Ajker Patrika

উত্ত্যক্তের অভিযোগে মামলা করায় কলেজছাত্রীকে অপহরণ, মারধর

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শেরপুরে উত্ত্যক্তের অভিযোগে মামলা করায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা গতকাল সোমবার থানায় মামলা করেছেন।

কলেজছাত্রী মোছা. আতিয়া খাতুন (১৮) উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া কলোনি গ্রামের আমান উল্ল্যাহর মেয়ে। অভিযুক্তরা হলেন মো. মাহমুদুল হাসান সাব্বির, মোছা. রিক্তা, মো. রনি, মো. রাকিব, মো. আকাশ, মোছা. স্বপ্না, মো. শামিম ও মোছা. জরিনা বেগম। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি মাহমুদুল দীর্ঘদিন ধরে আতিয়াকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। এই অভিযোগে আতিয়ার মা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে পুলিশ অভিযোগপত্র জমা দেয়। কিন্তু অভিযুক্তরা জামিনে মুক্ত হয়ে আতিয়া ও তাঁর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকেন।

আতিয়া গত শনিবার কোচিং শেষে বাসায় ফেরার পথে মহিপুর ঢালাই সেতুর কাছে তাঁকে অটোরিকশায় করে অপহরণ করা হয়। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাঁকে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে মুখ বেঁধে নির্যাতন এবং মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, ব্যাগ ও টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো এবং জোরপূর্বক ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেখানেও কিলঘুষি মেরে নির্যাতন করা হয়। শেষে মহিপুরে গাড়ি থামানো হলে আতিয়া চিৎকার শুরু করেন। তখন আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাঁকে ফেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে আতিয়ার পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত