Ajker Patrika

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি নেতার ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, ১৫: ৪৪
Thumbnail image

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলছে দলটি। তবে এই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নাদিম মোস্তফার ভাই সাঈদ হাসান।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আজকের পত্রিকার কাছে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সাঈদ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে। আমি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। নির্বাচন করলে দলীয় বাধা আসবে। আবার নির্বাচনে জনগণের রায়ের প্রতিফলন হবে কি না, সেটিও একটা ব্যাপার। সবকিছু মিলিয়ে আমি ভাবছি। পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’ 

সাঈদ রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী কলেজের ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) ছিলেন তিনি। পরে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি হন। সর্বশেষ ২০১১ সালের দিকে মহানগর বিএনপির যে কমিটিতে মিজানুর রহমান মিনু সভাপতি ও শফিকুল হক মিলন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সেই কমিটির সহসম্পাদক ছিলেন সাঈদ। 

ধনাঢ্য ব্যবসায়ী সাঈদ এখন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম তোলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিনু ও সাঈদ। বিএনপি দুজনকেই মনোনয়ন দেয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দুজনেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে মিনুর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হলে সাঈদ নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। 

সাঈদের ভাই নাদিম এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্যও তিনি। নাদিমের ভাই সাঈদ রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লড়বেন, নগরে এমন আলোচনা কয়েক দিন ধরেই চলছিল। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের একাংশ কৌশলে সাঈদকে প্রার্থী করছে বলেও আলোচনা রয়েছে। 

সাঈদ ছাড়াও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট এবং মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন ছিল। ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বুলবুলের সঙ্গে সেবার দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছিলেন সুইট। তাই তাঁকে ঘিরেও এবার আলোচনা ছিল। যদিও প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন সুইট ও মিলন। তবে স্বীকার করলেন সাঈদ। 
 
সাঈদের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘সাঈদ তো বিএনপির কমিটিতে নেই। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। সাঈদ প্রার্থী হলেও আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা তো ভোটই দিতে যাব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত