Ajker Patrika

সৈয়দপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প

আশ্রয়ণের অধিকাংশ বাড়ি বিক্রি

  • ২০০৪ সালে গড়ে তোলা হয় এই প্রকল্প, নির্মাণ করা হয় দেড় হাজার বাড়ি।
  • আওয়ামী লীগ সরকারও সেখানে ৯৮টি বাড়ি নির্মাণ করেছিল।
  • অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ নেওয়া অনেকেই সচ্ছল। সেখানে থাকেন না অনেকে।
রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী) 
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, ১৬: ১৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভূমিহীন মানুষের আশ্রয়ের জন্য ২০০৪ সালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে উত্তরের জনপদের সর্ববৃহৎ ‘উত্তরা আবাসন প্রকল্প’ গড়ে তোলা হয়। এই প্রকল্পে ১ হাজার ৫৯৮টি বাড়ি রয়েছে। শর্ত অনুযায়ী বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই ভূমিহীন হতে হবে এবং বরাদ্দ দেওয়া বাড়ি বিক্রি ও হস্তান্তর করা যাবে না। কিন্তু সেই শর্ত ভেঙে অনেক উপকারভোগী বাড়ি বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেউ কেউ দিয়েছেন ভাড়া। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ১ হাজার ২০০টির মতো বাড়ি বিক্রি হয়েছে।

উপজেলার বোতলাগাড়ী মৌজায় ঢেলাপীরে এই আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেশের উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাঁরা সচ্ছল ও যাঁদের জমি রয়েছে, তাঁদের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আমিন হোসেন দিপু বলেন, জরিপে দেখা গেছে, এই আবাসনে ২০০৪ সালে বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা শর্ত ভেঙে প্রায় ১ হাজার ২০০টি বাড়ি বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে নতুন করে তৈরি ৯৮টি বাড়িতে বসবাসকারীরা বরাদ্দ না নিয়ে জোর করে থাকছেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এখানকার ৯০ শতাংশ বাড়ি অবৈধ দখলে। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বাড়িগুলো দখলমুক্ত করতে গেলে এর বাসিন্দারা বাধা দেন। আমাকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রক্ষা পাই।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ২০০৪ সালে উপজেলার বোতলাগাড়ী মৌজায় ঢেলাপীরে তৎকালীন সরকার উত্তরা আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলে। সে সময় সেখানে দেড় হাজার বাড়ি নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া বিগত শেখ হাসিনা সরকার ২০২৪ সালে সেখানে আরও ৯৮টি বাড়ি তৈরি করে। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৫৯৮টি বাড়ি রয়েছে। ভূমিহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সেখানে দুই শতক জমিসহ একটি করে বাড়ির মালিকানা দেওয়া হয় উপকারভোগীদের।

আবাসন প্রকল্পের ৩৪/২ নম্বর বাড়িতে গিয়ে কথা হয় আকবর হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাড়িটি তাঁর নামে বরাদ্দ নয়। এর মূল মালিক কলিম উদ্দিন। কলিমের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বাড়িটি কিনেছেন তিনি।

একইভাবে রশিদুল হকের ২/৭ নম্বর বাড়ি কিনেছেন আয়াস আলী। ২/৬ নম্বর বাড়ি মমেনা বেগমের কাছ থেকে কিনে আশরাফুল ইসলাম গুদাম বানিয়েছেন। আর ২/৯ নম্বর বাড়ি জাহানারা বেগম বিক্রি করেছেন মাঝিয়া বেগমের কাছে।

বরাদ্দ পেয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী কয়েকজন অভিযোগ করেন, যাঁরা ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন, তাঁদের অনেকের নিজ বাড়ি রয়েছে। কয়েকজনের চারতলা বাড়ি রয়েছে। তাই আশ্রয়ণের প্রায় ২৬টি বাড়িতে তালা ঝুলছে। অনেকে একেকটি বাড়ি ১ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। যাঁরা বাড়ি কিনেছেন, তাঁদের অনেকে নানা অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। তদন্ত করে অবৈধ ক্রেতাদের উচ্ছেদের দাবি জানান তাঁরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্পের এক বৈধ বাসিন্দা বলেন, ‘বরাদ্দপ্রাপ্তদের বেশির ভাগই তাঁদের বাড়ি বিক্রি করেছেন। আমার বাড়ির পাশের বাড়িটি যাঁর নামে বরাদ্দ ছিল, তিনি সেটি বিক্রি করে দিয়েছেন। যিনি কিনেছেন, তিনি মাদক কারবারে জড়িত। গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদকের আখড়া। এতে এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকা দায়।’ তিনি আরও বলেন, মো. সেলিম হোসেন নামের একজনকে ৬৯/৭ নম্বর বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সেলিম ও তাঁর এক ছেলে সরকারি চাকরি করেন। তাই আবাসনের বাড়িতে তাঁরা থাকেন না। দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটি তালাবদ্ধ।

এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে ওই মৌজার সহকারী ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে শর্ত ভেঙে আবাসনের বাড়ি বিক্রির বিষয়টি জেনেছি। আবাসনের বাড়ি দখলমুক্ত করতে শিগগির সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় পাঁচটি আসনে পাঁচজন প্রার্থী। ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁয় পাঁচটি আসনে পাঁচজন প্রার্থী। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ঘোষিত এই তলিকায় নওগাঁ-৫ (সদর) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

ঘোষণা অনুযায়ী নওগাঁ-১ (পোরশা, সাপাহার ও নিয়ামতপুর) আসনে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস, নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনে দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাহফুজার রহমান চৌধুরী, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও, নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে দলটির জেলা কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি নওগাঁর আহ্বায়ক মাহফুজার রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যুগে যুগে এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে গেছে। আমরা এর অবসান চাই। জনগণের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছি; তাঁরাও পরিবর্তন চান। আমরা ছয়টি আসনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নওগাঁয় ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিএডিসি ডিলার মেসার্স সরকার ট্রেডার্সের মালিক লিপি রানী সরকার নওগাঁ বিএডিসি গুদাম থেকে বিকেলে সারগুলো নিয়ে রাতে ধামইরহাট এলাকায় যান। এলাকাবাসী ট্রাকটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে সারগুলোর বৈধ গন্তব্য ও বিতরণপত্র দেখাতে না পারায় জনতার সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি তারা পুলিশ ও কৃষি বিভাগকে জানায়। ধামইরহাট থানা-পুলিশ ও উপজেলা কৃষি বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার, ট্রাক ও চালককে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, সারগুলো থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিলারের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সড়কের ওপর রাখা ধানে দুর্ঘটনা, কুলাউড়ায় দুই চাচাতো ভাই নিহত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে সংঘাত বন্ধে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নরসিংদী প্রতিনিধি
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।

পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।

পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত