পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মাদক সচেতনতার নামে পর্যটকদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কুয়াকাটার কয়েকটি হোটেলে পর্যটকদের কক্ষে গিয়ে তল্লাশি চালায় মহিপুর থানা ও কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। এ ঘটনার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, সচেতনতার নামে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পর্যটকদের রুমে রুমে গিয়ে তল্লাশি করা হয়রানির শামিল এবং এটি পর্যটনের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে পর্যটকশূন্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, গত রোববার (২৯ জুন) কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে অতিরিক্ত মদ পানে সাজিদুল (১৭) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরই সরব হয়ে ওঠে পুলিশ প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযানে নামে মহিপুর থানা ও কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। তারা হোটেল সি প্যালেস, হোটেল ব্লু স্কাই, হোটেল তাজ ও হোটেল মল্লিকাতে পর্যটকদের রুমে গিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে অভিযানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ছবিতে দেখা যায়, হোটেলের রুমের মধ্যে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেনের উপস্থিতিতে কয়েকজন পর্যটকের সামনে বিছানা সরিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন এক পুলিশ সদস্য এবং আরেকজন ভিডিও করছেন। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম ও ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক হোটেলের রিসিপশনের খাতা চেক করছেন।
এ ব্যাপারে হোটেল সি প্যালেসের ম্যানেজার মো. রুবেল বলেন, ‘পুলিশ কেন এমনটা করেছে, তা তারাই বলতে পারবে। মানুষ পর্যটন এলাকায় ঘুরতে আসে ইনজয় করতে। আমাদের কোনো পর্যটকের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ করার থাকে, তাহলে সেটা রিসিপশনে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। কিন্তু দলবল নিয়ে গেস্টের রুমে গিয়ে তল্লাশি করতে পারে না। আমাদের যে থ্রি বেডের ৩০৩ নম্বর রুমে তল্লাশি করেছে, তাদের অধিকাংশ আর্মিতে চাকরি করে।’
হোটেল সি প্যালেসের ৩০৩ নম্বর রুমের পর্যটক অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তল্লাশি যদি করতে হয়, তাহলে প্রথমত নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করবে। কিন্তু তারা তা না করে আমরা কোথা থেকে এসেছি, শুধু সেটিই জানতে চেয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। আমাদের মধ্যে পাঁচজন সেনাবাহিনীতে বরিশাল ক্যাম্পে আছি। একজন পরিচয় দিয়েছিল। প্রশাসনের লোক রাত সাড়ে ১১টায় তল্লাশি করতেই পারে। তবে এই রাতে আমরা হয়রানি না হলেও অন্য রুমের পর্যটকেরা ঠিকই হয়রানি হয়েছে।’
হোটেল তাজের ম্যানেজার মো. নাজমুল হোসেন বলেন,‘গতকাল মহিপুর থানা-পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ এসে প্রথমে আমাদের এন্ট্রি খাতা চেক করেছে। পরে জানতে চায়, আমাদের কোনো পর্যটকের সন্দেহ হয় কি না? আমরা বলেছি, কাউকে সন্দেহ হয় না। তারপরও তারা দেখতে চাওয়ায় ডাবল বেডের ৪০১ নম্বর রুমে নিয়ে গিয়েছি। ওখানে মাদারীপুর থেকে ব্যাচেলর গেস্ট এসেছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করেছে।’
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোতালেব শরীফ বলেন, ‘হোটেল-মোটেলে পর্যটকদের রুমে গিয়ে তল্লাশি চালানোর কোনো বিধান নাই। ব্যক্তিপর্যায়ে অভিযোগ থাকলে সেটা দেখতে পারে। তবে ধারাবাহিকভাবে সব হোটেলে মাদকের নামে তল্লাশি করা পর্যটনশিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ। মাদক বাইরে কন্ট্রোল না করে পর্যটকদের রুমে গিয়ে তল্লাশি করা দুঃখজনক। পর্যটকদের সেফটি, সিকিউরিটি নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব, হয়রানি করা নয়। এতে পর্যটকশূন্য হয়ে যাবে দেশ।’
মহিপুর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এক পর্যটকের অতিরিক্ত মদ পানে মৃত্যু হয়েছে। তাই আমরা সচেতন করতে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া হোটেলে ঠিকভাবে নাম লেখে না, সেটিও দেখা হয়েছে। আর যাওয়ার আগে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের নিয়ে যেতে চেয়েছি, তবে তারা আসেনি, আমাদেরই যেতে বলেছে।’
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পর্যকদের রুমে তল্লাশি করা একধরনের হয়রানি কি না—জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘সেদিন যেই ছেলেটি অতিরিক্ত মদ পানে মারা গিয়েছে, তার সঙ্গে যে ছিল, সে বলেছে, মদ রুমে বসে পান করেছে। এ ছাড়া অভিযোগ আছে হোটেলের বয়-স্টাফরাও মাদকের সাপ্লাই দেয়।’
এ ব্যাপারে জানতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন তপুকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মাদক সচেতনতার নামে পর্যটকদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কুয়াকাটার কয়েকটি হোটেলে পর্যটকদের কক্ষে গিয়ে তল্লাশি চালায় মহিপুর থানা ও কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। এ ঘটনার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, সচেতনতার নামে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পর্যটকদের রুমে রুমে গিয়ে তল্লাশি করা হয়রানির শামিল এবং এটি পর্যটনের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে পর্যটকশূন্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, গত রোববার (২৯ জুন) কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে অতিরিক্ত মদ পানে সাজিদুল (১৭) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরই সরব হয়ে ওঠে পুলিশ প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযানে নামে মহিপুর থানা ও কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। তারা হোটেল সি প্যালেস, হোটেল ব্লু স্কাই, হোটেল তাজ ও হোটেল মল্লিকাতে পর্যটকদের রুমে গিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে অভিযানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ছবিতে দেখা যায়, হোটেলের রুমের মধ্যে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেনের উপস্থিতিতে কয়েকজন পর্যটকের সামনে বিছানা সরিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন এক পুলিশ সদস্য এবং আরেকজন ভিডিও করছেন। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম ও ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক হোটেলের রিসিপশনের খাতা চেক করছেন।
এ ব্যাপারে হোটেল সি প্যালেসের ম্যানেজার মো. রুবেল বলেন, ‘পুলিশ কেন এমনটা করেছে, তা তারাই বলতে পারবে। মানুষ পর্যটন এলাকায় ঘুরতে আসে ইনজয় করতে। আমাদের কোনো পর্যটকের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ করার থাকে, তাহলে সেটা রিসিপশনে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। কিন্তু দলবল নিয়ে গেস্টের রুমে গিয়ে তল্লাশি করতে পারে না। আমাদের যে থ্রি বেডের ৩০৩ নম্বর রুমে তল্লাশি করেছে, তাদের অধিকাংশ আর্মিতে চাকরি করে।’
হোটেল সি প্যালেসের ৩০৩ নম্বর রুমের পর্যটক অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তল্লাশি যদি করতে হয়, তাহলে প্রথমত নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করবে। কিন্তু তারা তা না করে আমরা কোথা থেকে এসেছি, শুধু সেটিই জানতে চেয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। আমাদের মধ্যে পাঁচজন সেনাবাহিনীতে বরিশাল ক্যাম্পে আছি। একজন পরিচয় দিয়েছিল। প্রশাসনের লোক রাত সাড়ে ১১টায় তল্লাশি করতেই পারে। তবে এই রাতে আমরা হয়রানি না হলেও অন্য রুমের পর্যটকেরা ঠিকই হয়রানি হয়েছে।’
হোটেল তাজের ম্যানেজার মো. নাজমুল হোসেন বলেন,‘গতকাল মহিপুর থানা-পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ এসে প্রথমে আমাদের এন্ট্রি খাতা চেক করেছে। পরে জানতে চায়, আমাদের কোনো পর্যটকের সন্দেহ হয় কি না? আমরা বলেছি, কাউকে সন্দেহ হয় না। তারপরও তারা দেখতে চাওয়ায় ডাবল বেডের ৪০১ নম্বর রুমে নিয়ে গিয়েছি। ওখানে মাদারীপুর থেকে ব্যাচেলর গেস্ট এসেছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করেছে।’
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোতালেব শরীফ বলেন, ‘হোটেল-মোটেলে পর্যটকদের রুমে গিয়ে তল্লাশি চালানোর কোনো বিধান নাই। ব্যক্তিপর্যায়ে অভিযোগ থাকলে সেটা দেখতে পারে। তবে ধারাবাহিকভাবে সব হোটেলে মাদকের নামে তল্লাশি করা পর্যটনশিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ। মাদক বাইরে কন্ট্রোল না করে পর্যটকদের রুমে গিয়ে তল্লাশি করা দুঃখজনক। পর্যটকদের সেফটি, সিকিউরিটি নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব, হয়রানি করা নয়। এতে পর্যটকশূন্য হয়ে যাবে দেশ।’
মহিপুর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এক পর্যটকের অতিরিক্ত মদ পানে মৃত্যু হয়েছে। তাই আমরা সচেতন করতে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া হোটেলে ঠিকভাবে নাম লেখে না, সেটিও দেখা হয়েছে। আর যাওয়ার আগে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের নিয়ে যেতে চেয়েছি, তবে তারা আসেনি, আমাদেরই যেতে বলেছে।’
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পর্যকদের রুমে তল্লাশি করা একধরনের হয়রানি কি না—জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘সেদিন যেই ছেলেটি অতিরিক্ত মদ পানে মারা গিয়েছে, তার সঙ্গে যে ছিল, সে বলেছে, মদ রুমে বসে পান করেছে। এ ছাড়া অভিযোগ আছে হোটেলের বয়-স্টাফরাও মাদকের সাপ্লাই দেয়।’
এ ব্যাপারে জানতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন তপুকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে আজ দুপুরে লাগা ভয়াবহ আগুনে শত শত টন আমদানি করা পণ্যের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
২১ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার একটি ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে মানুষের তিনটি হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চকনিহাল এলাকা থেকে হাড়গুলো উদ্ধার করা হয়। সলঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে
২৪ মিনিট আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ২৩ দিন পর সাব্বির হোসেন সবুজ (২৫) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যার পর মরদেহ তিন টুকরো করে লুকিয়ে রাখেন সবুজের বাড়ির কাজের লোক আব্দুর হামেদ। আজ শনিবার সকালে ফুলবাড়ী থানা চত্বরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফাত হুসাইন এ তথ্য জানান।
৩০ মিনিট আগেঈদগাহ মাঠ নিয়ে দুই গ্রামের দ্বন্দ্বের জেরে ১৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে স্থানীয় একটি বাজারের অন্তত ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অনেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে পড়েছেন বিপাকে। পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বন্যাগাড়ি গ্রামের ভুক্তভোগী ২০ জন ব্যবসায়ী
৩৯ মিনিট আগে