Ajker Patrika

উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় দ্রুত এগোচ্ছে তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা 

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ২৫
উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় দ্রুত এগোচ্ছে তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা 

দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর পায়রার নির্মাণকাজ। ২০২৩ সালে অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এর কার্যক্রম। বন্দর থেকে রেল ও সড়কপথে দ্রুত সময়ে স্বল্প খরচে পণ্য সরবরাহের সম্ভাব্যতায় ব্যবসায়ীদের কাছে এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ, সড়ক পরিবহন, জলযান ক্রয়, ভবন নির্মাণসহ পায়রা বন্দরের পুরো কার্যক্রম শেষ হলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে ব্যাপক বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করছেন স্থানীয়সহ সংশ্লিষ্টরা।

বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা বন্দরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। পরে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বন্দরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এরপরই বন্দরে আসতে শুরু করে পণ্যবাহী জাহাজ। অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১৬০টি মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ আয় করেছে ৩১৯ কোটি টাকা।

পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে সার্ভিস জেটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার চুক্তিমূল্য ৬৭ কোটি টাকা। বর্তমানে ৬৫০ বিঘা জেটি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে, যার অগ্রগতি ২৭ শতাংশ। ইয়ার্ড নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে, যার অগ্রগতি ২৭.৫ শতাংশ। ইতিমধ্যে বানাতিপাড়ার সঙ্গে কানেকটিভিটির জন্য রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে, যার ১.৩ কিলোমিটার কাজ চলমান রয়েছে। বন্দর পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে তাঁরা ইকুয়েভমেন্ট ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছেন।  

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দুটি স্টেজ ক্রেন এবং দুটি মোবাইল হার্ভার ক্রেন ক্রয় করব। বহির্নোঙরে জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার লক্ষ্যে বিজিএমআইর সিস্টেম ক্রয় করতে দরপত্র আহ্বান করব। এ ছাড়া পায়রা বন্দর এলাকায় অধিগ্রহণকৃত ভূমির মধ্যে অবস্থিত এবং আশপাশের এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নদীসংলগ্ন যেসব বেড়িবাঁধ ভেঙা হয়েছে, তা নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। ৬.৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকা খরচ হবে। আমাদের কাজ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যে পায়রা বন্দর চালু করা সম্ভব হবে।  

উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় দ্রুত এগোচ্ছে তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রাপায়রা বন্দরের যুগ্ম-সচিব, পরিচালক (প্রশাসন) মহিউদ্দিন আহম্মেদ খান আজকের পত্রিকাকে জানান, বন্দরের পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে ইতিমধ্যে সাড়ে ৪ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ, অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাড়ে ৩ হাজার গৃহ নির্মাণ, সাতটি জলযান ক্রয়, এক লাখ বর্গফুট ইয়ার্ড নির্মাণ, সাড়ে চার কিলোমিটারের চার লেন শেখ হাসিনা সড়ক নির্মাণ, প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, নিরাপত্তা ভবন, অফিসার ডর্মেটরি, স্টাফ ডর্মেটরি, অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ ও মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে প্রমত্তা রাবনাবাদ নদের মোহনাঘেঁষা লালুয়ায় ১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চলছে প্রথম অত্যাধুনিক টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। এই টার্মিনালের সঙ্গে ৯১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি জেটিও নির্মাণ করা হচ্ছে। এই জেটিতে একসঙ্গে তিনটি বড় জাহাজের পণ্য খালাস করা যাবে। এ ছাড়া টার্মিনালের সঙ্গে মহাসড়কের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সাড়ে ছয় কিলোমিটারের ছয় লেন সড়ক। চলমান রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাপিটাল ও মেইন্টেনিং ড্রেজিংয়ের কাজ। খুব শিগগিরই আন্ধারমানিক নদে ৬৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হচ্ছে ১১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৪ মিটার প্রস্থের ছয় লেন সেতু নির্মাণের কাজ এবং লালুয়ার চান্দুপাড়া গ্রামে ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ। বন্দর উন্নয়নে সরকারের আরও মহাপরিকল্পনা রয়েছে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। 

কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ সিকদার আজকের পত্রিকাকে জানান, পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের ধরন পাল্টে যেতে শুরু করেছে। পুরো কার্যক্রম শুরু হলে এই অঞ্চলের সব দুঃখ-দুর্দশা ঘুচে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালকসহ নিহত ৩

নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর মাধবদীতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদীর রাইনাদী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের রাইনাদী গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে সিয়াম মিয়া (২২), আলতাফ হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮) ও রবিউল ইসলামের ছেলে অটোচালক ফাহিম মিয়া (৩০)।

নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা জানান, রাতে ইজিবাইকে করে তিনজন মাধবদীর দিক থেকে রাইনাদী এলাকায় যাচ্ছিলেন। ইজিবাইকটি মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকা থেকে সিলেটগামী দ্রুতগতির বাসটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এ সময় দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান আরও একজন।

ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে দুজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজন মারা গেছেন। ঘটনার পর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। বাসটি জব্দ করা হলেও পালিয়ে গেছেন বাসের চালক ও তাঁর সহযোগী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামীকাল শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা, মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
জাল ও নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাল ও নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে। এ কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। জাল ও নৌকাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গোছাতে মাছঘাটগুলোতে এখন তাদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। এদিকে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে অভিযান সফল দাবি করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশা করছেন, এবার ইলিশের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে ৫০০ মেট্রিক টন বেশি হবে।

জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষার জন্য ৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের রামগতি আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।

জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে দুই শতাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অর্ধশতাধিক জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়।

অভিযানকালে প্রায় ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, ১০টি নৌকা ও প্রায় ১ হাজার কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নামার জন্য জেলেরা এখন নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ করছেন। জেলেরা জানান, এবারের অভিযান কঠোর ছিল এবং তারা সরকারের আইন মেনেই মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলেন। তবে তাদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার সময় বরাদ্দকৃত চাল (৪৪ হাজার জেলেকে ২৫ কেজি হারে মোট ১ হাজার ১৪ মেট্রিক টন) কিছু ক্ষেত্রে অন্য পেশার লোকজনকে দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে তারা পুরোদমে আবার মাছ ধরা শুরু করবেন।

লক্ষীপুর-২
লক্ষীপুর-২

এবারের অভিযান সফল হয়েছে জানিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, "গতবারের চেয়ে এবার ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। " তিনি আশা করেন, এ বছর লক্ষ্মীপুরে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার মেট্রিক টন হবে, যা গত বছরের চেয়ে ৫০০ মেট্রিক টন বেশি। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এই ধরনের কঠোর অভিযান অব্যাহত ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লালমনিরহাটে বৈষম্যবিরোধী ও আওয়ামী লীগের ২ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিএনপিতে যোগদান

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন নেত-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন নেত-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমনিরহাট জেলার মুখপাত্র সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির জনসভায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী শতাধিক আওয়ামী লীগ সমর্থকও বিএনপিতে যোগদান করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামত’র ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এই জনসভার আয়োজন করে। জনসভার প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও লালমনিরহাট-২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বিধান চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আদিতমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সবুজ, আদিতমারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এইচএম ইদ্রীস আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহারিয়ার আলম রনি, কৃষক দলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম মিঠু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল হালিম এবং কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মতিনুর রহমান মতিন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নালিতাবাড়ীতে ইসলামি সম্মেলনে চার যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
বিয়ের খুতবা ও আকদ পরিচালনা করেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমির আল্লামা আবদুল হামিদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিয়ের খুতবা ও আকদ পরিচালনা করেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমির আল্লামা আবদুল হামিদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ইসলামি সম্মেলনে চারটি যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় শহীদ মিনার মঞ্চে মানবকল্যাণ সংস্থা ‘ইনসাফ’-এর আয়োজনে এই বিয়ে চারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সম্পূর্ণ বিনা যৌতুকে ও নামমাত্র খরচে আয়োজিত এই বিয়ের আয়োজন স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইত্তেফাকুল উলামা নালিতাবাড়ী শাখার সভাপতি মাওলানা উবায়দুর রহমান। বিয়ের খুতবা ও আকদ পরিচালনা করেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমির আল্লামা আবদুল হামিদ।

ইনসাফ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে বিয়েতে অযথা আড়ম্বর ও ব্যয়বহুল আয়োজনের কারণে অনেক যুবক বিয়ে করতে সাহস পান না। এই পরিস্থিতিতে ইসলামি রীতি মেনে, স্বল্প খরচে ও সম্পূর্ণ যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন শুরু করেছে সংস্থাটি।

যৌতুকবিহীন বিয়েতে অংশ নেন চার যুগল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন,

প্রথম যুগল—পশ্চিম শিমুলতলা গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে ও ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী এবং বাগিচাপুর গ্রামের বজলুর রশিদের মেয়ে আলেমা মোছাম্মদ হাবিবা।

দ্বিতীয় যুগল—নাকশী গ্রামের সাইফুল আলমের ছেলে ও ইনসাফের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হাসান এবং ফুলপুর বান্দেরবাজার গ্রামের রূপচাঁদ মিয়ার মেয়ে মোছা. ইভা ইসলাম।

তৃতীয় যুগল—বাইপাস দক্ষিণ কালিনগর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ আবু সাঈদ এবং গাজির খামার গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে মোছা. রেশমা।

চতুর্থ যুগল—ফকিরপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আলি আহসান মোজাহিদ এবং ফুলপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে জাকিয়া খাতুন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আল্লামা মুফতি ওয়াহিদুল আলম, মুফতি শহীদুল্লাহ মাহমুদ এবং নালিতাবাড়ী নূর মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আরিফুর রহমান।

ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী বলেন, ‘যৌতুক প্রথা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় ও সমাজের জন্য অভিশাপ। সমাজ থেকে এই প্রথার অবসান ঘটাতে ইনসাফ যৌতুকবিহীন বিবাহের এই উদ্যোগ নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত