Ajker Patrika

পদ্মা ব্যারাজের দাবিতে লংমার্চ হাবাসপুর করা হবে: মনির হায়দার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
সেমিনারে পদ্মা ব্যারাজ নিয়ে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সেমিনারে পদ্মা ব্যারাজ নিয়ে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেছেন, ‘ভারতের ফারাক্কা বাঁধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদের বিকল্প পদক্ষেপ লাগবে, আর সেটা হলো রাজবাড়ীর হাবাসপুরে পদ্মা ব্যারাজ। অচিরেই হাবাসপুর লংমার্চ করা হবে। ফারাক্কা লংমার্চের বহু বছর পর আমরা এমন এক লংমার্চ করব, যেখানে এই অঞ্চলের লাখো মানুষ থাকবে, আমরা রাষ্ট্রকে বাধ্য করব এই মহামারি থেকে রক্ষা করতে।’

আজ শনিবার দুপুরে শহরের রাজবাড়ী কনভেনশন সেন্টারে পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এসব কথা বলেন।

মনির হায়দার বলেন, ‘১৯৭৫ সালে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ ১০ দিনের চালুর কথা বলে তারা আর সেটা বন্ধ করেনি।’

পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু ওহাব মো. হাফীজুল হক বলেন, ‘আমাদের অস্তিত্বের দাবি পদ্মা ব্যারাজ, আমাদের প্রাণের দাবি পদ্মা সেতু। পদ্মা ব্যারাজ ও পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়েছে, কিন্তু আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। এ জন্য আমাদের দাবি পদ্মা সেতু ও পদ্মা ব্যারাজ দিতে হবে।’

পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধের কারণে রাজবাড়ীসহ ২৬টি জেলার কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কথা বলে আসছি। এর আগে ঢাকাতে আমরা সেমিনার করেছি, আজ এখানে করলাম। এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য ফারাক্কার প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের পদ্মা ব্যারাজ ও পদ্মা সেতু করতে হবে।’

সেমিনারে অন্য বক্তারা বলেন, পাংশা থেকে ফারাক্কা পর্যন্ত ১৬৫ কিলোমিটার পদ্মা ব্যারাজ প্রকল্প নির্মিত হলে দেশের প্রতিটি নদীতে সব সময় পানি থাকবে। কৃষি, বনায়ন, খাদ্য উৎপাদন, নদীর লবণাক্ততা হ্রাস, দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যা নিরসন হবে। পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে পারলে দেশ ও দেশের মানুষে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। রাজবাড়ী দৌলতদিয়া-মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাসহ দেশের যোগাযোগ, অর্থনৈতিক, কৃষিসহ জনসাধারণের সার্বিক উন্নয়ন সহজতর হবে।

পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জালালের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এস এম মতিউর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি সদস্য গোলাম মসিহ্, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সদস্য খোন্দকার আব্দুস সাত্তার ও পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

তালাকের পরে ফের বিয়ে নিয়ে সমালোচনা, যে ব্যাখ্যা দিলেন সাবিকুন নাহার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ