নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিনের নির্দেশেই দলের রাজশাহীর কাটাখালি পৌরসভার সবগুলো ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। আসন্ন সিটি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে দলের জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে সভা করার কারণে খেপেছেন। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি জানিয়েছেন, ওয়ার্ড কমিটিগুলো বিলুপ্তের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ডের নেতা–কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মো. মানিক।
তিনি বলেন, ‘কোনো কিছু না জানিয়ে কাটাখালী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এমপি আয়েন উদ্দিনের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের দ্বন্দ্বের জেরেই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমপি আয়েন মূলত ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই এমনটি করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে মানিক আরও বলেন, ‘গত ৬ মে সভা করার পর আসাদ কাটাখালী থেকে আসার পরেই আমাদের ওপর নানা ধরনের চাপ আসতে থাকে। এমপি এবং তাঁর লোকজন আসাদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। এ কারণেই এমপি আয়েনের নির্দেশে কাটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সামা এবং সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম রিপন আমাদের নয়টি ওয়ার্ডের কমিটি বিলুপ্ত করেন। এটি দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ।’
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে মানিক বলেন, ‘পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জহুরুল আলম রিপন ছাত্রজীবনে রাজশাহী কলেজে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০০৩-০৪ সালে তিনি বিএনপির রাজনীতি করতেন। ২০১৪ সালে কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে জামায়াত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। তাকেই পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক বানিয়েছেন এমপি আয়েন। বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করেন না পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সম্পাদক। কমিটি গঠনের দেড় বছর অতিবাহিত হলেও সভাপতি এবং সম্পাদক একটি পরিচিতি সভাও করতে পারেননি। সংগঠনবিরোধী তৎপরতার সঙ্গে লিপ্ত থাকার কারণে সংবাদ সম্মেলন থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সামা ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম রিপনের বহিষ্কার দাবি করা হয়।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। গঠনতন্ত্র মেনে দল পরিচালিত হয়। কিন্তু কাটাখালী পৌরসভায় যেটি করা হয়েছে সেটি অন্যায়। এমপি আয়েন ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ কাজ করিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে তোলা অভিযোগ নিয়ে কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জহুরুল আলম রিপন বলেন, ‘আমি রাজশাহী কলেজেই পড়াশোনা করিনি। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রি কলেজে। পরে অনার্স-মাস্টার্স করেছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুতরাং রাজশাহী কলেজে ছাত্রসমাজ করার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। আমি ২০১৪ সালে জেলা জেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলাম। কাজেই ওই সময় নির্বাচনে জামায়াতকে সমর্থন করার অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা। আর আমার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল, সেটি রাজনৈতিক কারণে। আদালতে রায়ের মাধ্যমে আমি বেকসুর খালাস পেয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে কথা হয় রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিলুপ্ত কমিটির নেতারা বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস আলীর লোক। আব্বাস দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর থেকে তারাও আর দলের প্রোগ্রামে আসে না। নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে কার্যক্রম। কমিটির মেয়াদও শেষ। কমিটি গঠন বা বিলুপ্তের সঙ্গে জেলা বা উপজেলার দায়িত্বশীল নেতারা সম্পৃক্ত। ওয়ার্ড কমিটিগুলো বিলুপ্তের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই।’
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিনের নির্দেশেই দলের রাজশাহীর কাটাখালি পৌরসভার সবগুলো ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। আসন্ন সিটি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে দলের জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে সভা করার কারণে খেপেছেন। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি জানিয়েছেন, ওয়ার্ড কমিটিগুলো বিলুপ্তের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ডের নেতা–কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মো. মানিক।
তিনি বলেন, ‘কোনো কিছু না জানিয়ে কাটাখালী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এমপি আয়েন উদ্দিনের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের দ্বন্দ্বের জেরেই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমপি আয়েন মূলত ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই এমনটি করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে মানিক আরও বলেন, ‘গত ৬ মে সভা করার পর আসাদ কাটাখালী থেকে আসার পরেই আমাদের ওপর নানা ধরনের চাপ আসতে থাকে। এমপি এবং তাঁর লোকজন আসাদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। এ কারণেই এমপি আয়েনের নির্দেশে কাটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সামা এবং সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম রিপন আমাদের নয়টি ওয়ার্ডের কমিটি বিলুপ্ত করেন। এটি দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ।’
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে মানিক বলেন, ‘পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জহুরুল আলম রিপন ছাত্রজীবনে রাজশাহী কলেজে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০০৩-০৪ সালে তিনি বিএনপির রাজনীতি করতেন। ২০১৪ সালে কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে জামায়াত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। তাকেই পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক বানিয়েছেন এমপি আয়েন। বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করেন না পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সম্পাদক। কমিটি গঠনের দেড় বছর অতিবাহিত হলেও সভাপতি এবং সম্পাদক একটি পরিচিতি সভাও করতে পারেননি। সংগঠনবিরোধী তৎপরতার সঙ্গে লিপ্ত থাকার কারণে সংবাদ সম্মেলন থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সামা ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম রিপনের বহিষ্কার দাবি করা হয়।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। গঠনতন্ত্র মেনে দল পরিচালিত হয়। কিন্তু কাটাখালী পৌরসভায় যেটি করা হয়েছে সেটি অন্যায়। এমপি আয়েন ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ কাজ করিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে তোলা অভিযোগ নিয়ে কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জহুরুল আলম রিপন বলেন, ‘আমি রাজশাহী কলেজেই পড়াশোনা করিনি। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রি কলেজে। পরে অনার্স-মাস্টার্স করেছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুতরাং রাজশাহী কলেজে ছাত্রসমাজ করার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। আমি ২০১৪ সালে জেলা জেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলাম। কাজেই ওই সময় নির্বাচনে জামায়াতকে সমর্থন করার অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা। আর আমার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল, সেটি রাজনৈতিক কারণে। আদালতে রায়ের মাধ্যমে আমি বেকসুর খালাস পেয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে কথা হয় রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিলুপ্ত কমিটির নেতারা বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস আলীর লোক। আব্বাস দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর থেকে তারাও আর দলের প্রোগ্রামে আসে না। নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে কার্যক্রম। কমিটির মেয়াদও শেষ। কমিটি গঠন বা বিলুপ্তের সঙ্গে জেলা বা উপজেলার দায়িত্বশীল নেতারা সম্পৃক্ত। ওয়ার্ড কমিটিগুলো বিলুপ্তের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই।’
খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে আজ রোববার সকাল ৭টা পর্যন্ত অভিযান চলে।
৬ মিনিট আগেসমন্বিত উদ্যোগে মাত্র ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে রাজধানী ঢাকার বিস্তৃত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যারা ঘামের বিনিময়ে এই শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখেন, তাঁরা আমাদের নীরব নায়ক।
১৪ মিনিট আগেখুলনার রূপসায় একটি ঘর থেকে সুমাইয়া খাতুন জান্নাত (৩০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার আইচগাতীর উত্তর পাড়া এলাকায় প্রবাসী শাওন শেখের বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়। তিনি শাওন শেখের স্ত্রী।
২২ মিনিট আগেজোরেশোরে ঘোষণার পরেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করতে পারেনি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। এতে বিভিন্ন এলাকার মানুষকে দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের দিন রাত ৮টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কথা থাকলেও পরদিন রোববার দুপুর পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণে কাজ করতে দেখা যায় সিটি
১ ঘণ্টা আগে