শাহীন রহমান, পাবনা

পোকামাকড় খাওয়ার দৃশ্য বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যায় হরহামেশাই। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো নাগরিক চোখের সামনে বিভিন্ন রকমের জ্যান্ত সাপ, ইঁদুর, ব্যাঙসহ পোকামাকড় চিবিয়ে খাচ্ছেন—এমন দৃশ্যের কথা কল্পনাও করা যায় না। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, পাবনায় মিলেছে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান, যিনি জ্যান্ত পোকামাকড় খেয়ে এরই মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন।
জ্যান্ত সাপ, ব্যাঙ, বিচ্ছু, কেঁচো, তাজা মাছসহ নানা রকমের পোকামাকড় খেয়ে চলেছেন তিনি। ডিসকভারি চ্যানেল দেখে তিনি এসব খাওয়া শিখেছেন এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। আর ডিসকভারি চ্যানেলের মতো জ্যান্ত পোকামাকড় খেতে পারেন বলে সবার কাছে এখন তিনি ‘ডিসকভারি আকরাম’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন তিনি।
ওই ব্যক্তির নাম একরাম প্রামাণিক ওরফে ‘ডিসকভারি আকরাম’ (৫০)। পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের ঘোড়াদহ গ্রামের মৃত জব্বার প্রামাণিকের ছেলে এবং পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। চার কন্যাসন্তানের জনক। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। অন্য দুই মেয়ে লেখাপড়া করছে। নিজ পেশা ছেড়ে পোকামাকড় খাওয়ার নেশায় মত্ত হয়ে উঠেছেন ডিসকভারি আকরাম।
আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে একরাম ওরফে আকরামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পোকামাকড় খাওয়ার ঘটনা স্বচক্ষে দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন উৎসুক জনতা। কিছুক্ষণ পর ঘর থেকে বের হয়ে আগে থেকে ধরে রাখা জ্যান্ত সাপ, কেঁচো, ব্যাঙ, তাজা বোয়াল ও টাকি মাছ, কুঁচিয়া মাছ, ইঁদুর, কাঁকড়া খেয়ে দেখান। সব পোকামাকড় থেকে একটু একটু করে খেয়ে দেখান উপস্থিত সবাইকে। এ সময় সবাই হতবাক হয়ে যান।
আলাপকালে একরাম প্রামাণিক ওরফে ‘ডিসকভারি আকরাম’ জানান, জীবনের শুরুটা কাঠমিস্ত্রি হিসেবে চললেও মাঝপথে এসে তিনি গৃহসজ্জার (ইন্টেরিয়র) কাজে সম্পৃক্ত হন। বিয়ে করেছেন ৩০ বছর আগে। সংসারে স্ত্রী গৃহিণী। চার কন্যাসন্তানের জনক তিনি। ২০০২ সালে একটি সাদাকালো টেলিভিশন কিনে দেখা শুরু করেন ডিসকভারি চ্যানেল। সেখানে নিয়মিত দেখতে থাকেন বিদেশিদের পোকামাকড় খাওয়া।
২০০৩ সালে শুরুটা হয় জ্যান্ত কাঁকড়া খাওয়া দিয়ে। পর্যায়ক্রমে তিনি কেঁচো, কাঠের পোকা, সাপ, কুঁচিয়া, তেলাপোকা, ইঁদুর, বিভিন্ন প্রজাতির কাঁচা মাছ, গোবরে পোকা. শামুক, ঝিনুকসহ নানা পোকামাকড় খাওয়া আয়ত্ত করেন। এখন তিনি যেকোনো কিছু জ্যান্ত খেতে পারেন বলে দাবি করেন। এগুলোর খাওয়ায় তাঁর শরীরের মধ্যে কোনো রোগবালাই বা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তিনি এসব পোকামাকড় খেতে পারেন। কোনো সমস্যা হয় না বলে জানান।
ডিসকভারি আকরাম বলেন, এলাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ ছেড়ে এক সময় চলে যান ঢাকায়। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশন কার্যালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান বিচারপতির ভবন, এনএসআই কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ইন্টিরিয়রের কাজ করেছেন। বর্তমানে সব কাজকর্ম ছেড়ে তিনি এই পোকামাকড় খাওয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। অভাবী সংসারে বিষয়টি নানাভাবেই দেখছেন পরিবারের স্বজনসহ আশপাশের মানুষ। পোকামাকড় খাওয়ার পর যখন তিনি পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার পরামর্শের জন্য ঢাকায় অবস্থানকালে বিভিন্ন চিকিৎসক ও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পরামর্শ চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। কেউ তাঁকে সঠিক পরামর্শ দেয়নি।
ডিসকভারি আকরামের দাবি, তিনি একজন দরিদ্র মানুষ। খুব কষ্টে তার সংসার চলে। দুই কন্যার বিয়ে দিয়েছেন। আরও দুই কন্যা রয়েছে। তারা প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়ালেখা করে। নিজের ক্ষমতা নেই একটি স্মার্ট বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার। সরকারি-বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এবং সঠিক গাইডলাইন পেলে তিনি দেশ থেকে বিদেশের মধ্যে আলোড়ন তুলতে চান।
আকরাম বলেন, ‘বাঙালি লাঠি, বইঠা, সড়কি, ফলা আর অনুন্নত অস্ত্র নিয়ে লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে একাত্তরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। তেমনিভাবে আমিও বিদেশিদের জানাতে চাই, শুধু তোমরা নয়, আমরা বাঙালিরাও পারি। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সঠিক দিকনির্দেশনা দরকার।’
তাঁর স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন বলেন, ‘৩০ বছরের সংসারজীবন। ২০-২২ বছর আগে তাঁকে এই নেশায় ধরে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি পোকামাকড় খাওয়া চ্যানেল দেখে এটা অভ্যাস করতে থাকেন। এটা এখন তাঁর ধ্যানজ্ঞানে পরিণত হয়েছে। পোকামাকড় খাওয়া নিয়ে আমার স্বামীর বা আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
ডিসকভারি আকরামের মামাতো ভাই শাহীন মৃধা বলেন, ‘লোকমুখে প্রথম শুনেছি। এখন সরাসরি দেখি। অনেক পোকামাকড় আমি নিজেই ধরে এনে দেই। এর মধ্যে একধরনের আনন্দ উপভোগ করি। তেমনি অবাকও হয়ে যাই এই দুঃসাধ্য কাজ সাধ্যের মধ্যে আনায়। এটা কীভাবে সম্ভব করল ভাবতেই পারি না!’
দর্শনার্থী জয়পুরহাট থেকে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল বারী ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, লোকমুখে শুনে দেখতে এসেছি। বিষয়টি অবিশ্বাস্য ভেবেই দেখতে এসে এর সত্যতা পেলাম। মানুষ যে ইচ্ছে করলেই সব পারে, এটাই একটা উদাহরণ।
প্রতিবেশী শহীদ মন্ডল বলেন, ‘এ একটা আজব মানুষ। গোবরের পালা থেকে পোকা, কাঠের পোকা, কেঁচো থেকে শুরু করে সব ধরনের পোকা খাওয়ায় বেশ পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে আকরাম।’ স্থানীয় কৃষক জনাব মন্ডল বলেন, ‘বললে গল্প বলা হয়। বাস্তবে বিশ্বাস করতে দেখতে হবে। আসলেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে আকরাম।’
স্থানীয়দের দাবি, সরকারি-বেসরকারিভাবে একরামকে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে হয়তো এই পাগলামিটা দেশের জন্য বিশ্বের কাছে রোল মডেল হবে।
এ ব্যাপারে পাবনার বেসরকারি হাসপাতাল সিমলা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ডা. সরোয়ার জাহান ফয়েজ বলেন, ‘প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষ বিভিন্ন প্রাণী কাঁচা খেত। যুগের পরিবর্তন আর স্বাদের জন্য রান্না করে খায়। গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি ছাড়া তেমন ক্ষতি হয় না মানবদেহের জন্য।’
এই চিকিৎসক বলেন, ‘এগুলো একটু ব্যতিক্রমী। তবে এ কাজ করার আগে নিজের মনের মধ্যে সেই অনুভূতি সংরক্ষণ করতে হয়। যা সে রপ্ত করতে পারে, এটা করাটা তার জন্য আহামরি কিছু নয়। নিজেকে জাহির করার জন্য আজকাল মানুষ অনেক কিছুই করে। যদি তিনি সেই লক্ষ্যে করেন, তাহলে তাঁকে সেই পরামর্শ দেওয়া দরকার যে কোন প্রাণীর কোন অংশটুকু খাওয়া যাবে, কোনটুকু খাওয়া যাবে না। তবে এটা কোনো শুভবুদ্ধির কাজ নয়।’

পোকামাকড় খাওয়ার দৃশ্য বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যায় হরহামেশাই। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো নাগরিক চোখের সামনে বিভিন্ন রকমের জ্যান্ত সাপ, ইঁদুর, ব্যাঙসহ পোকামাকড় চিবিয়ে খাচ্ছেন—এমন দৃশ্যের কথা কল্পনাও করা যায় না। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, পাবনায় মিলেছে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান, যিনি জ্যান্ত পোকামাকড় খেয়ে এরই মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন।
জ্যান্ত সাপ, ব্যাঙ, বিচ্ছু, কেঁচো, তাজা মাছসহ নানা রকমের পোকামাকড় খেয়ে চলেছেন তিনি। ডিসকভারি চ্যানেল দেখে তিনি এসব খাওয়া শিখেছেন এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। আর ডিসকভারি চ্যানেলের মতো জ্যান্ত পোকামাকড় খেতে পারেন বলে সবার কাছে এখন তিনি ‘ডিসকভারি আকরাম’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন তিনি।
ওই ব্যক্তির নাম একরাম প্রামাণিক ওরফে ‘ডিসকভারি আকরাম’ (৫০)। পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের ঘোড়াদহ গ্রামের মৃত জব্বার প্রামাণিকের ছেলে এবং পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। চার কন্যাসন্তানের জনক। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। অন্য দুই মেয়ে লেখাপড়া করছে। নিজ পেশা ছেড়ে পোকামাকড় খাওয়ার নেশায় মত্ত হয়ে উঠেছেন ডিসকভারি আকরাম।
আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে একরাম ওরফে আকরামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পোকামাকড় খাওয়ার ঘটনা স্বচক্ষে দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন উৎসুক জনতা। কিছুক্ষণ পর ঘর থেকে বের হয়ে আগে থেকে ধরে রাখা জ্যান্ত সাপ, কেঁচো, ব্যাঙ, তাজা বোয়াল ও টাকি মাছ, কুঁচিয়া মাছ, ইঁদুর, কাঁকড়া খেয়ে দেখান। সব পোকামাকড় থেকে একটু একটু করে খেয়ে দেখান উপস্থিত সবাইকে। এ সময় সবাই হতবাক হয়ে যান।
আলাপকালে একরাম প্রামাণিক ওরফে ‘ডিসকভারি আকরাম’ জানান, জীবনের শুরুটা কাঠমিস্ত্রি হিসেবে চললেও মাঝপথে এসে তিনি গৃহসজ্জার (ইন্টেরিয়র) কাজে সম্পৃক্ত হন। বিয়ে করেছেন ৩০ বছর আগে। সংসারে স্ত্রী গৃহিণী। চার কন্যাসন্তানের জনক তিনি। ২০০২ সালে একটি সাদাকালো টেলিভিশন কিনে দেখা শুরু করেন ডিসকভারি চ্যানেল। সেখানে নিয়মিত দেখতে থাকেন বিদেশিদের পোকামাকড় খাওয়া।
২০০৩ সালে শুরুটা হয় জ্যান্ত কাঁকড়া খাওয়া দিয়ে। পর্যায়ক্রমে তিনি কেঁচো, কাঠের পোকা, সাপ, কুঁচিয়া, তেলাপোকা, ইঁদুর, বিভিন্ন প্রজাতির কাঁচা মাছ, গোবরে পোকা. শামুক, ঝিনুকসহ নানা পোকামাকড় খাওয়া আয়ত্ত করেন। এখন তিনি যেকোনো কিছু জ্যান্ত খেতে পারেন বলে দাবি করেন। এগুলোর খাওয়ায় তাঁর শরীরের মধ্যে কোনো রোগবালাই বা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তিনি এসব পোকামাকড় খেতে পারেন। কোনো সমস্যা হয় না বলে জানান।
ডিসকভারি আকরাম বলেন, এলাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ ছেড়ে এক সময় চলে যান ঢাকায়। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশন কার্যালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান বিচারপতির ভবন, এনএসআই কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ইন্টিরিয়রের কাজ করেছেন। বর্তমানে সব কাজকর্ম ছেড়ে তিনি এই পোকামাকড় খাওয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। অভাবী সংসারে বিষয়টি নানাভাবেই দেখছেন পরিবারের স্বজনসহ আশপাশের মানুষ। পোকামাকড় খাওয়ার পর যখন তিনি পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার পরামর্শের জন্য ঢাকায় অবস্থানকালে বিভিন্ন চিকিৎসক ও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পরামর্শ চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। কেউ তাঁকে সঠিক পরামর্শ দেয়নি।
ডিসকভারি আকরামের দাবি, তিনি একজন দরিদ্র মানুষ। খুব কষ্টে তার সংসার চলে। দুই কন্যার বিয়ে দিয়েছেন। আরও দুই কন্যা রয়েছে। তারা প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়ালেখা করে। নিজের ক্ষমতা নেই একটি স্মার্ট বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার। সরকারি-বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এবং সঠিক গাইডলাইন পেলে তিনি দেশ থেকে বিদেশের মধ্যে আলোড়ন তুলতে চান।
আকরাম বলেন, ‘বাঙালি লাঠি, বইঠা, সড়কি, ফলা আর অনুন্নত অস্ত্র নিয়ে লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে একাত্তরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। তেমনিভাবে আমিও বিদেশিদের জানাতে চাই, শুধু তোমরা নয়, আমরা বাঙালিরাও পারি। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সঠিক দিকনির্দেশনা দরকার।’
তাঁর স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন বলেন, ‘৩০ বছরের সংসারজীবন। ২০-২২ বছর আগে তাঁকে এই নেশায় ধরে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি পোকামাকড় খাওয়া চ্যানেল দেখে এটা অভ্যাস করতে থাকেন। এটা এখন তাঁর ধ্যানজ্ঞানে পরিণত হয়েছে। পোকামাকড় খাওয়া নিয়ে আমার স্বামীর বা আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
ডিসকভারি আকরামের মামাতো ভাই শাহীন মৃধা বলেন, ‘লোকমুখে প্রথম শুনেছি। এখন সরাসরি দেখি। অনেক পোকামাকড় আমি নিজেই ধরে এনে দেই। এর মধ্যে একধরনের আনন্দ উপভোগ করি। তেমনি অবাকও হয়ে যাই এই দুঃসাধ্য কাজ সাধ্যের মধ্যে আনায়। এটা কীভাবে সম্ভব করল ভাবতেই পারি না!’
দর্শনার্থী জয়পুরহাট থেকে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল বারী ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, লোকমুখে শুনে দেখতে এসেছি। বিষয়টি অবিশ্বাস্য ভেবেই দেখতে এসে এর সত্যতা পেলাম। মানুষ যে ইচ্ছে করলেই সব পারে, এটাই একটা উদাহরণ।
প্রতিবেশী শহীদ মন্ডল বলেন, ‘এ একটা আজব মানুষ। গোবরের পালা থেকে পোকা, কাঠের পোকা, কেঁচো থেকে শুরু করে সব ধরনের পোকা খাওয়ায় বেশ পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে আকরাম।’ স্থানীয় কৃষক জনাব মন্ডল বলেন, ‘বললে গল্প বলা হয়। বাস্তবে বিশ্বাস করতে দেখতে হবে। আসলেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে আকরাম।’
স্থানীয়দের দাবি, সরকারি-বেসরকারিভাবে একরামকে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে হয়তো এই পাগলামিটা দেশের জন্য বিশ্বের কাছে রোল মডেল হবে।
এ ব্যাপারে পাবনার বেসরকারি হাসপাতাল সিমলা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ডা. সরোয়ার জাহান ফয়েজ বলেন, ‘প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষ বিভিন্ন প্রাণী কাঁচা খেত। যুগের পরিবর্তন আর স্বাদের জন্য রান্না করে খায়। গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি ছাড়া তেমন ক্ষতি হয় না মানবদেহের জন্য।’
এই চিকিৎসক বলেন, ‘এগুলো একটু ব্যতিক্রমী। তবে এ কাজ করার আগে নিজের মনের মধ্যে সেই অনুভূতি সংরক্ষণ করতে হয়। যা সে রপ্ত করতে পারে, এটা করাটা তার জন্য আহামরি কিছু নয়। নিজেকে জাহির করার জন্য আজকাল মানুষ অনেক কিছুই করে। যদি তিনি সেই লক্ষ্যে করেন, তাহলে তাঁকে সেই পরামর্শ দেওয়া দরকার যে কোন প্রাণীর কোন অংশটুকু খাওয়া যাবে, কোনটুকু খাওয়া যাবে না। তবে এটা কোনো শুভবুদ্ধির কাজ নয়।’
শাহীন রহমান, পাবনা

পোকামাকড় খাওয়ার দৃশ্য বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যায় হরহামেশাই। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো নাগরিক চোখের সামনে বিভিন্ন রকমের জ্যান্ত সাপ, ইঁদুর, ব্যাঙসহ পোকামাকড় চিবিয়ে খাচ্ছেন—এমন দৃশ্যের কথা কল্পনাও করা যায় না। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, পাবনায় মিলেছে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান, যিনি জ্যান্ত পোকামাকড় খেয়ে এরই মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন।
জ্যান্ত সাপ, ব্যাঙ, বিচ্ছু, কেঁচো, তাজা মাছসহ নানা রকমের পোকামাকড় খেয়ে চলেছেন তিনি। ডিসকভারি চ্যানেল দেখে তিনি এসব খাওয়া শিখেছেন এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। আর ডিসকভারি চ্যানেলের মতো জ্যান্ত পোকামাকড় খেতে পারেন বলে সবার কাছে এখন তিনি ‘ডিসকভারি আকরাম’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন তিনি।
ওই ব্যক্তির নাম একরাম প্রামাণিক ওরফে ‘ডিসকভারি আকরাম’ (৫০)। পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের ঘোড়াদহ গ্রামের মৃত জব্বার প্রামাণিকের ছেলে এবং পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। চার কন্যাসন্তানের জনক। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। অন্য দুই মেয়ে লেখাপড়া করছে। নিজ পেশা ছেড়ে পোকামাকড় খাওয়ার নেশায় মত্ত হয়ে উঠেছেন ডিসকভারি আকরাম।
আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে একরাম ওরফে আকরামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পোকামাকড় খাওয়ার ঘটনা স্বচক্ষে দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন উৎসুক জনতা। কিছুক্ষণ পর ঘর থেকে বের হয়ে আগে থেকে ধরে রাখা জ্যান্ত সাপ, কেঁচো, ব্যাঙ, তাজা বোয়াল ও টাকি মাছ, কুঁচিয়া মাছ, ইঁদুর, কাঁকড়া খেয়ে দেখান। সব পোকামাকড় থেকে একটু একটু করে খেয়ে দেখান উপস্থিত সবাইকে। এ সময় সবাই হতবাক হয়ে যান।
আলাপকালে একরাম প্রামাণিক ওরফে ‘ডিসকভারি আকরাম’ জানান, জীবনের শুরুটা কাঠমিস্ত্রি হিসেবে চললেও মাঝপথে এসে তিনি গৃহসজ্জার (ইন্টেরিয়র) কাজে সম্পৃক্ত হন। বিয়ে করেছেন ৩০ বছর আগে। সংসারে স্ত্রী গৃহিণী। চার কন্যাসন্তানের জনক তিনি। ২০০২ সালে একটি সাদাকালো টেলিভিশন কিনে দেখা শুরু করেন ডিসকভারি চ্যানেল। সেখানে নিয়মিত দেখতে থাকেন বিদেশিদের পোকামাকড় খাওয়া।
২০০৩ সালে শুরুটা হয় জ্যান্ত কাঁকড়া খাওয়া দিয়ে। পর্যায়ক্রমে তিনি কেঁচো, কাঠের পোকা, সাপ, কুঁচিয়া, তেলাপোকা, ইঁদুর, বিভিন্ন প্রজাতির কাঁচা মাছ, গোবরে পোকা. শামুক, ঝিনুকসহ নানা পোকামাকড় খাওয়া আয়ত্ত করেন। এখন তিনি যেকোনো কিছু জ্যান্ত খেতে পারেন বলে দাবি করেন। এগুলোর খাওয়ায় তাঁর শরীরের মধ্যে কোনো রোগবালাই বা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তিনি এসব পোকামাকড় খেতে পারেন। কোনো সমস্যা হয় না বলে জানান।
ডিসকভারি আকরাম বলেন, এলাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ ছেড়ে এক সময় চলে যান ঢাকায়। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশন কার্যালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান বিচারপতির ভবন, এনএসআই কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ইন্টিরিয়রের কাজ করেছেন। বর্তমানে সব কাজকর্ম ছেড়ে তিনি এই পোকামাকড় খাওয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। অভাবী সংসারে বিষয়টি নানাভাবেই দেখছেন পরিবারের স্বজনসহ আশপাশের মানুষ। পোকামাকড় খাওয়ার পর যখন তিনি পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার পরামর্শের জন্য ঢাকায় অবস্থানকালে বিভিন্ন চিকিৎসক ও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পরামর্শ চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। কেউ তাঁকে সঠিক পরামর্শ দেয়নি।
ডিসকভারি আকরামের দাবি, তিনি একজন দরিদ্র মানুষ। খুব কষ্টে তার সংসার চলে। দুই কন্যার বিয়ে দিয়েছেন। আরও দুই কন্যা রয়েছে। তারা প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়ালেখা করে। নিজের ক্ষমতা নেই একটি স্মার্ট বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার। সরকারি-বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এবং সঠিক গাইডলাইন পেলে তিনি দেশ থেকে বিদেশের মধ্যে আলোড়ন তুলতে চান।
আকরাম বলেন, ‘বাঙালি লাঠি, বইঠা, সড়কি, ফলা আর অনুন্নত অস্ত্র নিয়ে লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে একাত্তরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। তেমনিভাবে আমিও বিদেশিদের জানাতে চাই, শুধু তোমরা নয়, আমরা বাঙালিরাও পারি। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সঠিক দিকনির্দেশনা দরকার।’
তাঁর স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন বলেন, ‘৩০ বছরের সংসারজীবন। ২০-২২ বছর আগে তাঁকে এই নেশায় ধরে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি পোকামাকড় খাওয়া চ্যানেল দেখে এটা অভ্যাস করতে থাকেন। এটা এখন তাঁর ধ্যানজ্ঞানে পরিণত হয়েছে। পোকামাকড় খাওয়া নিয়ে আমার স্বামীর বা আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
ডিসকভারি আকরামের মামাতো ভাই শাহীন মৃধা বলেন, ‘লোকমুখে প্রথম শুনেছি। এখন সরাসরি দেখি। অনেক পোকামাকড় আমি নিজেই ধরে এনে দেই। এর মধ্যে একধরনের আনন্দ উপভোগ করি। তেমনি অবাকও হয়ে যাই এই দুঃসাধ্য কাজ সাধ্যের মধ্যে আনায়। এটা কীভাবে সম্ভব করল ভাবতেই পারি না!’
দর্শনার্থী জয়পুরহাট থেকে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল বারী ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, লোকমুখে শুনে দেখতে এসেছি। বিষয়টি অবিশ্বাস্য ভেবেই দেখতে এসে এর সত্যতা পেলাম। মানুষ যে ইচ্ছে করলেই সব পারে, এটাই একটা উদাহরণ।
প্রতিবেশী শহীদ মন্ডল বলেন, ‘এ একটা আজব মানুষ। গোবরের পালা থেকে পোকা, কাঠের পোকা, কেঁচো থেকে শুরু করে সব ধরনের পোকা খাওয়ায় বেশ পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে আকরাম।’ স্থানীয় কৃষক জনাব মন্ডল বলেন, ‘বললে গল্প বলা হয়। বাস্তবে বিশ্বাস করতে দেখতে হবে। আসলেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে আকরাম।’
স্থানীয়দের দাবি, সরকারি-বেসরকারিভাবে একরামকে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে হয়তো এই পাগলামিটা দেশের জন্য বিশ্বের কাছে রোল মডেল হবে।
এ ব্যাপারে পাবনার বেসরকারি হাসপাতাল সিমলা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ডা. সরোয়ার জাহান ফয়েজ বলেন, ‘প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষ বিভিন্ন প্রাণী কাঁচা খেত। যুগের পরিবর্তন আর স্বাদের জন্য রান্না করে খায়। গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি ছাড়া তেমন ক্ষতি হয় না মানবদেহের জন্য।’
এই চিকিৎসক বলেন, ‘এগুলো একটু ব্যতিক্রমী। তবে এ কাজ করার আগে নিজের মনের মধ্যে সেই অনুভূতি সংরক্ষণ করতে হয়। যা সে রপ্ত করতে পারে, এটা করাটা তার জন্য আহামরি কিছু নয়। নিজেকে জাহির করার জন্য আজকাল মানুষ অনেক কিছুই করে। যদি তিনি সেই লক্ষ্যে করেন, তাহলে তাঁকে সেই পরামর্শ দেওয়া দরকার যে কোন প্রাণীর কোন অংশটুকু খাওয়া যাবে, কোনটুকু খাওয়া যাবে না। তবে এটা কোনো শুভবুদ্ধির কাজ নয়।’

পোকামাকড় খাওয়ার দৃশ্য বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যায় হরহামেশাই। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো নাগরিক চোখের সামনে বিভিন্ন রকমের জ্যান্ত সাপ, ইঁদুর, ব্যাঙসহ পোকামাকড় চিবিয়ে খাচ্ছেন—এমন দৃশ্যের কথা কল্পনাও করা যায় না। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, পাবনায় মিলেছে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান, যিনি জ্যান্ত পোকামাকড় খেয়ে এরই মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন।
জ্যান্ত সাপ, ব্যাঙ, বিচ্ছু, কেঁচো, তাজা মাছসহ নানা রকমের পোকামাকড় খেয়ে চলেছেন তিনি। ডিসকভারি চ্যানেল দেখে তিনি এসব খাওয়া শিখেছেন এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। আর ডিসকভারি চ্যানেলের মতো জ্যান্ত পোকামাকড় খেতে পারেন বলে সবার কাছে এখন তিনি ‘ডিসকভারি আকরাম’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন তিনি।
ওই ব্যক্তির নাম একরাম প্রামাণিক ওরফে ‘ডিসকভারি আকরাম’ (৫০)। পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের ঘোড়াদহ গ্রামের মৃত জব্বার প্রামাণিকের ছেলে এবং পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। চার কন্যাসন্তানের জনক। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। অন্য দুই মেয়ে লেখাপড়া করছে। নিজ পেশা ছেড়ে পোকামাকড় খাওয়ার নেশায় মত্ত হয়ে উঠেছেন ডিসকভারি আকরাম।
আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে একরাম ওরফে আকরামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পোকামাকড় খাওয়ার ঘটনা স্বচক্ষে দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন উৎসুক জনতা। কিছুক্ষণ পর ঘর থেকে বের হয়ে আগে থেকে ধরে রাখা জ্যান্ত সাপ, কেঁচো, ব্যাঙ, তাজা বোয়াল ও টাকি মাছ, কুঁচিয়া মাছ, ইঁদুর, কাঁকড়া খেয়ে দেখান। সব পোকামাকড় থেকে একটু একটু করে খেয়ে দেখান উপস্থিত সবাইকে। এ সময় সবাই হতবাক হয়ে যান।
আলাপকালে একরাম প্রামাণিক ওরফে ‘ডিসকভারি আকরাম’ জানান, জীবনের শুরুটা কাঠমিস্ত্রি হিসেবে চললেও মাঝপথে এসে তিনি গৃহসজ্জার (ইন্টেরিয়র) কাজে সম্পৃক্ত হন। বিয়ে করেছেন ৩০ বছর আগে। সংসারে স্ত্রী গৃহিণী। চার কন্যাসন্তানের জনক তিনি। ২০০২ সালে একটি সাদাকালো টেলিভিশন কিনে দেখা শুরু করেন ডিসকভারি চ্যানেল। সেখানে নিয়মিত দেখতে থাকেন বিদেশিদের পোকামাকড় খাওয়া।
২০০৩ সালে শুরুটা হয় জ্যান্ত কাঁকড়া খাওয়া দিয়ে। পর্যায়ক্রমে তিনি কেঁচো, কাঠের পোকা, সাপ, কুঁচিয়া, তেলাপোকা, ইঁদুর, বিভিন্ন প্রজাতির কাঁচা মাছ, গোবরে পোকা. শামুক, ঝিনুকসহ নানা পোকামাকড় খাওয়া আয়ত্ত করেন। এখন তিনি যেকোনো কিছু জ্যান্ত খেতে পারেন বলে দাবি করেন। এগুলোর খাওয়ায় তাঁর শরীরের মধ্যে কোনো রোগবালাই বা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তিনি এসব পোকামাকড় খেতে পারেন। কোনো সমস্যা হয় না বলে জানান।
ডিসকভারি আকরাম বলেন, এলাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ ছেড়ে এক সময় চলে যান ঢাকায়। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশন কার্যালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান বিচারপতির ভবন, এনএসআই কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ইন্টিরিয়রের কাজ করেছেন। বর্তমানে সব কাজকর্ম ছেড়ে তিনি এই পোকামাকড় খাওয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। অভাবী সংসারে বিষয়টি নানাভাবেই দেখছেন পরিবারের স্বজনসহ আশপাশের মানুষ। পোকামাকড় খাওয়ার পর যখন তিনি পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার পরামর্শের জন্য ঢাকায় অবস্থানকালে বিভিন্ন চিকিৎসক ও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পরামর্শ চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। কেউ তাঁকে সঠিক পরামর্শ দেয়নি।
ডিসকভারি আকরামের দাবি, তিনি একজন দরিদ্র মানুষ। খুব কষ্টে তার সংসার চলে। দুই কন্যার বিয়ে দিয়েছেন। আরও দুই কন্যা রয়েছে। তারা প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়ালেখা করে। নিজের ক্ষমতা নেই একটি স্মার্ট বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার। সরকারি-বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এবং সঠিক গাইডলাইন পেলে তিনি দেশ থেকে বিদেশের মধ্যে আলোড়ন তুলতে চান।
আকরাম বলেন, ‘বাঙালি লাঠি, বইঠা, সড়কি, ফলা আর অনুন্নত অস্ত্র নিয়ে লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে একাত্তরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। তেমনিভাবে আমিও বিদেশিদের জানাতে চাই, শুধু তোমরা নয়, আমরা বাঙালিরাও পারি। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সঠিক দিকনির্দেশনা দরকার।’
তাঁর স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন বলেন, ‘৩০ বছরের সংসারজীবন। ২০-২২ বছর আগে তাঁকে এই নেশায় ধরে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি পোকামাকড় খাওয়া চ্যানেল দেখে এটা অভ্যাস করতে থাকেন। এটা এখন তাঁর ধ্যানজ্ঞানে পরিণত হয়েছে। পোকামাকড় খাওয়া নিয়ে আমার স্বামীর বা আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
ডিসকভারি আকরামের মামাতো ভাই শাহীন মৃধা বলেন, ‘লোকমুখে প্রথম শুনেছি। এখন সরাসরি দেখি। অনেক পোকামাকড় আমি নিজেই ধরে এনে দেই। এর মধ্যে একধরনের আনন্দ উপভোগ করি। তেমনি অবাকও হয়ে যাই এই দুঃসাধ্য কাজ সাধ্যের মধ্যে আনায়। এটা কীভাবে সম্ভব করল ভাবতেই পারি না!’
দর্শনার্থী জয়পুরহাট থেকে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল বারী ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, লোকমুখে শুনে দেখতে এসেছি। বিষয়টি অবিশ্বাস্য ভেবেই দেখতে এসে এর সত্যতা পেলাম। মানুষ যে ইচ্ছে করলেই সব পারে, এটাই একটা উদাহরণ।
প্রতিবেশী শহীদ মন্ডল বলেন, ‘এ একটা আজব মানুষ। গোবরের পালা থেকে পোকা, কাঠের পোকা, কেঁচো থেকে শুরু করে সব ধরনের পোকা খাওয়ায় বেশ পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে আকরাম।’ স্থানীয় কৃষক জনাব মন্ডল বলেন, ‘বললে গল্প বলা হয়। বাস্তবে বিশ্বাস করতে দেখতে হবে। আসলেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে আকরাম।’
স্থানীয়দের দাবি, সরকারি-বেসরকারিভাবে একরামকে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে হয়তো এই পাগলামিটা দেশের জন্য বিশ্বের কাছে রোল মডেল হবে।
এ ব্যাপারে পাবনার বেসরকারি হাসপাতাল সিমলা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ডা. সরোয়ার জাহান ফয়েজ বলেন, ‘প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষ বিভিন্ন প্রাণী কাঁচা খেত। যুগের পরিবর্তন আর স্বাদের জন্য রান্না করে খায়। গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি ছাড়া তেমন ক্ষতি হয় না মানবদেহের জন্য।’
এই চিকিৎসক বলেন, ‘এগুলো একটু ব্যতিক্রমী। তবে এ কাজ করার আগে নিজের মনের মধ্যে সেই অনুভূতি সংরক্ষণ করতে হয়। যা সে রপ্ত করতে পারে, এটা করাটা তার জন্য আহামরি কিছু নয়। নিজেকে জাহির করার জন্য আজকাল মানুষ অনেক কিছুই করে। যদি তিনি সেই লক্ষ্যে করেন, তাহলে তাঁকে সেই পরামর্শ দেওয়া দরকার যে কোন প্রাণীর কোন অংশটুকু খাওয়া যাবে, কোনটুকু খাওয়া যাবে না। তবে এটা কোনো শুভবুদ্ধির কাজ নয়।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৫ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
২৯ মিনিট আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

জ্যান্ত সাপ, ব্যাঙ, বিচ্ছু, কেঁচো, তাজা মাছসহ নানা রকমের পোকামাকড় খেয়ে চলেছেন তিনি। ডিসকভারি চ্যানেল দেখে তিনি এসব খাওয়া শিখেছেন এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। আর ডিসকভারি চ্যানেলের মতো জ্যান্ত পোকামাকড় খেতে পারেন বলে সবার কাছে এখন তিনি ‘ডিসকভারি আকরাম’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়
১৫ নভেম্বর ২০২২
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
২৯ মিনিট আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
১ ঘণ্টা আগেভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জ্যান্ত সাপ, ব্যাঙ, বিচ্ছু, কেঁচো, তাজা মাছসহ নানা রকমের পোকামাকড় খেয়ে চলেছেন তিনি। ডিসকভারি চ্যানেল দেখে তিনি এসব খাওয়া শিখেছেন এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। আর ডিসকভারি চ্যানেলের মতো জ্যান্ত পোকামাকড় খেতে পারেন বলে সবার কাছে এখন তিনি ‘ডিসকভারি আকরাম’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়
১৫ নভেম্বর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৫ মিনিট আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
১ ঘণ্টা আগেইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি বরিশালে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে দলটিতে যোগ দেন।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মনু গাজীসহ শতাধিক বিএনপির সাবেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৭ বছর ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে। স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় এলাকাবাসী দলমত-নির্বিশেষে অভিভাবক মেনে প্রবীণ এই সমাজসেবককে ‘বটগাছ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সবার মুখে মুখে বলতে শোনা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদার মানেই এখানকার মানুষের অভিভাবক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে তাঁর যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আব্দুর রউফ ও তাঁর সমর্থকেরা আবদুল কাইয়ুমকে জামালপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।
পরে গত ১৯ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর থেকে তাঁর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওনালা আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বটগাছ উপাধিতে ভূষিত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি বরিশালে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে দলটিতে যোগ দেন।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মনু গাজীসহ শতাধিক বিএনপির সাবেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৭ বছর ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে। স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় এলাকাবাসী দলমত-নির্বিশেষে অভিভাবক মেনে প্রবীণ এই সমাজসেবককে ‘বটগাছ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সবার মুখে মুখে বলতে শোনা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদার মানেই এখানকার মানুষের অভিভাবক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে তাঁর যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আব্দুর রউফ ও তাঁর সমর্থকেরা আবদুল কাইয়ুমকে জামালপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।
পরে গত ১৯ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর থেকে তাঁর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওনালা আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বটগাছ উপাধিতে ভূষিত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জ্যান্ত সাপ, ব্যাঙ, বিচ্ছু, কেঁচো, তাজা মাছসহ নানা রকমের পোকামাকড় খেয়ে চলেছেন তিনি। ডিসকভারি চ্যানেল দেখে তিনি এসব খাওয়া শিখেছেন এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। আর ডিসকভারি চ্যানেলের মতো জ্যান্ত পোকামাকড় খেতে পারেন বলে সবার কাছে এখন তিনি ‘ডিসকভারি আকরাম’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়
১৫ নভেম্বর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৫ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
২৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
আজ রোববার সকালে তাঁকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-২।
র্যাব সদরদপ্তরের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার ঘটনায় হান্নান জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫। আটক হান্নানের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তাঁর বাবার নাম মো. আবুল কাশেম।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
আজ রোববার সকালে তাঁকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-২।
র্যাব সদরদপ্তরের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার ঘটনায় হান্নান জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫। আটক হান্নানের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তাঁর বাবার নাম মো. আবুল কাশেম।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

জ্যান্ত সাপ, ব্যাঙ, বিচ্ছু, কেঁচো, তাজা মাছসহ নানা রকমের পোকামাকড় খেয়ে চলেছেন তিনি। ডিসকভারি চ্যানেল দেখে তিনি এসব খাওয়া শিখেছেন এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। আর ডিসকভারি চ্যানেলের মতো জ্যান্ত পোকামাকড় খেতে পারেন বলে সবার কাছে এখন তিনি ‘ডিসকভারি আকরাম’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়
১৫ নভেম্বর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৫ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
২৯ মিনিট আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে