নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনায় অন্তত ৫৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া ২৪টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এইউইও) পদও শূন্য। এতে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা ব্যহত হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী, নেত্রকোনার ১০টি উপজেলায় ১ হাজার ৩১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। ওই বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত পদ আছে ১ হাজার ৩১৩টি। শুধু মদন উপজেলার আলমশ্রী বিদ্যালয়ে এখনো প্রধান শিক্ষকের পদ নেই। অনুমোদিত পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৭১৪ জন প্রধান শিক্ষক। বাকি ৫৯৯টি বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে কার্যক্রম। জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭১ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এরমধ্যে ১ লাখ ৭২ হাজার ৬২৫ জন ছাত্রী রয়েছে। ওইসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলে কর্মরত আছেন ৭ হাজার ৩৬০ জন। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ৬ হাজার ৯২০টি। ওই পদে শূন্য আছে ২৭৪ টি পদ। এছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ৪৬টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (এইউইও) পদ রয়েছে। কর্মরত আছেন ২২ জন এইউইও। ওই পদগুলো গত দুই থেকে সাত বছর ধরে শূন্য।
সূত্র জানায়, কলমাকান্দা উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের ১৭২টি পদের মধ্যে ১৩৩টি, দুর্গাপুর ১২৬টির মধ্যে ৩৬টি, আটপাড়া ১০৩টির মধ্যে ৫৯টি, কেন্দুয়া ১৮২টির মধ্যে ৫৮টি, সদরে ২০১টির মধ্যে ৫৭টি, বারহাট্টায় ১০৯টির মধ্যে ৫০টি, পূর্বধলায় ১৭৫টির মধ্যে ৯৮টি, মদনে ৯৩টির মধ্যে ৩৮, মোহনগঞ্জ ৮৯টির মধ্যে ৪১টি এবং খালিয়াজুরিতে ৬৩টির মধ্যে ২৯টি পদ শূন্য।
আর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউএপিইও) আটপাড়ায় ৪টির মধ্যে ২টি, কেন্দুয়ায় ৭টির মধ্যে ৪টি, কলমাকান্দায় ৫টির মধ্যে ৩টি, দুর্গাপুরে ৪টির মধ্যে ৩টি, সদরে ৭টির মধ্যে ৪টি, পূর্বধলায় ৬টির মধ্যে ৩টি, মদনে ৩টির মধ্যে ২টি, মোহনগঞ্জে ৪টির মধ্যে ২টি এবং খালিয়াজুরিতে ২টির মধ্যে ১টি এই ২৪টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। শুধু বারহাট্টা উপজেলায় চারটি পদেই কর্মরত রয়েছে।
খালিয়াজুরি, কলমাকান্দা, আটপাড়া ও সদর উপজেলার অন্তত ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে একসঙ্গে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের দ্বৈত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাঁদের। বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাতে অনেককে বেশ বেগ পেতে হয়। একাধিক অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকায় বিদ্যালয়গুলো অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। ভারপ্রাপ্তরা অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারেন না।
সদর উপজেলার শালদিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল গফুর জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে ১৯২ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। শিক্ষক আছে চারজন। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য প্রায় এক বছর ধরে। পাঠদানের পাশাপাশি অফিসের কাজসহ তাঁকে সব কিছু সামলাতে হচ্ছে। এতে অনেকটা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল আজম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ৫৯৯টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ২৭৪ জন সহকারী শিক্ষক ও বিভিন্ন উপজেলায় ২২৪ জন এইউইওর পদ শূন্যসহ শিক্ষা কার্যালয়েও বেশ কিছু জনবল সংকট আছে। বিষয়টি বিভাগীয় উপপরিচালক, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। নিয়োগ প্রদান হলে এই সংকট কেটে যাবে।
নেত্রকোনায় অন্তত ৫৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া ২৪টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এইউইও) পদও শূন্য। এতে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা ব্যহত হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী, নেত্রকোনার ১০টি উপজেলায় ১ হাজার ৩১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। ওই বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত পদ আছে ১ হাজার ৩১৩টি। শুধু মদন উপজেলার আলমশ্রী বিদ্যালয়ে এখনো প্রধান শিক্ষকের পদ নেই। অনুমোদিত পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৭১৪ জন প্রধান শিক্ষক। বাকি ৫৯৯টি বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে কার্যক্রম। জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭১ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এরমধ্যে ১ লাখ ৭২ হাজার ৬২৫ জন ছাত্রী রয়েছে। ওইসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলে কর্মরত আছেন ৭ হাজার ৩৬০ জন। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ৬ হাজার ৯২০টি। ওই পদে শূন্য আছে ২৭৪ টি পদ। এছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ৪৬টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (এইউইও) পদ রয়েছে। কর্মরত আছেন ২২ জন এইউইও। ওই পদগুলো গত দুই থেকে সাত বছর ধরে শূন্য।
সূত্র জানায়, কলমাকান্দা উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের ১৭২টি পদের মধ্যে ১৩৩টি, দুর্গাপুর ১২৬টির মধ্যে ৩৬টি, আটপাড়া ১০৩টির মধ্যে ৫৯টি, কেন্দুয়া ১৮২টির মধ্যে ৫৮টি, সদরে ২০১টির মধ্যে ৫৭টি, বারহাট্টায় ১০৯টির মধ্যে ৫০টি, পূর্বধলায় ১৭৫টির মধ্যে ৯৮টি, মদনে ৯৩টির মধ্যে ৩৮, মোহনগঞ্জ ৮৯টির মধ্যে ৪১টি এবং খালিয়াজুরিতে ৬৩টির মধ্যে ২৯টি পদ শূন্য।
আর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউএপিইও) আটপাড়ায় ৪টির মধ্যে ২টি, কেন্দুয়ায় ৭টির মধ্যে ৪টি, কলমাকান্দায় ৫টির মধ্যে ৩টি, দুর্গাপুরে ৪টির মধ্যে ৩টি, সদরে ৭টির মধ্যে ৪টি, পূর্বধলায় ৬টির মধ্যে ৩টি, মদনে ৩টির মধ্যে ২টি, মোহনগঞ্জে ৪টির মধ্যে ২টি এবং খালিয়াজুরিতে ২টির মধ্যে ১টি এই ২৪টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। শুধু বারহাট্টা উপজেলায় চারটি পদেই কর্মরত রয়েছে।
খালিয়াজুরি, কলমাকান্দা, আটপাড়া ও সদর উপজেলার অন্তত ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে একসঙ্গে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের দ্বৈত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাঁদের। বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাতে অনেককে বেশ বেগ পেতে হয়। একাধিক অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকায় বিদ্যালয়গুলো অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। ভারপ্রাপ্তরা অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারেন না।
সদর উপজেলার শালদিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল গফুর জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে ১৯২ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। শিক্ষক আছে চারজন। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য প্রায় এক বছর ধরে। পাঠদানের পাশাপাশি অফিসের কাজসহ তাঁকে সব কিছু সামলাতে হচ্ছে। এতে অনেকটা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল আজম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ৫৯৯টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ২৭৪ জন সহকারী শিক্ষক ও বিভিন্ন উপজেলায় ২২৪ জন এইউইওর পদ শূন্যসহ শিক্ষা কার্যালয়েও বেশ কিছু জনবল সংকট আছে। বিষয়টি বিভাগীয় উপপরিচালক, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। নিয়োগ প্রদান হলে এই সংকট কেটে যাবে।
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৩ ঘণ্টা আগে