জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে সেটি নিয়েছিলের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা-কর্মীরা।
শামসুল হক জানান, তাঁর ছবি ও খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর স্থানীয় শাখার তিন কর্মী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। হাতে ৮০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, এটি ‘ভিক্ষা ঋণ’, পরিশোধ করতে হবে না। অথচ এখন জানতে পেরেছেন, তাঁর নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার টাকা। ওই কর্মকর্তারা বাকি টাকাটা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করলেও এখন দায় চেপেছে হতদরিদ্র গ্রাহকের কাঁধে।
শুধু শামসুল হক নন, সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখা থেকে তাঁর মতো ৮৪০ জন গ্রাহককে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে অন্তত দুই শ গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। সঠিক তথ্য অজানা থাকায় তাঁদের ঋণের পুরোটাই দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখার ব্যবস্থাপক সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বনির্ভর বাংলাদেশের আয়োজনে ৮৪০ জন গ্রাহকের মাঝে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ঋণ শুধু তাঁর শাখা থেকে বিতরণ করা হয়, যার পুরোটা বছরের পর বছর খেলাপি। টাকার পরিমাণ কম থাকায় মামলা হয়নি। এনজিওটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সব গ্রাহককে চিহ্নিতকরণ এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুরুতে নানা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এমআরএ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থায়নে ৪০টি জেলায় ৩৩টি এরিয়া অফিস এবং ৭৭৫টি শাখার মাধ্যমে এনজিওটির বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটির বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংস্থাটির ঋণ কার্যক্রম যতটা বিস্তৃত, ততটা বিস্তার ঘটেছে কর্মকর্তাদের প্রতারণার ফাঁদও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কেতকীবাড়ি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রাহকের নামে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণগ্রহীতাদের অনেকে জানেন না, তাঁদের নামে ঋণ আছে। মূলত ‘ভিক্ষা ঋণ’ নাম দিয়ে তাঁদের ছবি ও স্বাক্ষর নিয়ে ওই ঋণ সৃজন করে একটি চক্র। একেকজনের নামে ২৫-৩৫ হাজার ঋণ নেওয়া হলেও তাঁরা পান ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। মূলত স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন কর্মকর্তা ওমর ফারুক ওরফে কাজল, মোকাররম হোসেন, মারুফ হোসেন, স্থানীয় দালালখ্যাত আশিকুর ও সাবুল এবং সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু ফয়েজ সংঘবদ্ধভাবে এই প্রতারণা করেন।
জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন ইউনিট ম্যানেজার ববি বেগম বলেন, ‘হাতে টাকা পায়নি এমন অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি। এটা রহস্যজনক। তবে ঋণ যে আদায় হয়নি, সেটা সত্য।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ কেন্দ্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর সদস্য ছিলেন রওশন আরা নামের এক গৃহিণী। এনজিওটির সদর ইউনিয়নের কর্মকর্তা নাজমা বেগম তাঁকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বাউফল অগ্রণী ব্যাংকের নিচে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর ও ছবি নেওয়ার পর বলা হয়, ‘এখন চলে যান, ঋণ পাস হলে জানানো হবে।’ রওশন আরা ঋণের তথ্য জানতে পেরেছেন ঠিকই, তবে অন্তত চার বছর পর। যদিও ওই ঋণের কোনো টাকা পাননি তিনি।
একই এলাকার ভুক্তভোগী হানিফ হাওলাদার জানান, তাঁর বাড়িতে স্বনির্ভরের একটি কেন্দ্র ছিল। তখন ২৫ হাজার ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে আব্বাস নামের এক কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা ঋণ বকেয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। টাকা না দিলে মামলা করার ভয় দেখাচ্ছেন। সেই ভয়ে সপরিবার এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গা ঢাকা দিয়ে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করছেন তিনি।
সহজ শর্তে কৃষিঋণের নামে অগ্রণী ব্যাংকের বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ শাখা থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা এই ঋণের অধিকাংশই সংস্থাটির ক্রেডিট ম্যানেজার সরদার আলমগীর হোসেন অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত স্বনির্ভর বাংলাদেশ এখন কোনো ধরনের কার্যক্রমে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। এখন তারা শত শত গ্রাহককে খুঁজে পাচ্ছে না। ঋণের অর্থ তছরুপ করার কারণে নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়নি। এখন নতুন করে অর্থ তছরুপের লক্ষ্যে অর্থায়ন চাইছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অপরাধের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিনের কোন্দল, মামলা ও দখলবাজির কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কয়েক বছর ধরে বন্ধ। কোথাও কোনো শাখা চলছে না। এতে ঋণ বিতরণ ও আদায় বন্ধ রয়েছে। ফলে কমিশনও বন্ধ। এমনকি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ থাকায় ঋণের কমিশন ও এফডিআরের অর্থ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অর্থ দরকার। অর্থ পেলে কার্যক্রম আবার চালু করা সম্ভব। তখন ঋণ আদায় হবে।
বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকএসএফের) থেকে অর্থ নিয়েও ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। কিন্তু পিকেএসএফের ঋণ বিতরণের তথ্য গোপন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও।
পিকেএসএফের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও আরটিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশের মাধ্যমে পিকেএসএফের ঋণের পরিমাণ ৩১ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। সুদ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পাওনা আদায়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এমআরএর পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পরিচালিত পরিদর্শনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর বহুবিধ অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা উঠে এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটির মাঠপর্যায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি এমআরএ থেকে প্রাপ্ত মূল সনদ, পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণীও পরিদর্শনকে দল দেখাতে পারেনি এনজিওটি। হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন, সাধারণ বাজেট অনুমোদন, নিরীক্ষক নিয়োগ, ভাতা পুনর্নির্ধারণ, রেজিস্টার বই, ক্যাশ ও ব্যাংক বই, সাধারণ খতিয়ান, এফডিআর রেজিস্টার, স্থায়ী সম্পদ রেজিস্টার, অপচয় রেজিস্টার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও পরিদর্শনে গিয়ে এসব নথিপত্র পায়নি পরিদর্শক দল।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর পরিচালক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সহায়তা করে আসছে। কিন্তু সংগত কারণে কার্যক্রম থেমে গেছে। নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অর্থছাড়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। ঋণ আদায় হবে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে সেটি নিয়েছিলের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা-কর্মীরা।
শামসুল হক জানান, তাঁর ছবি ও খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর স্থানীয় শাখার তিন কর্মী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। হাতে ৮০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, এটি ‘ভিক্ষা ঋণ’, পরিশোধ করতে হবে না। অথচ এখন জানতে পেরেছেন, তাঁর নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার টাকা। ওই কর্মকর্তারা বাকি টাকাটা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করলেও এখন দায় চেপেছে হতদরিদ্র গ্রাহকের কাঁধে।
শুধু শামসুল হক নন, সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখা থেকে তাঁর মতো ৮৪০ জন গ্রাহককে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে অন্তত দুই শ গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। সঠিক তথ্য অজানা থাকায় তাঁদের ঋণের পুরোটাই দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখার ব্যবস্থাপক সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বনির্ভর বাংলাদেশের আয়োজনে ৮৪০ জন গ্রাহকের মাঝে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ঋণ শুধু তাঁর শাখা থেকে বিতরণ করা হয়, যার পুরোটা বছরের পর বছর খেলাপি। টাকার পরিমাণ কম থাকায় মামলা হয়নি। এনজিওটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সব গ্রাহককে চিহ্নিতকরণ এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুরুতে নানা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এমআরএ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থায়নে ৪০টি জেলায় ৩৩টি এরিয়া অফিস এবং ৭৭৫টি শাখার মাধ্যমে এনজিওটির বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটির বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংস্থাটির ঋণ কার্যক্রম যতটা বিস্তৃত, ততটা বিস্তার ঘটেছে কর্মকর্তাদের প্রতারণার ফাঁদও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কেতকীবাড়ি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রাহকের নামে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণগ্রহীতাদের অনেকে জানেন না, তাঁদের নামে ঋণ আছে। মূলত ‘ভিক্ষা ঋণ’ নাম দিয়ে তাঁদের ছবি ও স্বাক্ষর নিয়ে ওই ঋণ সৃজন করে একটি চক্র। একেকজনের নামে ২৫-৩৫ হাজার ঋণ নেওয়া হলেও তাঁরা পান ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। মূলত স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন কর্মকর্তা ওমর ফারুক ওরফে কাজল, মোকাররম হোসেন, মারুফ হোসেন, স্থানীয় দালালখ্যাত আশিকুর ও সাবুল এবং সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু ফয়েজ সংঘবদ্ধভাবে এই প্রতারণা করেন।
জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন ইউনিট ম্যানেজার ববি বেগম বলেন, ‘হাতে টাকা পায়নি এমন অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি। এটা রহস্যজনক। তবে ঋণ যে আদায় হয়নি, সেটা সত্য।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ কেন্দ্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর সদস্য ছিলেন রওশন আরা নামের এক গৃহিণী। এনজিওটির সদর ইউনিয়নের কর্মকর্তা নাজমা বেগম তাঁকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বাউফল অগ্রণী ব্যাংকের নিচে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর ও ছবি নেওয়ার পর বলা হয়, ‘এখন চলে যান, ঋণ পাস হলে জানানো হবে।’ রওশন আরা ঋণের তথ্য জানতে পেরেছেন ঠিকই, তবে অন্তত চার বছর পর। যদিও ওই ঋণের কোনো টাকা পাননি তিনি।
একই এলাকার ভুক্তভোগী হানিফ হাওলাদার জানান, তাঁর বাড়িতে স্বনির্ভরের একটি কেন্দ্র ছিল। তখন ২৫ হাজার ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে আব্বাস নামের এক কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা ঋণ বকেয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। টাকা না দিলে মামলা করার ভয় দেখাচ্ছেন। সেই ভয়ে সপরিবার এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গা ঢাকা দিয়ে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করছেন তিনি।
সহজ শর্তে কৃষিঋণের নামে অগ্রণী ব্যাংকের বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ শাখা থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা এই ঋণের অধিকাংশই সংস্থাটির ক্রেডিট ম্যানেজার সরদার আলমগীর হোসেন অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত স্বনির্ভর বাংলাদেশ এখন কোনো ধরনের কার্যক্রমে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। এখন তারা শত শত গ্রাহককে খুঁজে পাচ্ছে না। ঋণের অর্থ তছরুপ করার কারণে নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়নি। এখন নতুন করে অর্থ তছরুপের লক্ষ্যে অর্থায়ন চাইছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অপরাধের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিনের কোন্দল, মামলা ও দখলবাজির কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কয়েক বছর ধরে বন্ধ। কোথাও কোনো শাখা চলছে না। এতে ঋণ বিতরণ ও আদায় বন্ধ রয়েছে। ফলে কমিশনও বন্ধ। এমনকি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ থাকায় ঋণের কমিশন ও এফডিআরের অর্থ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অর্থ দরকার। অর্থ পেলে কার্যক্রম আবার চালু করা সম্ভব। তখন ঋণ আদায় হবে।
বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকএসএফের) থেকে অর্থ নিয়েও ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। কিন্তু পিকেএসএফের ঋণ বিতরণের তথ্য গোপন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও।
পিকেএসএফের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও আরটিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশের মাধ্যমে পিকেএসএফের ঋণের পরিমাণ ৩১ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। সুদ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পাওনা আদায়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এমআরএর পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পরিচালিত পরিদর্শনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর বহুবিধ অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা উঠে এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটির মাঠপর্যায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি এমআরএ থেকে প্রাপ্ত মূল সনদ, পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণীও পরিদর্শনকে দল দেখাতে পারেনি এনজিওটি। হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন, সাধারণ বাজেট অনুমোদন, নিরীক্ষক নিয়োগ, ভাতা পুনর্নির্ধারণ, রেজিস্টার বই, ক্যাশ ও ব্যাংক বই, সাধারণ খতিয়ান, এফডিআর রেজিস্টার, স্থায়ী সম্পদ রেজিস্টার, অপচয় রেজিস্টার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও পরিদর্শনে গিয়ে এসব নথিপত্র পায়নি পরিদর্শক দল।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর পরিচালক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সহায়তা করে আসছে। কিন্তু সংগত কারণে কার্যক্রম থেমে গেছে। নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অর্থছাড়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। ঋণ আদায় হবে।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে সেটি নিয়েছিলের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা-কর্মীরা।
শামসুল হক জানান, তাঁর ছবি ও খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর স্থানীয় শাখার তিন কর্মী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। হাতে ৮০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, এটি ‘ভিক্ষা ঋণ’, পরিশোধ করতে হবে না। অথচ এখন জানতে পেরেছেন, তাঁর নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার টাকা। ওই কর্মকর্তারা বাকি টাকাটা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করলেও এখন দায় চেপেছে হতদরিদ্র গ্রাহকের কাঁধে।
শুধু শামসুল হক নন, সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখা থেকে তাঁর মতো ৮৪০ জন গ্রাহককে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে অন্তত দুই শ গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। সঠিক তথ্য অজানা থাকায় তাঁদের ঋণের পুরোটাই দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখার ব্যবস্থাপক সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বনির্ভর বাংলাদেশের আয়োজনে ৮৪০ জন গ্রাহকের মাঝে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ঋণ শুধু তাঁর শাখা থেকে বিতরণ করা হয়, যার পুরোটা বছরের পর বছর খেলাপি। টাকার পরিমাণ কম থাকায় মামলা হয়নি। এনজিওটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সব গ্রাহককে চিহ্নিতকরণ এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুরুতে নানা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এমআরএ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থায়নে ৪০টি জেলায় ৩৩টি এরিয়া অফিস এবং ৭৭৫টি শাখার মাধ্যমে এনজিওটির বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটির বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংস্থাটির ঋণ কার্যক্রম যতটা বিস্তৃত, ততটা বিস্তার ঘটেছে কর্মকর্তাদের প্রতারণার ফাঁদও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কেতকীবাড়ি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রাহকের নামে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণগ্রহীতাদের অনেকে জানেন না, তাঁদের নামে ঋণ আছে। মূলত ‘ভিক্ষা ঋণ’ নাম দিয়ে তাঁদের ছবি ও স্বাক্ষর নিয়ে ওই ঋণ সৃজন করে একটি চক্র। একেকজনের নামে ২৫-৩৫ হাজার ঋণ নেওয়া হলেও তাঁরা পান ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। মূলত স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন কর্মকর্তা ওমর ফারুক ওরফে কাজল, মোকাররম হোসেন, মারুফ হোসেন, স্থানীয় দালালখ্যাত আশিকুর ও সাবুল এবং সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু ফয়েজ সংঘবদ্ধভাবে এই প্রতারণা করেন।
জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন ইউনিট ম্যানেজার ববি বেগম বলেন, ‘হাতে টাকা পায়নি এমন অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি। এটা রহস্যজনক। তবে ঋণ যে আদায় হয়নি, সেটা সত্য।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ কেন্দ্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর সদস্য ছিলেন রওশন আরা নামের এক গৃহিণী। এনজিওটির সদর ইউনিয়নের কর্মকর্তা নাজমা বেগম তাঁকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বাউফল অগ্রণী ব্যাংকের নিচে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর ও ছবি নেওয়ার পর বলা হয়, ‘এখন চলে যান, ঋণ পাস হলে জানানো হবে।’ রওশন আরা ঋণের তথ্য জানতে পেরেছেন ঠিকই, তবে অন্তত চার বছর পর। যদিও ওই ঋণের কোনো টাকা পাননি তিনি।
একই এলাকার ভুক্তভোগী হানিফ হাওলাদার জানান, তাঁর বাড়িতে স্বনির্ভরের একটি কেন্দ্র ছিল। তখন ২৫ হাজার ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে আব্বাস নামের এক কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা ঋণ বকেয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। টাকা না দিলে মামলা করার ভয় দেখাচ্ছেন। সেই ভয়ে সপরিবার এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গা ঢাকা দিয়ে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করছেন তিনি।
সহজ শর্তে কৃষিঋণের নামে অগ্রণী ব্যাংকের বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ শাখা থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা এই ঋণের অধিকাংশই সংস্থাটির ক্রেডিট ম্যানেজার সরদার আলমগীর হোসেন অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত স্বনির্ভর বাংলাদেশ এখন কোনো ধরনের কার্যক্রমে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। এখন তারা শত শত গ্রাহককে খুঁজে পাচ্ছে না। ঋণের অর্থ তছরুপ করার কারণে নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়নি। এখন নতুন করে অর্থ তছরুপের লক্ষ্যে অর্থায়ন চাইছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অপরাধের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিনের কোন্দল, মামলা ও দখলবাজির কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কয়েক বছর ধরে বন্ধ। কোথাও কোনো শাখা চলছে না। এতে ঋণ বিতরণ ও আদায় বন্ধ রয়েছে। ফলে কমিশনও বন্ধ। এমনকি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ থাকায় ঋণের কমিশন ও এফডিআরের অর্থ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অর্থ দরকার। অর্থ পেলে কার্যক্রম আবার চালু করা সম্ভব। তখন ঋণ আদায় হবে।
বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকএসএফের) থেকে অর্থ নিয়েও ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। কিন্তু পিকেএসএফের ঋণ বিতরণের তথ্য গোপন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও।
পিকেএসএফের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও আরটিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশের মাধ্যমে পিকেএসএফের ঋণের পরিমাণ ৩১ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। সুদ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পাওনা আদায়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এমআরএর পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পরিচালিত পরিদর্শনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর বহুবিধ অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা উঠে এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটির মাঠপর্যায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি এমআরএ থেকে প্রাপ্ত মূল সনদ, পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণীও পরিদর্শনকে দল দেখাতে পারেনি এনজিওটি। হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন, সাধারণ বাজেট অনুমোদন, নিরীক্ষক নিয়োগ, ভাতা পুনর্নির্ধারণ, রেজিস্টার বই, ক্যাশ ও ব্যাংক বই, সাধারণ খতিয়ান, এফডিআর রেজিস্টার, স্থায়ী সম্পদ রেজিস্টার, অপচয় রেজিস্টার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও পরিদর্শনে গিয়ে এসব নথিপত্র পায়নি পরিদর্শক দল।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর পরিচালক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সহায়তা করে আসছে। কিন্তু সংগত কারণে কার্যক্রম থেমে গেছে। নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অর্থছাড়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। ঋণ আদায় হবে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে সেটি নিয়েছিলের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা-কর্মীরা।
শামসুল হক জানান, তাঁর ছবি ও খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর স্থানীয় শাখার তিন কর্মী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। হাতে ৮০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, এটি ‘ভিক্ষা ঋণ’, পরিশোধ করতে হবে না। অথচ এখন জানতে পেরেছেন, তাঁর নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার টাকা। ওই কর্মকর্তারা বাকি টাকাটা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করলেও এখন দায় চেপেছে হতদরিদ্র গ্রাহকের কাঁধে।
শুধু শামসুল হক নন, সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখা থেকে তাঁর মতো ৮৪০ জন গ্রাহককে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে অন্তত দুই শ গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। সঠিক তথ্য অজানা থাকায় তাঁদের ঋণের পুরোটাই দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখার ব্যবস্থাপক সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বনির্ভর বাংলাদেশের আয়োজনে ৮৪০ জন গ্রাহকের মাঝে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ঋণ শুধু তাঁর শাখা থেকে বিতরণ করা হয়, যার পুরোটা বছরের পর বছর খেলাপি। টাকার পরিমাণ কম থাকায় মামলা হয়নি। এনজিওটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সব গ্রাহককে চিহ্নিতকরণ এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুরুতে নানা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এমআরএ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থায়নে ৪০টি জেলায় ৩৩টি এরিয়া অফিস এবং ৭৭৫টি শাখার মাধ্যমে এনজিওটির বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটির বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংস্থাটির ঋণ কার্যক্রম যতটা বিস্তৃত, ততটা বিস্তার ঘটেছে কর্মকর্তাদের প্রতারণার ফাঁদও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কেতকীবাড়ি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রাহকের নামে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণগ্রহীতাদের অনেকে জানেন না, তাঁদের নামে ঋণ আছে। মূলত ‘ভিক্ষা ঋণ’ নাম দিয়ে তাঁদের ছবি ও স্বাক্ষর নিয়ে ওই ঋণ সৃজন করে একটি চক্র। একেকজনের নামে ২৫-৩৫ হাজার ঋণ নেওয়া হলেও তাঁরা পান ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। মূলত স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন কর্মকর্তা ওমর ফারুক ওরফে কাজল, মোকাররম হোসেন, মারুফ হোসেন, স্থানীয় দালালখ্যাত আশিকুর ও সাবুল এবং সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু ফয়েজ সংঘবদ্ধভাবে এই প্রতারণা করেন।
জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন ইউনিট ম্যানেজার ববি বেগম বলেন, ‘হাতে টাকা পায়নি এমন অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি। এটা রহস্যজনক। তবে ঋণ যে আদায় হয়নি, সেটা সত্য।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ কেন্দ্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর সদস্য ছিলেন রওশন আরা নামের এক গৃহিণী। এনজিওটির সদর ইউনিয়নের কর্মকর্তা নাজমা বেগম তাঁকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বাউফল অগ্রণী ব্যাংকের নিচে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর ও ছবি নেওয়ার পর বলা হয়, ‘এখন চলে যান, ঋণ পাস হলে জানানো হবে।’ রওশন আরা ঋণের তথ্য জানতে পেরেছেন ঠিকই, তবে অন্তত চার বছর পর। যদিও ওই ঋণের কোনো টাকা পাননি তিনি।
একই এলাকার ভুক্তভোগী হানিফ হাওলাদার জানান, তাঁর বাড়িতে স্বনির্ভরের একটি কেন্দ্র ছিল। তখন ২৫ হাজার ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে আব্বাস নামের এক কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা ঋণ বকেয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। টাকা না দিলে মামলা করার ভয় দেখাচ্ছেন। সেই ভয়ে সপরিবার এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গা ঢাকা দিয়ে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করছেন তিনি।
সহজ শর্তে কৃষিঋণের নামে অগ্রণী ব্যাংকের বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ শাখা থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা এই ঋণের অধিকাংশই সংস্থাটির ক্রেডিট ম্যানেজার সরদার আলমগীর হোসেন অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত স্বনির্ভর বাংলাদেশ এখন কোনো ধরনের কার্যক্রমে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। এখন তারা শত শত গ্রাহককে খুঁজে পাচ্ছে না। ঋণের অর্থ তছরুপ করার কারণে নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়নি। এখন নতুন করে অর্থ তছরুপের লক্ষ্যে অর্থায়ন চাইছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অপরাধের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিনের কোন্দল, মামলা ও দখলবাজির কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কয়েক বছর ধরে বন্ধ। কোথাও কোনো শাখা চলছে না। এতে ঋণ বিতরণ ও আদায় বন্ধ রয়েছে। ফলে কমিশনও বন্ধ। এমনকি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ থাকায় ঋণের কমিশন ও এফডিআরের অর্থ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অর্থ দরকার। অর্থ পেলে কার্যক্রম আবার চালু করা সম্ভব। তখন ঋণ আদায় হবে।
বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকএসএফের) থেকে অর্থ নিয়েও ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। কিন্তু পিকেএসএফের ঋণ বিতরণের তথ্য গোপন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও।
পিকেএসএফের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও আরটিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশের মাধ্যমে পিকেএসএফের ঋণের পরিমাণ ৩১ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। সুদ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পাওনা আদায়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এমআরএর পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পরিচালিত পরিদর্শনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর বহুবিধ অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা উঠে এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটির মাঠপর্যায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি এমআরএ থেকে প্রাপ্ত মূল সনদ, পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণীও পরিদর্শনকে দল দেখাতে পারেনি এনজিওটি। হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন, সাধারণ বাজেট অনুমোদন, নিরীক্ষক নিয়োগ, ভাতা পুনর্নির্ধারণ, রেজিস্টার বই, ক্যাশ ও ব্যাংক বই, সাধারণ খতিয়ান, এফডিআর রেজিস্টার, স্থায়ী সম্পদ রেজিস্টার, অপচয় রেজিস্টার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও পরিদর্শনে গিয়ে এসব নথিপত্র পায়নি পরিদর্শক দল।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর পরিচালক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সহায়তা করে আসছে। কিন্তু সংগত কারণে কার্যক্রম থেমে গেছে। নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অর্থছাড়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। ঋণ আদায় হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নিচতলার গুদামে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি পুড়ে যায়। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ...
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার-সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
২ ঘণ্টা আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
৩ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নিচতলার গুদামে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি পুড়ে যায়। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুর রশিদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসের নিচতলায় জানালার কাচ ভেঙে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় অফিসের দারোয়ান টের পেয়ে চিৎকার দিলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে কর্মচারীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। তবে এর আগেই তাঁরা আগুন নেভাতে সক্ষম হন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুর রশিদ বলেন, আগুনে অফিসের কিছু নথি পুড়ে গেছে। তবে বিষয়টি টের পাওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নিচতলার গুদামে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি পুড়ে যায়। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুর রশিদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসের নিচতলায় জানালার কাচ ভেঙে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় অফিসের দারোয়ান টের পেয়ে চিৎকার দিলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে কর্মচারীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। তবে এর আগেই তাঁরা আগুন নেভাতে সক্ষম হন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুর রশিদ বলেন, আগুনে অফিসের কিছু নথি পুড়ে গেছে। তবে বিষয়টি টের পাওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার-সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
২ ঘণ্টা আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর সুপার মার্কেটে আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে আগুন লেগেছে। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে পুরো ১০ তলা ভবন এবং আশপাশে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। ভবনটি একই সঙ্গে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান, বেজমেন্টে দোকান এবং ঝুট গোডাউন থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় প্রচুর ধোঁয়ার উপস্থিতি রয়েছে এবং কয়েকটি স্থানে এখনো আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হলেও আগুন যাতে দ্রুত পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য ইউনিটগুলো একযোগে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ তলা ভবনটির মালিক হাজী নূর আলম। এর মধ্যে আটতলা পর্যন্ত আবাসিক কাজে ব্যবহৃত হতো। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভবনটি রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) কোনো ধরনের বৈধ অনুমোদন ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে এবং এর কোনো বৈধ ছাড়পত্র নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর অবৈধ নির্মাণ এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হবে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম এক বার্তায় জানান, ১২ তলাবিশিষ্ট ‘জমেলো টাওয়ার’ নামে ওই ভবনের নিচতলায় আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিট আগুন নেভাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
সকাল ৭টা ১০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগের জ্যেষ্ঠ স্টাফ অফিসার শাহজাহান শিকদার নিশ্চিত করেন, আগুনের তীব্রতা বাড়ায় বর্তমানে ১২টি ইউনিট সম্মিলিতভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর সুপার মার্কেটে আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে আগুন লেগেছে। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে পুরো ১০ তলা ভবন এবং আশপাশে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। ভবনটি একই সঙ্গে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান, বেজমেন্টে দোকান এবং ঝুট গোডাউন থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় প্রচুর ধোঁয়ার উপস্থিতি রয়েছে এবং কয়েকটি স্থানে এখনো আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হলেও আগুন যাতে দ্রুত পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য ইউনিটগুলো একযোগে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ তলা ভবনটির মালিক হাজী নূর আলম। এর মধ্যে আটতলা পর্যন্ত আবাসিক কাজে ব্যবহৃত হতো। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভবনটি রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) কোনো ধরনের বৈধ অনুমোদন ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে এবং এর কোনো বৈধ ছাড়পত্র নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর অবৈধ নির্মাণ এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হবে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম এক বার্তায় জানান, ১২ তলাবিশিষ্ট ‘জমেলো টাওয়ার’ নামে ওই ভবনের নিচতলায় আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিট আগুন নেভাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
সকাল ৭টা ১০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগের জ্যেষ্ঠ স্টাফ অফিসার শাহজাহান শিকদার নিশ্চিত করেন, আগুনের তীব্রতা বাড়ায় বর্তমানে ১২টি ইউনিট সম্মিলিতভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নিচতলার গুদামে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি পুড়ে যায়। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ...
১ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
২ ঘণ্টা আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে পরপর দুটি হাতে তৈরি ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ককটেল বিস্ফোরণে বিকট শব্দ হলেও এতে কেউ হতাহত হয়নি কিংবা কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. আরিফ-উজ-জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি সেনাসদস্যদের টহলও বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে পরপর দুটি হাতে তৈরি ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ককটেল বিস্ফোরণে বিকট শব্দ হলেও এতে কেউ হতাহত হয়নি কিংবা কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. আরিফ-উজ-জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি সেনাসদস্যদের টহলও বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নিচতলার গুদামে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি পুড়ে যায়। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ...
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার-সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২ ঘণ্টা আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার-সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার-সংলগ্ন ওই ঘরে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তাঁর মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে তাঁরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার-সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার-সংলগ্ন ওই ঘরে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তাঁর মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে তাঁরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নিচতলার গুদামে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি পুড়ে যায়। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ...
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার-সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
২ ঘণ্টা আগে