নীলফামারী প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা। গতকাল সোমবার পৌরসভার ওয়াক্তিয়া মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাঁকে। মাগরিবের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে কাজ শুরু করেন। এ সময় পৌরসভার প্রশাসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এহতেসামুল হক সানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা শুরু থেকে দাবি করে আসছি শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন করার। সে লক্ষ্যে আমাদের ভাই শহীদ সাজ্জাদের বাবাকে পৌরসভার মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষ থেকে পৌর প্রশাসককে ধন্যবাদ জানাই।
সৈয়দপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পৌরসভায় একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। মসজিদটি নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেনকে পৌরসভার ওয়াক্তিয়া মসজিদের ইমাম হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়।
সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলে সাজ্জাদের ইচ্ছা ছিল একটি মাদ্রাসা বা মসজিদ গড়ে তোলার। কখনো যদি আমার সামর্থ্য হয়, তাহলে ছেলের ইচ্ছা পূরণ করবোই।’
উল্লেখ্য, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার লক্ষণপুরের আলমগীর হোসেন ও শাহীদা বেগম দম্পতির তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সাজ্জাদ ছিলেন বড়। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি (এএমটি) ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে সাভারের কলমার দক্ষিণ আউকপাড়ার স্বপ্নপুরী হাউজিংয়ের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন আলমগীর হোসেন। সাভার থেকেই মাঝে মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসে যেতেন সাজ্জাদ। পরিবারকে সাহায্য করতে গাজীপুরের মাওনায় একটি কোম্পানিতে খণ্ডকালীন চাকরিও নিয়েছিলেন।
৫ আগস্ট সকালে ঘুম থেকে উঠেই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আন্দোলনে অংশ হতে বাসা থেকে বের হয়ে যায় সাজ্জাদ। দুপুরে ভাইয়ের ফোন থেকে ছোট বোন নিশাতের কাছে ফোন করে অপরিচিত এক ব্যক্তি খবর দেয় সাজ্জাদের গুলি লেগেছে এবং তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সাজ্জাদের বাবা মেয়েকে নিয়ে দ্রুত এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে দেখতে পান ছেলেকে। পরদিন ৬ আগস্ট সকালে মারা যান সাজ্জাদ। পরে সাভারের কলমায় প্রথম জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিয়ে আসা হয় সাজ্জাদের মরদেহ। গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে শহরের হাতিখানা কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা। গতকাল সোমবার পৌরসভার ওয়াক্তিয়া মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাঁকে। মাগরিবের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে কাজ শুরু করেন। এ সময় পৌরসভার প্রশাসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এহতেসামুল হক সানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা শুরু থেকে দাবি করে আসছি শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন করার। সে লক্ষ্যে আমাদের ভাই শহীদ সাজ্জাদের বাবাকে পৌরসভার মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষ থেকে পৌর প্রশাসককে ধন্যবাদ জানাই।
সৈয়দপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পৌরসভায় একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। মসজিদটি নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেনকে পৌরসভার ওয়াক্তিয়া মসজিদের ইমাম হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়।
সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলে সাজ্জাদের ইচ্ছা ছিল একটি মাদ্রাসা বা মসজিদ গড়ে তোলার। কখনো যদি আমার সামর্থ্য হয়, তাহলে ছেলের ইচ্ছা পূরণ করবোই।’
উল্লেখ্য, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার লক্ষণপুরের আলমগীর হোসেন ও শাহীদা বেগম দম্পতির তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সাজ্জাদ ছিলেন বড়। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি (এএমটি) ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে সাভারের কলমার দক্ষিণ আউকপাড়ার স্বপ্নপুরী হাউজিংয়ের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন আলমগীর হোসেন। সাভার থেকেই মাঝে মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসে যেতেন সাজ্জাদ। পরিবারকে সাহায্য করতে গাজীপুরের মাওনায় একটি কোম্পানিতে খণ্ডকালীন চাকরিও নিয়েছিলেন।
৫ আগস্ট সকালে ঘুম থেকে উঠেই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আন্দোলনে অংশ হতে বাসা থেকে বের হয়ে যায় সাজ্জাদ। দুপুরে ভাইয়ের ফোন থেকে ছোট বোন নিশাতের কাছে ফোন করে অপরিচিত এক ব্যক্তি খবর দেয় সাজ্জাদের গুলি লেগেছে এবং তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সাজ্জাদের বাবা মেয়েকে নিয়ে দ্রুত এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে দেখতে পান ছেলেকে। পরদিন ৬ আগস্ট সকালে মারা যান সাজ্জাদ। পরে সাভারের কলমায় প্রথম জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিয়ে আসা হয় সাজ্জাদের মরদেহ। গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে শহরের হাতিখানা কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁকে।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার একদিনেই পাঁচজন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর উপজেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। আজ বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর
১৬ মিনিট আগেসংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসে দুই ইউনিয়ন বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আজ বুধবার তৃতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছে। আজকের কর্মসূচিকে ঘিরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য।
৪১ মিনিট আগেপটুয়াখালীর বাউফলে এখন মাঠজুড়ে কৃষকের আমন ধান রোপণের ব্যস্ততা চলছে। বর্ষার পানি নেমে আসায় উপজেলার কৃষকরা জমিতে আমন রোপণের কাজে লেগে পড়েছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষক-শ্রমিকেরা হাটু পানিতে দাঁড়িয়ে চারা রোপণ করছেন।
১ ঘণ্টা আগেকর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে নদীর দুই পাশে যাত্রী সাধারণ দুর্ভোগে পড়েছেন। গতকাল দিবাগত রাত ৩ টা থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই লেক থেকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট দিয়ে নদীতে পানি ছাড়া হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে