রিমন রহমান, রাজশাহী

পুরো শহর নিয়ে সংসদীয় আসন রাজশাহী-২। এ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ২০০৮ সাল থেকেই পর পর তিন মেয়াদে ১৪ দলের মনোনয়নে তিনি এখানে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ জন্য নিজ দলের হাতুড়ি প্রতীক বাদ দিয়ে ভোট করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে। এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন। তাঁর দলের নেতারা আশা করছেন, এবারও বাদশাকে ১৪ দলের প্রার্থী করবে আওয়ামী লীগ।
তবে বিভাগীয় এই শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটি শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টিকে দিতে চান না স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহীর মানুষকে বারবার ধোঁকা দিয়েছেন। শহরের যা উন্নয়ন করার তা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বাদশার তেমন অবদানই নেই। নিজ দলের এমপি থাকলে ত্বরান্বিত হতো উন্নয়ন। তাই তাঁরা এবার এ আসনে নিজেদের দল থেকে এমপি প্রার্থী চান।
এবার ফজলে হোসেন বাদশাকে ১৪ দলের প্রার্থী করা হলেও আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ আলাদা প্রার্থী নিয়ে ভোটের মাঠে নামবে—এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন দলটির রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা ও নগর যুবলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি রমজান আলী। তাঁরা এবার নৌকার মাঝি বদলের দাবি তুলেছেন।
কেন এ দাবি
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বলছেন, রাজশাহী শহরে ওয়ার্কার্স পার্টির তিন-চার হাজারের বেশি ভোট নেই। ফজলে হোসেন বাদশা আওয়ামী লীগের ভোটে এমপি হলেও এই দলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের রাজশাহীর শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যও করেন তিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ফজলে হোসেন বাদশা তাঁর ৪৪ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। সেই ইশতেহারের কিছুই পূরণ করতে পারেননি। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে ভূমিকা রাখেননি উন্নয়নে।
গত নির্বাচনের আগে বাদশার প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ছিল ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ডেন্টাল কলেজ স্থাপন, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা, পূর্ণাঙ্গ সংগীত, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি মহাবিদ্যালয় স্থাপন, বিশ্বমানের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা, ভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা, রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, পানি শোধনাগার প্রকল্প বাস্তবায়ন, বস্তিবাসীদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির সরবরাহ নিশ্চিত, বস্তি উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় তাঁদের সুলভে আবাসন সৃষ্টি, পদ্মা নদীকে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক এবং সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা, পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু স্থাপন এবং আধুনিক মানের একটি আর্কাইভ ও জাদুঘর স্থাপন করা।
এর পাশাপাশি বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরকে বিশ্বপরিসরে তুলে ধরা, রাজশাহী বিমানবন্দরটিকে কার্গো ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ সুবিধাসহ আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে উন্নীত করা, রাজশাহী থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বন্দরে বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু, রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন ও বিমান সার্ভিস চালু, ঢাকা-রাজশাহী একাধিক বিরতিহীন ট্রেন চালু, রাজশাহীর সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি জাতীয় মহাসড়ককে ৪ ও ৬ লেনে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। প্রতিশ্রুতি ছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দুই হাজার শয্যায় উন্নীত করার। তিনি হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে থাকলেও তা পারেননি। অন্যান্য প্রতিশ্রুতিগুলোরও কিছুই তিনি পূরণ করতে পারেননি পাঁচ বছরে। তিনি তাঁর ঐচ্ছিক তহবিলের অর্থ স্বজনপ্রীতি করে বরাদ্দ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘ভোটের সময় ফজলে হোসেন বাদশা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু তা বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেননি। এগুলো বাস্তবায়ন করতে হলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা দরকার ছিল। তিনি সেটা রাখেননি। এখন তিনি ভোট চাইতে গেলে মানুষ তাঁর কাছে প্রশ্ন করবে গতবারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের খবর কি? তিনি জবাব দিতে পারবেন না। তাই এবার আমরা কোনো ভাড়াটে এমপি চাই না। আমরা এবার আমাদের দল থেকেই এমপি প্রার্থী চাই।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘রাজশাহী শহরে ওয়ার্কার্স পার্টির তিন-চার হাজারের বেশি ভোট নেই। আমরা ভোট দিয়ে তাঁকে এমপি বানাই। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না। এই যে এখন হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে আছি, তিনি নেই। আমাদের সঙ্গে না থাকুক, তিনি তাঁর দলের সঙ্গে তো রাজশাহীর মাঠে থাকতে পারতেন। সেটাও আমরা দেখিনি।’
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘রাজশাহী একটা বিভাগীয় শহর। এখানকার উন্নয়ন করতে হলে সিটি মেয়র ও এমপির সমন্বয় থাকা দরকার। সেই সমন্বয়টা এমপি ফজলে হোসেন বাদশা করেন না। তাই আমরা নিজ দলেরই এমপি চাই। তাহলে মেয়রের সঙ্গে হাতে হাত রেখে শহরটাকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।’
আসন চায় জাসদও
জোটের কারণে আওয়ামী লীগ আবারও ওয়ার্কার্স পার্টিকে এ আসন ছেড়ে দিচ্ছে কি না তা ভেবে অস্বস্তিতে আছেন দলটির স্থানীয় নেতারা। এর মধ্যে আসনটি দাবি করছে আরেক শরিক দল জাসদ। দলটি তাঁদের মহানগরের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ শিবলীকে মনোনয়ন দিয়েছে।
শিবলী বলেন, ‘১৫ বছর ধরে আসনটা তো ওয়ার্কার্স পার্টিকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের এমপি ১৪ দলের এমপি হতে পারেননি। ফজলে হোসেন বাদশা শুধু ওয়ার্কার্স পার্টিরই এমপি হয়ে থেকেছেন। ১৫ বছরের মধ্যে তিনি ১২ বছরই শরিক দলগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন। ভোটের সময় ছাড়া অন্য সময় কোনোরকম যোগাযোগ রাখেননি। জনগণ থেকেও তিনি বিচ্ছিন্ন। বর্তমানে তিনি অসুস্থও। তাই চাই, এ আসনটা এবার জাসদকে দেওয়া হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে যদি ১৪ দলের প্রার্থী করা নাও হয়, তবুও আমাদের নিজ দলের মশাল প্রতীক নিয়ে আমার নির্বাচন করার সুযোগ আছে। সারা দেশেই কিছু আসন এ রকম ওপেন থাকবে। রাজশাহী সদর আসনটিও ওপেন সিট হিসেবে থাকবে। আমি নির্বাচন করতে চাই।’
ওয়ার্কার্স পার্টিতেও প্রস্তুতি
সদর আসনে ১৪ দলের প্রার্থী আসলেই কে হচ্ছেন তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কিছুদিন ধরে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। এই দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার হাতেই নৌকা তুলে দেওয়া হবে ধরে নিয়ে কাজ শুরু করেছেন স্থানীয় নেতারা। নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন কমিটিও করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নিজ দলের ভেতর থেকে প্রার্থী করার দাবির বিষয়ে কথা বলতে ফজলে হোসেন বাদশাকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ধরেননি।
ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ রকম দাবি তোলা হয়। তবে এ অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঠেকাতে ১৪ দলের ঐক্যের বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, এবারও আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদককেই এখানে ১৪ দলের প্রার্থী করা হবে।’

পুরো শহর নিয়ে সংসদীয় আসন রাজশাহী-২। এ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ২০০৮ সাল থেকেই পর পর তিন মেয়াদে ১৪ দলের মনোনয়নে তিনি এখানে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ জন্য নিজ দলের হাতুড়ি প্রতীক বাদ দিয়ে ভোট করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে। এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন। তাঁর দলের নেতারা আশা করছেন, এবারও বাদশাকে ১৪ দলের প্রার্থী করবে আওয়ামী লীগ।
তবে বিভাগীয় এই শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটি শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টিকে দিতে চান না স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহীর মানুষকে বারবার ধোঁকা দিয়েছেন। শহরের যা উন্নয়ন করার তা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বাদশার তেমন অবদানই নেই। নিজ দলের এমপি থাকলে ত্বরান্বিত হতো উন্নয়ন। তাই তাঁরা এবার এ আসনে নিজেদের দল থেকে এমপি প্রার্থী চান।
এবার ফজলে হোসেন বাদশাকে ১৪ দলের প্রার্থী করা হলেও আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ আলাদা প্রার্থী নিয়ে ভোটের মাঠে নামবে—এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন দলটির রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা ও নগর যুবলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি রমজান আলী। তাঁরা এবার নৌকার মাঝি বদলের দাবি তুলেছেন।
কেন এ দাবি
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বলছেন, রাজশাহী শহরে ওয়ার্কার্স পার্টির তিন-চার হাজারের বেশি ভোট নেই। ফজলে হোসেন বাদশা আওয়ামী লীগের ভোটে এমপি হলেও এই দলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের রাজশাহীর শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যও করেন তিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ফজলে হোসেন বাদশা তাঁর ৪৪ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। সেই ইশতেহারের কিছুই পূরণ করতে পারেননি। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে ভূমিকা রাখেননি উন্নয়নে।
গত নির্বাচনের আগে বাদশার প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ছিল ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ডেন্টাল কলেজ স্থাপন, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা, পূর্ণাঙ্গ সংগীত, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি মহাবিদ্যালয় স্থাপন, বিশ্বমানের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা, ভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা, রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, পানি শোধনাগার প্রকল্প বাস্তবায়ন, বস্তিবাসীদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির সরবরাহ নিশ্চিত, বস্তি উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় তাঁদের সুলভে আবাসন সৃষ্টি, পদ্মা নদীকে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক এবং সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা, পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু স্থাপন এবং আধুনিক মানের একটি আর্কাইভ ও জাদুঘর স্থাপন করা।
এর পাশাপাশি বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরকে বিশ্বপরিসরে তুলে ধরা, রাজশাহী বিমানবন্দরটিকে কার্গো ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ সুবিধাসহ আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে উন্নীত করা, রাজশাহী থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বন্দরে বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু, রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন ও বিমান সার্ভিস চালু, ঢাকা-রাজশাহী একাধিক বিরতিহীন ট্রেন চালু, রাজশাহীর সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি জাতীয় মহাসড়ককে ৪ ও ৬ লেনে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। প্রতিশ্রুতি ছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দুই হাজার শয্যায় উন্নীত করার। তিনি হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে থাকলেও তা পারেননি। অন্যান্য প্রতিশ্রুতিগুলোরও কিছুই তিনি পূরণ করতে পারেননি পাঁচ বছরে। তিনি তাঁর ঐচ্ছিক তহবিলের অর্থ স্বজনপ্রীতি করে বরাদ্দ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘ভোটের সময় ফজলে হোসেন বাদশা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু তা বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেননি। এগুলো বাস্তবায়ন করতে হলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা দরকার ছিল। তিনি সেটা রাখেননি। এখন তিনি ভোট চাইতে গেলে মানুষ তাঁর কাছে প্রশ্ন করবে গতবারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের খবর কি? তিনি জবাব দিতে পারবেন না। তাই এবার আমরা কোনো ভাড়াটে এমপি চাই না। আমরা এবার আমাদের দল থেকেই এমপি প্রার্থী চাই।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘রাজশাহী শহরে ওয়ার্কার্স পার্টির তিন-চার হাজারের বেশি ভোট নেই। আমরা ভোট দিয়ে তাঁকে এমপি বানাই। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না। এই যে এখন হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে আছি, তিনি নেই। আমাদের সঙ্গে না থাকুক, তিনি তাঁর দলের সঙ্গে তো রাজশাহীর মাঠে থাকতে পারতেন। সেটাও আমরা দেখিনি।’
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘রাজশাহী একটা বিভাগীয় শহর। এখানকার উন্নয়ন করতে হলে সিটি মেয়র ও এমপির সমন্বয় থাকা দরকার। সেই সমন্বয়টা এমপি ফজলে হোসেন বাদশা করেন না। তাই আমরা নিজ দলেরই এমপি চাই। তাহলে মেয়রের সঙ্গে হাতে হাত রেখে শহরটাকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।’
আসন চায় জাসদও
জোটের কারণে আওয়ামী লীগ আবারও ওয়ার্কার্স পার্টিকে এ আসন ছেড়ে দিচ্ছে কি না তা ভেবে অস্বস্তিতে আছেন দলটির স্থানীয় নেতারা। এর মধ্যে আসনটি দাবি করছে আরেক শরিক দল জাসদ। দলটি তাঁদের মহানগরের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ শিবলীকে মনোনয়ন দিয়েছে।
শিবলী বলেন, ‘১৫ বছর ধরে আসনটা তো ওয়ার্কার্স পার্টিকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের এমপি ১৪ দলের এমপি হতে পারেননি। ফজলে হোসেন বাদশা শুধু ওয়ার্কার্স পার্টিরই এমপি হয়ে থেকেছেন। ১৫ বছরের মধ্যে তিনি ১২ বছরই শরিক দলগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন। ভোটের সময় ছাড়া অন্য সময় কোনোরকম যোগাযোগ রাখেননি। জনগণ থেকেও তিনি বিচ্ছিন্ন। বর্তমানে তিনি অসুস্থও। তাই চাই, এ আসনটা এবার জাসদকে দেওয়া হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে যদি ১৪ দলের প্রার্থী করা নাও হয়, তবুও আমাদের নিজ দলের মশাল প্রতীক নিয়ে আমার নির্বাচন করার সুযোগ আছে। সারা দেশেই কিছু আসন এ রকম ওপেন থাকবে। রাজশাহী সদর আসনটিও ওপেন সিট হিসেবে থাকবে। আমি নির্বাচন করতে চাই।’
ওয়ার্কার্স পার্টিতেও প্রস্তুতি
সদর আসনে ১৪ দলের প্রার্থী আসলেই কে হচ্ছেন তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কিছুদিন ধরে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। এই দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার হাতেই নৌকা তুলে দেওয়া হবে ধরে নিয়ে কাজ শুরু করেছেন স্থানীয় নেতারা। নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন কমিটিও করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নিজ দলের ভেতর থেকে প্রার্থী করার দাবির বিষয়ে কথা বলতে ফজলে হোসেন বাদশাকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ধরেননি।
ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ রকম দাবি তোলা হয়। তবে এ অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঠেকাতে ১৪ দলের ঐক্যের বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, এবারও আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদককেই এখানে ১৪ দলের প্রার্থী করা হবে।’

বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
৩ মিনিট আগে
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
৯ মিনিট আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
৩৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩৬ মিনিট আগেথানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের বলিবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে হঠাৎ লাগা আগুনে বাজারের অন্তত ১৩টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দেড় বছরের ব্যবধানে এটি এলাকায় তৃতীয়বারের মতো বড় অগ্নিকাণ্ড।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাজারের একটি খাবারের হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলোতে।
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হ্লায়ইচিং মারমা নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, ‘খুব দুর্ভাগ্য আমার। মালপত্র সরানোর কোনো সুযোগ পেলাম না।’
বলিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা বলেন, ‘আগুনের ঘটনা জানার পরপরই বাজারে এসেছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আগুনে ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
থানছি থানার ফায়ার স্টেশনের লিডার পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বলিপাড়া বাজারে আগুনের খবর পাই। দ্রুত দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়। তৎক্ষণিকভাবে মনে হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদুল্লাহ আল-ফয়সাল বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেনিংয়ের কাজে ঢাকায় আছি। বলিপাড়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনা খাবার, কম্বল দেওয়া হবে। এ ছাড়াও বান্দরবান জেলা প্রশাসককে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।’

বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের বলিবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে হঠাৎ লাগা আগুনে বাজারের অন্তত ১৩টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দেড় বছরের ব্যবধানে এটি এলাকায় তৃতীয়বারের মতো বড় অগ্নিকাণ্ড।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাজারের একটি খাবারের হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলোতে।
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হ্লায়ইচিং মারমা নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, ‘খুব দুর্ভাগ্য আমার। মালপত্র সরানোর কোনো সুযোগ পেলাম না।’
বলিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা বলেন, ‘আগুনের ঘটনা জানার পরপরই বাজারে এসেছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আগুনে ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
থানছি থানার ফায়ার স্টেশনের লিডার পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বলিপাড়া বাজারে আগুনের খবর পাই। দ্রুত দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়। তৎক্ষণিকভাবে মনে হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদুল্লাহ আল-ফয়সাল বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেনিংয়ের কাজে ঢাকায় আছি। বলিপাড়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনা খাবার, কম্বল দেওয়া হবে। এ ছাড়াও বান্দরবান জেলা প্রশাসককে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।’

পুরো শহর নিয়ে সংসদীয় আসন রাজশাহী-২। এ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ২০০৮ সাল থেকেই পর পর তিন মেয়াদে ১৪ দলের মনোনয়নে তিনি এখানে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ জন্য নিজ দলের হাতুড়ি প্রতীক বাদ দিয়ে ভোট করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে। এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে ত
২৫ নভেম্বর ২০২৩
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
৯ মিনিট আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
৩৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩৬ মিনিট আগেশেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ এবং তা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। অন্যদিকে এই অবস্থায় পাল্টাপাল্টি হামলার আশঙ্কায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণসংযোগে হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে বিএনপির সমর্থকেরা জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। সংঘর্ষে শেরপুর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন ও রাকিবুল হাসানসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে ওই ঘটনার পর শুক্রবার রাতে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নেন। সন্ধ্যার পর থেকে শহরে পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ মিছিল হয়। হামলার অভিযোগে রাতে জামায়াত নেতা রাকিবুল হাসান বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভোটের গণসংযোগে এমন ন্যক্কারজনক হামলায় শেরপুরবাসী উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। এতে আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’ তিনি ওই হামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনার জন্য ও নিবার্চনী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। গণসচেতনতার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা করেন তিনি। ওই সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের এমপি প্রার্থী নুরুজ্জামান বাদল, জেলা প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মু. গোলাম কিবরিয়া ভিপিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এর আগে হামলার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে শুক্রবার রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকটি মসজিদে মিটিং-মিছিল করে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে আসে। এরপর থানায় গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।’ তিনি ‘মিথ্যা মামলা’র তীব্র নিন্দা জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন, আক্রামুজ্জামান রাহাতসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেরপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ এবং তা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। অন্যদিকে এই অবস্থায় পাল্টাপাল্টি হামলার আশঙ্কায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণসংযোগে হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে বিএনপির সমর্থকেরা জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। সংঘর্ষে শেরপুর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন ও রাকিবুল হাসানসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে ওই ঘটনার পর শুক্রবার রাতে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নেন। সন্ধ্যার পর থেকে শহরে পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ মিছিল হয়। হামলার অভিযোগে রাতে জামায়াত নেতা রাকিবুল হাসান বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভোটের গণসংযোগে এমন ন্যক্কারজনক হামলায় শেরপুরবাসী উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। এতে আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’ তিনি ওই হামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনার জন্য ও নিবার্চনী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। গণসচেতনতার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা করেন তিনি। ওই সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের এমপি প্রার্থী নুরুজ্জামান বাদল, জেলা প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মু. গোলাম কিবরিয়া ভিপিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এর আগে হামলার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে শুক্রবার রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকটি মসজিদে মিটিং-মিছিল করে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে আসে। এরপর থানায় গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।’ তিনি ‘মিথ্যা মামলা’র তীব্র নিন্দা জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন, আক্রামুজ্জামান রাহাতসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পুরো শহর নিয়ে সংসদীয় আসন রাজশাহী-২। এ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ২০০৮ সাল থেকেই পর পর তিন মেয়াদে ১৪ দলের মনোনয়নে তিনি এখানে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ জন্য নিজ দলের হাতুড়ি প্রতীক বাদ দিয়ে ভোট করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে। এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে ত
২৫ নভেম্বর ২০২৩
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
৩ মিনিট আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
৩৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩৬ মিনিট আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিমা ওই গ্রামের আব্দুর রবের স্ত্রী। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর বুকের ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত শ্বশুর মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান এই ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত মুকুল শেখকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিমা ওই গ্রামের আব্দুর রবের স্ত্রী। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর বুকের ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত শ্বশুর মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান এই ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত মুকুল শেখকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

পুরো শহর নিয়ে সংসদীয় আসন রাজশাহী-২। এ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ২০০৮ সাল থেকেই পর পর তিন মেয়াদে ১৪ দলের মনোনয়নে তিনি এখানে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ জন্য নিজ দলের হাতুড়ি প্রতীক বাদ দিয়ে ভোট করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে। এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে ত
২৫ নভেম্বর ২০২৩
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
৩ মিনিট আগে
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
৯ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩৬ মিনিট আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কার্তিকের শুরুতেই কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। পৌষ আসতে এখনো প্রায় দুই মাস বাকি থাকলেও প্রতি রাতে জেলাজুড়ে কুয়াশার স্পষ্ট উপস্থিতি শীতের আগমনকে ত্বরান্বিত করছে। দিনে সূর্যের দাপুটে উপস্থিতি থাকলেও রাতের আবহাওয়া কুয়াশার চাদরের দখলে যেতে শুরু করেছে। জানান দিচ্ছে শীত এল বলে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে জেলায় সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর একটু আগেই শীতের আগমন হচ্ছে। সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ছে। গাছের পাতা, ফসল ও ঘাস কিংবা খোলা আকাশের নিচে থাকা মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো বস্তুতে পড়ে থাকা কুয়াশার ফোঁটা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। রাতের বেলা গাছের পাতা গড়িয়ে কুয়াশা ঘরের টিনের চালে পড়ছে টিপটিপ শব্দে। ভোরবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে সে তুলনায় শীতানুভূতি নেই। এখনো বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও ইতিমধ্যে বাজারে ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে শীতের কাপড়ের পসরা সাজানো শুরু হয়েছে। যেন শীতকে বরণের প্রস্তুতি।
বিকেল হতেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে নানা রকম শীতের পিঠা তৈরি শুরু করেছেন। ভাপা পিঠার সঙ্গে চলছে চিতই পিঠা বিক্রি।
কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মুকুল বলেন, এ বছর একটু আগাম কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতে ঘরের বাইরে শীত অনুভূত হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালালে কুয়াশার কুণ্ডলীর কারণে পথ চলতে সমস্যা হচ্ছে। জেলায় ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। তবে ঠান্ডা তুলনামূলক কম।

উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর বলেন, ‘রাতে ভালোই কুয়াশা পড়া শুরু হইছে। এখনো সেই অর্থে ঠান্ডা লাগে না। তবে বোঝা যাচ্ছে যে ঠান্ডা শুরু হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আল-আমিন মাসুদ বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে সড়কপথে চলার সময় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কুয়াশার মাত্রা দেখে মনে হয়েছে যেন পৌষ মাস শুরু হয়েছে। তবে দিনে গরম, কিন্তু রাতের তাপমাত্রা কমছে। এ সময় শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। রাতে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমিয়ে রাখাসহ শিশুদের বাইরে নিয়ে গেলে ধুলাবালু ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

কার্তিকের শুরুতেই কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। পৌষ আসতে এখনো প্রায় দুই মাস বাকি থাকলেও প্রতি রাতে জেলাজুড়ে কুয়াশার স্পষ্ট উপস্থিতি শীতের আগমনকে ত্বরান্বিত করছে। দিনে সূর্যের দাপুটে উপস্থিতি থাকলেও রাতের আবহাওয়া কুয়াশার চাদরের দখলে যেতে শুরু করেছে। জানান দিচ্ছে শীত এল বলে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে জেলায় সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর একটু আগেই শীতের আগমন হচ্ছে। সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ছে। গাছের পাতা, ফসল ও ঘাস কিংবা খোলা আকাশের নিচে থাকা মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো বস্তুতে পড়ে থাকা কুয়াশার ফোঁটা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। রাতের বেলা গাছের পাতা গড়িয়ে কুয়াশা ঘরের টিনের চালে পড়ছে টিপটিপ শব্দে। ভোরবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে সে তুলনায় শীতানুভূতি নেই। এখনো বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও ইতিমধ্যে বাজারে ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে শীতের কাপড়ের পসরা সাজানো শুরু হয়েছে। যেন শীতকে বরণের প্রস্তুতি।
বিকেল হতেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে নানা রকম শীতের পিঠা তৈরি শুরু করেছেন। ভাপা পিঠার সঙ্গে চলছে চিতই পিঠা বিক্রি।
কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মুকুল বলেন, এ বছর একটু আগাম কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতে ঘরের বাইরে শীত অনুভূত হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালালে কুয়াশার কুণ্ডলীর কারণে পথ চলতে সমস্যা হচ্ছে। জেলায় ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। তবে ঠান্ডা তুলনামূলক কম।

উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর বলেন, ‘রাতে ভালোই কুয়াশা পড়া শুরু হইছে। এখনো সেই অর্থে ঠান্ডা লাগে না। তবে বোঝা যাচ্ছে যে ঠান্ডা শুরু হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আল-আমিন মাসুদ বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে সড়কপথে চলার সময় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কুয়াশার মাত্রা দেখে মনে হয়েছে যেন পৌষ মাস শুরু হয়েছে। তবে দিনে গরম, কিন্তু রাতের তাপমাত্রা কমছে। এ সময় শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। রাতে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমিয়ে রাখাসহ শিশুদের বাইরে নিয়ে গেলে ধুলাবালু ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

পুরো শহর নিয়ে সংসদীয় আসন রাজশাহী-২। এ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ২০০৮ সাল থেকেই পর পর তিন মেয়াদে ১৪ দলের মনোনয়নে তিনি এখানে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ জন্য নিজ দলের হাতুড়ি প্রতীক বাদ দিয়ে ভোট করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে। এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে ত
২৫ নভেম্বর ২০২৩
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
৩ মিনিট আগে
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
৯ মিনিট আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
৩৩ মিনিট আগে