Ajker Patrika

বাড়ির মালিকেরা টিসিবি কার্ডধারী, বঞ্চিত দুস্থরা

  • বর্তমান-সাবেক সরকারি কর্মচারীরা দিনমজুর দেখিয়ে কার্ড নিয়েছেন।
  • অনিয়ম, প্রকৃত দুস্থদের বাদ দেওয়ায় অভিযোগ জেলা প্রশাসনে।
 রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭: ৪৭
বাড়ির মালিকেরা টিসিবি কার্ডধারী, বঞ্চিত দুস্থরা

কারও তিনতলা বাড়ি আছে, কেউ চড়ে প্রাইভেট কারে—তবু পেশা দিনমজুর। এভাবে রাজশাহী মহানগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেড়ে গেছে দিনমজুরের সংখ্যা। কথা বলে জানা গেল, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ড পেতে এমন চতুরতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এতে বঞ্চিত হয়েছে দুস্থরা। বিষয়টি নিয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছেও লিখিত অভিযোগ পড়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ফজলুর রহমানকে টিসিবির কার্ড দেওয়া হয়েছে দিনমজুর দেখিয়ে। অথচ তিনতলা বাড়ি আছে তাঁর। ওয়ার্ডের অভিজাত আবাসিক এলাকা ব্যাংক কলোনির আমির হামজা রোডের ২ নম্বর বাড়িটি তাঁর। যোগাযোগ করা হলে ফজলুর রহমান জানান, তিনি কার্ডের আবেদন করেছেন। দিনমজুর লেখার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য না করে কল কেটে দেন তিনি।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী তাজবুল হকও কার্ড পেয়েছেন। দাসপুকুর মোড়ের জব্বারের মহল্লায় তাঁর রয়েছে নিজস্ব বাড়ি। তাঁর চার ছেলে নুরুল, শামিম, স্বপন ও রিপনকে একই পাড়ায় আলাদা চারটি বাড়ি করে দিয়েছেন। এর মধ্যে তাজবুলের বড় ছেলে শামিম বর্তমানে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে কর্মরত। তাঁকে কল দেওয়া হলেও মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামও কার্ড পেয়েছেন। শহরের নওদাপাড়া আমচত্বর এলাকায় তাঁর বড় হোটেল রয়েছে। দাসপুকুর মহল্লায় রয়েছে তিনতলা বাড়ি। ব্যবহার করেন প্রাইভেট কার। এলাকাবাসী জানান, রবিউল বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত। দুস্থরা কার্ড না পেলেও রবিউল পাওয়ায় তাঁরা বিস্মিত।

জানতে চাইলে রবিউল বলেন, ‘আধা কাঠা জমির ওপর আমার একতলা বাড়ি রয়েছে। গাড়ি থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার পরিচিত লোকজনের গাড়ি রয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে মাঝেমধ্যে নিয়ে ব্যবহার করি।’ তবে দিনমজুর উল্লেখ করে টিসিবির কার্ড নেওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো জবাব দেননি।

কাজী নাজমুল কবির রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমিতে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত। তিনিও টিসিবির কার্ড পেয়েছেন। অন্যদের মতো তাঁর কার্ডেও পেশা হিসেবে দিনমজুর লেখা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল বলেন, ‘আমার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র মহল্লার লোকজন নিয়েছিলেন। তাঁরা পেশা হিসেবে কার্ডে কী লিখেছেন, সেটা বলতে পারব না।’

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিটি করপোরেশন আগের কার্ড বাতিল করে। নতুন টিসিবি কার্ডের তালিকা করতে দুটি রাজনৈতিক দলের ওই নেতাদের নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছিল। তাঁরা সম্প্রতি নতুন তালিকা করেছেন। এই ওয়ার্ডে ২ হাজার ৫৩০টি কার্ড আছে। এগুলোর মধ্যে কিছু কার্ড সম্প্রতি বিতরণ করা হয়েছে।

এতে দেখা যাচ্ছে, কার্ড পেয়েছেন সচ্ছলেরা। বাদ পড়েছেন প্রকৃত দুস্থ, গরিব, দিনমজুর, বিধবা এমনকি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও।

এরপর পৃষ্ঠা ৭ কলাম ৩

তাঁদের একজন মাসদার আলী (৫০)। এক পায়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই বাজারে ঝাড়ু দেন। মাস শেষে পান মাত্র সাড়ে ৪ হাজার টাকা। আগে তাঁর টিসিবির একটি কার্ড ছিল। তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

আজাদ আলীকেও (৬০) এবার টিসিবির কার্ড দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘এই বয়সে আমি রংমিস্ত্রির কাজ করি। নানা রকমের অসুখ রয়েছে। সংসারে সচ্ছলতা থাকলে আমি কাজ করতাম না। আমার কার্ডটাও বাতিল করা হয়েছে।’

এদিকে কার্ডের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, প্রকৃত দুস্থদের বাদ দেওয়া এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সালমগীর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন স্বপন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এবং সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গত ২৫ জুন, ৮ আগস্ট এবং সর্বশেষ ৪ সেপ্টেম্বর তিন দফা লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তাঁরা প্রণীত কার্ডের তালিকা বাতিল করে নতুনভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে তালিকা প্রণয়নের দাবি জানান। এ বিষয়ে কথা বলতে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমের মোবাইলে কয়েক দফা কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি। জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারও সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে সালমগীর হোসেন বলেন, ‘তালিকা বাতিল করে নিয়ম অনুযায়ী তালিকা করার জন্য আমরা তিনবার আবেদন করেছি। তারপরেও বাতিল হয়নি। এটি সত্যিই উদ্বেগজনক। এর ফলে এই ওয়ার্ডের গরিব, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং অসহায় মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। তালিকা বাতিল না করা হলে অচিরেই এলাকাবাসীকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

আজকের রাশিফল: মুখটা সামলে রাখুন, শত্রুরা ফেসবুক পোস্টে প্রচুর হা হা দেবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গৃহকর্মী নির্যাতন: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকার মায়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে নির্যাতনের মামলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ইসমত জাহান জনির মা পারভীন চৌধুরীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও চার মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

১৫ বছর আগের ঘটনায় করা এ মামলার রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত পারভীন চৌধুরী ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৪ বছরের কিশোরী শিরিন শেওড়াপাড়ায় পারভীন চৌধুরীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। কারণে-অকারণে পারভীন চৌধুরী ও তাঁর মেয়ে ইসমত জাহান জনি তাকে মারধর করতেন। গরম পানির ছ্যাঁকা দিতেন। ঘরে আটকে রাখতেন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতেন না। ২০১০ সালের ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মীকে মারধর করে তাকে জখম করেন মা ও মেয়ে। পরে ২৩ অক্টোবর পারভীন চৌধুরী তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেলা ৩টার দিকে শেওড়াপাড়ায় শিরিনকে কান্নাকাটি করতে দেখেন তার মায়ের পূর্বপরিচিত প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ। তিনি শিরিনের শরীরে ক্ষত দেখতে পান। এ ঘটনায় ওই দিনই আব্দুর রশিদ মিরপুর মডেল থানায় পারভীন চৌধুরী ও ইসমত জাহান জনিকে আসামি দিয়ে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে পারভীন চৌধুরীকে অভিযুক্ত করে মিরপুর মডেল থানার এসআই আবু বকর মিয়া অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে ইসমত জাহান জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে অব্যাহতি দেন।

এরপর ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল পারভীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।

মামলার বিচার চলাকালে ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্য নেন ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে পারভীন চৌধুরী নিজে ও ইসমত জাহান মায়ের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

আজকের রাশিফল: মুখটা সামলে রাখুন, শত্রুরা ফেসবুক পোস্টে প্রচুর হা হা দেবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএম কলেজ: বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে অনশনে দুই ছাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে দুই ছাত্রের অনশন। এতে সংহতি জানিয়ে এসেছেন আরও কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে দুই ছাত্রের অনশন। এতে সংহতি জানিয়ে এসেছেন আরও কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে দুই ছাত্র অনশন শুরু করেছেন। ইতিহাস বিভাগের ২১-২২ সেশনের ছাত্র ফেরদৌস রুমি গতকাল রোববার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন। আজ সোমবার বিকেলে রুমির সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হক অনশনে যোগ দেন। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাকসু নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদের অনশন অব্যাহত রয়েছে।

অনশনরত রুমি বলেন, ‘৩২ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণে মুখর বিএম কলেজ। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ২৪ বছর ধরে কলেজটিতে নির্বাচন হচ্ছে না। ছাত্র সংসদ না থাকায় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখতে পারছে না বাকসু। নির্বাচনের দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করছে না। বাধ্য হয়ে অনশনে বসেছেন। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করা পর্যন্ত অনশন চলবে।’

অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাকসু নির্বাচনের দাবিতে তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গতকাল রোববার বেলা ১টা থেকে এ দাবিতে ইতিহাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফেরদৌস রুমি অনশনে বসেন। আজ থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিএম কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হক অনশন শুরু করেছেন।’ কামরুল বলেন, বাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করলে তাঁরা অনশনের পাশাপাশি অচিরেই কলেজে শাটডাউন ঘোষণা দিতে পারেন।

বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে শিক্ষকদের নিয়ে একটি প্রাথমিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ বাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হওয়ায় বিএম কলেজেও নির্বাচনের দাবি ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

আজকের রাশিফল: মুখটা সামলে রাখুন, শত্রুরা ফেসবুক পোস্টে প্রচুর হা হা দেবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাহরাস্তিতে বসতবাড়ি থেকে ১২টি গোখরা সাপ উদ্ধার

চাঁদপুর প্রতিনিধি
সাপগুলো বোতলে ভরে নিয়ে গেছেন স্থানীয় সাপুড়েরা।
সাপগুলো বোতলে ভরে নিয়ে গেছেন স্থানীয় সাপুড়েরা।

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ১২টি বিষধর গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে পৌরসভার ঠাকুর বাজারসংলগ্ন নিজমেহার গ্রামের সাহাবাড়ি থেকে স্থানীয় সাপুড়েরা সাপগুলো উদ্ধার করেন।

ওই বাড়ির বাসিন্দা মিহির চন্দ্র সাহা বলেন, গতকাল রোববার তিনি নিজ ভবনের টয়লেটের ট্যাংকের পাইপের মুখে দুটি গোখরো সাপ দেখতে পান। ওই সময় পাইপের মুখে গরম পানি ও ব্লিচিং পাউডার ঢেলে একটি সাপ মেরে ফেলা হয়েছে। পরে সাপের খোলস দেখে সন্দেহ হয়, বাড়ির ভেতরে আরও সাপ থাকতে পারে। আজ দুপুরে স্থানীয় সাপুড়েদের সহায়তায় ছোট ভাই বিপ্লব সাহার ভবনের গ্যারেজ রুমের পাশে লাকড়ির স্তূপের নিচ থেকে ১২টি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা সাপগুলো সাপুড়েরা বোতলে ভরে নিয়ে গেছেন।

ওই বাড়ির যুবক রকি চন্দ্র সাহা জানান, উদ্ধার করা সাপগুলো এক ফুটের চেয়ে বড়। তবে বড় সাপগুলো পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় সাপুড়ে কামাল হোসেন জানান, সাপগুলো গোখরা জাতের। এগুলো বিষধর।

শাহরাস্তি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাকসুদ আলম জানান, গোখরাসহ বিষধর সাপ সাধারণত খাবার ও আশ্রয়ের খোঁজে বসতবাড়ির আশপাশে আসে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ইঁদুর দমন করা এবং গর্ত বা ফাঁকফোকর বন্ধ রাখলে এ ধরনের সাপের প্রবেশ অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। কেউ সাপ দেখলে আতঙ্কিত না হয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বা বন্য প্রাণী রেসকিউ টিমে খবর দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

আজকের রাশিফল: মুখটা সামলে রাখুন, শত্রুরা ফেসবুক পোস্টে প্রচুর হা হা দেবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাফিসা কামালসহ আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নাফিসা কামাল। ছবি: সংগৃহীত
নাফিসা কামাল। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিসা কামালের প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গতকাল রোববার রাতে গুলশান থানায় মামলাটি করা হয়।

আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।

সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নাফিসা কামাল ও তাঁর জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে একই সিন্ডিকেটে যুক্ত আছেন ইরভিং এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, আমান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন আহমেদ, আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. আকতার হোসাইন, মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ হোল্ডিংস প্রা. লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী শিউলী বেগম, মৃধা ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী কাউসার মৃধা ও রাব্বি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ বশির।

তদন্তে আরও জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ১১১ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠান। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ফি ছিল ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। কিন্তু সিন্ডিকেটটি অবৈধভাবে জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। এ ছাড়া পাসপোর্ট, মেডিকেল, কোভিড-১৯ পরীক্ষা ও পোশাক বাবদ সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে সিন্ডিকেটটি জনপ্রতি গড়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা করে মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই অর্থ অবৈধভাবে পাচারের প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় সিআইডি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মামলাটির তদন্ত করছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের সন্ধান নেওয়া হচ্ছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্‌ঘাটন ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

আজকের রাশিফল: মুখটা সামলে রাখুন, শত্রুরা ফেসবুক পোস্টে প্রচুর হা হা দেবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত