Ajker Patrika

‘তোমরা এই হলের মেয়েদের প্রস্টিটিউশনে বাধ্য করেছ’

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০: ১৪
‘তোমরা এই হলের মেয়েদের প্রস্টিটিউশনে বাধ্য করেছ’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের একাংশ ওই হলের মেয়েদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জামিরুল ইসলাম। ওই শিক্ষার্থীদের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে থানায় দিয়ে চালান দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। এ-সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। 

ওই অডিওতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রাধ্যক্ষকে বলতে শোনা যায়, ‘তোমাদের বিরুদ্ধে সিরিয়াস অভিযোগ আছে। তোমরা এই হলের মেয়েদের প্রস্টিটিউশনে (পতিতাবৃত্তি) বাধ্য করেছ। কে করেছ, কারা করেছ এসব পরের কথা। তোমরাই করেছ। ছাত্রলীগ করেছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলে ছাত্রী নিপীড়ক ও ছাত্রলীগের পদধারী নেত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন হল প্রাধ্যক্ষ। তবে যাঁদের আবাসিকতা আছে এবং যাঁদের বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ নেই কিন্তু ছাত্রলীগের পদে আছেন, তাঁরা নির্দেশ অমান্য করে হলেই অবস্থান করেন। ফলে হলে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েকজন হল প্রাধ্যক্ষসহ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বঙ্গমাতা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক লাভলী নাহার।

আলোচনার একপর্যায়ে অধ্যাপক জামিরুল ইসলামকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। তখন তিনি ওই ছাত্রীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে হুমকি দেন। তাঁর এ ধরনের মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অভিভাবকসুলভ নয় বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও হল প্রাধ্যক্ষরা।

কথার শুরুতে অধ্যাপক জামিরুল ইসলাম ছাত্রীদের উদ্ভূত পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি তাঁদের এক মাসের জন্য হলের বাইরে থাকার অনুরোধও করেন। তবে একপর্যায়ে তিনি উপস্থিত ছাত্রীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের সহযোগী বলে দাবি করেন।

অধ্যাপক জামিরুল ইসলাম ছাত্রীদের হলছাড়া করার হুমকি দিয়ে আরও বলেন, ‘পুলিশ ফোর্স, সেনাবাহিনী সবকিছু রেডি আছে। তোমরা যদি উল্টাপাল্টা কিছু করো, তাহলে প্রত্যেক মেয়েকে এখান থেকে অ্যারেস্ট করে থানায় নিয়ে গিয়ে চালান দেওয়া হবে। সবকিছু আমাদের কাছে আছে।’

যারা ছাত্রলীগের পদধারী, তাদের প্রত্যেককেই চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তুমি পোস্টেড ছিলা কিনা, তুমি দরিদ্র, তোমাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আজ তোমাদের মুখ থেকে এসব গান বের হচ্ছে। এসব কোনো গান চলবে না। যারা পোস্টেড ছিলা, তাদের চলে যেতে হবে।’

ওই ছাত্রীদের ধর্ষণের সহযোগী আখ্যা দিয়ে প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘তোমরা জানো, এই আন্দোলন করতে গিয়ে কতগুলো মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে তোমাদের কারণে? শুধু ৫ তারিখের (৫ আগস্ট) আন্দোলনেই কতগুলো মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে তোমরা জানো? এই ধর্ষণের সহযোগী কারা? তোমরা।’

ওই রেকর্ডে এই শিক্ষককে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আমি তোমাদের দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, তোমরা যারা এই পোস্টে আছ, পোস্টে ছিলা, নিপীড়নকারী, মাদক কারবারি, মেয়েদের উত্ত্যক্তকারী, তোমরা দয়া করে এক মাসের জন্য হল থেকে চলে যাও। তোমাদের সব ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘এ তো মারাত্মক কথা। একজন শিক্ষক কখনোই এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলতে পারেন না। কেউ যদি অভিযুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কারও বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে এমন অভিযোগ করা সমীচীন নয়।’

একজন হল প্রাধ্যক্ষের এ ধরনের মন্তব্যকে শিক্ষকসুলভ নয় উল্লেখ করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এটি কোনো শিক্ষকসুলভ বা অভিভাবকসুলভ আচরণ নয়। এ ধরনের শব্দ প্রয়োগ সঠিক নয়। যদি কোনো প্রমাণ না থাকে, তাহলে আমরা কাউকে এভাবে দোষারোপ করতে পারি না বা অপবাদ দিতে পারি না।’

এক হলের প্রাধ্যক্ষ আরেক হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসন করা ঠিক নয় উল্লেখ করে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘এক হল থেকে গিয়ে আরেক হলের শিক্ষার্থীদের শাসন করা ঠিক নয়। তবে কোনো হল প্রাধ্যক্ষ যদি কখনো সংকটে পড়েন, তাহলে আমরা তাঁর পাশে দাঁড়াতে পারি। তার মানে এই না যে আমরা এ ধরনের বাক্য প্রয়োগ করে তাকে আরও বড় ধরনের বিপদের দিকে ঠেলে দেব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা আমার কথা নয়, শিক্ষার্থীদের কথা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি এটা বলেছিলাম। ওই কথাটা আমি ইনফরম্যালি বলেছি। তবে এটা মোটেও ঠিক হয়নি। আমার রিকোয়েস্ট থাকবে, তোমরা এগুলো নিয়ে লিখো না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘যিনি এ ধরনের মন্তব্য করেছেন, তাঁর কাছে কোনো তথ্যপ্রমাণ আছে কি না, সেটা একটা বিষয়। যদি থাকে তাহলে এক বিষয় আর না থাকলে অন্য বিষয়। তবে বিষয়টি আমি অবগত নই। আমি বিষয়টি দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল শিশুর

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মো. ইমরান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড় ভাইজোড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত ইমরান বড় ভাইজোড়া গ্রামের মো. সোহেল ফকিরের ছেলে। সে হরিণবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার বড় ভাইজোড়া গ্রামের আবু সালেহ আকন ধান চাষ করেন। তিনি ধানখেতে ইঁদুর মারার জন্য পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। আজ সকাল ৭টার দিকে ইমরান তার মা রিপা বেগমের সঙ্গে ধানখেতে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যায়। ওই সময় ইমরান ধানখেতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহফুজা আক্তার বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে শিশুটি মারা গেছে।

তালতলী পল্লী বিদ্যুৎ উপ-স্টেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. ইমরান শেখ বলেন, মসজিদ থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে ধানখেতে নেওয়া সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত অটোচালককে কুপিয়ে হত্যা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় মোশারেফ খান (৪৫) নামের এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার সেয়াকাঠি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত মোশারেফ খান সেয়াকাঠি গ্রামের হানিফ খানের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল রাতে নিজ ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন মোশারেফ। পাশের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সিঁধ কেটে ভেতরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় মোশারেফকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পুলিশ এখনো সেখানে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৫৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুজন মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় ও বেলা ১টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মারা যাওয়া দুজন হলো রিনা বেগম (৩৮) ও তাঁর ছেলে ফরহাদ (১৫)। এই ঘটনায় রিনা বেগমের আরেক ছেলে তাওহীদ (৭) চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে রিনা বেগমের ছেলে জিহাদ (২৪), বোন সালমা বেগম (৩৪) ও তাঁর ছেলে আরাফাত (১৫)।

অভিযুক্ত ফরিদ মিয়া (৪৪) পেশায় একজন পিকআপচালক ও ঘোড়াদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৯টায় রিনা বেগম এবং বেলা ১টায় ছেলে ফরহাদের মৃত্যু হয়। রিনার শরীরের ৫৮ শতাংশ এবং ফরহাদের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের পর নরসিংদীতে নিয়ে আসা হচ্ছে।

এর আগে গত বুধবার রাত ৩টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকায় স্ত্রী রিনা বেগম, সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান স্বামী ফরিদ মিয়া। শুক্রবার রাতে ফরিদ মিয়াকে একমাত্র আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন রিনার মা হোসনা বেগম। পরদিন শনিবার রাত ৮টার দিকে বেলাব থানার বারৈচা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলায় বসবাসকারী স্বামী ফরিদ মিয়া একজন মাদকাসক্ত ও চিহ্নিত অপরাধী। দীর্ঘদিনের সংসারজীবনে ভরণপোষণসহ দায়িত্ব পালন না করায় স্বামীর সংসার ছেড়ে সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়ায় বাবার বাড়িতে সন্তানসহ আশ্রয় নেন রিনা বেগম। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহযোগী হিসেবে কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষিজমির মাটি তোলা বন্ধে অভিযান, ৫ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
কৃষিজমির মাটি তোলা বন্ধে অভিযান, ৫ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি তোলা বন্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই পূর্বপাড়া ও শিদলাই বড় মাঠ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান। এ সময় ব্রাহ্মণপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কৃষিজমি রক্ষার লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযানে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ সময় পাঁচটি খননযন্ত্র (ড্রেজার মেশিন), পাইপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী ড্রেজারের মালিকদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান বলেন, ‘শিদলাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ড্রেজার ও সংশ্লিষ্ট উপকরণ ধ্বংস করা হয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দায়ী ব্যক্তিদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কৃষিজমি রক্ষায় অবৈধ মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত