Ajker Patrika

সৈয়দপুরে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে দখল–লুটপাটের অভিযোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ৫৪
সৈয়দপুরে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে দখল–লুটপাটের অভিযোগ

গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক ব্যবসায়ীর দোকানঘর লুট ও দখলের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী লুনা আকতার। এ সময় তার ছেলে ইয়াছিন রহমান অনিক ও শ্বশুর লিয়াকত আলী সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দখল হয়ে যাওয়া দোকান ঘরটি গত ২০১৩ সালে নগদ অর্থে পজিশনসহ ক্রয় করেন ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান লেলিন। সেই থেকে ওই দোকান ঘরে (পাঁচমাথা ফার্মেসি) ওষুধের ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি। যথা নিয়মে পৌর ট্যাক্স ও রেন্ট পরিশোধ করে আসছেন নিয়মিত। 

কিন্তু গত ৫ আগস্ট পাশের দোকান সাহাবাজ পলিথিন স্টোরের মালিকের ছেলে সৈয়দপুর ছাত্রদলের সহসভাপতি ইমরানের নেতৃত্বে সাহাবাজ, আব্দুস সালাম, মেরাজসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ওষুধের দোকান ঘরটি দখল করে নেয়। একই সঙ্গে নগদসহ প্রায় ৬০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন। 

পরে এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, ব্যবসায়ী সমিতিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ দফায় দফায় বৈঠক করেও দোকান ঘরটি দখলবাজদের হাত থেকে উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি লুট করা মালামালও ফেরত দেওয়া হয়নি। উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করতে মামলা দায়ের করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, আয়ের একমাত্র অবলম্বন দোকানঘরটি বেদখল হয়ে যাওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারটি পথে বসেছে। এতে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে ছেলে–মেয়ের পড়ালেখা। বর্তমানে চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছি। এমন পরিস্থিতিতে দোকানঘরটি দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদলের সহসভাপতি ইমরান আনছারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাসুদুর রহমান লেলিন ২০১৪ সালে আমাদের কাছ থেকে দোকান ঘরটি ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু শুরুতে ৬ মাসের ভাড়া পরিশোধ করার পর আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দোকানটি দখলে নেয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিল থেকে ছাত্র-জনতা লেলিনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দোকানঘরটি ভাঙচুর করে। এরপর দীর্ঘদিন লেলিনের অনুপস্থিতির কারণে মালিক হিসেবে দোকানটি বুঝিয়ে লই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাটমোহরে ট্রাকচাপায় অটোভ্যানের চালক নিহত

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহরে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে মোহাম্মদ নওশের প্রামাণিক (৬৫) নামের এক অটোভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ভবানীপুর কানখোলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নওশের উপজেলার রেলবাজার বালুদিয়ার গ্রামের মৃত নজু প্রামাণিক ছেলে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিহত নওশের অটোভ্যান নিয়ে আটঘরিয়া থেকে চাটমোহরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কানখোলা মোড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক অটোভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নওশের ট্রাকের পেছনের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনার পরপরই ট্রাকের চালক পালিয়েছেন। ট্রাকটি পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পবিপ্রবিতে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়মের তদন্তে দুদক

পটুয়াখালী প্রতিনিধিপবিপ্রবি সংবাদদাতা
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুদকের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর ও প্রশাসনিক অফিসে অভিযান চালায়।

দুদকের পটুয়াখালী জেলা সমন্বিত দপ্তরের সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাস তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেন।

সূত্রের বরাতে জানা গেছে, মাসুম বিল্লাহ ও মো. কবির শিকদার নামে দুই কর্মকর্তা যথাক্রমে ২০০৫ ও ২০০৬ সালে কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগ দেন এবং ২০০৮ ও ২০০৯ সালে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন বিধিমালা অনুযায়ী, এ পদে উন্নতির জন্য কমপক্ষে আট বছর চাকরিকাল পূর্ণ করা বাধ্যতামূলক ছিল, যা তাঁদের ক্ষেত্রে মানা হয়নি। এ ছাড়া পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। তাঁরা দুজনেই এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির দাবি করেছেন, তবে সনদের সত্যতা যাচাই চলছে। অন্যদিকে, সাকিবুল হাসান ফারুক খান ২০১৬ সালে নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান পদে যোগ দিয়ে ২০২০ সালে সহকারী নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি রয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের দাবি করেছেন। তাঁর সনদের বৈধতাও অনুসন্ধানে রয়েছে। অভিযানের সময় দুদক কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জব্দ করেন এবং কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

দুদক কর্মকর্তা তাপস বিশ্বাস জানান, অভিযোগ অনুযায়ী কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়মবিধি লঙ্ঘন করে পদোন্নতি পেয়েছেন এবং কিছু সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুদকের অভিযানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলা: আদালতে তিন সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জামাতপন্থী আইনজীবী রেজাউল হক রিয়াজ ও হাতিরঝিল থানা জামায়াতের রোকন ও আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিম। ছবি: সংগৃহীত
জামাতপন্থী আইনজীবী রেজাউল হক রিয়াজ ও হাতিরঝিল থানা জামায়াতের রোকন ও আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিম। ছবি: সংগৃহীত

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সংবাদ সংগ্রহের সময় তিন সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কয়েকজন আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক তাঁদের হেনস্তা করেন।

হেনস্তার শিকার সাংবাদিকেরা হলেন কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক মাসুদ রানা, একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক আরিফুল ইসলাম এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার প্রতিবেদক আরিফুল ইসলাম।

হেনস্তার শিকার সাংবাদিকদের অভিযোগ, সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কয়েকজন আইনজীবী তাঁদের ওপর চড়াও হন। এরপর তাঁদের ডেকে নিয়ে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর ‘হুমকি’ও দেন বলে জানান তাঁরা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আজ দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় আসামি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা আদালতে হাজির হন। ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানাও আদালতে হাজির ছিলেন। পরে শুনানি শেষে আদালত থেকে আসামি বুশরা বের হন। তখন আসামির ভিডিও ফুটেজ নিতে যান তিন সাংবাদিক। এ সময় জামায়াতপন্থী আইনজীবী রেজাউল হক রিয়াজ, হাতিরঝিল থানা জামায়াতের রোকন ও আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিমসহ অনেকেই ভিডিও করতে বাধা দেন।

সাংবাদিকেরা পেশাগত কারণে ভিডিও করার কথা জানালে তাঁরা আরও চড়াও হন। এ সময় তাঁরা সাংবাদিকদের বিচারকের কাছে ধরে নিয়ে যেতে জোরাজুরি করেন। তবে সাংবাদিকেরা জানান, আসামির ছবি বা ভিডিও নিতে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই। এ কথা বলায় উপস্থিত আইনজীবীরা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতের বাইরে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেন। একপর্যায়ে আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিম এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এ সময় এই মামলার বাদী নুর উদ্দিন রানাকে দেখে হুমকি দিতে থাকেন তিনি। বাদীর উদ্দেশে বলেন, আপনি সাংবাদিকদের ডেকে এনেছেন।

এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াস এই তিন সাংবাদিকসহ আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিমকে এজলাসে ডেকে নেন। তখন বিচারক তিন সাংবাদিককে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করান। আদালত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের পরিচয় দিন’।

সাংবাদিকদের পরিচয় জানার পর বিচারক বলেন, ‘আপনারা কোর্টের সামনে হাঙ্গামা করেছেন। এখন বেলা ১১টা ৩৮ বাজে, আপনাদের কারাগারে পাঠানো হবে। আর কোনো কথা হবে না। আপনাদের সবার মোবাইল নিয়ে নেওয়া হোক।’

এর মিনিট দু-এক পর বিচারক বলেন, ‘আপনারা নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে ছেড়ে দেব। নাহলে কারাগারে যেতে হবে। কোনো ছাড় নেই।’ উপায়ন্তর না দেখে সাংবাদিকেরা নিঃস্বার্থ ক্ষমা চান। পরে এই তিন সাংবাদিককে ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি দেন আদালত।

সাংবাদিক মাসুদ রানা বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহে গিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকজন আইনজীবী ভিডিও তুলতে বাধা দিয়ে মব সৃষ্টি করে। পরে বিচারক অতি উৎসাহী হয়ে আমাদের তিনজনকে কাঠগড়ায় ডাকেন। আমাদের পরিচয় জেনে বিচারক বলেন—আপনারা বসেন, সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে।’

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার রিপোর্টার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আসামির ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাঁদের আইনজীবীরা চড়াও হন। একজনের মোবাইল কেড়ে নেন। ভিডিও ধারণ করায় বিচারকের কাছে জোর করে তাঁরা আমাদের নিতে চেয়েছেন। আমরা যেতে না চাওয়ায় তাঁরা খুব খারাপ আচরণ করতে থাকেন। এ সময় আরেক আদালতের বিচারক আমাদের এজলাসে ডাকেন। এরপর কাঠগড়ায় যেতে বলেন। বিচারক কোনো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেন। কোনো অপরাধ না করেই নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়া লেগেছে। বিষয়টি খুব দুঃখজনক।’

প্রতিবাদ ও নিন্দা

আইনজীবী ও বিচারকের দ্বারা সাংবাদিকদের হেনস্তার ঘটনায় প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকার নিম্ন আদালতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)।

এ বিষয়ে সিআরইউ সভাপতি লিটন মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতের বাইরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোর্টে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় অথবা ব্যাঘাত সৃষ্টি করে—এমন কোনো অপেশাদার আচরণ করেননি তাঁরা। সাংবাদিকেরা শুধু তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা বিবেচনায় না নিয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্টের বিচারক হাসিব উল্লাহ পিয়াস অতি উৎসাহী হয়ে উল্টো তিন সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেন। একজন বিচারকের কাছে এমন আচরণ কাম্য নয়, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সভাপতি বলেন, ‘আমি ওই বিচারকের অপসারণসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। এ বিষয়ে আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিত অভিযোগ জানাব।’

এদিকে ফারদিন হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ হন ফারদিন। ওই দিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর বাবা কাজী নুর উদ্দিন। নিখোঁজের দুদিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ফারদিনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেউলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় বুশরাসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে মামলা করা হয়। রামপুরা থানায় নিহত ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভৈরবে এবার নৌপথ অবরোধ

ভৈরব সংবাদদাতা
ভৈরবে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভৈরবে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের পর এবার নৌপথ অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার স্পিডবোট ও লঞ্চঘাট এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে আধা ঘণ্টা নৌ চলাচল বন্ধ ছিল।

অবরোধ চলাকালে ভৈরব জেলা আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, ছাত্রনেতা জুনাইদ প্রমুখ।

এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা একযোগে সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। পরে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে বৃহস্পতিবারের অবরোধ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শবনম শারমিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এইচ এম মো. আজিমুল হক, ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

ভৈরব নৌথানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে নৌপথ অবরোধ হয়েছে। আমরা আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের কথা বলেছি।’

এর আগে ভৈরব স্টেশনে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢিল নিক্ষেপের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন স্টেশনমাস্টার মো. ইউসুফ। এ ঘটনায় আজ সকালে তিন কিশোরকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখায় ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীরা বলেন, এ ঘটনার দায়ভার রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার ও রেলওয়ে থানার ওপর বর্তাবে। তাঁরা আরও বলেন, ‘আমাদের জেলা ঘোষণার দাবি ন্যায্য। মামলা ও ভয় দেখিয়ে আমাদের দমন করা যাবে না।’ ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতা মাওলানা সাইফুর রহমান শাহরিয়ার বলেন, সোমবারের শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধ চলাকালে ট্রেনচালক হঠাৎ জোরে হুইসেল বাজালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার্থে কিছু পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি আবু সাঈদ বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশের যৌথ অভিযানে তিনজনকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত