উদ্যম তিনি দেখিয়েছেন, তা স্বাভাবিকভাবে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। শীর্ষ শ্রেয়ান নামের এ তরুণ চিকিৎসক দাতা সংস্থার সহায়তায় স্ট্রোক ও হৃদ্রোগীদের জন্য সংগ্রহ করেছেন ১৭ কোটি টাকার ওষুধ।
২৭ আগস্ট ২০২৫
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
১৮ মিনিট আগে
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে