Ajker Patrika

আন্দোলনের মুখে বদলি বগুড়া আইএইচটির অধ্যক্ষ

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭: ৫১
আন্দোলনের মুখে বদলি বগুড়া আইএইচটির অধ্যক্ষ

অবশেষে বগুড়া ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বদলি করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে। একই সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার শেরপুর উপজেলার ছোনকা বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওয়ালিউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বগুড়া আইএইচটির অধ্যক্ষকে বাগেরহাটে বদলি করে মাদারীপুরের ম্যাটসে সংযুক্ত করার কথা উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে বগুড়া আইএইচটির সিনিয়র লেকচারার ওমর ফারুক মীরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া আইএইচটির ফটকে তালা।এতে আরও বলা হয়েছে, ডা. আমায়াত-উল-হাসিনকে সাত দিনের মধ্যে বদলিকৃত স্থানে যোগদান করতে হবে। না হলে অষ্টম কার্যদিবসে তিনি স্ট্যান্ড রিলিজ হিসেবে গণ্য হবেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ডা. আমায়াত-উল-হাসিন বক্তব্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী না হয়েও রাজনৈতিক প্রভাবে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ছাত্রাবাসের ২১৮ নম্বর কক্ষ দখল করে বসবাস করতেন ছাত্রলীগ নেতা সজল ঘোষ। ওই কক্ষে নিয়মিত মাদক সেবনসহ শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালাতেন তিনি।

গত ২৯ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও হোস্টেলের মিল ম্যানেজার আমিনুল ইসলামকে মারধর করা হয়। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। সেই সময় শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বিষয়টি সামনে আসে। প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধকালে তাঁরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করে।

বগুড়া আইএইচটি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।এই দাবিতে টানা ১৩ দিন আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত রোববার দুপুর থেকে টানা ১০ ঘণ্টা শহরের বগুড়া-শেরপুর সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে রাত ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা।

দাবিগুলো হলো- বহিরাগত সন্ত্রাসীকে আশ্রয় ও প্রশ্রয়দানকারী অধ্যক্ষ ডা. আমায়াত-উল-হাসিনের অপসারণ, সন্ত্রাসী–চাঁদাবাজ সজল ঘোষকে গ্রেপ্তার এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

এদিকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তর ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরের অলটারনেটিভ মেডিসিন বিভাগের উপপরিচালক ডা. গউসুল আজিম চৌধুরীকে। কমিটির সদস্যরা গতকাল সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এ বিষয়ে ডা. গউসুল আজিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চাই এখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসুক, প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম চালু হোক।’

খুব শিগগিরই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত