শাহীন রহমান, পাবনা
পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা পশ্চিম জামুয়া গুচ্ছগ্রামে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০টি ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি চক্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপি-সমর্থিত কিছু লোক ঘর স্থাপন করা ওই জমি নিজেদের দাবি করে পরিবারগুলোকে জোর করে তুলে দিয়েছে। একই সঙ্গে ঘর ভেঙে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনার পাঁচ মাসেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালে পশ্চিম জামুয়া গ্রামে ভূমিহীন ৬০টি পরিবারকে দলিলসহ ঘর বুঝিয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ওই প্রকল্পের বাসিন্দাদের সরিয়ে দেয় চক্রটি।
জমির মালিক দাবিদার সাতজন হলেন পশ্চিম জামুয়া গ্রামের আকরাম প্রামাণিক, উম্মত প্রামাণিক, আক্কাস প্রামাণিক, ইব্রাহিম প্রামাণিক, ইসমাইল প্রামাণিক, নায়েব আলী ও নবাব আলী। তাঁদের বেশির ভাগই জামায়াত এবং দু-একজন বিএনপি-সমর্থক বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হলে নজরে আসে সবার।
গত সোমবার দুপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ৬০টি ঘরের সব কটিই ভাঙাচোরা। রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে প্রকল্পটি। প্রকল্পের প্রবেশমুখেই একটি সাইনবোর্ড চোখে পড়ে। যেখানে লেখা ‘নিম্ন বর্ণিত সম্পত্তি লইয়া পাবনা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান আছে। বাদী সাতজনের নাম, বিবাদী সরকার। জমির পরিমাণ ১ দশমিক ৩৮ একর।’
সাংবাদিক এসেছেন শুনে প্রকল্প এলাকায় উপস্থিত হন জমির মালিক দাবিদার নায়েব আলী এবং আক্কাস প্রামাণিকের ছেলে আতিক প্রামাণিক। তাঁরা বলেন, ‘এই জমি আমাদের। কিন্তু পতিত সরকারের সন্ত্রাসী আবু সাইদ খান চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এই জমি জোর করে দখল নিয়ে প্রশাসনকে দিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প করেছিল।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘এই জমি নিয়ে ২০১০ সালে ও ২০২০ সালে আদালতে মামলাও করেছি আমরা। সেই মামলা চলমান থাকা অবস্থায় প্রশাসনের লোকজন নিজেদের ইচ্ছেমতো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর করেছে। আমরা অসহায় ছিলাম, কিছু করতে পারিনি। আমাদের জমি দাবি করে তাদের চলে যেতে বলেছিলাম, তবে ঘর ভাঙচুরের সাথে আমরা জড়িত না। তারা নিজেরাই ঘরের সবকিছু ভেঙে নিয়ে চলে গেছে। এখানে আমাদের ওপর মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা ভূমিহীনদের খোঁজ করে জানা গেল, তারা পাশের বাঁধে বসবাস করছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ফুলমালা বেগম নামের এক নারী বাঁধের নিচে ছোট্ট একটা টিনের চাল ও পাটকাঠির বেড়া দিয়ে একটি ঘর তুলে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন। তাঁর আশপাশে এ রকম ভুক্তভোগী পাওয়া গেল আরও কয়েকজনকে।
ফুলমালা বলেন, ‘ওই দিন (৫ আগস্ট) সন্ধ্যার সময় কিছু লোক এসে আমাগারে এক ঘণ্টার মধ্যি ঘর ছাইড়ে দিয়ার জন্যি নির্দেশ দেয়। আমরা সরকারের কাছে মাথা গুঁজার ঠাঁই চাই।’
জানতে চাইলে পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না। তবে নজরে আসার পর আমি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি।’ জমি নিয়ে মামলা আছে কি না জানা নেই উল্লেখ করে ডিসি বলেন, ‘মামলার কাগজপত্র না দেখে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা পশ্চিম জামুয়া গুচ্ছগ্রামে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০টি ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি চক্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপি-সমর্থিত কিছু লোক ঘর স্থাপন করা ওই জমি নিজেদের দাবি করে পরিবারগুলোকে জোর করে তুলে দিয়েছে। একই সঙ্গে ঘর ভেঙে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনার পাঁচ মাসেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালে পশ্চিম জামুয়া গ্রামে ভূমিহীন ৬০টি পরিবারকে দলিলসহ ঘর বুঝিয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ওই প্রকল্পের বাসিন্দাদের সরিয়ে দেয় চক্রটি।
জমির মালিক দাবিদার সাতজন হলেন পশ্চিম জামুয়া গ্রামের আকরাম প্রামাণিক, উম্মত প্রামাণিক, আক্কাস প্রামাণিক, ইব্রাহিম প্রামাণিক, ইসমাইল প্রামাণিক, নায়েব আলী ও নবাব আলী। তাঁদের বেশির ভাগই জামায়াত এবং দু-একজন বিএনপি-সমর্থক বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হলে নজরে আসে সবার।
গত সোমবার দুপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ৬০টি ঘরের সব কটিই ভাঙাচোরা। রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে প্রকল্পটি। প্রকল্পের প্রবেশমুখেই একটি সাইনবোর্ড চোখে পড়ে। যেখানে লেখা ‘নিম্ন বর্ণিত সম্পত্তি লইয়া পাবনা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান আছে। বাদী সাতজনের নাম, বিবাদী সরকার। জমির পরিমাণ ১ দশমিক ৩৮ একর।’
সাংবাদিক এসেছেন শুনে প্রকল্প এলাকায় উপস্থিত হন জমির মালিক দাবিদার নায়েব আলী এবং আক্কাস প্রামাণিকের ছেলে আতিক প্রামাণিক। তাঁরা বলেন, ‘এই জমি আমাদের। কিন্তু পতিত সরকারের সন্ত্রাসী আবু সাইদ খান চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এই জমি জোর করে দখল নিয়ে প্রশাসনকে দিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প করেছিল।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘এই জমি নিয়ে ২০১০ সালে ও ২০২০ সালে আদালতে মামলাও করেছি আমরা। সেই মামলা চলমান থাকা অবস্থায় প্রশাসনের লোকজন নিজেদের ইচ্ছেমতো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর করেছে। আমরা অসহায় ছিলাম, কিছু করতে পারিনি। আমাদের জমি দাবি করে তাদের চলে যেতে বলেছিলাম, তবে ঘর ভাঙচুরের সাথে আমরা জড়িত না। তারা নিজেরাই ঘরের সবকিছু ভেঙে নিয়ে চলে গেছে। এখানে আমাদের ওপর মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা ভূমিহীনদের খোঁজ করে জানা গেল, তারা পাশের বাঁধে বসবাস করছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ফুলমালা বেগম নামের এক নারী বাঁধের নিচে ছোট্ট একটা টিনের চাল ও পাটকাঠির বেড়া দিয়ে একটি ঘর তুলে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন। তাঁর আশপাশে এ রকম ভুক্তভোগী পাওয়া গেল আরও কয়েকজনকে।
ফুলমালা বলেন, ‘ওই দিন (৫ আগস্ট) সন্ধ্যার সময় কিছু লোক এসে আমাগারে এক ঘণ্টার মধ্যি ঘর ছাইড়ে দিয়ার জন্যি নির্দেশ দেয়। আমরা সরকারের কাছে মাথা গুঁজার ঠাঁই চাই।’
জানতে চাইলে পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না। তবে নজরে আসার পর আমি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি।’ জমি নিয়ে মামলা আছে কি না জানা নেই উল্লেখ করে ডিসি বলেন, ‘মামলার কাগজপত্র না দেখে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ঢাকাগামী একটি ট্রেনের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁর নাম তুষার, তিনি দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশার চালক।
২ মিনিট আগেসৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল শুক্রবার দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করা হবে। জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের অনুসরণ করে হজের পরের দিন ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
৪ ঘণ্টা আগেসভায় যোগ দিতে সরকারি গাড়িতেই রাজশাহী এসেছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। সভা শেষ করে সোজা হাটে গিয়ে তিনি কোরবানির গরু কিনেছেন। তারপর সেই সরকারি গাড়িতেই তুলে নিয়ে গেছেন গরু। আজ বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসেছে। রাজধানীর ২১টি স্থানে ছড়িয়ে থাকা এসব পশুর হাটে আজ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে জমে উঠেছে বেচাকেনা। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে হাটগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। অফিস-আদালতের ছুটি শুরু হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের পশুর
৪ ঘণ্টা আগে