বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় আদালতে জামিন নিতে আসা দুই যুবককে তুলে নিয়ে একজনকে পিটিয়ে হত্যা এবং অপরজনকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে বলে নিহতের চাচা ফারুক চৌধুরী জানান। তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ নিহতের পরিবারের। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনকে মৃত এবং অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবকের নাম রোহান চৌধুরী (২৩)। তিনি বগুড়া সদরের মানিকচক গ্রামের কামাল চৌধুরীর ছেলে। গুরুতর আহত সেলিম (২৪) কর্ণপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত সানোয়ারের ছেলে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এই দুই যুবককে বগুড়া জজ আদালতের সামনে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়। তিন ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে একজনকে মৃত এবং অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া সদরের জয়বাংলা হাটে রাস্তায় তাদেরকে ফেলে রাখা হয়। পরে পুলিশ পৌঁছে গুরুতর আহত সেলিমকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় এবং নিহত রোহানের লাশ মর্গে পাঠায়।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক কারবার ও বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের কুটুরবাড়ি সাত্তুর মোড় এলাকায় বগুড়া সদরের রাজাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সেলিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। সেই মামলায় আসামি ছিলেন নিহত রোহান ও গুরুতর আহত সেলিম।
নিহত রোহানের চাচা ফারুক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ বুধবার সকালে আমি তাদেরকে জামিন করানোর জন্য বগুড়া শহরে নিয়ে আসি। আদালতের আশেপাশের ঘোরা ফেরা করার সময় তাদেরকে গিয়াসের নেতৃত্বে তিনজন সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আমি ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানাই। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিট পুলিশিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাফরকে ফোন করি। কিন্তু পুলিশ অনেক দেরিতে যাওয়ায় আমার ভাতিজাকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি।’
বগুড়া সদর থানার এসআই নুর জাহিদ বলেন, ‘৯৯৯ এর ফোন পেয়ে বিট অফিসার এসআই জাফরকে সঙ্গে নিয়ে বেলা ১১ টার পর থানা থেকে রওনা করি। জয়বাংলা হাটে পৌঁছে রাস্তায় রোহানকে মৃত এবং সেলিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাই।’
আব্দুল গোফ্ফার (৭০) নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘রোহান এবং সেলিমকে পেছনে দুই হাত বেঁধে জয়বাংলা হাটের পূর্বে মল্ডল ধরম গ্রামে গিয়াস উদ্দিনের বিয়াই মতির বাড়ির পেছনে লাঠি পেটা করতে দেখি। সেখানে গিয়াস উদ্দিন তার এক ভাই ও এক ছেলে ছাড়াও বেশ কয়েকজন ছিলেন। অবস্থা খারাপ হলে দুইজনকে অটোরিকশায় তুলে জয়বাংলা হাটে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দিনের বেলা গ্রামের মানুষের সামনে মারধর এবং হাটে ফেলে রেখে গেলেও গিয়াস মেম্বারের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেন নি।’
হামলার বিষয় জানতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, ছেলের ওপর হামলার ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার এলাকায় মানববন্ধনের আয়োজন করেন গিয়াস মেম্বার। তিনি (গিয়াস) রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য। এ ছাড়াও তিনি গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এলাকায় তার প্রভাব থাকায় আজ বুধবার ঘটনার সময় কেউ রোহান ও সেলিমকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। বরং পুলিশ আসা দেখে হাটের সকল দোকানপাট বন্ধ করে যে যার মত চলে যায়।
রাজাপুর ইউনিয়ন বিট পুলিশিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই জাফর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গিয়াস উদ্দিনের ছেলের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মানববন্ধন করার আগেই ১৯ জন আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জন আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।’
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনেছি আদালতে জামিন নিতে যাওয়ার পথে রোহান ও সেলিমকে ধরে নিয়ে আসে। এরপর পিটিয়ে রোহানকে হত্যার পর দুইজনকে জয়বাংলা হাটে ফেলে রেখে যায়। এঘটনায় জড়িত গিয়াসউদ্দিন, তার ছেলে, ভাইসহ বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদেরকে ধরতে অভিযান চলছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
বগুড়ায় আদালতে জামিন নিতে আসা দুই যুবককে তুলে নিয়ে একজনকে পিটিয়ে হত্যা এবং অপরজনকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে বলে নিহতের চাচা ফারুক চৌধুরী জানান। তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ নিহতের পরিবারের। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনকে মৃত এবং অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবকের নাম রোহান চৌধুরী (২৩)। তিনি বগুড়া সদরের মানিকচক গ্রামের কামাল চৌধুরীর ছেলে। গুরুতর আহত সেলিম (২৪) কর্ণপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত সানোয়ারের ছেলে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এই দুই যুবককে বগুড়া জজ আদালতের সামনে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়। তিন ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে একজনকে মৃত এবং অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া সদরের জয়বাংলা হাটে রাস্তায় তাদেরকে ফেলে রাখা হয়। পরে পুলিশ পৌঁছে গুরুতর আহত সেলিমকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় এবং নিহত রোহানের লাশ মর্গে পাঠায়।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক কারবার ও বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের কুটুরবাড়ি সাত্তুর মোড় এলাকায় বগুড়া সদরের রাজাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সেলিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। সেই মামলায় আসামি ছিলেন নিহত রোহান ও গুরুতর আহত সেলিম।
নিহত রোহানের চাচা ফারুক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ বুধবার সকালে আমি তাদেরকে জামিন করানোর জন্য বগুড়া শহরে নিয়ে আসি। আদালতের আশেপাশের ঘোরা ফেরা করার সময় তাদেরকে গিয়াসের নেতৃত্বে তিনজন সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আমি ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানাই। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিট পুলিশিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাফরকে ফোন করি। কিন্তু পুলিশ অনেক দেরিতে যাওয়ায় আমার ভাতিজাকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি।’
বগুড়া সদর থানার এসআই নুর জাহিদ বলেন, ‘৯৯৯ এর ফোন পেয়ে বিট অফিসার এসআই জাফরকে সঙ্গে নিয়ে বেলা ১১ টার পর থানা থেকে রওনা করি। জয়বাংলা হাটে পৌঁছে রাস্তায় রোহানকে মৃত এবং সেলিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাই।’
আব্দুল গোফ্ফার (৭০) নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘রোহান এবং সেলিমকে পেছনে দুই হাত বেঁধে জয়বাংলা হাটের পূর্বে মল্ডল ধরম গ্রামে গিয়াস উদ্দিনের বিয়াই মতির বাড়ির পেছনে লাঠি পেটা করতে দেখি। সেখানে গিয়াস উদ্দিন তার এক ভাই ও এক ছেলে ছাড়াও বেশ কয়েকজন ছিলেন। অবস্থা খারাপ হলে দুইজনকে অটোরিকশায় তুলে জয়বাংলা হাটে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দিনের বেলা গ্রামের মানুষের সামনে মারধর এবং হাটে ফেলে রেখে গেলেও গিয়াস মেম্বারের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেন নি।’
হামলার বিষয় জানতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, ছেলের ওপর হামলার ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার এলাকায় মানববন্ধনের আয়োজন করেন গিয়াস মেম্বার। তিনি (গিয়াস) রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য। এ ছাড়াও তিনি গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এলাকায় তার প্রভাব থাকায় আজ বুধবার ঘটনার সময় কেউ রোহান ও সেলিমকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। বরং পুলিশ আসা দেখে হাটের সকল দোকানপাট বন্ধ করে যে যার মত চলে যায়।
রাজাপুর ইউনিয়ন বিট পুলিশিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই জাফর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গিয়াস উদ্দিনের ছেলের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মানববন্ধন করার আগেই ১৯ জন আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জন আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।’
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনেছি আদালতে জামিন নিতে যাওয়ার পথে রোহান ও সেলিমকে ধরে নিয়ে আসে। এরপর পিটিয়ে রোহানকে হত্যার পর দুইজনকে জয়বাংলা হাটে ফেলে রেখে যায়। এঘটনায় জড়িত গিয়াসউদ্দিন, তার ছেলে, ভাইসহ বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদেরকে ধরতে অভিযান চলছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
আসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
৪১ মিনিট আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগেপ্রায় ২৫ বছর আগে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতে পাচার হন খুলনার রূপসা উপজেলার কিলো গ্রামের আনোয়ারা গাজী (৪৫)। বয়স তখন মাত্র ২০ বছর। অবশেষে ২৫ বছর পর তিনি ফিরলেন নিজ মাতৃভূমিতে।
৩ ঘণ্টা আগে