মিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)
চৈত্রের শেষ দিকে এসে খরায় পুড়ছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলাসহ আশপাশের অঞ্চল। গত এক সপ্তাহে দিনের তাপমাত্রা কখনো ৩৮ আবার সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে। রাতে সেই তাপমাত্রা যাচ্ছে নেমে। এতে খরা আর দাবদাহে আমের গুটি পড়ছে ঝরে। ফলে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। গুটি ঝরে পড়ায় এবার আমের ফলনে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
তবে রাজশাহীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মকর্তারা বলছেন, ‘একটি বোঁটায় একটি আমই বাম্পার ফলন।’
রাজশাহী অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলায় ৯৬ হাজার ২০০ হেক্টরে আমবাগান রয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১৩ লাখ টন। রাজশাহী অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আমবাগান রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। গত বছর এই অঞ্চলে মোট ১২ লাখ ৭ হাজার ২৬৩ টন আম উৎপাদন হয়।
এদিকে দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ১ হাজার হেক্টরে আমবাগান গড়ে উঠেছে। এতে এই উপজেলায় অন্তত তিন থেকে সাড়ে ৩ শ আমবাগান রয়েছে। আমের ফলন নির্ভর করে মূলত প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর। এবার প্রচুর মুকুল ও গুটি ধরলেও খরায় কিছুটা ঝরে গেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যেই রয়েছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের সুলাইমান শেখ বলেন, খরায় আমের গুটি ঝরে পড়ছে। সেচ ও পানি ছিটিয়েও গুটি ঝরে যাওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না।
পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের আরেক আম ব্যবসায়ী বদর প্রামাণিক বলেন, তাপমাত্রা খুব বেশি হচ্ছে। গতবার অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আমবাগান মালিকেরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় আমের বোঁটার রস শুকিয়ে যাচ্ছে। পরে আম হলুদ বর্ণ ধারণ করে গুটি ঝরে পড়ছে।
নওপাড়া গ্রামের আবু কালাম বলেন, ‘১০-১২টি আমবাগান লিজ নেওয়া আছে আমার। প্রায় বাগানের আমগাছে গুটি ঝরে পড়ছে। তাপমাত্রা অব্যাহত থাকলে এ বছর আমের ফলনে বিপর্যয় হবে। এতে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে।’
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাহারা শারমিন লাবণী বলেন, খরা ও অনাবৃষ্টি এগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এবার আমগাছগুলোতে ব্যাপকহারে গুটি এসেছে। এখন ভালো ফলনের জন্য বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল। আমচাষিদের এ সময় সেচ ও আমের বোঁটায় স্প্রে করে পানি দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, একটি বোঁটায় একটি আমই বাম্পার ফলন। একটি মুকুলে প্রচুর গুটি আসে। সবই তো আর টিকে থাকবে না। আর টিকলেও ভালো ফলন হবে না। আম ছোট হবে। তিনি বলেন, এখন গ্রীষ্মকাল। এ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে। চাষিদের আমগাছের গোড়ায় সেচ ও গুটিতে পানি স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
দাবদাহে এ বছর রাজশাহীতে আমের ফলনে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমের ফলন বিপর্যয়ের আপাতত আশঙ্কা দেখছি না।’ বৃষ্টি হলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
চৈত্রের শেষ দিকে এসে খরায় পুড়ছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলাসহ আশপাশের অঞ্চল। গত এক সপ্তাহে দিনের তাপমাত্রা কখনো ৩৮ আবার সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে। রাতে সেই তাপমাত্রা যাচ্ছে নেমে। এতে খরা আর দাবদাহে আমের গুটি পড়ছে ঝরে। ফলে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। গুটি ঝরে পড়ায় এবার আমের ফলনে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
তবে রাজশাহীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মকর্তারা বলছেন, ‘একটি বোঁটায় একটি আমই বাম্পার ফলন।’
রাজশাহী অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলায় ৯৬ হাজার ২০০ হেক্টরে আমবাগান রয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১৩ লাখ টন। রাজশাহী অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আমবাগান রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। গত বছর এই অঞ্চলে মোট ১২ লাখ ৭ হাজার ২৬৩ টন আম উৎপাদন হয়।
এদিকে দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ১ হাজার হেক্টরে আমবাগান গড়ে উঠেছে। এতে এই উপজেলায় অন্তত তিন থেকে সাড়ে ৩ শ আমবাগান রয়েছে। আমের ফলন নির্ভর করে মূলত প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর। এবার প্রচুর মুকুল ও গুটি ধরলেও খরায় কিছুটা ঝরে গেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যেই রয়েছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের সুলাইমান শেখ বলেন, খরায় আমের গুটি ঝরে পড়ছে। সেচ ও পানি ছিটিয়েও গুটি ঝরে যাওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না।
পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের আরেক আম ব্যবসায়ী বদর প্রামাণিক বলেন, তাপমাত্রা খুব বেশি হচ্ছে। গতবার অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আমবাগান মালিকেরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় আমের বোঁটার রস শুকিয়ে যাচ্ছে। পরে আম হলুদ বর্ণ ধারণ করে গুটি ঝরে পড়ছে।
নওপাড়া গ্রামের আবু কালাম বলেন, ‘১০-১২টি আমবাগান লিজ নেওয়া আছে আমার। প্রায় বাগানের আমগাছে গুটি ঝরে পড়ছে। তাপমাত্রা অব্যাহত থাকলে এ বছর আমের ফলনে বিপর্যয় হবে। এতে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে।’
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাহারা শারমিন লাবণী বলেন, খরা ও অনাবৃষ্টি এগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এবার আমগাছগুলোতে ব্যাপকহারে গুটি এসেছে। এখন ভালো ফলনের জন্য বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল। আমচাষিদের এ সময় সেচ ও আমের বোঁটায় স্প্রে করে পানি দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, একটি বোঁটায় একটি আমই বাম্পার ফলন। একটি মুকুলে প্রচুর গুটি আসে। সবই তো আর টিকে থাকবে না। আর টিকলেও ভালো ফলন হবে না। আম ছোট হবে। তিনি বলেন, এখন গ্রীষ্মকাল। এ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে। চাষিদের আমগাছের গোড়ায় সেচ ও গুটিতে পানি স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
দাবদাহে এ বছর রাজশাহীতে আমের ফলনে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমের ফলন বিপর্যয়ের আপাতত আশঙ্কা দেখছি না।’ বৃষ্টি হলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
ঢাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের দাফনের প্রস্তুতি চলছে রাজশাহীতে। নগরের সপুরা গোরস্থানে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কবর খননের কাজ শুরু হয়।
৫ মিনিট আগেমধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে স্থানীয় সাহানীয়া সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর নাম মো. রায়হান (২০)। তিনি উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদ নুরুর ছেলে। কাতারের হোমসালাল মোহাম্মদ
২০ মিনিট আগেআলোচনা শেষে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, মাইলস্টোন স্কুলে একটি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে নিহত ও আহতের তথ্য থাকছে। কেউ নিখোঁজ থাকলে, সে তথ্য থাকছে। এখান থেকে তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। নিহত ও আহত পরিবারের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
৩৩ মিনিট আগেবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে একটানা লড়াই শেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালো রাঙামাটির উ ক্য সাইন মারমা।
৩৬ মিনিট আগে