রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এক সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীকে ‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে বেধড়ক মারধর এবং হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বরাবর শারীরিক নির্যাতন এবং শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকির বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম সবুজ বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষ (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তবে গত ছয় মাস ধরে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ৩১৬ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। এছাড়া লিখিত অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জন ছাত্রলীগ কর্মীর কথা উল্লেখ করেছেন সবুজ বিশ্বাস। অভিযুক্ত সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।
সবুজ বিশ্বাস লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘গত ১৬ মে (বুধবার) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক ও তাঁর ৮-১০ জন অনুসারী আমাকে কক্ষ থেকে বের করে হলের ছাদে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে নিজেকে সনাতনী দাবি করলে আরও বেশি মারপিট করে। আমি প্রাণ রক্ষার্থে দৌড়ে হল ত্যাগ করি। এমতাবস্থায় নিজের নিরাপত্তা শঙ্কায় পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।’
সবুজ বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে হল থেকে বের করে দিয়েছে। এতে পায়ের বিভিন্ন অংশে ফেটে গেছে। সেই সঙ্গে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ঘটনা শোনার পর বাড়ি থেকেও বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলছে। আর বর্তমানে ক্যাম্পাসে অবস্থান করাটাও আমার জন্য নিরাপদ নয়। তাই আমি বাড়িতে চলে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যত দিন পর্যন্ত আমাকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না তত দিন পর্যন্ত আমি ক্যাম্পাসে আসব না।’
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না হয়েও হলে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে সবুজ বিশ্বাস বলেন, ‘আমার এক বড় ভাই আমাকে এই হলে তুলেছে। আমি রাজনীতি সঙ্গে জড়িত না।’ তবে কোন বড় ভাই হলে তুলেছে তা জানাতে রাজি হননি তিনি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সবুজ বিশ্বাসের রুমমেট মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘সেদিন রাত ২টার দিকে আতিক ভাইসহ বেশ কয়েকজন এসে সবুজকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরে মসজিদের ছাদে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধর করে। এর আগে গত সোমবার আতিক ভাইয়েরা আমাদের রুমে এসেছিল, সেদিন তাঁকে চিনতে না পেরে সবুজ একটু খারাপভাবে কথা বলেছিল। সেই জেরে সবুজকে তাঁরা মারধর করতে পারে।’
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাঁদের অপকর্ম লুকানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। আমি তাঁকে চিনি না। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে, আমি রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী হলের যে ঘটনা সেটি আমি জানার সঙ্গে সঙ্গে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলি। লিখিত অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়। সবুজ ওই হলের আবাসিক কোনো শিক্ষার্থী নয়। অনাবাসিক হয়ে হলে থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা অভিযোগপত্র পেয়েছি। হল প্রশাসন থেকে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এক সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীকে ‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে বেধড়ক মারধর এবং হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বরাবর শারীরিক নির্যাতন এবং শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকির বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম সবুজ বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষ (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তবে গত ছয় মাস ধরে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ৩১৬ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। এছাড়া লিখিত অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জন ছাত্রলীগ কর্মীর কথা উল্লেখ করেছেন সবুজ বিশ্বাস। অভিযুক্ত সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।
সবুজ বিশ্বাস লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘গত ১৬ মে (বুধবার) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক ও তাঁর ৮-১০ জন অনুসারী আমাকে কক্ষ থেকে বের করে হলের ছাদে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে নিজেকে সনাতনী দাবি করলে আরও বেশি মারপিট করে। আমি প্রাণ রক্ষার্থে দৌড়ে হল ত্যাগ করি। এমতাবস্থায় নিজের নিরাপত্তা শঙ্কায় পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।’
সবুজ বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে হল থেকে বের করে দিয়েছে। এতে পায়ের বিভিন্ন অংশে ফেটে গেছে। সেই সঙ্গে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ঘটনা শোনার পর বাড়ি থেকেও বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলছে। আর বর্তমানে ক্যাম্পাসে অবস্থান করাটাও আমার জন্য নিরাপদ নয়। তাই আমি বাড়িতে চলে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যত দিন পর্যন্ত আমাকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না তত দিন পর্যন্ত আমি ক্যাম্পাসে আসব না।’
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না হয়েও হলে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে সবুজ বিশ্বাস বলেন, ‘আমার এক বড় ভাই আমাকে এই হলে তুলেছে। আমি রাজনীতি সঙ্গে জড়িত না।’ তবে কোন বড় ভাই হলে তুলেছে তা জানাতে রাজি হননি তিনি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সবুজ বিশ্বাসের রুমমেট মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘সেদিন রাত ২টার দিকে আতিক ভাইসহ বেশ কয়েকজন এসে সবুজকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরে মসজিদের ছাদে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধর করে। এর আগে গত সোমবার আতিক ভাইয়েরা আমাদের রুমে এসেছিল, সেদিন তাঁকে চিনতে না পেরে সবুজ একটু খারাপভাবে কথা বলেছিল। সেই জেরে সবুজকে তাঁরা মারধর করতে পারে।’
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাঁদের অপকর্ম লুকানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। আমি তাঁকে চিনি না। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে, আমি রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী হলের যে ঘটনা সেটি আমি জানার সঙ্গে সঙ্গে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলি। লিখিত অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়। সবুজ ওই হলের আবাসিক কোনো শিক্ষার্থী নয়। অনাবাসিক হয়ে হলে থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা অভিযোগপত্র পেয়েছি। হল প্রশাসন থেকে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হলে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার আটক হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর ভাতিজি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (সাবেক এমপি) আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রসের সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার সন্দেশ ও টফি; যা প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়। অর্থ লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) জিপিএ-৫ না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন ইমা আক্তার। তারপর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে বাকি সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এবার তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহে পিকনিকে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা ইসলাম মৌ, ৪র্থ শ্রেণির আম্মার, উজান কর্মকার, ১ম শ্রেণির মায়াং
৫ ঘণ্টা আগে