Ajker Patrika

নাটোরের চার আসন: সরব বিএনপি, মরিয়া জামায়াত

  • চলছে বিষোদ্‌গার, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ
  • উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত প্রার্থীরা
  • জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী প্রার্থীরা
নাইমুর রহমান, নাটোর 
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ১৫
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আনোয়ারুল ইসলাম আনু, ফারজানা শারমিন পুতুল, আব্দুল আজিজ, আব্দুল হাকিম, ইউনুস আলী, সাইদুর রহমান ও এস এম জার্জিস কাদির বাবু । ফাইল ছবি
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আনোয়ারুল ইসলাম আনু, ফারজানা শারমিন পুতুল, আব্দুল আজিজ, আব্দুল হাকিম, ইউনুস আলী, সাইদুর রহমান ও এস এম জার্জিস কাদির বাবু । ফাইল ছবি

ভোটের হাওয়া বইছে নাটোরজুড়ে। শহরে, গ্রামে সর্বত্রই এখন ভোটের ডামাডোল। উঠান বৈঠক, পথসভা, সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনানুষ্ঠানিক গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা। তবে চলছে বিষোদ্‌গার, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। এই জেলায় বিএনপিকে জামায়াতের বিরুদ্ধে যেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে, তেমনি নিজ দলের বিরোধী শিবিরকেও সামাল দিতে হচ্ছে। ভোট নিয়ে প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও ভোটারদের ত্রিমুখী তৎপরতায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে নাটোরের ৪টি আসনে।

লালপুর-বাগাতিপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল। তাঁর মনোনয়ন নিয়ে এলাকায় রয়েছে উত্তেজনা। এ আসনের অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী পুতুলের ছোট ভাই ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন পুতুলের মনোনয়নের বিরোধিতা করছেন। আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ইতিমধ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। ভোটকেন্দ্রিক সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে তাঁর। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন থেকে আব্দুল্লাহহেল বাকী, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি থেকে মোকাররেবুর রহমান নাসিম, খেলাফত মজলিস থেকে আজাবুল হক প্রচার চালাচ্ছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করার ঘোষণা দিয়ে টিপু বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করলেও বিজয়ী হব। যদি মনোনয়ন পরিবর্তন না হয়, তবে আমার কর্মীরা আমার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ক শুরু করবে।’

সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এ আসনে তাঁর মনোনয়ন অনেকটাই পূর্বনির্ধারিত ছিল। ২০০১ সালের পর এ আসন থেকে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও সব সময়ই বিএনপির রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন জোট সরকারের সাবেক এই প্রভাবশালী উপমন্ত্রী। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়েছেন জেলার নায়েবে আমির ইউনুস আলী। নব্বইয়ের দশকে তৎকালীন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর কাছে সামান্য ভোটে পরাজিত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি আসনটিতে জামায়াতে ইসলামী আস্থা রেখেছে তাঁর ওপর। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন থেকে মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রকিব উদ্দিন কমল গণসংযোগ করছেন।

দুলু বলেন, ‘আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষ অপেক্ষা করে আছে। আমার বিশ্বাস, চার আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষ জয়ী হবে এখানে। সেই সঙ্গে নাটোরবাসীর অভাব ও বঞ্চনার সমাপ্তি ঘটবে।’

জামায়াতের প্রার্থী ইউনুস বলেন, ‘এ আসনের ভোটাররা চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে নীরব বিপ্লব ঘটাবে জামায়াতের ওপর আস্থা রাখার মাধ্যমে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি ভোটারদের।’

সিংড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-৩ আসনে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি অবসরপ্রাপ্ত তিনজন স্বনামধন্য শিক্ষককে মনোনয়ন দিয়েছে। প্রথমবারের মতো তিনজনই কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন। এ আসনে জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম আনুকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। তিনি সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। জামায়াত থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাইদুর রহমান। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। এ ছাড়া এনসিপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা সদস্যসচিব এস এম জার্জিস কাদির বাবু। তিনি রাজশাহী নিউ ডিগ্রি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ।

বিএনপির প্রার্থী আনু দীর্ঘদিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সিংড়া উপজেলা ও নাটোর জেলার সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এই সুবাদে শিক্ষক ও সুশীল সমাজের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীর মধ্যে। আসনটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে খলিলুর রহমান, খেলাফত মজলিস থেকে রুহুল আমিন গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ। জামায়াতের প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ও সংগঠনটির জেলার সহসভাপতি জামিল আহমেদ। আসনটিতে বিএনপি ও জামায়াতের দুই প্রার্থী সমানতালে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দুই উপজেলার মধ্যে বড়াইগ্রামের বনপাড়া খ্রিষ্টান সম্প্রদায়-অধ্যুষিত। তাই এই ভোটব্যাংক যে প্রার্থী পাবেন, তিনি এগিয়ে যাবেন জয়ের পথে, এমনটাই ভাবনা স্থানীয়দের।

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার লালপুর, বড়াইগ্রাম ও নলডাঙ্গা প্রতিনিধি]

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সড়কের ওপর রাখা ধানে দুর্ঘটনা, কুলাউড়ায় দুই চাচাতো ভাই নিহত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে সংঘাত বন্ধে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নরসিংদী প্রতিনিধি
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।

পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।

পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদকসেবী ও বখাটের উৎপাতে অতিষ্ঠ শহরবাসী, প্রতিকার চাইলেন পুলিশ সুপারের কাছে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মোহনগঞ্জ থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহনগঞ্জ থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।

শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পানিতে ডুবে প্রাণ গেল মামা-ভাগনের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রা‌মের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পা‌শে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থে‌কে দুই শিশু‌কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নি‌য়ে যান। দা‌য়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস‌্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তি‌নি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

রৌমারী থানার উপপ‌রিদর্শক শাহ‌নেওয়াজ হো‌সেন ব‌লেন, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পু‌লিশ পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে‌ছেন। দুই শিশুর মৃত‌্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব‌্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত