Ajker Patrika

থ্রি-ডি প্রিন্টারে যন্ত্রাংশ তৈরি করে সফল প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মে ২০২৪, ১৫: ২১
থ্রি-ডি প্রিন্টারে যন্ত্রাংশ তৈরি করে সফল প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান

কোনো যন্ত্রাংশ (স্পেয়ার পার্টস) নষ্ট হলে সাধারণত অচল অবস্থায় পড়ে থাকে মেশিন। এতে সংশ্লিষ্ট কাজ ঠিকমতো করা যায় না। মেশিন মেরামতের জন্য অনেক সময় সঠিক যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না। এই সংকটের সমাধান খুঁজতে থ্রি-ডি প্রিন্টারের মাধ্যমে গবেষণা করে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) নির্বাহী প্রকৌশলী (কারখানা) মো. আতিকুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল। এতে সফল হয়ে তাঁরা পেয়েছেন সেরা উদ্ভাবনী পুরস্কার।

আতিকুজ্জামানের দাবি, এখন থেকে আর কোনো যন্ত্রাংশের কারণে বন্ধ থাকবে না মেশিন বা কলকারখানা। যে কোনো যন্ত্রাংশ থ্রি-ডি প্রিন্টারের মাধ্যমে তৈরি করে কলকারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে।

এপিএসসিএলের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৩-২৪ মোতাবেক উদ্ভাবনী প্রদর্শনীতে ‘থ্রি-ডি প্রিন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পেয়ার পার্টস তৈরিকরণ’ শীর্ষক উদ্যোগে ‘সেরা উদ্ভাবনী’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান।

আজ বৃহস্পতিবার প্রকৌশলী মো. আতিকুজ্জামান বলেন, ‘থ্রি-ডি প্রিন্টার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি। কোর আই প্রযুক্তির থ্রি-ডি প্রিন্টারে হুবহু ত্রিমাত্রিক বস্তু প্রিন্ট করা হয়। এই উদ্ভাবনীর মাধ্যমে অনেক জটিল পার্টসও তৈরি করে কলকারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রম গতিশীল রাখা সম্ভব হবে।

আতিকুজ্জামান আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে এপিএসসিএলের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিভিন্ন স্থানে থ্রি-ডি প্রিন্টেড বিভিন্ন স্পেয়ার পার্টস (রাবার বুশ, প্যাড, হাইড্রোলিক সিল, ভ্যান ক্যাপ ইত্যাদি) ব্যবহার করা হচ্ছে। থ্রিডি প্রিন্টেড স্পেয়ার পার্টস ব্যবহার করে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে স্পেয়ার পার্টস কেনার জন্য ঢাকায় যাওয়ার প্রয়োজন কমেছে।’

নাটোরের লালপুর উপজেলার তিলোকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান। তাঁর বাবা মো. ওমর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ৪১০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রবিউল আওয়ালের ছোট ভাই।

প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান ১৯৯৭ সালে লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৯ সালে রাজশাহী নিউ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ২০০৩ সালে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, চিনিকলে চাকরি করে ২০১২ সালে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করছেন।

উদ্ভাবনী প্রদর্শনীতে বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার মধ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় এপিএসসিএল প্রথম স্থান অর্জন করে। বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে গত ১৯ মে বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হাবিবুর রহমানের (বিপিএএ) হাত থেকে ‘সেরা উদ্ভাবনী’ পুরস্কার নেন এপিএসসিএলের নির্বাহী প্রকৌশলী (কারখানা) মো. আতিকুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান।

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৩-২০২৪ মোতাবেক ইনোভেশন শোকেসিং প্রদর্শনীতে ‘থ্রি-ডি প্রিন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পেয়ার পার্টস তৈরিকরণ’ শীর্ষক উদ্যোগ সেরা উদ্ভাবনী উদ্যোগ হিসেবে নির্বাচিত হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী (কারখানা) মো. আতিকুজ্জামানের নেতৃত্বে যা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখেন নির্বাহী প্রকৌশলী (কারখানা-নর্থ) মো. মনিরুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী (কারখানা-নর্থ) মো. রাসেল তালুকদার, সহকারী ব্যবস্থাপক (এমআইএস অ্যান্ড আইসিটি) মো. ফিরোজ আহম্মেদ, উপসহকারী প্রকৌশলী, কারখানা (নর্থ) রনি দে, উপসহকারী প্রকৌশলী (কারখানা) মো. মাসুদ পারভেজ রুবেল, প্রধান প্রকৌশলী (এমইউ, চলতি দায়িত্ব) বিকাশ রঞ্জন রায়, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হারিস মোহাম্মদ ওয়াহেদী এবং উদ্যোগ বাস্তবায়নে মেন্টর হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ৪৫০ মেগাওয়াট সিসিপিপি (নর্থ)।

এর আগে এপিএসসিএলের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৩-২০২৪ মোতাবেক উদ্ভাবনী প্রদর্শনী গত ৪ মে ২০২৪ এপিএসসিএল কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

এপিএসসিএলের নির্বাহী পরিচালক (প ও স) মোহা. আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লা। সঞ্চালনা করেন ব্যবস্থাপক (এমআইএস অ্যান্ড আইসিটি) মুহাম্মদ আমানাত মাওলা। প্রদর্শনীতে এপিএসসিএলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পানিতে ডুবে প্রাণ গেল মামা-ভাগনের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রা‌মের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পা‌শে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থে‌কে দুই শিশু‌কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নি‌য়ে যান। দা‌য়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস‌্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তি‌নি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

রৌমারী থানার উপপ‌রিদর্শক শাহ‌নেওয়াজ হো‌সেন ব‌লেন, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পু‌লিশ পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে‌ছেন। দুই শিশুর মৃত‌্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব‌্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৩
নিহত লায়লা আফরোজ ও নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ। ছবি: সংগৃহীত
নিহত লায়লা আফরোজ ও নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ। ছবি: সংগৃহীত

‎রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‎গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

‎মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

মা-মেয়ে হত্যায় অভিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মা-মেয়ে হত্যায় অভিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি 
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে মজিরুলের নেতৃত্বে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে মজিরুলের নেতৃত্বে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।

দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’

মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’

গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’

মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।

কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’

মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’

কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত