Ajker Patrika

নেত্রকোনায় আ. লীগের কার্যালয় ভাঙচুর: স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ফাঁসানোর অভিযোগ

মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ৪৬
নেত্রকোনায় আ. লীগের কার্যালয় ভাঙচুর: স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ফাঁসানোর অভিযোগ

নেত্রকোনার সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে নৌকার প্রার্থী অভিযোগ করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ বলে দাবি করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। 

এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালামের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নৌকার মনোনীত প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিকের লোকজন। 

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এতে শুধু নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মামলা নেয় পুলিশ। 

সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে দক্ষিণ বিশিউড়া বাজারের পূর্ব পাশের দুটি দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ওই দিনের ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে প্রথমে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা বইঠা হাতে মিছিল নিয়ে বাজারের পূর্বদিকে নতুন সেতু পার হয়ে চলে যান। এর ৮ মিনিট পরই স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁর লোকজন নিয়ে ওই পর্যন্ত এসে দ্রুতই লোকজন নিয়ে আবার ফিরে যান। কিন্তু ৩-৪ মিনিটের মধ্যেই নৌকার মিছিলের লোকজনকে ফের উল্টো দিকে বইঠা হাতে মারমুখী হয়ে যেতে দেখা যায়। এর পরপরই ঘটে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে নৌকার মিছিলটি বাজারের পূর্বদিকে শেষ মাথায় যায়। নতুন সেতু পার হয়ে সামনের দিক দিয়ে গিয়ে পুরাতন সেতু পার হয়। এরপর আবার পশ্চিম মাথায় ঢোকার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন বাজারে প্রবেশ করার খবর পেয়ে তারা দ্রুত ফিরে এসে হাতে থাকা লাঠি বইঠা দিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা কার্যালয়ে গিয়ে নিজেরাই চেয়ার ও ছবি ভাঙচুর করে। পরে কার্যালয়ের সামনে থাকা ব্যানার-পোস্টারে আগুন দেয়। ভাঙচুরের ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। 

এরই মধ্যে একটি ফোন কল রেকর্ড হাতে আসে আজকের পত্রিকার হাতে। ওই দিনের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার বিষয়ে স্থানীয় একজন সমাজ সেবকের সঙ্গে কথা হয় একজন আওয়ামী লীগ নেতার। যিনি নৌকার প্রার্থীর খুবই ঘনিষ্ঠজন ও সেদিনের মিছিলে ছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর মেনে নিলেও জাতির জনকের ছবি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙাতে তিনি ব্যথিত হয়েছেন বলে জানান। 

কল রেকর্ডে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ধাওয়ার পর গিয়ে কার্যালয়ের লাইট নিভিয়ে শাটার ফেলে দিয়ে নৌকার প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিকের ভাতিজা মাসুম, মনিষ ও জুয়েলসহ অন্যান্যরা সবকিছু ভাঙচুর করে। অন্ধকারে ভাঙচুর করতে গিয়ে কার্যালয়ের ভেতরে থাকা বালির কৌটা খুলে বালিতে তাদের পুরো শরীর লেপ্টে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তারা কার্যালয়ের বাইরে থাকা ব্যানার-পোস্টারে আগুন দেয়। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম বলেন, ‘ওই দিন মার্কা পেয়ে বাজারে স্থানীয় লোকজনের সাথে দেখা করে বিষয়টি জানাতে যাই। এ সময় নৌকার প্রার্থীর ভাতিজা ও তার লোকজন আমাকে বাজার থেকে চলে যেতে বলে। তারা হুমকি দিয়ে বলে, এখানে নৌকা ছাড়া আর কোনো কিছুর প্রচার করা যাবে না। লোকজনকে যা বলার নির্বাচনের পরে বলবেন। একপর্যায়ে আমার লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আমাদের কাছেই ছিল।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কার্যালয় তাঁরা (নৌকা প্রার্থীর লোকজন) নিজেরাই ভাঙচুর করেছে আমাদের ফাঁসানোর জন্য। পুলিশ তদন্ত করছে। আশা করছি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সব বের হয়ে আসবে।’ 

জানা যায়, নৌকা মনোনীত প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক শারীরিক সমস্যার কারণে অস্ত্রোপচার করার পর বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অবর্তমানে নির্বাচনী কার্যক্রম দেখাশোনা করছেন তাঁরই আপন ভাতিজা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুম। 

কার্যালয়ে গিয়ে কথা হয় শফিকুল ইসলাম মাসুমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ওই দিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল কালামের লোকজন ধাওয়া দিয়ে আমাদের কার্যালয়ে এসে ভাঙচুর করে। পরে বাইরে থাকা ব্যানার-পোস্টারে আগুন দেয়। এ সময় পুলিশ সামনে থাকলেও তাঁরা আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। নৌকার নির্বাচন করেও আমরা অসহায়।’ 

দক্ষিণ বিশিউড়া ৮ নম্বর বিট পুলিশের কার্যালয়টি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশের কক্ষেই। এর দায়িত্বে থাকা এসআই আবুল কালাম জানান, দুই গ্রুপকে আটকাতে ওই দিন আমি কার্যালয়ের সামনের সড়কের মোড়ে অবস্থান নেই। তবে প্রতিপক্ষের কাউকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যেতে দেখিনি। 

নেত্রকোনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা জানান, প্রথমেই মনে হয়েছে বিষয়টিতে ঘাপলা আছে। তবে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউপির নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আর জেলা কৃষক লীগের সদস্য ও চার বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওমানের সড়কে ঝরে গেল বাংলাদেশি যুবকের জীবন

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
নিহত শেখ মো. কামরুল। ছবি: সংগৃহীত
নিহত শেখ মো. কামরুল। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার শেখ মো. কামরুল (৩৬) ওমানের রাস্তায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ১৫ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে মার্কেটে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ মো. কামরুল উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি ২৫ বছর ধরে ওমানে বসবাস করছিলেন এবং সিলাল মার্কেটে ব্যবসা করতেন।

কামরুলের চাচাতো ভাই শেখ মো. সজিব জানান, কোরবানির ঈদ শেষে কামরুলসহ পাঁচজন একসঙ্গে ছুটি কাটিয়ে ১০ অক্টোবর ওমানে ফিরে যান। ফেরার মাত্র ছয় দিন পরই ঘটে এই দুর্ঘটনা।

স্বজনদের ভাষ্যমতে, ১৫ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে সিলাল মার্কেটে যাওয়ার পথে একজন তানজানিয়ান চালকের প্রস্তাবে কামরুল একটি বাসে ওঠেন। নতুন সিলাল মার্কেটের গেটের সামনে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি মাটি কাটার গাড়ির (জেসিবি) সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান কামরুল। বর্তমানে তাঁর মরদেহ রুস্তাক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার রাতে কামরুলের মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর তাঁর নিজ এলাকা মাধবপুরে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

তাঁর দুই শিশুপুত্র রয়েছে; একজনের বয়স চার বছর এবং অন্যজনের মাত্র পাঁচ মাস। কামরুল ১২ বছর বয়সে পরিবারের দায়িত্ব নিতে প্রবাসে পাড়ি জমান। তাঁর অকালমৃত্যুতে পরিবার, স্থানীয় বাসিন্দা ও ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উল্টো পথে বাস, চাপা পড়ে প্রাণ গেল ইজিবাইকচালকের

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের তারাগঞ্জে উল্টো পথে আসা বাসে দুর্ঘটনা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রংপুরের তারাগঞ্জে উল্টো পথে আসা বাসে দুর্ঘটনা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের তারাগঞ্জে উল্টো পথে আসা একটি বাসের চাপায় মোতালেব হোসেন (৩৫) নামের এক ইজিবাইকচালক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের ইকরচালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোতালেব নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা সৈয়দপুরগামী ‘ভাই ভাই মুরাদ ক্লাসিক’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ইকরচালী বাসস্ট্যান্ডে এসে হঠাৎ উল্টো পথে ঢুকে পড়ে। এ সময় মহাসড়কের বিপরীত দিক থেকে আসা ইজিবাইকটিকে চাপা দিয়ে সড়কের পাশে থাকা দোকানে গিয়ে সামনে থাকা পিলারে আটকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকচালক মোতালেব হোসেন মারা যান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসটি বাঁ দিকে যাওয়ার কথা থাকলেও ডান দিকে সড়কের ধারে রাখা পিলারে আটকর আছে। উৎসুক লোকজন ও স্কুলশিক্ষার্থীরা বাসটি ঘিরে রেখেছে। এতে সড়কের একাংশ সংকুচিত হওয়ায় আবারও দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেখানে কোনো পুলিশ দেখা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ভাতের দোকানদার আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমার দোকানের সামনেই ঘটনা। সকালে দোকান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, হঠাৎ দেখি বাসটা বাঁ থেকে ডান দিকের লেনে হাইস্পিডে ঢুকে যায়। এ সময় ডান দিক থেকে আসা অটোগাড়ির নিচে চাপা পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে একজন মারা যায়।’

পাশের আরেক দোকানের মালিক জিয়াউর প্রামাণিক বলেন, ‘আজ নয়; প্রায় গাড়ি ফাঁকা দেখে উল্টো পাশ দিয়ে ওভারটেক করে এই স্ট্যান্ডে। এর আগেও এমন দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে অনেক মানুষের। কিন্তু এগুলো বন্ধ করার উপায় নাই।’

এ বিষয়ে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইজিবাইকচালক মোতালেব হোসেনের লাশ উদ্ধার করি। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটোরিকশা ও মুরাদ পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে। বাসটি সড়ক থেকে সরিয়ে নিতে হবে। বাসচালক পালিয়ে গেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উত্তাল বুয়েট: ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রকে বহিষ্কারের পর মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ২২
মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্ক্রিনশট
মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্ক্রিনশট

‎বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে বুয়েট কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে ডিএমপির চকবাজার থানায় এই মামলা করে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক।

আজ বুধবার সকালে আজকের পত্রিকাকে এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুয়েট কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে এই মামলা করেছে। গতকাল রাতেই আটক থাকা ওই শিক্ষার্থীকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

‎এর আগে মঙ্গলবার রাতে বুয়েটের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এতে রাতেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যরাত পর্যন্ত এই অবস্থা চলে। বিক্ষোভকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই অভিযুক্ত সেই শিক্ষার্থীকে বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, যৌথ বাহিনীর হাতে আটক ৭

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
যৌথ বাহিনীর হাতে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
যৌথ বাহিনীর হাতে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জ শহরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হোসেনপুর ও লালসাবাড়ি এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়।

পরে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করে সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার একটি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের তরুণদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের প্রায় ২ হাজার মানুষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বুধবার সকালে বলেন, মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনী সাতজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তবে তিনি আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত