Ajker Patrika

ভোটের টাকা ফেরত চেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের হুঁশিয়ারি, গা–ঢাকা দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
ভোটের টাকা ফেরত চেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের হুঁশিয়ারি, গা–ঢাকা দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েও ভোট দেননি রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। এখন সাত দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গতকাল শনিবার চেয়ারম্যানের এ হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেক ইউপি সদস্য গা–ঢাকা দিয়েছেন। 

এদিকে পরাজিত প্রার্থীরা এক জোট হয়ে ইউপি সদস্যেদের তালিকা তৈরি করে টাকা উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চেয়ারম্যানের হুঁশিয়ারি এবং তালিকা করার খবর চাউর হওয়ার পর ইউপি সদস্যদের অনেকে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন, অনেকে গা–ঢাকা দিয়েছেন। 

আজ রোববার সরেজমিনে উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় ঘুরে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে সদস্যেদের উপস্থিতি দু-একজন। বাকিরা হয় বাড়িতে অবস্থান করছেন, অথবা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগই করা সম্ভব হচ্ছে না। 

জেলা পরিষদ নির্বাচন কমিশন দুর্গাপুর উপজেলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ড দুর্গাপুর উপজেলা সদস্য প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। ভোটার ছিলেন ১০৬ জন। ভোটে তালা প্রতীক নিয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ ভোট পেয়ে এক প্রার্থী জয় লাভ করেছেন। 

গতকাল শনিবার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের হলরুমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য ও সচিবদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভোটার ইউপি সদস্যরা পরাজিত প্রার্থীদের কাছে টাকা নিলেও ভোট দেননি বলে অভিযোগ করেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে পরাজিত প্রার্থীদের টাকা ফেরত দিতে ইউপি সদস্যদের আলটিমেটাম দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। 

ইউপি সদস্যদের উদ্দেশ করে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা টাকা নিয়ে ভোট না দিয়ে মুনাফেকি করলেন। এ নির্বাচনে জেলা পরিষদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফুল ইসলাম ৮৫ জন ইউপি সদস্যকে টাকা দিয়েছেন। আরেকজন প্রার্থী গোলাপ হোসেন, তিনি গরিব মানুষ; এরপরও ৭০ জন সদস্যকে টাকা দিয়েছেন। লোন নিয়ে ও নিজের মোটরসাইকেল বিক্রি করে আরেক প্রার্থী রেজাউল করিম অনেককে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আপনারা মুনাফেকি করেছেন। যে পাস করেছে তার টাকা রেখে বাকি সবার টাকা সম্মানের সহিত ফেরত দেবেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২৫ হাজার, সদস্য প্রার্থীর ১৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। আপনাদের একটু লজ্জা হচ্ছে না!’ 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, শরিফুল ইসলাম ৮৫ জন সদস্যকে টাকা দিলেও ভোট পেয়েছেন ২৪ টি, গোলাপ হোসেন ১৩ টি, শাহাদত হোসেন ২৫টি ও রেজাউল করিম পেয়েছেন ৬টি ভোট। 

জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্ধারিত ব্যয়সীমা চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং সদস্য পদে সর্বোচ্চ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু ভোট কেনার পেছনেই অনেক প্রার্থী ব্যয়সীমা অতিক্রম করেছেন বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। 

ভোটে পরাজিত এক সদস্য পদপ্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জমি বিক্রি ও বন্ধক রেখে ৫৯ জন ইউপি সদস্যকে টাকা দিয়েছি। অথচ ১৫ ভোটও পাইনি। আমার মতো আরও সব পরাজিত প্রার্থীরা সর্বস্বান্ত হয়েছে। সব ইউনিয়নের ইউপি সদস্যেরা সিন্ডিকেট করে সব প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভোট দেয়নি।’ 

ওই প্রার্থী আরও বলেন, ‘পরাজিত সব প্রার্থীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হচ্ছে। তালিকা দেখে এক জোট হয়ে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’ 

তবে টাকা ফেরত বিষয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। 

টাকা ফেরত দিতে আলটিমেটাম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পরিষদের নির্বাচনে একটা সদস্য পদের জন্য ৬-৭ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। সব প্রার্থীদের থেকে ইউপি সদস্যেরা টাকা নিলেও ভোট একজনকে দিয়েছেন। তাই বাকি প্রার্থীদের টাকা গোপনে ফেরত দিতে বলেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বন্দরে যৌথ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া। ছবি: সংগৃহীত

নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংরক্ষিত এলাকা ও নদীতে যৌথ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের নির্দেশনায় এবং সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর আহমেদ আমিন আব্দুল্লাহর তত্ত্বাবধানে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

মহড়ায় অংশ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ফায়ার ফাইটিং ইউনিট, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিম, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের অগ্নিনির্বাপণকারী দল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পোর্ট ইউনিট।

মহড়ার প্রথম পর্যায়ে খোলা আগুন থেকে রাসায়নিকবাহী একটি কনটেইনারে অগ্নিকাণ্ডের অনুকল্পে ফায়ার ইউনিটগুলো দ্রুত পানি ও ফোম প্রয়োগের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জেটিতে অবস্থানরত একটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের অনুকল্পে মহড়া পরিচালিত হয়।

এতে অংশ নেয় পোর্ট ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পোর্ট ইউনিট এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের অগ্নিনির্বাপণে সক্ষম টাগবোট। সব ইউনিটের সমন্বিত প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মহড়ায় অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (নিরাপত্তা-প্রশাসন) ও পিএফএসও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক (নিরাপত্তা-অপারেশন) মেজর আনিস-উজ-জামান, বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিমের পক্ষ থেকে লে. ইয়াসমিন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পোর্ট ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোনেম বিল্লাহ এবং পোর্ট ফায়ার শাখার কর্মকর্তা খলিলুর রহমান

মহড়া শেষে কর্মকর্তারা অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান এবং বন্দর এলাকায় অগ্নিনিরাপত্তা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া, ঝুঁকি মূল্যায়ন ও আন্তপ্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সংস্কারবিরোধী জোট ভাঙতে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংস্কারবিরোধী জোট ভাঙতে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট নগরে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের প্রাক-নির্বাচনী উদ্যোগে আয়োজিত আঞ্চলিক পরামর্শ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে এবং দেশকে মধ্যম আয়ের স্তরে এগিয়ে নিতে হলে সংস্কার অপরিহার্য। সংস্কারবিরোধী যে জোট তৈরি হয়েছিল, সেটি ভাঙতে হলে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে।

দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, রাজনীতিবিদেরা বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং তাঁদের ইশতেহারে প্রতিফলন ঘটনাবেন। তবে এই সরকার একা সব করতে পারবে না, আগামী দিনের সরকারকেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’

ড. দেবপ্রিয় বলেন, আগামী দিনের ইশতেহারে সেই প্রতিশ্রুতিগুলোকে স্থান দেওয়া প্রয়োজন, যার ধারাবাহিকতা নতুন সরকার রক্ষা করবে।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে, কতটুকু সংস্কার তারা করতে পেরেছে; বাকি মেয়াদে কতটা সম্পন্ন করতে পারবে। এর আলোকে অসম্পূর্ণ কাজগুলো এগিয়ে যাওয়ার বিষয়েও ইশতেহারে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে।

এর আগে মুক্ত আলোচনা পর্বে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন।

সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।

এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজিবির ‘মেঘলা’ ধরে ফেলল ২০ লিটার চোলাই মদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় ইজিবাইকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ শনাক্ত করে বিজিবির কুকুর ‘মেঘলা’। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় ইজিবাইকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ শনাক্ত করে বিজিবির কুকুর ‘মেঘলা’। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) প্রশিক্ষিত কে-নাইন কুকুর ‘মেঘলা’র সূক্ষ্ম ঘ্রাণশক্তি ও দক্ষতায় আবারও ধরা পড়ল মাদক পাচার চক্র। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) দমদমিয়া চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশির সময় হোয়াইক্যং থেকে টেকনাফগামী একটি ইজিবাইক থেকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ উদ্ধার ও দুই পাচারকারীকে আটক করে।

বিজিবি জানায়, তল্লাশির একপর্যায়ে কুকুর মেঘলা ইজিবাইকের যাত্রী ও যানটির নিচের অংশে মাদকের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। এরপর বিজিবি সদস্যরা বাইকের পেছনের সিটের নিচে বিশেষভাবে লুকানো পানির বোতলের ভেতর থেকে চোলাই মদ উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলেই মদ বহনকারী মো. আবুল হাশেম (৩৬) ও তাঁর সহযোগী ইজিবাইকচালক মো. কালা মিয়াকে (৩২) আটক করা হয়।

আটক দুজনের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায়। জব্দকৃত মদ, ইজিবাইক এবং আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ডগ মেঘলা নিয়মিত অভিযানগুলোতে আমাদের চোখের আড়ালে থাকা মাদক খুঁজে বের করতে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। সীমান্তে মাদক পাচার রোধে এই প্রশিক্ষিত কুকুরের ভূমিকা এখন বিজিবির বড় শক্তি।’

দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বিজিবি সদস্যদের পাশাপাশি মেঘলার মতো কে-নাইন টিমও প্রতিনিয়ত অবদান রাখছে বলে বিজিবি জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত