নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সেই সঙ্গে তাঁরা বিভিন্ন থানায় হওয়া মামলার আসামি, আওয়ামী লীগের দোসর ও অন্য অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন।
এসব বিষয়ে বিএনপি নেতারা আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে গিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেন। এ সময় রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইটন, নগরের বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানার সাবেক সভাপতি শওকত আলী, শাহমখদুম থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ, মতিহার থানার সাবেক সভাপতি আসনার আলী, বোয়ালিয়া থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, রাজপাড়া থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিগত কয়েক মাসে নগরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। শহরে যৌন হয়রানি বেড়েছে। বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, চাঁদাবাজির পরিমাণ বেড়েছে, কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ ছাড়া জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে হামলাকারীরা ও তাদের পৃষ্ঠপোষকেরা পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারা গ্রেপ্তার হচ্ছে না।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ আচরণ অপরিহার্য। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে পুলিশকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং প্রতিটি মামলার অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলাকারী, চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারী, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে কেউ দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে কাউকে জিম্মি করতে না পারে।
এতে আরও বলা হয়, মাদক কারবারিদের কারণে যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে। রাজশাহীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার ও মাদকের আড্ডায় নিয়মিত অভিযান বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। নগরে অল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক খুনের ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ অভিযুক্ত এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভুগরইল এলাকায় এক যুবদল নেতার বাবাকে ও কাদিরগঞ্জে এক রিকশাচালককে হত্যার ঘটনায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়।
স্মারকলিপিতে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাসায় অগ্নিসংযোগ, গুলি ও লুটপাটের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের নারী ও শিশুরাও হামলার শিকার হন। এ নিয়ে রাজপাড়া থানায় মামলা করা হলেও অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে উল্লেখ করে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার এবং পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পদক্ষেপ কামনা করেন নেতারা। তাঁরা স্মরণ করিয়ে দেন, অপরাধীর কোনো দল নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রত্যেক অপরাধীকেই আইনের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নগরে কিশোর গ্যাং, ইভটিজার ও ছিনতাইকারীদের নতুন তালিকা তৈরি করে সে অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি রাত্রিকালীন পুলিশ টহল বাড়ানো, নিষিদ্ধ সংগঠনের ওপর নজরদারি জোরদার করা, ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেপ্তার এবং কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিগুলো পুনর্গঠন করে কার্যক্রম গতিশীল করার আহ্বান জানান নেতারা।
রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সেই সঙ্গে তাঁরা বিভিন্ন থানায় হওয়া মামলার আসামি, আওয়ামী লীগের দোসর ও অন্য অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন।
এসব বিষয়ে বিএনপি নেতারা আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে গিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেন। এ সময় রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইটন, নগরের বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানার সাবেক সভাপতি শওকত আলী, শাহমখদুম থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ, মতিহার থানার সাবেক সভাপতি আসনার আলী, বোয়ালিয়া থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, রাজপাড়া থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিগত কয়েক মাসে নগরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। শহরে যৌন হয়রানি বেড়েছে। বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, চাঁদাবাজির পরিমাণ বেড়েছে, কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ ছাড়া জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে হামলাকারীরা ও তাদের পৃষ্ঠপোষকেরা পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারা গ্রেপ্তার হচ্ছে না।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ আচরণ অপরিহার্য। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে পুলিশকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং প্রতিটি মামলার অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলাকারী, চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারী, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে কেউ দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে কাউকে জিম্মি করতে না পারে।
এতে আরও বলা হয়, মাদক কারবারিদের কারণে যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে। রাজশাহীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার ও মাদকের আড্ডায় নিয়মিত অভিযান বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। নগরে অল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক খুনের ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ অভিযুক্ত এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভুগরইল এলাকায় এক যুবদল নেতার বাবাকে ও কাদিরগঞ্জে এক রিকশাচালককে হত্যার ঘটনায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়।
স্মারকলিপিতে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাসায় অগ্নিসংযোগ, গুলি ও লুটপাটের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের নারী ও শিশুরাও হামলার শিকার হন। এ নিয়ে রাজপাড়া থানায় মামলা করা হলেও অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে উল্লেখ করে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার এবং পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পদক্ষেপ কামনা করেন নেতারা। তাঁরা স্মরণ করিয়ে দেন, অপরাধীর কোনো দল নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রত্যেক অপরাধীকেই আইনের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নগরে কিশোর গ্যাং, ইভটিজার ও ছিনতাইকারীদের নতুন তালিকা তৈরি করে সে অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি রাত্রিকালীন পুলিশ টহল বাড়ানো, নিষিদ্ধ সংগঠনের ওপর নজরদারি জোরদার করা, ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেপ্তার এবং কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিগুলো পুনর্গঠন করে কার্যক্রম গতিশীল করার আহ্বান জানান নেতারা।
বগুড়ায় আদালতে সঠিক সাক্ষ্য না দেওয়া, সাক্ষ্য দিতে হাজির না হওয়া এবং সরকারি আইন কর্মকর্তাদের দুর্বলতার কারণে গত এক বছরে ৬ শতাধিক মাদক মামলায় প্রায় ১ হাজার আসামি খালাস পেয়েছেন। এর মধ্যে ২২টি মামলায় ৪৪ জন পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি। এ কারণে ৪৪ পুলিশ কর্মকর্তার ...
৪ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের দুলাল হোসেন পেশায় রংমিস্ত্রি। কাজের সন্ধানে তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। জুটেছিল কাজও। তবে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন রাজধানীর উত্তরায় মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এখন ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটেন। তবে যে স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা এসেছিলেন, তা এখন ফিকে...
৪ ঘণ্টা আগে২০২০ সালে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন আবুল বাশার সুজন। এর আগে ছিলেন পশুর হাটের ইজারাদার। অল্প সময়ের মধ্যেই ফারুকের ডান হাত হন। কিছুদিন পর তানোর পৌরসভার মেয়র হওয়ারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সুজন। সেখানে বাড়ি করেন...
৪ ঘণ্টা আগেদরিদ্র পরিবারের সন্তান নুর আলী (৪৭)। করতেন রাজমিস্ত্রির কাজ। জমিজমা তেমন ছিল না, বাবাও ছিলেন দিনমজুর। বাড়ি বলতে ছিল আধা পাকা টিনের ঘর। অথচ ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ব্যক্তি কোটিপতি বনে গেছেন। শুধু তা-ই নয়। আধা পাকা টিনের ঘরের জায়গায় এখন বিশাল তিনতলা আলিশান বাড়ি। যার মূল্য কোটি টাকা।
৪ ঘণ্টা আগে