Ajker Patrika

নৌকার অফিসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮: ৫৩
নৌকার অফিসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে জখম

রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হকের এক কর্মীকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে নিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চারঘাট উপজেলার সরদহ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় নাজির হোসেন (৩৯) নামে এই ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

তাঁর কপালে ছয়টি ও মাথায় দুটি সেলাই পড়েছে। আহত নাজির সরদহ ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের ওয়াজ শেখের ছেলে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হকের কাঁচি প্রতীকে প্রচারণায় অংশ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে ঢুকিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে রাতেই আহতের ভাই উজির আলী বাদী হয়ে চারঘাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নাজির আলী আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হকের একজন কর্মী। তিনি গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার ট্রাফিক মোড় এলাকায় কাঁচি প্রতীকের প্রচারণা চালান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে চারঘাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সরদহ বাজারে নৌকা প্রতীকের অফিসে সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে থামানো হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে ধরে তাঁদের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে কাঁচির ভোট না করার জন্য শাসানো হয়। তাঁরা নাজিরকে তাঁদের সঙ্গে নৌকা পোস্টার নিয়ে ছবি তুলতে বলেন। সেই প্রস্তাবে নাজির রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁকে হাতুড়ি, রড ও চেয়ার দিয়ে পেটানো হয়। মাথায় ওপরের অংশ কেটে দুটি সেলাই এবং হাতুড়ির আঘাতে কপালে ছয়টি সেলাই পড়েছে। এ ছাড়া শরীরেও নানা জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক বলেন, ‘নাজিরকে নৌকার অফিসে নিয়ে গিয়ে প্রথমে বলা হয়—এই তোকে নিষেধ করেছি, কাঁচির রাহেনুলের ভোট করবি না। তারপরও তুই করছিস। তুই নৌকার ভোট কর। তখন নাজির বলছে, না, রাহেনুলের ভোট করব, নৌকার ভোট করব না। এরপরই তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। 

‘আমার ভোট করারটাই তার অপরাধ। ঘটনার পরই আমিসহ আমার নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যাই। চিকিৎসক নাজিরকে গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। প্রস্তুত থাকতে বলেছেন, অবস্থা খারাপ হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে।’ 

মামলায় চারঘাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ের সভাপতি মো. শামীম সরকার, সরদহ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আদিল, রাসেল সরকার, হাসান আলী, ফিরোজ আলী, ফয়সাল হোসেন ডন ও বাপ্পি আলীসহ মোট সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। 

এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নির্বাচনী এজেন্ট সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘কাঁচি প্রতীকের কয়েকজন কর্মী নৌকার অফিসে ঢুকে হট্টগোল করছিল। তখন কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুপক্ষের হাতাহাতি হয়। এতে একজন আহত হয়েছেন। আমার প্রার্থী কোনো সহিংসতাকে সমর্থন করেন না। কাজেই এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
 
এ ঘটনার পর রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সনাতন চক্রবর্তী, চারঘাট সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার প্রণব কুমার, চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এরপর ভোররাতে এজাহারের ৬ নম্বর আসামি ফয়সাল হোসেন ডন ও ৭ নম্বর আসামি বাপ্পি আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাপানে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরায় রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হলো ২ চীনাকে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, এটি একটি অপমৃত্যু মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী আবুল কালাম আজাদের (৩৫) মাথায় লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি মোবারক হোসেন জানান, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ ওপর থেকে ভারী বিয়ারিং প্যাডটি পড়ে যায়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।

দুর্ঘটনার পর প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রোরেলের চলাচল। পরে বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত, আর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তবে বিয়ারিং প্যাড মেরামতের জন্য আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার সকাল ১১টা থেকে পুরো লাইনে চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।

ফাওজুল কবির খান আরও জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের কোনো কর্মক্ষম সদস্য থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাপানে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরায় রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হলো ২ চীনাকে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অপহরণের পর নির্যাতন, সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর কলেজছাত্রের মৃত্যু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
নিহত কলেজছাত্র তুহিন। ছবি: সংগৃহীত
নিহত কলেজছাত্র তুহিন। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অপহরণের পর নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্র তুহিন (১৯) সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার জানান, পূর্ববিরোধের জেরে স্থানীয় কয়েকজন তাঁর ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে একটি প্রাইভেট কারে করে তুহিনকে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুর গোবিন্দপুর এলাকার একটি ভবনে আটকে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তুহিনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সাত দিন ধরে তিনি সেখানে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

এ ঘটনায় তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে ২০ অক্টোবর বুড়িচং থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন গোবিন্দপুর গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম বাবু (৪৫), মো. নাফিজ উদ্দিন (১৯), শ্রীপুর গ্রামের মো. জহির (৪২) এবং আবদুল আলিম (৪৫)।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাপানে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরায় রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হলো ২ চীনাকে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোটরসাইকেল মহড়া থেকে যুবককে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় মোটরসাইকেল মহড়া থেকে তুলে নিয়ে হাবিবুর রহমান খোকন (৩৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হাবিবুর রহমান খোকন শহরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে। আর আহত বাঁধন (২৬) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গতকাল রোববার রাতে সেউজগাড়ী এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার জেরে খুনের এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান বাসির এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত ৯টার দিকে ইসকন মন্দিরের সামনে হঠাৎ চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে যান। তাঁরা দেখেন, অন্ধকারে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই যুবককে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুজনকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলের সামনে আইনজীবী স্টিকার লাগানো।

জানা গেছে, হতাহত দুই যুবক ছাড়াও আরও ১০ থেকে ১২ জন যুবক কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে খান্দার এলাকা থেকে সেউজগাড়ী হয়ে শহরে ফিরছিলেন। আগে থেকে ওত পেতে থাকা কিছু যুবক মোটরসাইকেল মহড়া থেকে দুই যুবককে তুলে নিয়ে ইসকন মন্দিরের দিকে অন্ধকারে কুপিয়ে ফেলে রেখে যান।

এ ঘটনায় শহর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাপানে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরায় রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হলো ২ চীনাকে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালত। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালত। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন সাজু বেগম নামের ওই নারী। তিনি আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনির বাসিন্দা এবং মারা যাওয়া ওই যুবকের মা বলে জানিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফ উল্লাহ, কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ শাহাদাত ও সোহেল চাকমা। এজাহারে উল্লিখিত অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আকবর শাহ থানা এলাকার জহুরুল ইসলাম লিটন, মো. রিপন, রুবেল, সুমন পারভেজ ও বিপ্লব। তাঁরা আকবর শাহ থানা যুবদলের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আসাদুল আলম সালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।’

মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী পরিবারসহ বিশ্ব কলোনি এম-ব্লকে ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্বামী পেশায় রিকশাচালক। তাঁদের একমাত্র সন্তান রাকিব হোসেনকে (২১) ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন আসামিরা। ১৬ অক্টোবর আসামি স্থানীয় পাঁচজন যুবক পুনরায় বাদীর ছেলে রাকিবের কাছে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই এলাকার একটি মার্কেটের অফিসে নিয়ে যান। অফিসটি আসামি জহুরুল ইসলাম লিটনের।

বাদী উল্লেখ করেন, রাকিবকে সেখানে দড়ি দিয়ে বেঁধে হকিস্টিক, হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। খবর পেয়ে রাকিবের বাবা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাঁকেও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে জহিরুল ইসলাম লিটন থানায় ফোন কল করে ঘটনাস্থলে পুলিশ এনে রাকিবকে তাঁদের হাতে তুলে দেন।

আরজিতে আরও বলা হয়, রাকিবকে আকবর শাহ থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ সেখানে আরেক দফায় শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে থানা-পুলিশ তাঁকে নন-এফআইআর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। ওই দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালত রাকিবকে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু রাকিবের পক্ষে জরিমানার টাকা না দিতে পারায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বাদীর অভিযোগ, কারাগারে থাকা অবস্থায় রাকিব অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁর মা-বাবাকে খবর দেয়। পরে ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে তাঁকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২১ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিব মারা যান। তাঁকে আটকের আগে নির্যাতন ও আহত হওয়ার কোনো তথ্য আদালতে উত্থাপন করেনি পুলিশ।

আকবর শাহ থানার ওসির মোবাইল ফোনে কল করা হলে অন্য প্রান্ত থেকে থানার ডিউটি অফিসার পরিচয়ে আরেকজন ধরেন। মামলার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানা আছে। এখন ওসি মহোদয় মিটিংয়ে আছেন, কথা বলা যাবে না।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম জোনের উপকমিশনার (ডিসি) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। তবে ওই যুবক কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে সেখানে তিনি কোনো কারণে মারা যান।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর কাস্টডি বা হেফাজতে থাকা অবস্থায় কিন্তু ওই যুবকের মৃত্যু ঘটেনি। তাই মামলায় হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এরপরও ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাপানে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরায় রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হলো ২ চীনাকে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত