নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির জনসভা মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমানের বসা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ফারজানাকে যুব মহিলা লীগের নেত্রী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। তবে এ দাবির পক্ষে তাঁরা কোনো প্রমাণ বা কমিটির তালিকা দেখাতে পারেননি। এদিকে ১৯৭৯ সালে ফারজানা রহমানের বাবা আনিছুর রহমান ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
জন্মসূত্রে বিএনপির পরিবারের সদস্য হলেও ফারজানা সম্প্রতি আলোচিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা হিসেবে। ডা. ফারজানা রহমান যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি বা আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠনের সদস্য কি না, তার অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডা. ফারজানা রহমানের বাবা আনিসুর রহমান। বর্তমানে তিনি সিংড়া দমদমা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আনিসুর রহমানরা ছয় ভাই। ভাইদের কেউই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আনিসুর রহমান ১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে তৎকালীন সিংড়া ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর আর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তবে আনিসুর রহমানের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন আনু বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি এখন পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। তিনি বর্তমানে সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।
ডা. ফারজানার পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী বিরোধী ঘরানার হলেও তাঁর চাচাতো বোন বিয়ে করেন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। পলক ছিলেন সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। পলকের বাবা প্রয়াত ফয়েজ আহমেদ ছিলেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কলেজে পড়া অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০০২ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জুনাইদ আহমেদ পলক ও আরিফা জেসমিন কণিকা। কণিকার বাবা আবুল কাশেম (প্রয়াত) মেয়ের ইচ্ছে পূরণে আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হন। পড়াশোনা শেষ করে পলক রাজনীতিতে সক্রিয় হন ও কণিকা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
আরও জানা যায়, ২০০৭ সালে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হানিফ আলী শেখকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ওই নির্বাচন বাতিল হয় এবং ড. ফখরুদ্দিনের নেতৃত্ব তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হানিফ আলী শেখ নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) বাসিন্দা হওয়ায় সিংড়ার আওয়ামী লীগ নেতারা প্রতিবাদ জানায়। তখন সিংড়ায় আওয়ামী লীগে যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক পলককে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানালে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পলককে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়। তারপর থেকে পলক এ আসন থেকে এমপি ও প্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পলক এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনিই এই পরিবারের প্রথম আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া কোনো সদস্য।
অপরদিকে, পলকের চাচাশ্বশুর আনিসুর রহমানের মেয়ে ফারজানা ২০১২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ২০১৪ সঙ্গে ঢাকা থেকে সিংড়ায় ফিরে এসে একটি বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসাসেবা শুরু করেন। পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠিত দীপাশা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনা মূল্যে ওষুধ-উপকরণ বিতরণ এবং চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোর মানুষদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ফারজানাকে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি দাবি করা হলেও অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালের ৪ জুলাই যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত উপজেলা কমিটির সম্মেলনে খাদিজা খাতুন সভাপতি, নীলাবতী হালদার ও ফাইমা খাতুনকে যথাক্রমে সহসভাপতি, জ্যোতি সরকারকে সাধারণ সম্পাদক, হাওয়া খাতুনকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শাপলা খাতুন ও শারমিন আক্তারকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য জমা দিতে বলা হলেও তা হয়ে ওঠেনি।
সিংড়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি খাদিজা পারভীন বলেন, ‘ডা. ফারজানা যুব মহিলা লীগের কোনো সদস্য বা নেত্রী নন। যাঁরা নেতৃত্বে আছেন তাঁদের নাম ওই দিনই (৪ঠা জুলাই ২০২২) ঘোষণা করা হয়েছে। পরে আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি।’
সিংড়ার সাংবাদিক আকতার হোসেন অপূর্ব বলেন, গত এক দশকে এক দিনের জন্যও ডা. ফারজানাকে আওয়ামী লীগ বা এর কোনো সংগঠনের অনুষ্ঠানে দেখিনি। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হলেও তিনি কোনো দলেরই রাজনীতি করতেন না। তাকে সিংড়ার মানুষ চিকিৎসক হিসেবেই চেনে। তাকে কেবল মেডিকেল ক্যাম্প বা স্বাস্থ্যর সেমিনারেই দেখা যায়।
নাটোর জজকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী আলী আজগর বলেন, আনিসের (ডা. ফারজানার বাবা) পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতি করে। আনিস সিংড়া ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলেন আর সভাপতি ছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ। ফারজানাকে বিএনপি বললে ভুল হবে না বরং তাকে আওয়ামী লীগ হিসেবে চিহ্নিত করলে কেউ বিশ্বাস করবে না।
ফারজানা যুব মহিলা লীগ নেত্রী মর্মে কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারলেও সিংড়া পৌর বিএনপির সভাপতি তায়েজুল ইসলাম বলেন, ‘পলক, দীপু মনি, আব্দুল মোমেনদের সঙ্গে তোলা ছবি তো মিথ্যা না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করলে ফারজানা এত দূর যেতে পারতেন না।’
ফারজানা রহমান বলেন, ‘যেখানে আমার বাবা বেঁচে আছেন, চাচা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, আমি নিজে একজন চিকিৎসক, সেখানে আওয়ামী লীগ কেন, কোনো দলীয় পরিচয়ই আমার প্রয়োজন নেই। সেদিন ব্যক্তিগত কাজে চেম্বারে যাওয়ার সময় ওই জনসভাস্থল অতিক্রম করার সময় এলাকার একজন চিকিৎসক এবং সমাজকর্মী হিসেবে অনেকেই আমার সঙ্গে কথা বলছিল। একপর্যায়ে মহিলা চিকিৎসক হিসেবে আমাকে বসতে বলায় কিছু সময়ের জন্য প্রথমে মঞ্চের নিচে অবস্থান করি। আমাকে সম্মান জানিয়ে মঞ্চে ডেকে নেয়। একটু পর সেখান থেকে চলে আসি। এর বেশি কিছুই না। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের সঙ্গে তোলা ছবি দেখিয়ে আমাকে আওয়ামী লীগ বানানো হচ্ছে। আমি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গ্রহণকালে এসব ছবি ওঠানো যা বিভিন্ন পত্রিকাতেও এসেছিল। এসব প্রচার করে আমার সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে।
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির জনসভা মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমানের বসা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ফারজানাকে যুব মহিলা লীগের নেত্রী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। তবে এ দাবির পক্ষে তাঁরা কোনো প্রমাণ বা কমিটির তালিকা দেখাতে পারেননি। এদিকে ১৯৭৯ সালে ফারজানা রহমানের বাবা আনিছুর রহমান ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
জন্মসূত্রে বিএনপির পরিবারের সদস্য হলেও ফারজানা সম্প্রতি আলোচিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা হিসেবে। ডা. ফারজানা রহমান যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি বা আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠনের সদস্য কি না, তার অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডা. ফারজানা রহমানের বাবা আনিসুর রহমান। বর্তমানে তিনি সিংড়া দমদমা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আনিসুর রহমানরা ছয় ভাই। ভাইদের কেউই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আনিসুর রহমান ১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে তৎকালীন সিংড়া ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর আর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তবে আনিসুর রহমানের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন আনু বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি এখন পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। তিনি বর্তমানে সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।
ডা. ফারজানার পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী বিরোধী ঘরানার হলেও তাঁর চাচাতো বোন বিয়ে করেন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। পলক ছিলেন সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। পলকের বাবা প্রয়াত ফয়েজ আহমেদ ছিলেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কলেজে পড়া অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০০২ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জুনাইদ আহমেদ পলক ও আরিফা জেসমিন কণিকা। কণিকার বাবা আবুল কাশেম (প্রয়াত) মেয়ের ইচ্ছে পূরণে আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হন। পড়াশোনা শেষ করে পলক রাজনীতিতে সক্রিয় হন ও কণিকা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
আরও জানা যায়, ২০০৭ সালে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হানিফ আলী শেখকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ওই নির্বাচন বাতিল হয় এবং ড. ফখরুদ্দিনের নেতৃত্ব তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হানিফ আলী শেখ নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) বাসিন্দা হওয়ায় সিংড়ার আওয়ামী লীগ নেতারা প্রতিবাদ জানায়। তখন সিংড়ায় আওয়ামী লীগে যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক পলককে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানালে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পলককে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়। তারপর থেকে পলক এ আসন থেকে এমপি ও প্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পলক এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনিই এই পরিবারের প্রথম আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া কোনো সদস্য।
অপরদিকে, পলকের চাচাশ্বশুর আনিসুর রহমানের মেয়ে ফারজানা ২০১২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ২০১৪ সঙ্গে ঢাকা থেকে সিংড়ায় ফিরে এসে একটি বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসাসেবা শুরু করেন। পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠিত দীপাশা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনা মূল্যে ওষুধ-উপকরণ বিতরণ এবং চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোর মানুষদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ফারজানাকে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি দাবি করা হলেও অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালের ৪ জুলাই যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত উপজেলা কমিটির সম্মেলনে খাদিজা খাতুন সভাপতি, নীলাবতী হালদার ও ফাইমা খাতুনকে যথাক্রমে সহসভাপতি, জ্যোতি সরকারকে সাধারণ সম্পাদক, হাওয়া খাতুনকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শাপলা খাতুন ও শারমিন আক্তারকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য জমা দিতে বলা হলেও তা হয়ে ওঠেনি।
সিংড়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি খাদিজা পারভীন বলেন, ‘ডা. ফারজানা যুব মহিলা লীগের কোনো সদস্য বা নেত্রী নন। যাঁরা নেতৃত্বে আছেন তাঁদের নাম ওই দিনই (৪ঠা জুলাই ২০২২) ঘোষণা করা হয়েছে। পরে আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি।’
সিংড়ার সাংবাদিক আকতার হোসেন অপূর্ব বলেন, গত এক দশকে এক দিনের জন্যও ডা. ফারজানাকে আওয়ামী লীগ বা এর কোনো সংগঠনের অনুষ্ঠানে দেখিনি। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হলেও তিনি কোনো দলেরই রাজনীতি করতেন না। তাকে সিংড়ার মানুষ চিকিৎসক হিসেবেই চেনে। তাকে কেবল মেডিকেল ক্যাম্প বা স্বাস্থ্যর সেমিনারেই দেখা যায়।
নাটোর জজকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী আলী আজগর বলেন, আনিসের (ডা. ফারজানার বাবা) পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতি করে। আনিস সিংড়া ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলেন আর সভাপতি ছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ। ফারজানাকে বিএনপি বললে ভুল হবে না বরং তাকে আওয়ামী লীগ হিসেবে চিহ্নিত করলে কেউ বিশ্বাস করবে না।
ফারজানা যুব মহিলা লীগ নেত্রী মর্মে কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারলেও সিংড়া পৌর বিএনপির সভাপতি তায়েজুল ইসলাম বলেন, ‘পলক, দীপু মনি, আব্দুল মোমেনদের সঙ্গে তোলা ছবি তো মিথ্যা না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করলে ফারজানা এত দূর যেতে পারতেন না।’
ফারজানা রহমান বলেন, ‘যেখানে আমার বাবা বেঁচে আছেন, চাচা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, আমি নিজে একজন চিকিৎসক, সেখানে আওয়ামী লীগ কেন, কোনো দলীয় পরিচয়ই আমার প্রয়োজন নেই। সেদিন ব্যক্তিগত কাজে চেম্বারে যাওয়ার সময় ওই জনসভাস্থল অতিক্রম করার সময় এলাকার একজন চিকিৎসক এবং সমাজকর্মী হিসেবে অনেকেই আমার সঙ্গে কথা বলছিল। একপর্যায়ে মহিলা চিকিৎসক হিসেবে আমাকে বসতে বলায় কিছু সময়ের জন্য প্রথমে মঞ্চের নিচে অবস্থান করি। আমাকে সম্মান জানিয়ে মঞ্চে ডেকে নেয়। একটু পর সেখান থেকে চলে আসি। এর বেশি কিছুই না। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের সঙ্গে তোলা ছবি দেখিয়ে আমাকে আওয়ামী লীগ বানানো হচ্ছে। আমি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গ্রহণকালে এসব ছবি ওঠানো যা বিভিন্ন পত্রিকাতেও এসেছিল। এসব প্রচার করে আমার সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে।
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির জনসভা মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমানের বসা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ফারজানাকে যুব মহিলা লীগের নেত্রী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। তবে এ দাবির পক্ষে তাঁরা কোনো প্রমাণ বা কমিটির তালিকা দেখাতে পারেননি। এদিকে ১৯৭৯ সালে ফারজানা রহমানের বাবা আনিছুর রহমান ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
জন্মসূত্রে বিএনপির পরিবারের সদস্য হলেও ফারজানা সম্প্রতি আলোচিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা হিসেবে। ডা. ফারজানা রহমান যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি বা আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠনের সদস্য কি না, তার অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডা. ফারজানা রহমানের বাবা আনিসুর রহমান। বর্তমানে তিনি সিংড়া দমদমা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আনিসুর রহমানরা ছয় ভাই। ভাইদের কেউই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আনিসুর রহমান ১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে তৎকালীন সিংড়া ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর আর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তবে আনিসুর রহমানের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন আনু বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি এখন পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। তিনি বর্তমানে সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।
ডা. ফারজানার পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী বিরোধী ঘরানার হলেও তাঁর চাচাতো বোন বিয়ে করেন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। পলক ছিলেন সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। পলকের বাবা প্রয়াত ফয়েজ আহমেদ ছিলেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কলেজে পড়া অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০০২ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জুনাইদ আহমেদ পলক ও আরিফা জেসমিন কণিকা। কণিকার বাবা আবুল কাশেম (প্রয়াত) মেয়ের ইচ্ছে পূরণে আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হন। পড়াশোনা শেষ করে পলক রাজনীতিতে সক্রিয় হন ও কণিকা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
আরও জানা যায়, ২০০৭ সালে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হানিফ আলী শেখকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ওই নির্বাচন বাতিল হয় এবং ড. ফখরুদ্দিনের নেতৃত্ব তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হানিফ আলী শেখ নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) বাসিন্দা হওয়ায় সিংড়ার আওয়ামী লীগ নেতারা প্রতিবাদ জানায়। তখন সিংড়ায় আওয়ামী লীগে যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক পলককে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানালে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পলককে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়। তারপর থেকে পলক এ আসন থেকে এমপি ও প্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পলক এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনিই এই পরিবারের প্রথম আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া কোনো সদস্য।
অপরদিকে, পলকের চাচাশ্বশুর আনিসুর রহমানের মেয়ে ফারজানা ২০১২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ২০১৪ সঙ্গে ঢাকা থেকে সিংড়ায় ফিরে এসে একটি বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসাসেবা শুরু করেন। পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠিত দীপাশা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনা মূল্যে ওষুধ-উপকরণ বিতরণ এবং চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোর মানুষদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ফারজানাকে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি দাবি করা হলেও অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালের ৪ জুলাই যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত উপজেলা কমিটির সম্মেলনে খাদিজা খাতুন সভাপতি, নীলাবতী হালদার ও ফাইমা খাতুনকে যথাক্রমে সহসভাপতি, জ্যোতি সরকারকে সাধারণ সম্পাদক, হাওয়া খাতুনকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শাপলা খাতুন ও শারমিন আক্তারকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য জমা দিতে বলা হলেও তা হয়ে ওঠেনি।
সিংড়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি খাদিজা পারভীন বলেন, ‘ডা. ফারজানা যুব মহিলা লীগের কোনো সদস্য বা নেত্রী নন। যাঁরা নেতৃত্বে আছেন তাঁদের নাম ওই দিনই (৪ঠা জুলাই ২০২২) ঘোষণা করা হয়েছে। পরে আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি।’
সিংড়ার সাংবাদিক আকতার হোসেন অপূর্ব বলেন, গত এক দশকে এক দিনের জন্যও ডা. ফারজানাকে আওয়ামী লীগ বা এর কোনো সংগঠনের অনুষ্ঠানে দেখিনি। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হলেও তিনি কোনো দলেরই রাজনীতি করতেন না। তাকে সিংড়ার মানুষ চিকিৎসক হিসেবেই চেনে। তাকে কেবল মেডিকেল ক্যাম্প বা স্বাস্থ্যর সেমিনারেই দেখা যায়।
নাটোর জজকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী আলী আজগর বলেন, আনিসের (ডা. ফারজানার বাবা) পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতি করে। আনিস সিংড়া ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলেন আর সভাপতি ছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ। ফারজানাকে বিএনপি বললে ভুল হবে না বরং তাকে আওয়ামী লীগ হিসেবে চিহ্নিত করলে কেউ বিশ্বাস করবে না।
ফারজানা যুব মহিলা লীগ নেত্রী মর্মে কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারলেও সিংড়া পৌর বিএনপির সভাপতি তায়েজুল ইসলাম বলেন, ‘পলক, দীপু মনি, আব্দুল মোমেনদের সঙ্গে তোলা ছবি তো মিথ্যা না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করলে ফারজানা এত দূর যেতে পারতেন না।’
ফারজানা রহমান বলেন, ‘যেখানে আমার বাবা বেঁচে আছেন, চাচা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, আমি নিজে একজন চিকিৎসক, সেখানে আওয়ামী লীগ কেন, কোনো দলীয় পরিচয়ই আমার প্রয়োজন নেই। সেদিন ব্যক্তিগত কাজে চেম্বারে যাওয়ার সময় ওই জনসভাস্থল অতিক্রম করার সময় এলাকার একজন চিকিৎসক এবং সমাজকর্মী হিসেবে অনেকেই আমার সঙ্গে কথা বলছিল। একপর্যায়ে মহিলা চিকিৎসক হিসেবে আমাকে বসতে বলায় কিছু সময়ের জন্য প্রথমে মঞ্চের নিচে অবস্থান করি। আমাকে সম্মান জানিয়ে মঞ্চে ডেকে নেয়। একটু পর সেখান থেকে চলে আসি। এর বেশি কিছুই না। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের সঙ্গে তোলা ছবি দেখিয়ে আমাকে আওয়ামী লীগ বানানো হচ্ছে। আমি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গ্রহণকালে এসব ছবি ওঠানো যা বিভিন্ন পত্রিকাতেও এসেছিল। এসব প্রচার করে আমার সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে।
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির জনসভা মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমানের বসা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ফারজানাকে যুব মহিলা লীগের নেত্রী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। তবে এ দাবির পক্ষে তাঁরা কোনো প্রমাণ বা কমিটির তালিকা দেখাতে পারেননি। এদিকে ১৯৭৯ সালে ফারজানা রহমানের বাবা আনিছুর রহমান ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
জন্মসূত্রে বিএনপির পরিবারের সদস্য হলেও ফারজানা সম্প্রতি আলোচিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা হিসেবে। ডা. ফারজানা রহমান যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি বা আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠনের সদস্য কি না, তার অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডা. ফারজানা রহমানের বাবা আনিসুর রহমান। বর্তমানে তিনি সিংড়া দমদমা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আনিসুর রহমানরা ছয় ভাই। ভাইদের কেউই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আনিসুর রহমান ১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে তৎকালীন সিংড়া ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর আর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তবে আনিসুর রহমানের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন আনু বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি এখন পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। তিনি বর্তমানে সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।
ডা. ফারজানার পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী বিরোধী ঘরানার হলেও তাঁর চাচাতো বোন বিয়ে করেন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। পলক ছিলেন সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। পলকের বাবা প্রয়াত ফয়েজ আহমেদ ছিলেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কলেজে পড়া অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০০২ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জুনাইদ আহমেদ পলক ও আরিফা জেসমিন কণিকা। কণিকার বাবা আবুল কাশেম (প্রয়াত) মেয়ের ইচ্ছে পূরণে আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হন। পড়াশোনা শেষ করে পলক রাজনীতিতে সক্রিয় হন ও কণিকা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
আরও জানা যায়, ২০০৭ সালে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হানিফ আলী শেখকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ওই নির্বাচন বাতিল হয় এবং ড. ফখরুদ্দিনের নেতৃত্ব তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হানিফ আলী শেখ নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) বাসিন্দা হওয়ায় সিংড়ার আওয়ামী লীগ নেতারা প্রতিবাদ জানায়। তখন সিংড়ায় আওয়ামী লীগে যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক পলককে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানালে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পলককে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়। তারপর থেকে পলক এ আসন থেকে এমপি ও প্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পলক এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনিই এই পরিবারের প্রথম আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া কোনো সদস্য।
অপরদিকে, পলকের চাচাশ্বশুর আনিসুর রহমানের মেয়ে ফারজানা ২০১২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ২০১৪ সঙ্গে ঢাকা থেকে সিংড়ায় ফিরে এসে একটি বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসাসেবা শুরু করেন। পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠিত দীপাশা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনা মূল্যে ওষুধ-উপকরণ বিতরণ এবং চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোর মানুষদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ফারজানাকে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি দাবি করা হলেও অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালের ৪ জুলাই যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত উপজেলা কমিটির সম্মেলনে খাদিজা খাতুন সভাপতি, নীলাবতী হালদার ও ফাইমা খাতুনকে যথাক্রমে সহসভাপতি, জ্যোতি সরকারকে সাধারণ সম্পাদক, হাওয়া খাতুনকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শাপলা খাতুন ও শারমিন আক্তারকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য জমা দিতে বলা হলেও তা হয়ে ওঠেনি।
সিংড়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি খাদিজা পারভীন বলেন, ‘ডা. ফারজানা যুব মহিলা লীগের কোনো সদস্য বা নেত্রী নন। যাঁরা নেতৃত্বে আছেন তাঁদের নাম ওই দিনই (৪ঠা জুলাই ২০২২) ঘোষণা করা হয়েছে। পরে আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি।’
সিংড়ার সাংবাদিক আকতার হোসেন অপূর্ব বলেন, গত এক দশকে এক দিনের জন্যও ডা. ফারজানাকে আওয়ামী লীগ বা এর কোনো সংগঠনের অনুষ্ঠানে দেখিনি। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হলেও তিনি কোনো দলেরই রাজনীতি করতেন না। তাকে সিংড়ার মানুষ চিকিৎসক হিসেবেই চেনে। তাকে কেবল মেডিকেল ক্যাম্প বা স্বাস্থ্যর সেমিনারেই দেখা যায়।
নাটোর জজকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী আলী আজগর বলেন, আনিসের (ডা. ফারজানার বাবা) পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতি করে। আনিস সিংড়া ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলেন আর সভাপতি ছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ। ফারজানাকে বিএনপি বললে ভুল হবে না বরং তাকে আওয়ামী লীগ হিসেবে চিহ্নিত করলে কেউ বিশ্বাস করবে না।
ফারজানা যুব মহিলা লীগ নেত্রী মর্মে কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারলেও সিংড়া পৌর বিএনপির সভাপতি তায়েজুল ইসলাম বলেন, ‘পলক, দীপু মনি, আব্দুল মোমেনদের সঙ্গে তোলা ছবি তো মিথ্যা না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করলে ফারজানা এত দূর যেতে পারতেন না।’
ফারজানা রহমান বলেন, ‘যেখানে আমার বাবা বেঁচে আছেন, চাচা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, আমি নিজে একজন চিকিৎসক, সেখানে আওয়ামী লীগ কেন, কোনো দলীয় পরিচয়ই আমার প্রয়োজন নেই। সেদিন ব্যক্তিগত কাজে চেম্বারে যাওয়ার সময় ওই জনসভাস্থল অতিক্রম করার সময় এলাকার একজন চিকিৎসক এবং সমাজকর্মী হিসেবে অনেকেই আমার সঙ্গে কথা বলছিল। একপর্যায়ে মহিলা চিকিৎসক হিসেবে আমাকে বসতে বলায় কিছু সময়ের জন্য প্রথমে মঞ্চের নিচে অবস্থান করি। আমাকে সম্মান জানিয়ে মঞ্চে ডেকে নেয়। একটু পর সেখান থেকে চলে আসি। এর বেশি কিছুই না। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের সঙ্গে তোলা ছবি দেখিয়ে আমাকে আওয়ামী লীগ বানানো হচ্ছে। আমি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গ্রহণকালে এসব ছবি ওঠানো যা বিভিন্ন পত্রিকাতেও এসেছিল। এসব প্রচার করে আমার সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে।
বিএনপি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া কিশোরগঞ্জ বিএনপির সাবেক নেতা আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। পোস্ট দিয়ে নানা মন্তব্য করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
১০ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহৃত এক স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কাউছার সিকদার।
১৬ মিনিট আগেপুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) পূর্বপরিকল্পিতভাবে এসপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ আটকের অভিযোগে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও ওসির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগেরাজশাহীর পবায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন এক বাবা। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি পবা থানায় রেকর্ড হয়।
৪২ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
বিএনপি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া কিশোরগঞ্জ বিএনপির সাবেক নেতা আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। পোস্ট দিয়ে নানা মন্তব্য করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
এর মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শহীদুল্লাহ কায়সার লিখেছেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ফয়জুল করিম মুবিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং ফ্যাসিবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগের পক্ষে নানা মন্তব্য করছেন।
‘তিনি এমনকি দাবি করছেন, খুনি শেখ হাসিনা দেশে আসবেন বা ইতিমধ্যে এসে গেছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের রাজপথের একজন কর্মী হিসেবে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি—খুনি শেখ হাসিনার অবস্থান কোথায়, তা জানতে ফয়জুল করিম মুবিনকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক।’
অপর দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা-কর্মীরা অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে তাঁকে ট্যাগ করছেন। পরে সেগুলো নিজের টাইমলাইনে শেয়ারও করেছেন ফয়জুল করিম মুবিন।
এর আগে গতকাল বুধবার বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আওয়ামী লীগের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন জেলা বিএনপির সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিন। নিজের ফেসবুক আইডিতে ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অবশ্যই আসবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
ফয়জুল করিম মুবিন বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি এই দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এখন ঐক্যের সময়।’
মুবিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল, ধর্মনিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। ৫ আগস্টের পর মানুষের যে স্বপ্ন ছিল, চেতনা ছিল, এক বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগ করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে। তাকে প্রতিহত করার জন্যই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।’
মুবিন আরও বলেন, ‘আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। এখন মনে করছি, দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার প্রয়োজন।’
ফয়জুল করিম মুবিনের বাবা মরহুম ফজলুল করিম ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী (১৯৭৮–৮২)। তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফয়জুল করিম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সম্পর্কে চাচাতো ভাই হন আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিন দীর্ঘদিন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সদস্য ছিলেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেছেন ফয়জুল করিম মুবিন। ৭ অক্টোবর বিএনপির সব পদ থেকে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। ৯ অক্টোবর অতিথি পাবলিক প্রসিকিউটর পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে ফয়জুল করিম মুবিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে, সে একজন নেশাগ্রস্ত লোক। মানসিকভাবে অসুস্থ। তার মতো লোকের বিএনপি নয়, কোনো দলেই থাকা উচিত নয়।’
বিএনপি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া কিশোরগঞ্জ বিএনপির সাবেক নেতা আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। পোস্ট দিয়ে নানা মন্তব্য করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
এর মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শহীদুল্লাহ কায়সার লিখেছেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ফয়জুল করিম মুবিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং ফ্যাসিবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগের পক্ষে নানা মন্তব্য করছেন।
‘তিনি এমনকি দাবি করছেন, খুনি শেখ হাসিনা দেশে আসবেন বা ইতিমধ্যে এসে গেছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের রাজপথের একজন কর্মী হিসেবে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি—খুনি শেখ হাসিনার অবস্থান কোথায়, তা জানতে ফয়জুল করিম মুবিনকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক।’
অপর দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা-কর্মীরা অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে তাঁকে ট্যাগ করছেন। পরে সেগুলো নিজের টাইমলাইনে শেয়ারও করেছেন ফয়জুল করিম মুবিন।
এর আগে গতকাল বুধবার বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আওয়ামী লীগের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন জেলা বিএনপির সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিন। নিজের ফেসবুক আইডিতে ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অবশ্যই আসবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
ফয়জুল করিম মুবিন বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি এই দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এখন ঐক্যের সময়।’
মুবিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল, ধর্মনিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। ৫ আগস্টের পর মানুষের যে স্বপ্ন ছিল, চেতনা ছিল, এক বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগ করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে। তাকে প্রতিহত করার জন্যই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।’
মুবিন আরও বলেন, ‘আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। এখন মনে করছি, দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার প্রয়োজন।’
ফয়জুল করিম মুবিনের বাবা মরহুম ফজলুল করিম ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী (১৯৭৮–৮২)। তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফয়জুল করিম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সম্পর্কে চাচাতো ভাই হন আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিন দীর্ঘদিন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সদস্য ছিলেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেছেন ফয়জুল করিম মুবিন। ৭ অক্টোবর বিএনপির সব পদ থেকে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। ৯ অক্টোবর অতিথি পাবলিক প্রসিকিউটর পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে ফয়জুল করিম মুবিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে, সে একজন নেশাগ্রস্ত লোক। মানসিকভাবে অসুস্থ। তার মতো লোকের বিএনপি নয়, কোনো দলেই থাকা উচিত নয়।’
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির জনসভা মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমানের বসা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ফারজানাকে যুব মহিলা লীগ নেত্রী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। তবে এ দাবির পক্ষে তাঁরা...
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪কক্সবাজারের টেকনাফে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহৃত এক স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কাউছার সিকদার।
১৬ মিনিট আগেপুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) পূর্বপরিকল্পিতভাবে এসপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ আটকের অভিযোগে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও ওসির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগেরাজশাহীর পবায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন এক বাবা। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি পবা থানায় রেকর্ড হয়।
৪২ মিনিট আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহৃত এক স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কাউছার সিকদার।
তিনি জানান, ২১ অক্টোবর দুপুরে রিয়াজ উদ্দিন শখের বশে তার বাবার অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে অজ্ঞাতপরিচয় একদল অপহরণকারী তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে একদল সশস্ত্র ডাকাতের অবস্থানের খবর পায় পুলিশ। এপিবিএন ও জেলা পুলিশের যৌথ একটি দল সেখানে অভিযান চালালে অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভিকটিমকে ফেলে পালিয়ে যায়।
অভিযান শেষে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। পরে তাকে নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় এবং পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়।
১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক মোহাম্মদ কাউছার সিকদার বলেন, ‘অপহরণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে এপিবিএন সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
কক্সবাজারের টেকনাফে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহৃত এক স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কাউছার সিকদার।
তিনি জানান, ২১ অক্টোবর দুপুরে রিয়াজ উদ্দিন শখের বশে তার বাবার অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে অজ্ঞাতপরিচয় একদল অপহরণকারী তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে একদল সশস্ত্র ডাকাতের অবস্থানের খবর পায় পুলিশ। এপিবিএন ও জেলা পুলিশের যৌথ একটি দল সেখানে অভিযান চালালে অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভিকটিমকে ফেলে পালিয়ে যায়।
অভিযান শেষে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। পরে তাকে নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় এবং পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়।
১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক মোহাম্মদ কাউছার সিকদার বলেন, ‘অপহরণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে এপিবিএন সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির জনসভা মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমানের বসা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ফারজানাকে যুব মহিলা লীগ নেত্রী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। তবে এ দাবির পক্ষে তাঁরা...
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪বিএনপি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া কিশোরগঞ্জ বিএনপির সাবেক নেতা আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। পোস্ট দিয়ে নানা মন্তব্য করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
১০ মিনিট আগেপুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) পূর্বপরিকল্পিতভাবে এসপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ আটকের অভিযোগে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও ওসির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগেরাজশাহীর পবায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন এক বাবা। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি পবা থানায় রেকর্ড হয়।
৪২ মিনিট আগেগাইবান্ধা প্রতিনিধি
পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) এসপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ আটকের অভিযোগে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমলি আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় নামীয় তিনজন ও অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা সদর আমলি আদালতে ভুক্তভোগী এসআই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আসামিরা হলেন গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলা, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার ও লালমনিরহাট জেলার তারেকুজ্জামান তুহিন (২৩) নামের এক ব্যক্তি। তারেকুজ্জামান পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারি-ইসলামপুর এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ও ভুক্তভোগী এসআই মনিরুজ্জামানের বোনের সাবেক স্বামীর মামাতো ভাই।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীর স্বামী এসআই মনিরুজ্জামান তখন গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। মনিরুজ্জামানের আত্মীয় আসামি তারেকুজ্জামান তুহিন পারিবারিক পূর্বশক্রতার জেরে ফেসবুকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে ছবি প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে এসআই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা এসপি কার্যালয়ে একটি মৌখিক অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগে চলতি বছরের ২৫ মার্চ পুলিশ সুপার ও ওসি এসআই মনিরুজ্জামানকে এসপি কার্যালয়ে ডেকে নেন। মনিরুজ্জামান এসপি কার্যালয়ে প্রবেশ করা মাত্রই গাইবান্ধার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে তাঁর মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ১৩ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেন। পরে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ যাচাই-বাছাই শেষে ডিভাইসগুলো সদর থানার ওসির কাছে আটক রাখেন। এ সময় বিষয়টি বাইরে প্রকাশ করলে চাকরির ক্ষতি হবে বলে ভয় দেখানো হয় মনিরুজ্জামানকে। একপর্যায়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মনিরুজ্জামানকে গাইবান্ধা থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর তালুকদার বলেন, ‘সদর থানার এসআই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন তারেকুজ্জামান তুহিন নামের এক আত্মীয়ের নামে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ান। গাইবান্ধা এসপি অফিসে এসে তুহিন বিষয়টি জানালে মনিরুজ্জামানের মোবাইল ও ল্যাপটপটি চেক করা হয়। পরে তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। মামলা করার বিষয়টি শুনেছি।’
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলার সরকারি ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) এসপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ আটকের অভিযোগে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমলি আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় নামীয় তিনজন ও অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা সদর আমলি আদালতে ভুক্তভোগী এসআই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আসামিরা হলেন গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলা, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার ও লালমনিরহাট জেলার তারেকুজ্জামান তুহিন (২৩) নামের এক ব্যক্তি। তারেকুজ্জামান পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারি-ইসলামপুর এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ও ভুক্তভোগী এসআই মনিরুজ্জামানের বোনের সাবেক স্বামীর মামাতো ভাই।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীর স্বামী এসআই মনিরুজ্জামান তখন গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। মনিরুজ্জামানের আত্মীয় আসামি তারেকুজ্জামান তুহিন পারিবারিক পূর্বশক্রতার জেরে ফেসবুকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে ছবি প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে এসআই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা এসপি কার্যালয়ে একটি মৌখিক অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগে চলতি বছরের ২৫ মার্চ পুলিশ সুপার ও ওসি এসআই মনিরুজ্জামানকে এসপি কার্যালয়ে ডেকে নেন। মনিরুজ্জামান এসপি কার্যালয়ে প্রবেশ করা মাত্রই গাইবান্ধার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে তাঁর মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ১৩ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেন। পরে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ যাচাই-বাছাই শেষে ডিভাইসগুলো সদর থানার ওসির কাছে আটক রাখেন। এ সময় বিষয়টি বাইরে প্রকাশ করলে চাকরির ক্ষতি হবে বলে ভয় দেখানো হয় মনিরুজ্জামানকে। একপর্যায়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মনিরুজ্জামানকে গাইবান্ধা থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর তালুকদার বলেন, ‘সদর থানার এসআই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন তারেকুজ্জামান তুহিন নামের এক আত্মীয়ের নামে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ান। গাইবান্ধা এসপি অফিসে এসে তুহিন বিষয়টি জানালে মনিরুজ্জামানের মোবাইল ও ল্যাপটপটি চেক করা হয়। পরে তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। মামলা করার বিষয়টি শুনেছি।’
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলার সরকারি ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির জনসভা মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমানের বসা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ফারজানাকে যুব মহিলা লীগ নেত্রী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। তবে এ দাবির পক্ষে তাঁরা...
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪বিএনপি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া কিশোরগঞ্জ বিএনপির সাবেক নেতা আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। পোস্ট দিয়ে নানা মন্তব্য করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
১০ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহৃত এক স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কাউছার সিকদার।
১৬ মিনিট আগেরাজশাহীর পবায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন এক বাবা। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি পবা থানায় রেকর্ড হয়।
৪২ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর পবায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন এক বাবা। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি পবা থানায় রেকর্ড হয়।
মামলার বাদী আমির হোসেন সরকারের (৭০) বাড়ি পবা উপজেলার নওহাটা কলেজ মোড় এলাকায়। মামলায় ছেলে বোরহান উদ্দিন (৪৫) এবং পুত্রবধূ আয়েশা বেগম আশাকে (৩৬) আসামি করেছেন তিনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আমির হোসেন সরকার ছেলে বোরহান উদ্দিনের নামে বাড়িসহ ছয় শতক জমি কিনেছিলেন। ২০০০ সালে বোরহান সৌদি আরবে চলে যান। বিদেশে থাকা অবস্থায় বোরহান জমিটি তাঁর বাবাকে আমমোক্তার (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) নিযুক্ত করেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা সংসার করছেন বোরহান। এখন মা-বাবাকে ওই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে নতুন করে বাড়ি করার চেষ্টা করছেন।
আমির হোসেন খানের অভিযোগ, ছেলে তাঁর দেখভাল করেন না। কোনো টাকাপয়সাও দেন না। সম্প্রতি রাজশাহীর পবা থানার আমলি আদালতে গিয়ে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী মামলার আবেদন করেন আমির হোসেন। ৫ অক্টোবর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান সরকার অভিযোগটি সাত দিনের মধ্যে মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ এ মামলা রেকর্ড হয়।
আমির হোসেন সরকার বলেন, ‘সহায়-সম্বল বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। বাড়িটাও কিনেছিলাম ছেলের নামে। সে সৌদি আরবে ২৫ বছর থেকে অনেক টাকাপয়সা রোজগার করেছে। এই বয়সে নানা অসুস্থতা আর অভাব-অনটনে জীবন যাপন করলেও ছেলে খোঁজ নেয়নি। ছেলের বউ আমাদের কোনো টাকাপয়সা দিতে দেয় না। ছেলে দেশে ফিরে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে নতুন করে বাড়ি করার পরিকল্পনা করে। এ বাড়িতে আমার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকি। সে আমাদের বের করে এখানে বাড়ি করতে চায়। এতে রাজি না হলে সে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে। গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা আমাদের উদ্ধার করে।’
অভিযোগের বিষয়ে বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমি বিদেশ কাজ করেছি ২৫ বছর। আশপাশে ইনকোয়ারি করলে আসল বিষয়টা বুঝতে পারবেন। আমার ভাইবোন—সবার পেছনে খাটতে খাটতে শেষ। দেশে আসার পরে আমি দেড় বছর ধরে বেকার। ভরণপোষণ দেব কোথা থেকে?’ মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আরও দুইটা ভাই আছে। সব দায়দায়িত্ব কি আমার একার, না অন্যদেরও আছে?’
পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। আমার জানামতে, পবা থানায় এ ধরনের মামলা এবারই প্রথম হলো। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহমখদুম জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘বৃদ্ধ পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের অবহেলা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। ২০১৩ সালে সরকার “পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন” প্রণয়ন করে। এই আইনে প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা হয়েছে। কোনো সন্তান এই দায়িত্ব পালন না করলে এক লাখ টাকা জরিমানা বা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান আছে। অনেক বৃদ্ধ পিতা-মাতা পারিবারিক চাপে পড়ে নীরবে কষ্ট সহ্য করেন। মামলা করতে সাহস পান না। এই মামলা হয়তো অন্যদেরও সচেতন করবে।’
রাজশাহীর পবায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন এক বাবা। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি পবা থানায় রেকর্ড হয়।
মামলার বাদী আমির হোসেন সরকারের (৭০) বাড়ি পবা উপজেলার নওহাটা কলেজ মোড় এলাকায়। মামলায় ছেলে বোরহান উদ্দিন (৪৫) এবং পুত্রবধূ আয়েশা বেগম আশাকে (৩৬) আসামি করেছেন তিনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আমির হোসেন সরকার ছেলে বোরহান উদ্দিনের নামে বাড়িসহ ছয় শতক জমি কিনেছিলেন। ২০০০ সালে বোরহান সৌদি আরবে চলে যান। বিদেশে থাকা অবস্থায় বোরহান জমিটি তাঁর বাবাকে আমমোক্তার (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) নিযুক্ত করেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা সংসার করছেন বোরহান। এখন মা-বাবাকে ওই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে নতুন করে বাড়ি করার চেষ্টা করছেন।
আমির হোসেন খানের অভিযোগ, ছেলে তাঁর দেখভাল করেন না। কোনো টাকাপয়সাও দেন না। সম্প্রতি রাজশাহীর পবা থানার আমলি আদালতে গিয়ে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী মামলার আবেদন করেন আমির হোসেন। ৫ অক্টোবর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান সরকার অভিযোগটি সাত দিনের মধ্যে মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ এ মামলা রেকর্ড হয়।
আমির হোসেন সরকার বলেন, ‘সহায়-সম্বল বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। বাড়িটাও কিনেছিলাম ছেলের নামে। সে সৌদি আরবে ২৫ বছর থেকে অনেক টাকাপয়সা রোজগার করেছে। এই বয়সে নানা অসুস্থতা আর অভাব-অনটনে জীবন যাপন করলেও ছেলে খোঁজ নেয়নি। ছেলের বউ আমাদের কোনো টাকাপয়সা দিতে দেয় না। ছেলে দেশে ফিরে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে নতুন করে বাড়ি করার পরিকল্পনা করে। এ বাড়িতে আমার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকি। সে আমাদের বের করে এখানে বাড়ি করতে চায়। এতে রাজি না হলে সে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে। গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা আমাদের উদ্ধার করে।’
অভিযোগের বিষয়ে বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমি বিদেশ কাজ করেছি ২৫ বছর। আশপাশে ইনকোয়ারি করলে আসল বিষয়টা বুঝতে পারবেন। আমার ভাইবোন—সবার পেছনে খাটতে খাটতে শেষ। দেশে আসার পরে আমি দেড় বছর ধরে বেকার। ভরণপোষণ দেব কোথা থেকে?’ মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আরও দুইটা ভাই আছে। সব দায়দায়িত্ব কি আমার একার, না অন্যদেরও আছে?’
পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। আমার জানামতে, পবা থানায় এ ধরনের মামলা এবারই প্রথম হলো। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহমখদুম জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘বৃদ্ধ পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের অবহেলা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। ২০১৩ সালে সরকার “পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন” প্রণয়ন করে। এই আইনে প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা হয়েছে। কোনো সন্তান এই দায়িত্ব পালন না করলে এক লাখ টাকা জরিমানা বা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান আছে। অনেক বৃদ্ধ পিতা-মাতা পারিবারিক চাপে পড়ে নীরবে কষ্ট সহ্য করেন। মামলা করতে সাহস পান না। এই মামলা হয়তো অন্যদেরও সচেতন করবে।’
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির জনসভা মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমানের বসা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ফারজানাকে যুব মহিলা লীগ নেত্রী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। তবে এ দাবির পক্ষে তাঁরা...
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪বিএনপি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া কিশোরগঞ্জ বিএনপির সাবেক নেতা আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। পোস্ট দিয়ে নানা মন্তব্য করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
১০ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহৃত এক স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কাউছার সিকদার।
১৬ মিনিট আগেপুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) পূর্বপরিকল্পিতভাবে এসপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ আটকের অভিযোগে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও ওসির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে