পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থানীয় এক ঠিকাদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সেখানে ভাঙচুর ও ঠিকাদারকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। এ সময় রামদার কোপে ১০-১২ জন আহত হন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধানখালী ইউনিয়নের মরিচবুনিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (আরএনপিএল) কয়লা খালাসের জেটিঘাটে শ্রমিক সরবরাহ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঠিকাদার শাহীন মৃধার প্রতিষ্ঠানে এই হামলা হয়। শাহীন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে শ্রমিকসহ বিভিন্ন মালামাল সরবরাহের কাজে যুক্ত।
হামলাকারীদের রামদার কোপে স্থানীয় বাসিন্দা দোলন মৃধা, মিরাজ হোসেন, শাহীনের গাড়িচালক রানাসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। তাঁরা পাশের উপজেলা আমতলীতে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, হামলায় নেতৃত্ব দেন কলাপাড়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ তালুকদার, বিএনপি নেতা বশির মৃধা, হানিফ মেম্বারসহ তাঁদের অনুসারীরা। হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মহসিনকে দায়ী করছেন শাহীন ও তাঁর পরিবার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শতাধিক মোটরসাইকেলে করে অস্ত্রসহ মরিচবুনিয়া এলাকায় যান কামরুজ্জামানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা শাহীনের শ্রমিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়, তাঁর আবাসগৃহ ও শ্রমিকদের বসবাসের ছাউনি রয়েছে। হামলাকারীরা এগুলো ভাঙচুর করেন। এ সময় কয়েকজন শাহীনকে তাঁর ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি ঘরের কোণের একটি টিন খুলে বের হয়ে আত্মরক্ষা করেন। তবে আগুনে ঘরে থাকা দুটি এসি, টিভি, ১০টি সিসি ক্যামেরা, দুটি ফ্রিজ, খাট, তিনটি সোফা সেটসহ অন্যান্য আসবাব ও ডাম্পট্রাক পুড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের খবর পেয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রওনা হলে পথে ছয় লেন সড়ক এলাকায় গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। শেষে সেনাবাহিনীর একটি দল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শাহীন অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার ইন্দনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দলবল নিয়ে এসে আমার কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। একপর্যায়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ভস্মীভূত করেছে। এমনকি আমার ব্যক্তিগত গাড়িটিও ভাঙচুর করেছে। আমাকে তালাবদ্ধ করে হামলাকারী চক্র আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি বের হতে না পারলে পুড়ে ছাই হয়ে যেতাম। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। এমন জাহেলি কাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায্য বিচার চাই।’ হামলায় কয়েক কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন শাহীন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা শাহীনের ভাই রুবেল মৃধা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা মোশাররফ মিয়া পরিকল্পিতভাবে আজকে তাঁর লোকজন দিয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন। কাজল তালুকদার মোটরসাইকেলবহর নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফিরোজ তালুকদার, হানিফ মেম্বার, বশির মৃধাসহ স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতারা। আমরা বিএনপি পরিবারের সন্তান, কিন্তু তিনি আজকে যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা আওয়ামী লীগের সময়েও হয়নি।’
রুবেল আরও বলেন, ‘কয়লার ঘাট থেকে মোশাররফ মিয়াকে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দিতাম। মহসিনের (স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা) ভাগনে লিওনকে দিয়ে তিনি টাকা নিতেন। ঢাকায় গিয়েও দিয়ে আসতাম। জাহাজ আসলেই তাঁকে টাকা দেওয়া লাগবে। এখন তিনি মহসিনের নামে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার (কার্যাদেশ) বানিয়ে আমাদের সরিয়ে দিতে চান। আজকের ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

জানতে চাইলে মহসিন বলেন, ‘আসলে শাহীন মৃধা আওয়ামী লীগের লোক। তার সঙ্গে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের সুসম্পর্ক ছিল। সে নিজে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এলাকার মানুষজন এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে সব সময় অভিযোগ করে আসছে। তা ছাড়া আমি আরএনপিএল নামের নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে মালামাল সরবরাহ করার জন্য কার্যাদেশ পেয়েছি। এতে শাহীন মৃধা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এমনকি আমার শ্রমিকদের মালামাল সরবরাহে বাধা দিয়েছে। এসব নিয়ে শাহীন মৃধার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছি।’
হামলার বিষয়ে মহসিন বলেন, ‘আমি এলাকায় থাকি না, ঢাকায় বসবাস করি। এখন ওই এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে, এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তা আমি জানি না। আমাকে নিয়ে কোনো কথা বলে থাকলে তা উদ্দেশ্যমূলক। আমি এর সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই।’
একই দাবি করে বিএনপি নেতা মোশাররফ বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি শাহীন মৃধার নিজের ওয়ার্ক অর্ডার নেই। আর এ বিষয়ে (হামলা) আমি কিছু জানি না। তবে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।’
এদিকে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এ বিষয়ে অবগত নই। আমি সেখানে যাইনি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটির পাশের স্থাপনায় চিহ্নিত একদল সন্ত্রাসী হামলা, তাণ্ডব, নাশকতা চালায়। বর্তমানে সেখানকার আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি।’
আরও খবর পড়ুন:

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থানীয় এক ঠিকাদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সেখানে ভাঙচুর ও ঠিকাদারকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। এ সময় রামদার কোপে ১০-১২ জন আহত হন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধানখালী ইউনিয়নের মরিচবুনিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (আরএনপিএল) কয়লা খালাসের জেটিঘাটে শ্রমিক সরবরাহ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঠিকাদার শাহীন মৃধার প্রতিষ্ঠানে এই হামলা হয়। শাহীন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে শ্রমিকসহ বিভিন্ন মালামাল সরবরাহের কাজে যুক্ত।
হামলাকারীদের রামদার কোপে স্থানীয় বাসিন্দা দোলন মৃধা, মিরাজ হোসেন, শাহীনের গাড়িচালক রানাসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। তাঁরা পাশের উপজেলা আমতলীতে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, হামলায় নেতৃত্ব দেন কলাপাড়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ তালুকদার, বিএনপি নেতা বশির মৃধা, হানিফ মেম্বারসহ তাঁদের অনুসারীরা। হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মহসিনকে দায়ী করছেন শাহীন ও তাঁর পরিবার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শতাধিক মোটরসাইকেলে করে অস্ত্রসহ মরিচবুনিয়া এলাকায় যান কামরুজ্জামানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা শাহীনের শ্রমিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়, তাঁর আবাসগৃহ ও শ্রমিকদের বসবাসের ছাউনি রয়েছে। হামলাকারীরা এগুলো ভাঙচুর করেন। এ সময় কয়েকজন শাহীনকে তাঁর ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি ঘরের কোণের একটি টিন খুলে বের হয়ে আত্মরক্ষা করেন। তবে আগুনে ঘরে থাকা দুটি এসি, টিভি, ১০টি সিসি ক্যামেরা, দুটি ফ্রিজ, খাট, তিনটি সোফা সেটসহ অন্যান্য আসবাব ও ডাম্পট্রাক পুড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের খবর পেয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রওনা হলে পথে ছয় লেন সড়ক এলাকায় গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। শেষে সেনাবাহিনীর একটি দল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শাহীন অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার ইন্দনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দলবল নিয়ে এসে আমার কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। একপর্যায়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ভস্মীভূত করেছে। এমনকি আমার ব্যক্তিগত গাড়িটিও ভাঙচুর করেছে। আমাকে তালাবদ্ধ করে হামলাকারী চক্র আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি বের হতে না পারলে পুড়ে ছাই হয়ে যেতাম। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। এমন জাহেলি কাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায্য বিচার চাই।’ হামলায় কয়েক কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন শাহীন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা শাহীনের ভাই রুবেল মৃধা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা মোশাররফ মিয়া পরিকল্পিতভাবে আজকে তাঁর লোকজন দিয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন। কাজল তালুকদার মোটরসাইকেলবহর নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফিরোজ তালুকদার, হানিফ মেম্বার, বশির মৃধাসহ স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতারা। আমরা বিএনপি পরিবারের সন্তান, কিন্তু তিনি আজকে যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা আওয়ামী লীগের সময়েও হয়নি।’
রুবেল আরও বলেন, ‘কয়লার ঘাট থেকে মোশাররফ মিয়াকে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দিতাম। মহসিনের (স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা) ভাগনে লিওনকে দিয়ে তিনি টাকা নিতেন। ঢাকায় গিয়েও দিয়ে আসতাম। জাহাজ আসলেই তাঁকে টাকা দেওয়া লাগবে। এখন তিনি মহসিনের নামে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার (কার্যাদেশ) বানিয়ে আমাদের সরিয়ে দিতে চান। আজকের ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

জানতে চাইলে মহসিন বলেন, ‘আসলে শাহীন মৃধা আওয়ামী লীগের লোক। তার সঙ্গে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের সুসম্পর্ক ছিল। সে নিজে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এলাকার মানুষজন এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে সব সময় অভিযোগ করে আসছে। তা ছাড়া আমি আরএনপিএল নামের নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে মালামাল সরবরাহ করার জন্য কার্যাদেশ পেয়েছি। এতে শাহীন মৃধা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এমনকি আমার শ্রমিকদের মালামাল সরবরাহে বাধা দিয়েছে। এসব নিয়ে শাহীন মৃধার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছি।’
হামলার বিষয়ে মহসিন বলেন, ‘আমি এলাকায় থাকি না, ঢাকায় বসবাস করি। এখন ওই এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে, এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তা আমি জানি না। আমাকে নিয়ে কোনো কথা বলে থাকলে তা উদ্দেশ্যমূলক। আমি এর সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই।’
একই দাবি করে বিএনপি নেতা মোশাররফ বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি শাহীন মৃধার নিজের ওয়ার্ক অর্ডার নেই। আর এ বিষয়ে (হামলা) আমি কিছু জানি না। তবে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।’
এদিকে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এ বিষয়ে অবগত নই। আমি সেখানে যাইনি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটির পাশের স্থাপনায় চিহ্নিত একদল সন্ত্রাসী হামলা, তাণ্ডব, নাশকতা চালায়। বর্তমানে সেখানকার আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি।’
আরও খবর পড়ুন:
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থানীয় এক ঠিকাদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সেখানে ভাঙচুর ও ঠিকাদারকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। এ সময় রামদার কোপে ১০-১২ জন আহত হন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধানখালী ইউনিয়নের মরিচবুনিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (আরএনপিএল) কয়লা খালাসের জেটিঘাটে শ্রমিক সরবরাহ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঠিকাদার শাহীন মৃধার প্রতিষ্ঠানে এই হামলা হয়। শাহীন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে শ্রমিকসহ বিভিন্ন মালামাল সরবরাহের কাজে যুক্ত।
হামলাকারীদের রামদার কোপে স্থানীয় বাসিন্দা দোলন মৃধা, মিরাজ হোসেন, শাহীনের গাড়িচালক রানাসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। তাঁরা পাশের উপজেলা আমতলীতে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, হামলায় নেতৃত্ব দেন কলাপাড়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ তালুকদার, বিএনপি নেতা বশির মৃধা, হানিফ মেম্বারসহ তাঁদের অনুসারীরা। হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মহসিনকে দায়ী করছেন শাহীন ও তাঁর পরিবার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শতাধিক মোটরসাইকেলে করে অস্ত্রসহ মরিচবুনিয়া এলাকায় যান কামরুজ্জামানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা শাহীনের শ্রমিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়, তাঁর আবাসগৃহ ও শ্রমিকদের বসবাসের ছাউনি রয়েছে। হামলাকারীরা এগুলো ভাঙচুর করেন। এ সময় কয়েকজন শাহীনকে তাঁর ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি ঘরের কোণের একটি টিন খুলে বের হয়ে আত্মরক্ষা করেন। তবে আগুনে ঘরে থাকা দুটি এসি, টিভি, ১০টি সিসি ক্যামেরা, দুটি ফ্রিজ, খাট, তিনটি সোফা সেটসহ অন্যান্য আসবাব ও ডাম্পট্রাক পুড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের খবর পেয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রওনা হলে পথে ছয় লেন সড়ক এলাকায় গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। শেষে সেনাবাহিনীর একটি দল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শাহীন অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার ইন্দনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দলবল নিয়ে এসে আমার কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। একপর্যায়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ভস্মীভূত করেছে। এমনকি আমার ব্যক্তিগত গাড়িটিও ভাঙচুর করেছে। আমাকে তালাবদ্ধ করে হামলাকারী চক্র আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি বের হতে না পারলে পুড়ে ছাই হয়ে যেতাম। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। এমন জাহেলি কাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায্য বিচার চাই।’ হামলায় কয়েক কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন শাহীন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা শাহীনের ভাই রুবেল মৃধা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা মোশাররফ মিয়া পরিকল্পিতভাবে আজকে তাঁর লোকজন দিয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন। কাজল তালুকদার মোটরসাইকেলবহর নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফিরোজ তালুকদার, হানিফ মেম্বার, বশির মৃধাসহ স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতারা। আমরা বিএনপি পরিবারের সন্তান, কিন্তু তিনি আজকে যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা আওয়ামী লীগের সময়েও হয়নি।’
রুবেল আরও বলেন, ‘কয়লার ঘাট থেকে মোশাররফ মিয়াকে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দিতাম। মহসিনের (স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা) ভাগনে লিওনকে দিয়ে তিনি টাকা নিতেন। ঢাকায় গিয়েও দিয়ে আসতাম। জাহাজ আসলেই তাঁকে টাকা দেওয়া লাগবে। এখন তিনি মহসিনের নামে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার (কার্যাদেশ) বানিয়ে আমাদের সরিয়ে দিতে চান। আজকের ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

জানতে চাইলে মহসিন বলেন, ‘আসলে শাহীন মৃধা আওয়ামী লীগের লোক। তার সঙ্গে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের সুসম্পর্ক ছিল। সে নিজে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এলাকার মানুষজন এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে সব সময় অভিযোগ করে আসছে। তা ছাড়া আমি আরএনপিএল নামের নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে মালামাল সরবরাহ করার জন্য কার্যাদেশ পেয়েছি। এতে শাহীন মৃধা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এমনকি আমার শ্রমিকদের মালামাল সরবরাহে বাধা দিয়েছে। এসব নিয়ে শাহীন মৃধার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছি।’
হামলার বিষয়ে মহসিন বলেন, ‘আমি এলাকায় থাকি না, ঢাকায় বসবাস করি। এখন ওই এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে, এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তা আমি জানি না। আমাকে নিয়ে কোনো কথা বলে থাকলে তা উদ্দেশ্যমূলক। আমি এর সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই।’
একই দাবি করে বিএনপি নেতা মোশাররফ বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি শাহীন মৃধার নিজের ওয়ার্ক অর্ডার নেই। আর এ বিষয়ে (হামলা) আমি কিছু জানি না। তবে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।’
এদিকে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এ বিষয়ে অবগত নই। আমি সেখানে যাইনি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটির পাশের স্থাপনায় চিহ্নিত একদল সন্ত্রাসী হামলা, তাণ্ডব, নাশকতা চালায়। বর্তমানে সেখানকার আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি।’
আরও খবর পড়ুন:

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থানীয় এক ঠিকাদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সেখানে ভাঙচুর ও ঠিকাদারকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। এ সময় রামদার কোপে ১০-১২ জন আহত হন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধানখালী ইউনিয়নের মরিচবুনিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (আরএনপিএল) কয়লা খালাসের জেটিঘাটে শ্রমিক সরবরাহ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঠিকাদার শাহীন মৃধার প্রতিষ্ঠানে এই হামলা হয়। শাহীন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে শ্রমিকসহ বিভিন্ন মালামাল সরবরাহের কাজে যুক্ত।
হামলাকারীদের রামদার কোপে স্থানীয় বাসিন্দা দোলন মৃধা, মিরাজ হোসেন, শাহীনের গাড়িচালক রানাসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। তাঁরা পাশের উপজেলা আমতলীতে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, হামলায় নেতৃত্ব দেন কলাপাড়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ তালুকদার, বিএনপি নেতা বশির মৃধা, হানিফ মেম্বারসহ তাঁদের অনুসারীরা। হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মহসিনকে দায়ী করছেন শাহীন ও তাঁর পরিবার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শতাধিক মোটরসাইকেলে করে অস্ত্রসহ মরিচবুনিয়া এলাকায় যান কামরুজ্জামানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা শাহীনের শ্রমিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়, তাঁর আবাসগৃহ ও শ্রমিকদের বসবাসের ছাউনি রয়েছে। হামলাকারীরা এগুলো ভাঙচুর করেন। এ সময় কয়েকজন শাহীনকে তাঁর ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি ঘরের কোণের একটি টিন খুলে বের হয়ে আত্মরক্ষা করেন। তবে আগুনে ঘরে থাকা দুটি এসি, টিভি, ১০টি সিসি ক্যামেরা, দুটি ফ্রিজ, খাট, তিনটি সোফা সেটসহ অন্যান্য আসবাব ও ডাম্পট্রাক পুড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের খবর পেয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রওনা হলে পথে ছয় লেন সড়ক এলাকায় গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। শেষে সেনাবাহিনীর একটি দল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শাহীন অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার ইন্দনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দলবল নিয়ে এসে আমার কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। একপর্যায়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ভস্মীভূত করেছে। এমনকি আমার ব্যক্তিগত গাড়িটিও ভাঙচুর করেছে। আমাকে তালাবদ্ধ করে হামলাকারী চক্র আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি বের হতে না পারলে পুড়ে ছাই হয়ে যেতাম। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। এমন জাহেলি কাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায্য বিচার চাই।’ হামলায় কয়েক কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন শাহীন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা শাহীনের ভাই রুবেল মৃধা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা মোশাররফ মিয়া পরিকল্পিতভাবে আজকে তাঁর লোকজন দিয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন। কাজল তালুকদার মোটরসাইকেলবহর নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফিরোজ তালুকদার, হানিফ মেম্বার, বশির মৃধাসহ স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতারা। আমরা বিএনপি পরিবারের সন্তান, কিন্তু তিনি আজকে যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা আওয়ামী লীগের সময়েও হয়নি।’
রুবেল আরও বলেন, ‘কয়লার ঘাট থেকে মোশাররফ মিয়াকে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দিতাম। মহসিনের (স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা) ভাগনে লিওনকে দিয়ে তিনি টাকা নিতেন। ঢাকায় গিয়েও দিয়ে আসতাম। জাহাজ আসলেই তাঁকে টাকা দেওয়া লাগবে। এখন তিনি মহসিনের নামে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার (কার্যাদেশ) বানিয়ে আমাদের সরিয়ে দিতে চান। আজকের ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

জানতে চাইলে মহসিন বলেন, ‘আসলে শাহীন মৃধা আওয়ামী লীগের লোক। তার সঙ্গে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের সুসম্পর্ক ছিল। সে নিজে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এলাকার মানুষজন এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে সব সময় অভিযোগ করে আসছে। তা ছাড়া আমি আরএনপিএল নামের নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে মালামাল সরবরাহ করার জন্য কার্যাদেশ পেয়েছি। এতে শাহীন মৃধা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এমনকি আমার শ্রমিকদের মালামাল সরবরাহে বাধা দিয়েছে। এসব নিয়ে শাহীন মৃধার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছি।’
হামলার বিষয়ে মহসিন বলেন, ‘আমি এলাকায় থাকি না, ঢাকায় বসবাস করি। এখন ওই এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে, এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তা আমি জানি না। আমাকে নিয়ে কোনো কথা বলে থাকলে তা উদ্দেশ্যমূলক। আমি এর সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই।’
একই দাবি করে বিএনপি নেতা মোশাররফ বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি শাহীন মৃধার নিজের ওয়ার্ক অর্ডার নেই। আর এ বিষয়ে (হামলা) আমি কিছু জানি না। তবে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।’
এদিকে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এ বিষয়ে অবগত নই। আমি সেখানে যাইনি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটির পাশের স্থাপনায় চিহ্নিত একদল সন্ত্রাসী হামলা, তাণ্ডব, নাশকতা চালায়। বর্তমানে সেখানকার আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি।’
আরও খবর পড়ুন:

নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
১ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জে কারাগারে আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গতকাল সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। মামলার বাদীর এক স্বজনের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ওই নারীর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ভেবে তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকমল হোসেন (৩৮)। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক বলে
১০ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আবু ইউসুফ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
১২ মিনিট আগেনড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুদ শেখ কালিয়া উপজেলার শুক্তগ্রামের সবোর শেখের ছেলে। তিনি কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ছিলেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, গতকাল রাত ৮টার দিকে উপজেলার শুক্তগ্রামে মোবাইল ফোন বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সুজন খানের সঙ্গে মাসুদ রানার বিরোধ হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসাও হয়। ওই রাতে শুক্তগ্রাম দত্তের মোড় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুজন খান ও তাঁর লোকজন মাসুদ রানাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত মাসুদ রানার ছোট ভাই ওমর সানি শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘সুজন খান মাদক কারবারে জড়িত ছিলেন। আমার ভাই মাসুদ রানা তাঁকে মাদক কারবার থেকে বিরত থাকার জন্য বললে তিনি আমার ভাইয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটান।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুজন খান ও তাঁর পক্ষের লোকজন পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কালিয়া থানার ওসি বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদক বেচাকেনায় বাধা দেওয়ার বিষয় আছে কি না, সে বিষয়ে জানা নেই।

নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুদ শেখ কালিয়া উপজেলার শুক্তগ্রামের সবোর শেখের ছেলে। তিনি কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ছিলেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, গতকাল রাত ৮টার দিকে উপজেলার শুক্তগ্রামে মোবাইল ফোন বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সুজন খানের সঙ্গে মাসুদ রানার বিরোধ হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসাও হয়। ওই রাতে শুক্তগ্রাম দত্তের মোড় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুজন খান ও তাঁর লোকজন মাসুদ রানাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত মাসুদ রানার ছোট ভাই ওমর সানি শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘সুজন খান মাদক কারবারে জড়িত ছিলেন। আমার ভাই মাসুদ রানা তাঁকে মাদক কারবার থেকে বিরত থাকার জন্য বললে তিনি আমার ভাইয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটান।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুজন খান ও তাঁর পক্ষের লোকজন পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কালিয়া থানার ওসি বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদক বেচাকেনায় বাধা দেওয়ার বিষয় আছে কি না, সে বিষয়ে জানা নেই।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থানীয় এক ঠিকাদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সেখানে ভাঙচুর ও ঠিকাদারকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। এ সময় রামদার কোপে ১০-১২ জন আহত হন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধানখালী ইউনিয়নের
১৩ মে ২০২৫
সিরাজগঞ্জে কারাগারে আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গতকাল সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। মামলার বাদীর এক স্বজনের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ওই নারীর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ভেবে তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকমল হোসেন (৩৮)। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক বলে
১০ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আবু ইউসুফ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
১২ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে কারাগারে আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু জেলার এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট এনায়েতপুর থানার ১৫ পুলিশ হত্যা মামলার আসামি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কারাধ্যক্ষ এস এম কামরুল হুদা বলেন, ‘চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল এনায়েতপুর থানায় পুলিশ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আরও চারটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কামরুল হুদা জানান, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন বাচ্চু। মঙ্গলবার সকালে কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত বাচ্চুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

সিরাজগঞ্জে কারাগারে আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু জেলার এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট এনায়েতপুর থানার ১৫ পুলিশ হত্যা মামলার আসামি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কারাধ্যক্ষ এস এম কামরুল হুদা বলেন, ‘চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল এনায়েতপুর থানায় পুলিশ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আরও চারটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কামরুল হুদা জানান, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন বাচ্চু। মঙ্গলবার সকালে কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত বাচ্চুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থানীয় এক ঠিকাদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সেখানে ভাঙচুর ও ঠিকাদারকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। এ সময় রামদার কোপে ১০-১২ জন আহত হন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধানখালী ইউনিয়নের
১৩ মে ২০২৫
নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গতকাল সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। মামলার বাদীর এক স্বজনের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ওই নারীর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ভেবে তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকমল হোসেন (৩৮)। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক বলে
১০ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আবু ইউসুফ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
১২ মিনিট আগেত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গতকাল সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। মামলার বাদীর এক স্বজনের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ওই নারীর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ভেবে তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকমল হোসেন (৩৮)। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১৮ অক্টোবর ভোররাতে উপজেলার একটি গ্রামের ওই গৃহবধূ ঘর থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে তাঁকে দূরের একটি ধানখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন আকমল। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে স্বামী ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ওই যুবক পালিয়ে যান।
গৃহবধূর ছোট ভাই বলেন, ‘আমার বোনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন আকমল। ঘটনার দিন ভোররাতে ভাগনির ওড়না গায়ে দিয়ে আমার বোন টয়লেটে যান। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ওড়না দেখে আকমল আমার ভাগনিকে মনে করে বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর থেকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় পরিবারটি থানায় যেতে পারেনি। পরে বোনকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ মামলা নেয়।’
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মনসুর আহাম্মদ আরও বলেন, লোকজন বলছে, মেয়েকে ভেবে তার মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে মামলার অভিযোগে এমন কিছু বাদী উল্লেখ করেননি।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গতকাল সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। মামলার বাদীর এক স্বজনের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ওই নারীর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ভেবে তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকমল হোসেন (৩৮)। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১৮ অক্টোবর ভোররাতে উপজেলার একটি গ্রামের ওই গৃহবধূ ঘর থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে তাঁকে দূরের একটি ধানখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন আকমল। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে স্বামী ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ওই যুবক পালিয়ে যান।
গৃহবধূর ছোট ভাই বলেন, ‘আমার বোনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন আকমল। ঘটনার দিন ভোররাতে ভাগনির ওড়না গায়ে দিয়ে আমার বোন টয়লেটে যান। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ওড়না দেখে আকমল আমার ভাগনিকে মনে করে বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর থেকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় পরিবারটি থানায় যেতে পারেনি। পরে বোনকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ মামলা নেয়।’
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মনসুর আহাম্মদ আরও বলেন, লোকজন বলছে, মেয়েকে ভেবে তার মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে মামলার অভিযোগে এমন কিছু বাদী উল্লেখ করেননি।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থানীয় এক ঠিকাদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সেখানে ভাঙচুর ও ঠিকাদারকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। এ সময় রামদার কোপে ১০-১২ জন আহত হন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধানখালী ইউনিয়নের
১৩ মে ২০২৫
নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
১ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জে কারাগারে আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৫ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আবু ইউসুফ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
১২ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আবু ইউসুফ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ভৈরব পৌর এলাকার একটি গ্রামের তিন কিশোরকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। তাদের থানায় নিয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে ওসি সাঈদ আহমেদ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সোমবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে ‘ভৈরবকে ৬৫তম জেলা বাস্তবায়ন চাই’ ব্যানারে ২০০-২৫০ জন ছাত্র-জনতা রেললাইনে অবস্থান নিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রেনের সামনে ১ নম্বর লাইনের ওপর দণ্ডায়মান হয়ে ট্রেন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১) ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনের পূর্ব আউটারে আটকা পড়ে। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আনা হয়। এদিন বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করলে বিক্ষোভকারীদের একাংশ দলবদ্ধভাবে পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন বগি, গার্ডরুম ও যাত্রী কোচের কাচ ভেঙে যায়। ইঞ্জিনের হেডলাইট, সাইডলাইটসহ বিভিন্ন স্থানে রংচটা হয়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আবু ইউসুফ জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে স্টেশন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ বলেন, অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আটক হওয়া তিনজনেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আবু ইউসুফ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ভৈরব পৌর এলাকার একটি গ্রামের তিন কিশোরকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। তাদের থানায় নিয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে ওসি সাঈদ আহমেদ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সোমবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে ‘ভৈরবকে ৬৫তম জেলা বাস্তবায়ন চাই’ ব্যানারে ২০০-২৫০ জন ছাত্র-জনতা রেললাইনে অবস্থান নিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রেনের সামনে ১ নম্বর লাইনের ওপর দণ্ডায়মান হয়ে ট্রেন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১) ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনের পূর্ব আউটারে আটকা পড়ে। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আনা হয়। এদিন বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করলে বিক্ষোভকারীদের একাংশ দলবদ্ধভাবে পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন বগি, গার্ডরুম ও যাত্রী কোচের কাচ ভেঙে যায়। ইঞ্জিনের হেডলাইট, সাইডলাইটসহ বিভিন্ন স্থানে রংচটা হয়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আবু ইউসুফ জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে স্টেশন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ বলেন, অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আটক হওয়া তিনজনেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থানীয় এক ঠিকাদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সেখানে ভাঙচুর ও ঠিকাদারকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। এ সময় রামদার কোপে ১০-১২ জন আহত হন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধানখালী ইউনিয়নের
১৩ মে ২০২৫
নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
১ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জে কারাগারে আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গতকাল সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। মামলার বাদীর এক স্বজনের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ওই নারীর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ভেবে তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকমল হোসেন (৩৮)। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক বলে
১০ মিনিট আগে