ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। জানা গেছে, প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে ৩০-৩৫ জন ডায়রিয়ায় রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দুই দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে ৬২ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আজ শুক্রবার বেলা ২টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন। আক্রান্তদের বয়স ২০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের অর্ধেকই ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী বলে জানা গেছে।
তবে হঠাৎ ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ না থাকলেও প্রাথমিকভাবে দূষিত পানীয় পান করা, খাদ্যদূষণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও অতিরিক্ত গরম, অপরিচ্ছন্ন খোলা খাবার গ্রহণ ইত্যাদি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ও আন্তবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়ার রোগী আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বেশ কয়েকজন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১০ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা ও রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা থেকে আজ বেলা ২টা পর্যন্ত শুধু ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে ২৪ জন নারী ও ১৬ জন পুরুষ। আজ সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ১৬ ডায়রিয়া রোগী। ভর্তি ছাড়াও প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি ও বহির্বিভাগে পেটের পীড়াসংক্রান্ত রোগে শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু চিকিৎসা নিয়েছে।
আজ বেলা ৩টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার ২০ জন শ্রমিক-কর্মচারী।
কথা হয় হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার শ্রমিক রাকিব উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, দুই দিন আগে ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরে রাতে খাওয়াদাওয়ার পর থেকে তাঁর প্রচণ্ড ডায়রিয়া শুরু হয়। সকালে কিছুটা সুস্থবোধ করায় কারখানায় গেলে আরও বেড়ে যাওয়ায় তিনি দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হন। রাকিব জানান, তিনি শুধু একা নন, ইপিজেড অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নারী ওয়ার্ডের এক রোগী জানান, তিনি ইপিজেড কারখানার একজন শ্রমিক। রাতে হঠাৎ পেটে ব্যথা হওয়ার পর থেকে তাঁর প্রচণ্ড ডায়রিয়া শুরু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এদিকে হঠাৎ ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তাঁরা জানান, গতকাল থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি আসছে। এই অবস্থায় আজ দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা দিতে এসে তাঁদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কর্তব্যরত নার্সরা বলেন, ‘সেবাশুশ্রূষা করতে এসে দেখছি সহজেই এই ডায়রিয়া ভালো হচ্ছে না। এ জন্য অনেকে উন্নত চিকিৎসা নিতে ঈশ্বরদীর বাইরে চলে গেছেন।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাবিবা বলেন, কী কারণে হঠাৎ ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে দূষণ, আবহাওয়া পরিবর্তন, অতিরিক্ত গরম, খোলা খাবার গ্রহণ ইত্যাদি কারণে ডায়রিয়া বেড়েছে। এ জন্য তিনি খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি ঈশ্বরদীর বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
শহরের রেলগেটে অবস্থিত রূপসী বাংলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শিমুল বিশ্বাস জানান, ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই কিছু রোগী তাঁর ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসছেন। গত দুদিনে পাঁচজন রোগী ক্লিনিকে এসে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিয়েছি। পরে রোগীরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নেন।’
হাসপাতাল সড়কে বেসরকারি আলো জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায়ই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসছে তাদের এখানে। তবে কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না। সরকারি হাসপাতালে যেতে বলা হচ্ছে।

পাবনার ঈশ্বরদীতে হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। জানা গেছে, প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে ৩০-৩৫ জন ডায়রিয়ায় রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দুই দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে ৬২ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আজ শুক্রবার বেলা ২টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন। আক্রান্তদের বয়স ২০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের অর্ধেকই ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী বলে জানা গেছে।
তবে হঠাৎ ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ না থাকলেও প্রাথমিকভাবে দূষিত পানীয় পান করা, খাদ্যদূষণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও অতিরিক্ত গরম, অপরিচ্ছন্ন খোলা খাবার গ্রহণ ইত্যাদি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ও আন্তবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়ার রোগী আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বেশ কয়েকজন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১০ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা ও রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা থেকে আজ বেলা ২টা পর্যন্ত শুধু ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে ২৪ জন নারী ও ১৬ জন পুরুষ। আজ সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ১৬ ডায়রিয়া রোগী। ভর্তি ছাড়াও প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি ও বহির্বিভাগে পেটের পীড়াসংক্রান্ত রোগে শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু চিকিৎসা নিয়েছে।
আজ বেলা ৩টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার ২০ জন শ্রমিক-কর্মচারী।
কথা হয় হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার শ্রমিক রাকিব উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, দুই দিন আগে ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরে রাতে খাওয়াদাওয়ার পর থেকে তাঁর প্রচণ্ড ডায়রিয়া শুরু হয়। সকালে কিছুটা সুস্থবোধ করায় কারখানায় গেলে আরও বেড়ে যাওয়ায় তিনি দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হন। রাকিব জানান, তিনি শুধু একা নন, ইপিজেড অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নারী ওয়ার্ডের এক রোগী জানান, তিনি ইপিজেড কারখানার একজন শ্রমিক। রাতে হঠাৎ পেটে ব্যথা হওয়ার পর থেকে তাঁর প্রচণ্ড ডায়রিয়া শুরু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এদিকে হঠাৎ ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তাঁরা জানান, গতকাল থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি আসছে। এই অবস্থায় আজ দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা দিতে এসে তাঁদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কর্তব্যরত নার্সরা বলেন, ‘সেবাশুশ্রূষা করতে এসে দেখছি সহজেই এই ডায়রিয়া ভালো হচ্ছে না। এ জন্য অনেকে উন্নত চিকিৎসা নিতে ঈশ্বরদীর বাইরে চলে গেছেন।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাবিবা বলেন, কী কারণে হঠাৎ ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে দূষণ, আবহাওয়া পরিবর্তন, অতিরিক্ত গরম, খোলা খাবার গ্রহণ ইত্যাদি কারণে ডায়রিয়া বেড়েছে। এ জন্য তিনি খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি ঈশ্বরদীর বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
শহরের রেলগেটে অবস্থিত রূপসী বাংলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শিমুল বিশ্বাস জানান, ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই কিছু রোগী তাঁর ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসছেন। গত দুদিনে পাঁচজন রোগী ক্লিনিকে এসে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিয়েছি। পরে রোগীরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নেন।’
হাসপাতাল সড়কে বেসরকারি আলো জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায়ই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসছে তাদের এখানে। তবে কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না। সরকারি হাসপাতালে যেতে বলা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। জানা গেছে, প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে ৩০-৩৫ জন ডায়রিয়ায় রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দুই দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে ৬২ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আজ শুক্রবার বেলা ২টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন। আক্রান্তদের বয়স ২০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের অর্ধেকই ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী বলে জানা গেছে।
তবে হঠাৎ ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ না থাকলেও প্রাথমিকভাবে দূষিত পানীয় পান করা, খাদ্যদূষণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও অতিরিক্ত গরম, অপরিচ্ছন্ন খোলা খাবার গ্রহণ ইত্যাদি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ও আন্তবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়ার রোগী আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বেশ কয়েকজন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১০ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা ও রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা থেকে আজ বেলা ২টা পর্যন্ত শুধু ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে ২৪ জন নারী ও ১৬ জন পুরুষ। আজ সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ১৬ ডায়রিয়া রোগী। ভর্তি ছাড়াও প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি ও বহির্বিভাগে পেটের পীড়াসংক্রান্ত রোগে শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু চিকিৎসা নিয়েছে।
আজ বেলা ৩টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার ২০ জন শ্রমিক-কর্মচারী।
কথা হয় হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার শ্রমিক রাকিব উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, দুই দিন আগে ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরে রাতে খাওয়াদাওয়ার পর থেকে তাঁর প্রচণ্ড ডায়রিয়া শুরু হয়। সকালে কিছুটা সুস্থবোধ করায় কারখানায় গেলে আরও বেড়ে যাওয়ায় তিনি দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হন। রাকিব জানান, তিনি শুধু একা নন, ইপিজেড অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নারী ওয়ার্ডের এক রোগী জানান, তিনি ইপিজেড কারখানার একজন শ্রমিক। রাতে হঠাৎ পেটে ব্যথা হওয়ার পর থেকে তাঁর প্রচণ্ড ডায়রিয়া শুরু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এদিকে হঠাৎ ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তাঁরা জানান, গতকাল থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি আসছে। এই অবস্থায় আজ দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা দিতে এসে তাঁদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কর্তব্যরত নার্সরা বলেন, ‘সেবাশুশ্রূষা করতে এসে দেখছি সহজেই এই ডায়রিয়া ভালো হচ্ছে না। এ জন্য অনেকে উন্নত চিকিৎসা নিতে ঈশ্বরদীর বাইরে চলে গেছেন।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাবিবা বলেন, কী কারণে হঠাৎ ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে দূষণ, আবহাওয়া পরিবর্তন, অতিরিক্ত গরম, খোলা খাবার গ্রহণ ইত্যাদি কারণে ডায়রিয়া বেড়েছে। এ জন্য তিনি খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি ঈশ্বরদীর বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
শহরের রেলগেটে অবস্থিত রূপসী বাংলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শিমুল বিশ্বাস জানান, ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই কিছু রোগী তাঁর ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসছেন। গত দুদিনে পাঁচজন রোগী ক্লিনিকে এসে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিয়েছি। পরে রোগীরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নেন।’
হাসপাতাল সড়কে বেসরকারি আলো জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায়ই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসছে তাদের এখানে। তবে কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না। সরকারি হাসপাতালে যেতে বলা হচ্ছে।

পাবনার ঈশ্বরদীতে হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। জানা গেছে, প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে ৩০-৩৫ জন ডায়রিয়ায় রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দুই দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে ৬২ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আজ শুক্রবার বেলা ২টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন। আক্রান্তদের বয়স ২০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের অর্ধেকই ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী বলে জানা গেছে।
তবে হঠাৎ ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ না থাকলেও প্রাথমিকভাবে দূষিত পানীয় পান করা, খাদ্যদূষণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও অতিরিক্ত গরম, অপরিচ্ছন্ন খোলা খাবার গ্রহণ ইত্যাদি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ও আন্তবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়ার রোগী আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বেশ কয়েকজন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১০ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা ও রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা থেকে আজ বেলা ২টা পর্যন্ত শুধু ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে ২৪ জন নারী ও ১৬ জন পুরুষ। আজ সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ১৬ ডায়রিয়া রোগী। ভর্তি ছাড়াও প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি ও বহির্বিভাগে পেটের পীড়াসংক্রান্ত রোগে শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু চিকিৎসা নিয়েছে।
আজ বেলা ৩টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার ২০ জন শ্রমিক-কর্মচারী।
কথা হয় হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী ঈশ্বরদী ইপিজেড কারখানার শ্রমিক রাকিব উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, দুই দিন আগে ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরে রাতে খাওয়াদাওয়ার পর থেকে তাঁর প্রচণ্ড ডায়রিয়া শুরু হয়। সকালে কিছুটা সুস্থবোধ করায় কারখানায় গেলে আরও বেড়ে যাওয়ায় তিনি দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হন। রাকিব জানান, তিনি শুধু একা নন, ইপিজেড অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নারী ওয়ার্ডের এক রোগী জানান, তিনি ইপিজেড কারখানার একজন শ্রমিক। রাতে হঠাৎ পেটে ব্যথা হওয়ার পর থেকে তাঁর প্রচণ্ড ডায়রিয়া শুরু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এদিকে হঠাৎ ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তাঁরা জানান, গতকাল থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি আসছে। এই অবস্থায় আজ দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা দিতে এসে তাঁদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কর্তব্যরত নার্সরা বলেন, ‘সেবাশুশ্রূষা করতে এসে দেখছি সহজেই এই ডায়রিয়া ভালো হচ্ছে না। এ জন্য অনেকে উন্নত চিকিৎসা নিতে ঈশ্বরদীর বাইরে চলে গেছেন।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাবিবা বলেন, কী কারণে হঠাৎ ডায়রিয়ার সংক্রমণ বেড়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে দূষণ, আবহাওয়া পরিবর্তন, অতিরিক্ত গরম, খোলা খাবার গ্রহণ ইত্যাদি কারণে ডায়রিয়া বেড়েছে। এ জন্য তিনি খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি ঈশ্বরদীর বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
শহরের রেলগেটে অবস্থিত রূপসী বাংলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শিমুল বিশ্বাস জানান, ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই কিছু রোগী তাঁর ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসছেন। গত দুদিনে পাঁচজন রোগী ক্লিনিকে এসে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিয়েছি। পরে রোগীরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নেন।’
হাসপাতাল সড়কে বেসরকারি আলো জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায়ই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসছে তাদের এখানে। তবে কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না। সরকারি হাসপাতালে যেতে বলা হচ্ছে।

পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
৩২ মিনিট আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘাস কাটার মেশিন ভেঙে ব্লেড ছিটকে মাথায় ঢুকে আহত হয়েছেন সুমন মিয়া (২৬) নামের এক যুবক। তিনি সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। জাবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত তিন দিনব্যাপী নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে দেওয়া স্টলে কাঁকড়া ফ্রাই বিক্রি করতেন তিনি।
৩৪ মিনিট আগে
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের জেরে ছোড়া গুলি বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় এসে পড়েছে। এই ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিতে একটি বসতবাড়ি ও একটি দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেপাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলো পাবনা কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া আক্তার, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবু তোহা ও ভ্যানের চালক আকরাম হোসেন।
মাধপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী ভ্যানগাড়িতে করে পাবনার জালালপুর এলাকার ক্যাডেট কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে পাবনাগামী একটি বাঁশবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ছাত্র-ছাত্রী ও ভ্যানচালক নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও দুজন পথচারী। স্থানীয় বাসিন্দারা মাধপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভ্যানের ড্রাইভারসহ তিনজন নিহত ও চায়ের দোকানে থাকা দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলো পাবনা কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া আক্তার, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবু তোহা ও ভ্যানের চালক আকরাম হোসেন।
মাধপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী ভ্যানগাড়িতে করে পাবনার জালালপুর এলাকার ক্যাডেট কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে পাবনাগামী একটি বাঁশবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ছাত্র-ছাত্রী ও ভ্যানচালক নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও দুজন পথচারী। স্থানীয় বাসিন্দারা মাধপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভ্যানের ড্রাইভারসহ তিনজন নিহত ও চায়ের দোকানে থাকা দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পাবনার ঈশ্বরদীতে হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন ডায়রিয়ায় রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালের ভর্তি হচ্ছেন।
৩০ মে ২০২৫
অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
৩২ মিনিট আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘাস কাটার মেশিন ভেঙে ব্লেড ছিটকে মাথায় ঢুকে আহত হয়েছেন সুমন মিয়া (২৬) নামের এক যুবক। তিনি সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। জাবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত তিন দিনব্যাপী নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে দেওয়া স্টলে কাঁকড়া ফ্রাই বিক্রি করতেন তিনি।
৩৪ মিনিট আগে
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের জেরে ছোড়া গুলি বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় এসে পড়েছে। এই ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিতে একটি বসতবাড়ি ও একটি দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
আরফান বর্তমানে ইসলামপুর কামিল কওমি মাদ্রাসার ছাত্র। এর আগে সে কুচিয়ামোড়া দারুন্নাজাত মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেছে। অল্প বয়সে এমন সাফল্য অর্জন করে স্থানীয়ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
আরফান কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মাসরুরের (লাভু হুজুর) ছেলে। লাভু হুজুর বর্তমানে কুচিয়ামোড়া দারুন্নাজাত মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ এবং কুচিয়ামোড়া মিত্রপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাইবোনের মধ্যে আরফান সবার ছোট। মাত্র ১৪৩ দিনে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে সে তার পরিবারসহ পুরো এলাকাকে গর্বিত করেছে।
ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ফখরুদ্দীন রাজি বলেন, ‘আরফান আমাদের মাদ্রাসার গর্ব। ১৪৩ দিনে কোরআন মুখস্থ করা আমাদের মাদ্রাসার ইতিহাসে এই প্রথম। এটি এক বিরল দৃষ্টান্ত। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
আরফান বর্তমানে ইসলামপুর কামিল কওমি মাদ্রাসার ছাত্র। এর আগে সে কুচিয়ামোড়া দারুন্নাজাত মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেছে। অল্প বয়সে এমন সাফল্য অর্জন করে স্থানীয়ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
আরফান কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মাসরুরের (লাভু হুজুর) ছেলে। লাভু হুজুর বর্তমানে কুচিয়ামোড়া দারুন্নাজাত মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ এবং কুচিয়ামোড়া মিত্রপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাইবোনের মধ্যে আরফান সবার ছোট। মাত্র ১৪৩ দিনে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে সে তার পরিবারসহ পুরো এলাকাকে গর্বিত করেছে।
ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ফখরুদ্দীন রাজি বলেন, ‘আরফান আমাদের মাদ্রাসার গর্ব। ১৪৩ দিনে কোরআন মুখস্থ করা আমাদের মাদ্রাসার ইতিহাসে এই প্রথম। এটি এক বিরল দৃষ্টান্ত। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

পাবনার ঈশ্বরদীতে হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন ডায়রিয়ায় রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালের ভর্তি হচ্ছেন।
৩০ মে ২০২৫
পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘাস কাটার মেশিন ভেঙে ব্লেড ছিটকে মাথায় ঢুকে আহত হয়েছেন সুমন মিয়া (২৬) নামের এক যুবক। তিনি সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। জাবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত তিন দিনব্যাপী নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে দেওয়া স্টলে কাঁকড়া ফ্রাই বিক্রি করতেন তিনি।
৩৪ মিনিট আগে
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের জেরে ছোড়া গুলি বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় এসে পড়েছে। এই ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিতে একটি বসতবাড়ি ও একটি দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেজাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘাস কাটার যন্ত্র (মেশিন) ভেঙে ব্লেড ছিটকে মাথায় ঢুকে সুমন মিয়া (২৬) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা এবং জাবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত তিন দিনব্যাপী নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে বরাদ্দ স্টলে কাঁকড়া ফ্রাই বিক্রি করতেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ঘটনার পরপরই তাঁকে প্রথমে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট একাধিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৩ অক্টোবর থেকে জাবি স্পোর্টস ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় তিন দিনব্যাপী নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়। শনিবার ছিল খেলার শেষ দিন। টুর্নামেন্টে ক্লাবের সভাপতি আরশাদ হাবিব বিশালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক বন্ধু একটি স্টল বরাদ্দ নেন, যেখানে সুমন মিয়া ও জাবির এক হোটেল কর্মচারী কাজ করতেন।
এদিকে বিশালের অনুরোধে অনানুষ্ঠানিকভাবে মাঠ প্রস্তুতের কাজ করতেন শারীরিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী আবুল হোসেন। গতকাল শেষ দিন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে এসে মাঠ প্রস্তুতের কাজ শেষে হাতে সময় থাকায় মেশিন দিয়ে ঘাস কাটা শুরু করেন তিনি। ঘাস কাটার সময় মেশিনের ব্লেড মাটিতে থাকা একটি ইটে লেগে ভেঙে যায়। ব্লেডের সেই অংশ ছিটকে গিয়ে পাশের স্টলে দাঁড়িয়ে থাকা সুমন মিয়ার মাথায় ঢোকে।
সুমন মিয়ার পাশের স্টলে পিঠার দোকান ছিল নাদিয়া মীম নামের সিটি ইউনিভার্সিটির সাবেক এক শিক্ষার্থীর। নাদিয়া বলেন, সুমন স্টলে দাঁড়ানো অবস্থায় ব্লেড ছিটকে এসে লাগার সঙ্গে সঙ্গে ঢলে পড়ে যান। প্রথমে ভয়ে কেউ তাকে উঠায়নি। পরে বিশাল এসে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য মোটরসাইকেলে উঠিয়ে দেন।
কর্মচারী আবুল হোসেন বলেন, ‘হাতে একটু সময় থাকায় ঘাস কাটছিলাম। মেশিনে ইট লেগে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটবে, এটা ভাবতে পারছি না।’
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসরিন বেগম বলেন, ‘আজ ছুটির দিন থাকায় আমি অফিসে ছিলাম না। আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরাও ছুটিতে ছিল। তবে জাবি স্পোর্টস ক্লাবের নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট চলমান থাকায় তিনি সেখানে ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত আহত ব্যক্তিকে এনাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। রাত ১টার দিকে তার অপারেশন শুরু হয়।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত সুমনের মাথায় অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত নন। ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে থাকবেন তিনি। নিবিড় পরিচর্যার পরামর্শ থাকলেও এখন পর্যন্ত তার ব্যবস্থা হয়নি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘাস কাটার যন্ত্র (মেশিন) ভেঙে ব্লেড ছিটকে মাথায় ঢুকে সুমন মিয়া (২৬) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা এবং জাবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত তিন দিনব্যাপী নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে বরাদ্দ স্টলে কাঁকড়া ফ্রাই বিক্রি করতেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ঘটনার পরপরই তাঁকে প্রথমে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট একাধিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৩ অক্টোবর থেকে জাবি স্পোর্টস ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় তিন দিনব্যাপী নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়। শনিবার ছিল খেলার শেষ দিন। টুর্নামেন্টে ক্লাবের সভাপতি আরশাদ হাবিব বিশালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক বন্ধু একটি স্টল বরাদ্দ নেন, যেখানে সুমন মিয়া ও জাবির এক হোটেল কর্মচারী কাজ করতেন।
এদিকে বিশালের অনুরোধে অনানুষ্ঠানিকভাবে মাঠ প্রস্তুতের কাজ করতেন শারীরিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী আবুল হোসেন। গতকাল শেষ দিন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে এসে মাঠ প্রস্তুতের কাজ শেষে হাতে সময় থাকায় মেশিন দিয়ে ঘাস কাটা শুরু করেন তিনি। ঘাস কাটার সময় মেশিনের ব্লেড মাটিতে থাকা একটি ইটে লেগে ভেঙে যায়। ব্লেডের সেই অংশ ছিটকে গিয়ে পাশের স্টলে দাঁড়িয়ে থাকা সুমন মিয়ার মাথায় ঢোকে।
সুমন মিয়ার পাশের স্টলে পিঠার দোকান ছিল নাদিয়া মীম নামের সিটি ইউনিভার্সিটির সাবেক এক শিক্ষার্থীর। নাদিয়া বলেন, সুমন স্টলে দাঁড়ানো অবস্থায় ব্লেড ছিটকে এসে লাগার সঙ্গে সঙ্গে ঢলে পড়ে যান। প্রথমে ভয়ে কেউ তাকে উঠায়নি। পরে বিশাল এসে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য মোটরসাইকেলে উঠিয়ে দেন।
কর্মচারী আবুল হোসেন বলেন, ‘হাতে একটু সময় থাকায় ঘাস কাটছিলাম। মেশিনে ইট লেগে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটবে, এটা ভাবতে পারছি না।’
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসরিন বেগম বলেন, ‘আজ ছুটির দিন থাকায় আমি অফিসে ছিলাম না। আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরাও ছুটিতে ছিল। তবে জাবি স্পোর্টস ক্লাবের নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট চলমান থাকায় তিনি সেখানে ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত আহত ব্যক্তিকে এনাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। রাত ১টার দিকে তার অপারেশন শুরু হয়।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত সুমনের মাথায় অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত নন। ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে থাকবেন তিনি। নিবিড় পরিচর্যার পরামর্শ থাকলেও এখন পর্যন্ত তার ব্যবস্থা হয়নি।

পাবনার ঈশ্বরদীতে হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন ডায়রিয়ায় রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালের ভর্তি হচ্ছেন।
৩০ মে ২০২৫
পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
৩২ মিনিট আগে
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের জেরে ছোড়া গুলি বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় এসে পড়েছে। এই ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিতে একটি বসতবাড়ি ও একটি দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের জেরে ছোড়া গুলি বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় এসে পড়েছে। এই ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিতে একটি বসতবাড়ি ও একটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহত নারীর নাম ছেনুয়ারা (২৭)। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলের দিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভয়াবহ গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কিছু সময় পর ওপার থেকে ছোড়া দুটি গুলি বাংলাদেশ সীমান্তের তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার একটি বসতবাড়ি ও কম্পিউটারের দোকানে এসে লাগে। এতে ঘরের টিন ও দেয়াল ছিদ্র হয়ে যায়।
ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় অনেক পরিবার শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ‘মিয়ানমারের দিক থেকে ছোড়া গুলি এপারে এসে পড়ায় একজন নারী আহত হয়েছেন। সীমান্তের মানুষ এখন চরম আতঙ্কে রয়েছে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
নুর আহমেদ আনোয়ারী আরও বলেন, যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে সীমান্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের জেরে ছোড়া গুলি বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় এসে পড়েছে। এই ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিতে একটি বসতবাড়ি ও একটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহত নারীর নাম ছেনুয়ারা (২৭)। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলের দিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভয়াবহ গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কিছু সময় পর ওপার থেকে ছোড়া দুটি গুলি বাংলাদেশ সীমান্তের তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার একটি বসতবাড়ি ও কম্পিউটারের দোকানে এসে লাগে। এতে ঘরের টিন ও দেয়াল ছিদ্র হয়ে যায়।
ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় অনেক পরিবার শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ‘মিয়ানমারের দিক থেকে ছোড়া গুলি এপারে এসে পড়ায় একজন নারী আহত হয়েছেন। সীমান্তের মানুষ এখন চরম আতঙ্কে রয়েছে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
নুর আহমেদ আনোয়ারী আরও বলেন, যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে সীমান্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

পাবনার ঈশ্বরদীতে হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন ডায়রিয়ায় রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালের ভর্তি হচ্ছেন।
৩০ মে ২০২৫
পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।
৩২ মিনিট আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘাস কাটার মেশিন ভেঙে ব্লেড ছিটকে মাথায় ঢুকে আহত হয়েছেন সুমন মিয়া (২৬) নামের এক যুবক। তিনি সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। জাবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত তিন দিনব্যাপী নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে দেওয়া স্টলে কাঁকড়া ফ্রাই বিক্রি করতেন তিনি।
৩৪ মিনিট আগে